রোমীয়: রুকু – ৩

214465
Total
Visitors
(৩:১) তাহলে একজন ইহুদির কি সুবিধা আছে? বা খত্‌না করানোর কি মূল্য আছে? (২) সবদিক দিয়েই অনেক লাভ আছে। প্রথমত আল্লাহ তাঁর কালাম ইহুদিদের কাছেই দিয়েছেন।

(৩) কেউ কেউ যদি অবিশ্বস্ত হয় তাহলে কি হবে? তাদের অবিশ্বাস কি আল্লাহর বিশ্বস্ততাকে বাতিল করে দেবে? (৪) কখনো না! যদিও সবাই মিথ্যাবাদী, তবুও আল্লাহর সত্যবাদিতা প্রমাণিত; যেমন একথা লেখা আছে, “তুমি যেনো তোমার কথায় ধার্মিক বলে গণ্য হও, এবং বিচারের সময় বিজয়ী হও।”

(৫) কিন্তু আমাদের অধার্মিকতায় যদি আল্লাহর ধার্মিকতা প্রকাশ করে, তাহলে আমরা কী বলবো? আমি মানুষের মতো কথা বলছি- আল্লাহ মানুষের উপর তাঁর রাগ দেখিয়ে কি অন্যায় করছেন? (৬) কখনোই না! কারণ তাহলে আল্লাহ কিভাবে দুনিয়ার বিচার করবেন? (৭) কিন্তু আমার মিথ্যায় যদি আল্লাহর সত্যবাদিতা তাঁর মহিমার জন্য উপচে পড়ে, তাহলে এখনো কেনো আমি গুনাহগার হিসাবে দোষী বলে সাব্যস্ত হচ্ছি? (৮) এবং কেনো বলবো না, (যেমন কোনো কোনো মানুষ আমাদের নিন্দা করে বলে যে, আমরা নাকি বলে থাকি), “এসো আমরা মন্দ কাজ করি, যাতে ভালো কিছু আসতে পারে”? এজন্য তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে!

(৯) তাহলে কি বলবো? আমরা কি অন্যদের থেকে ভালো আছি? না, মোটেও না; কারণ আমরা আগেই অভিযোগ করেছি যে, ইহুদি ও অইহুদি সবাই গুনাহের ক্ষমতার অধীন, (১০) যেমন একথা লেখা আছে: “ধার্মিক কেউ নেই, একজনও নেই; (১১) এমন একজনও নেই, যে বোঝে; এমন একজনও নেই, যে আল্লাহর খোঁজ করে।     (১২) সকলেই বিপথগামী হয়েছে, তারা একসাথে অকেজো হয়ে গেছে; দয়া করে এমন কেউ নেই, একজনও নেই।” (১৩) “তাদের গলা খোলা কবরের মতো; প্রতারণা করার জন্য তারা তাদের জিহ্বা ব্যবহার করে।” “তাদের ঠোঁটের নিচে রয়েছে সাপের বিষ।” (১৪) “তাদের মুখ অভিশাপ ও তিক্ততায় ভরা।”

(১৫) “খুন-খারাবি বা রক্তপাতের জন্য তাদের পা ছুটতে থাকে; (১৬) তাদের পথে-পথে থাকে ধ্বংস ও যন্ত্রণা, (১৭) এবং শান্তির পথ তারা জানেই না।” (১৮) “তাদের চোখের সামনে নেই আল্লাহর ভয়।”

(১৯) এখন আমরা জানি যে, শরিয়ত যা-কিছু বলে, তা শরিয়তের অধীন লোকদেরকেই বলে, যেনো প্রত্যেকটি মুখ বন্ধ হয় এবং সারা দুনিয়া আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করে। (২০) কারণ শরিয়ত কর্তৃক আদিষ্ট কর্মকাণ্ড সম্পাদনের মাধ্যমে “কোনো মানুষই তাঁর চোখে ধার্মিক গনিত হবে না” কারণ শরিয়তের দ্বারা মানুষ গুনাহ সম্পর্কে জানতে পারে।

(২১) কিন্তু এখন, শরিয়ত ছাড়াই আল্লাহর ধার্মিকতা প্রকাশিত হয়েছে, এবং শরিয়ত ও নবিগণের দ্বারা তা প্রমানিত হয়েছে, (২২) যারা হযরত ইসা মসিহের ওপর ইমান আনে, তাদের ইমানের মধ্য দিয়ে সবার প্রতি আল্লাহর ধার্মিকতা আসে। এখানে কোনো পার্থক্য নেই, (২৩) কেননা সবাই গুনাহ করেছে এবং আল্লাহর মহিমা থেকে বঞ্চিত হয়েছে; (২৪-২৫) আল্লাহ যে-হযরত ইসা মসিহকে তাঁর রক্তের দ্বারা কাফফারা আদায়ের জন্য কোরবানি হিসাবে তুলে দিয়েছেন, তাঁরই কাছ থেকে পাওয়া নাজাতের মাধ্যমে, আল্লাহর দয়ার দান হিসাবে, এখন তারা ধার্মিক বলে গণ্য; এই ধার্মিকতা ইমানের মধ্য দিয়েই কার্যকর। তিনি তা করলেন তাঁর ধার্মিকতা দেখাবার জন্য, কারণ আল্লাহ তাঁর অতুলনীয় সহনশীলতার কারণে আগেকার সব গুনাহ ধরে রাখলেন না; (২৬) বর্তমান সময়ে এটি প্রমাণ করার প্রয়োজন ছিলো যে, তিনি নিজে ধার্মিক এবং যে কেউ হযরত ইসা আ.র ওপর ইমান আনে, তাকে তিনি ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন।

(২৭) তাহলে গর্ব কোথায় থাকলো? তা দূর করে দেওয়া হয়েছে। কোন শরিয়তের দ্বারা? কাজের শরিয়ত দ্বারা? না, কিন্তু ইমানের শরিয়ত দ্বারা। (২৮) আমরা মনে করি যে, শরিয়ত নির্ধারিত কাজ ছাড়াই ইমানের কারণে মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়।

(২৯) অথবা আল্লাহ কি শুধু ইহুদিদেরই আল্লাহ? তিনি কি অইহুদিদেরও আল্লাহ নন? হ্যাঁ, তিনি অইহুদিদেরও আল্লাহ, (৩০) নিশ্চয়ই আল্লাহ এক; এবং তিনি খত্নাপ্রাপ্ত ও খতনা বিহীন লোকদের ইমানের দ্বারা ধার্মিক বলে গ্রহণ করবেন। (৩১) তাহলে কি আমরা ইমানের দ্বারা শরিয়তকে বাদ দিচ্ছি? কখনো না! বরং আমরা শরিয়ত প্রতিষ্ঠা করছি।
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
রোমীয়: রুকু - ১

রোমীয়: রুকু – ১

১:১ আমি পৌল, হযরত ইসা মসিহের গোলাম, হাওয়ারি হওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আল্লাহর সুখবর প্রচারের জন্য আমাকে আলাদা করা ...
রোমীয়: রুকু - ২

রোমীয়: রুকু – ২

(২:১) অতএব, তুমি যে-ই হও না কেনো, তুমি যখন অন্যের বিচার করো, তখন তোমার কোনো অজুহাত নেই; কারণ অন্যের বিচারের ...
রোমীয়: রুকু - ৩

রোমীয়: রুকু – ৩

(৩:১) তাহলে একজন ইহুদির কি সুবিধা আছে? বা খত্‌না করানোর কি মূল্য আছে? (২) সবদিক দিয়েই অনেক লাভ আছে। প্রথমত ...
রোমীয়: রুকু - ৪

রোমীয়: রুকু – ৪

(৪:১) তাহলে দৈহিক সম্পর্কের দিক থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. সম্বন্ধে আমরা কী বলবো? তিনি কী পেয়েছিলেন? (২) হযরত ...
রোমীয়: রুকু - ৫

রোমীয়: রুকু – ৫

(১) অতএব, ইমানের দ্বারা ধার্মিক বলে গণ্য হওয়ায়, আমাদের নেতা হযরত ইসা মসিহের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আমাদের শান্তি আছে, (২) ...
রোমীয়: রুকু - ৬

রোমীয়: রুকু – ৬

(৬:১) তাহলে আমরা কী বলবো? অনুগ্রহ যাতে উপচে পড়ে সেজন্য আমরা কি গুনাহ করতেই থাকবো? (২) কখনোই না! আমরা যারা ...
রোমীয়: রুকু - ৭

রোমীয়: রুকু – ৭

(৭:১) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমরা কি জানো না, কারণ আমি তাদের সাথে কথা বলছি, যারা শরিয়ত জানে একজন মানুষ ...
রোমীয়: রুকু - ৮

রোমীয়: রুকু – ৮

(৮:১) অতএব, যারা মসিহ ইসাকে গ্রহণ করেছে, তাদের ওপর আর কোনো শাস্তি নেই। (২) কারণ হযরত ইসা মসিহের জীবন দায়ী ...
রোমীয়: রুকু - ৯

রোমীয়: রুকু – ৯

(১) মসিহের সাথে যুক্ত থেকে আমি সত্য বলছি- আমি মিথ্যা বলছি না; আল্লাহর রুহের দ্বারা আমার বিবেক নিশ্চিত করছে যে- ...
রোমীয়: রুকু - ১০

রোমীয়: রুকু – ১০

(১) ভাই ও বোনেরা, তাদের জন্য আমার অন্তরের আকাঙ্ক্ষা ও আল্লাহর কাছে মোনাজাত এই যে, তারা যেনো নাজাত পায়।২) তাদের ...
রোমীয়: রুকু - ১১

রোমীয়: রুকু – ১১

(১) তাহলে আমার প্রশ্ন, আল্লাহ কি তাঁর লোকদেরকে পরিত্যাগ করেছেন? কখনোই না! আমি নিজে একজন ইস্রাইলীয়, হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর, ...
রোমীয়: রুকু - ১২

রোমীয়: রুকু – ১২

(১) সুতরাং, ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর অপার অনুগ্রহের জন্য, আমি তোমাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, তোমরা তোমাদের শরীরকে আল্লাহর কাছে কবুল ...
রোমীয়: রুকু - ১৩

রোমীয়: রুকু – ১৩

(১৩:১) প্রত্যেক ব্যাক্তি শাসনকর্তাদের অধীনতা মেনে চলুক; কারণ এমন কোনো কর্তৃত্ব নেই, যা আল্লাহর কাছ থেকে আসে না, এবং প্রচলিত ...
রোমীয়: রুকু - ১৪

রোমীয়: রুকু – ১৪

(১৪:১) যাদের ইমান দুর্বল, তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করো, কিন্তু অভিমত বা মতবাদ নিয়ে ঝগড়া করার জন্য নয়। (২) কেউ কেউ ...
রোমীয়: রুকু - ১৫

রোমীয়: রুকু – ১৫

(১) আমরা যারা সবল, আমাদের উচিত নিজেদের সন্তুষ্ট না করে বরং দুর্বলদের দুর্বলতাগুলো সহ্য করা। (২) আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদেও ...
রোমীয়: রুকু - ১৬

রোমীয়: রুকু – ১৬

(১) আমি তোমাদের কাছে আমাদের বোন ফৈবির প্রশংসা করছি, তিনি কিংক্রিয়ার ইমানদার দলের একজন খাদেম, (২) তাই আল্লাহর দরবেশদের যেভাবে ...