রোমীয়: রুকু – ১৬

214465
Total
Visitors
(১) আমি তোমাদের কাছে আমাদের বোন ফৈবির প্রশংসা করছি, তিনি কিংক্রিয়ার ইমানদার দলের একজন খাদেম, (২) তাই আল্লাহর দরবেশদের যেভাবে গ্রহণ করা হয়, আল্লাহর নামে তাঁকেও সেভাবে গ্রহণ করো, এবং তোমাদের কাছ থেকে তাঁর কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে তাকে সাহায্য করো, কারণ তিনি অনেককে এবং আমাকেও সাহায্য করেছেন।

(৩) মসিহ ইসাতে আমার সহকর্মী প্রিস্কিলা ও আকিলা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন; (৪) আর তাঁরা আমার জীবন বাঁচাবার জন্য নিজেদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন; সেজন্য শুধু আমিই নই বরং সমস্ত অইহুদি ইমানদার দলও তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।

(৫) তাঁদের বাড়ির দলের সবাইকে আমার সালাম দিয়ো। আমার প্রিয় ইপাইনেতকে আমার সালাম দিয়ো, এশিয়াতে তিনিই প্রথম মসিহের ওপর ইমান এনেছিলেন। (৬) মরিয়ামকে সালাম দিয়ো, তিনি তোমাদের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন।

(৭) আমার আত্মীয় আন্দ্রনিকাস ও জুনিয়াকে আমার সালাম দিয়ো, তাঁরা আমার সাথে জেলে ছিলেন; সাহাবিদের মধ্যে তাঁরা অন্যতম এবং আমার আগে মসিহের ওপর ইমান এনেছেন। (৮) মসিহে আমার প্রিয় আমবিলিয়াসকে সালাম দিয়ো। (৯) মসিহের কাজে আমার সহকর্মী উর্বানুস ও আমাদের প্রিয় ইস্তাখিসকে সালাম দিয়ো।

(১০) আবাল্লিসকে সালাম দিয়ো, মসিহের কাজে তিনি পরীক্ষিত। আরিস্তুবুলুসের পরিবারের সবাইকে আমার সালাম দিয়ো। (১১) আমার আত্মীয় হেরুদিয়ুনকে সালাম দিয়ো। নার্কিসুসের পরিবারে যারা মসিহের ওপর ইমান এনেছে, তাদেরকে সালাম দিয়ো। (১২) তারিফাইন ও তারিফুসাকে সালাম দিয়ো, তাঁরা মসিহের পক্ষে পরিশ্রম করছেন। প্রিয় বার্সিসকে সালাম দিয়ো, তিনি মসিহের পক্ষে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।

(১৩) মসিহের মনোনীত রুফুসকে সালাম দিয়ো; আর তার মা, যিনি আমারও মায়ের মতো, তাকেও আমার সালাম দিয়ো। (১৪) আসিনক্রিতুস, ফ্লিগুন, হার্মাস, পাত্রুবাস, হার্মিস এবং তাঁদের সাথে থাকা ভাই-বোনদের সালাম দিয়ো। (১৫) ফিলুলুগুস ও জুলিয়া, নিরিয়ুস ও তাঁর বোন এবং উলুম্বাস এবং তাঁদের সংগী সমস্ত মুমিনদেরকে সালাম দিয়ো। (১৬) তোমরা পবিত্র চুমু দিয়ে একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাবে। মসিহের অনুসারী সমস্ত দল তোমাদের সালাম জানাচ্ছে।

(১৭) ভাই ও বোনেরা, তোমরা যে শিক্ষা পেয়েছো তার বিপরীত শিক্ষা দিয়ে যারা তোমাদের মধ্যে দলাদলি ও বাঁধার সৃষ্টি করে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে আমি তোমাদেরকে অনুরোধ করছি; তাদের থেকে দূরে থাকো। (১৮) এরকম লোকেরা হযরত ইসা মসিহের খেদমত করে না, বরং নিজেদের পেটের পুজা করে এবং মিষ্টি কথা ও মনভোলানো সুন্দর কথার দ্বারা সরলমনা লোকদের ভুলায়।

(১৯) তোমাদের বাধ্যতার কথা সবাই জানে, সেজন্য তোমাদের নিয়ে আমি আনন্দ করি; তবুও আমি চাই, তোমরা ভালো বিষয়ে জ্ঞানী হও এবং মন্দ বিষয়ে নির্দোষ হও। (২০) শান্তিদাতা আল্লাহ খুব তাড়াতাড়িই শয়তানকে তোমাদের পায়ের তলায় ফেলে পিষে ফেলবেন। হযরত ইসা মসিহের দয়া তোমাদের ওপরে থাকুক।

(২১) আমার সহকর্মী তিমথীয় এবং আমার আত্মীয় লুকিয়ুস, ইয়াসুন ও সুসিপাত্রুস তোমাদের সালাম জানাচ্ছেন। (২২) আমি তার্তিয়ুস, এই চিঠির লেখক, মসিহের নামে তোমাদের সালাম জানাচ্ছি। (২৩-২৪) গায়ুস, যাঁর বাড়িতে আমি অতিথি ও যাঁর বাড়িতে ইমানদার দল মিলিত হয়, তিনি তোমাদের সালাম জানাচ্ছেন। এই শহরের কোষাধ্যক্ষ আরাস্তুস ও আমাদের ভাই কাওয়ার্তুস তোমাদের সালাম জানাচ্ছেন।

(২৫) আমার সুখবর ও হযরত ইসা মসিহ-বিষয়ক প্রচার অনুসারে, রহস্যময়তার উন্মোচন অনুসারে, -যুগযুগ ধরে এই রহস্যময়তা গোপন ছিলো (২৬,২৭) কিন্তু এখন প্রকাশিত এবং নবিদের সহিফাগুলোর ভেতর দিয়ে অইহুদিদের সবার কাছে জানান দেয়া হয়েছে- চিরন্তন আল্লাহর হুকুম অনুসারে, হযরত ইসা মসিহের মধ্য দিয়ে, একমাত্র বিচক্ষণ আল্লাহর প্রতি ইমানের বাধ্যতা আনার জন্য, যে-আল্লাহ পাক তোমাদেরকে শক্তিশালী করে তুলতে সক্ষম, চিরকাল তাঁরই প্রশংসা হোক! আমিন।
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
রোমীয়: রুকু - ১

রোমীয়: রুকু – ১

১:১ আমি পৌল, হযরত ইসা মসিহের গোলাম, হাওয়ারি হওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আল্লাহর সুখবর প্রচারের জন্য আমাকে আলাদা করা ...
রোমীয়: রুকু - ২

রোমীয়: রুকু – ২

(২:১) অতএব, তুমি যে-ই হও না কেনো, তুমি যখন অন্যের বিচার করো, তখন তোমার কোনো অজুহাত নেই; কারণ অন্যের বিচারের ...
রোমীয়: রুকু - ৩

রোমীয়: রুকু – ৩

(৩:১) তাহলে একজন ইহুদির কি সুবিধা আছে? বা খত্‌না করানোর কি মূল্য আছে? (২) সবদিক দিয়েই অনেক লাভ আছে। প্রথমত ...
রোমীয়: রুকু - ৪

রোমীয়: রুকু – ৪

(৪:১) তাহলে দৈহিক সম্পর্কের দিক থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. সম্বন্ধে আমরা কী বলবো? তিনি কী পেয়েছিলেন? (২) হযরত ...
রোমীয়: রুকু - ৫

রোমীয়: রুকু – ৫

(১) অতএব, ইমানের দ্বারা ধার্মিক বলে গণ্য হওয়ায়, আমাদের নেতা হযরত ইসা মসিহের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আমাদের শান্তি আছে, (২) ...
রোমীয়: রুকু - ৬

রোমীয়: রুকু – ৬

(৬:১) তাহলে আমরা কী বলবো? অনুগ্রহ যাতে উপচে পড়ে সেজন্য আমরা কি গুনাহ করতেই থাকবো? (২) কখনোই না! আমরা যারা ...
রোমীয়: রুকু - ৭

রোমীয়: রুকু – ৭

(৭:১) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমরা কি জানো না, কারণ আমি তাদের সাথে কথা বলছি, যারা শরিয়ত জানে একজন মানুষ ...
রোমীয়: রুকু - ৮

রোমীয়: রুকু – ৮

(৮:১) অতএব, যারা মসিহ ইসাকে গ্রহণ করেছে, তাদের ওপর আর কোনো শাস্তি নেই। (২) কারণ হযরত ইসা মসিহের জীবন দায়ী ...
রোমীয়: রুকু - ৯

রোমীয়: রুকু – ৯

(১) মসিহের সাথে যুক্ত থেকে আমি সত্য বলছি- আমি মিথ্যা বলছি না; আল্লাহর রুহের দ্বারা আমার বিবেক নিশ্চিত করছে যে- ...
রোমীয়: রুকু - ১০

রোমীয়: রুকু – ১০

(১) ভাই ও বোনেরা, তাদের জন্য আমার অন্তরের আকাঙ্ক্ষা ও আল্লাহর কাছে মোনাজাত এই যে, তারা যেনো নাজাত পায়।২) তাদের ...
রোমীয়: রুকু - ১১

রোমীয়: রুকু – ১১

(১) তাহলে আমার প্রশ্ন, আল্লাহ কি তাঁর লোকদেরকে পরিত্যাগ করেছেন? কখনোই না! আমি নিজে একজন ইস্রাইলীয়, হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর, ...
রোমীয়: রুকু - ১২

রোমীয়: রুকু – ১২

(১) সুতরাং, ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর অপার অনুগ্রহের জন্য, আমি তোমাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, তোমরা তোমাদের শরীরকে আল্লাহর কাছে কবুল ...
রোমীয়: রুকু - ১৩

রোমীয়: রুকু – ১৩

(১৩:১) প্রত্যেক ব্যাক্তি শাসনকর্তাদের অধীনতা মেনে চলুক; কারণ এমন কোনো কর্তৃত্ব নেই, যা আল্লাহর কাছ থেকে আসে না, এবং প্রচলিত ...
রোমীয়: রুকু - ১৪

রোমীয়: রুকু – ১৪

(১৪:১) যাদের ইমান দুর্বল, তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করো, কিন্তু অভিমত বা মতবাদ নিয়ে ঝগড়া করার জন্য নয়। (২) কেউ কেউ ...
রোমীয়: রুকু - ১৫

রোমীয়: রুকু – ১৫

(১) আমরা যারা সবল, আমাদের উচিত নিজেদের সন্তুষ্ট না করে বরং দুর্বলদের দুর্বলতাগুলো সহ্য করা। (২) আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদেও ...
রোমীয়: রুকু - ১৬

রোমীয়: রুকু – ১৬

(১) আমি তোমাদের কাছে আমাদের বোন ফৈবির প্রশংসা করছি, তিনি কিংক্রিয়ার ইমানদার দলের একজন খাদেম, (২) তাই আল্লাহর দরবেশদের যেভাবে ...