রোমীয়: রুকু – ১৪

214465
Total
Visitors
(১৪:১) যাদের ইমান দুর্বল, তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করো, কিন্তু অভিমত বা মতবাদ নিয়ে ঝগড়া করার জন্য নয়। (২) কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে, সে সবকিছু খেতে পারে, আবার যে ইমানে দুর্বল, সে শুধু শাকসবজী খায়।

৩ যারা সব কিছু খায়, তারা যেনো ওই সব মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল না করে, যারা সবকিছু খায়; এবং যারা সব কিছু খায় না তারা যেনো ঐ সব মানুষকে দোষী না করে যারা সব কিছু খায়, কারণ আল্লাহ্ তাদের উভয়কেই সাদরে গ্রহণ করেছেন।

৪ তুমি কে যে অন্যের গোলামের বিচার করো? সে স্থির থাকুক বা পড়ে যাক? তা তার মালিকের সামনেই হয়, এবং তারা দাঁড়াবে, কারণ রাব্বুল আ’লামিন তাদের স্থির রাখতে সক্ষম।

৫ কেউ কেউ একটি দিনকে অন্য দিনের চেয়ে ভালো মনে করে, আবার কেউ কেউ সব দিনকে সমান বিবেচনা করে। প্রত্যেকের উচিৎ নিজের মনে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া।

৬ যারা কোনো একটি দিন পালন করে তারা রাব্বুল আ’লামিনের সন্মানেই তা করে। এছাড়া যারা সবকিছু খায়, তারা আল্লাহর সন্মানেই তা খায়, কারণ তারা আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানায়; পক্ষান্তরে যারা সবকিছু না খায়, তারাও তাদের আল্লাহর সন্মানেই খায় না এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে।

(৭) আমরা নিজেদের জন্য বেঁচে থাকি না এবং নিজেদের জন্য মৃত্যুবরণও না। ৮ যদি আমরা বেঁচে থাকি, তাহলে আল্লাহর জন্যই বেঁচে থাকি, আর যদি মরি, তাহলে আল্লাহর জন্যই মরি; তাই আমরা বাঁচি বা মরি, আমরা আল্লাহরই। (৯) কারণ মসিহ এই উদ্দেশ্যেই ইন্তেকাল করলেন এবং জীবিত হলেন, যেনো তিনি জীবিত ও মৃত উভয়েরই মুনিব হত পারেন।

(১০) কেনো তুমি তোমার ভাই বা বোনের বিচার করো? অথবা কেনো তুমি তোমার ভাই বা বোনকে তাচ্ছিল্য বা অবহেলা করো? আমরা সবাই তো আল্লাহর বিচারাসনের সামনে দাঁড়াবো।

(১১) কারণ কিতাবে লেখা আছে “আল্লাহ বলেন, আমার জীবনের কসম, আমার সামনে প্রত্যেকেই হাঁটু পাথবে, এবং প্রত্যেকেই আমার প্রশংসা করবে।” (১২) সুতরাং আমাদের প্রত্যেককেই আল্লাহর কাছে নিজ নিজ হিসাব দিতে হবে।

(১৩) এজন্য এসো, আমরা যেনো আর একে অন্যের বিচার না করি, বরং কখনোই কারো পথে প্রতিবন্ধকতা কিংবা ব্যাঘাত সৃষ্টি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।

(১৪) আমি জানি এবং হযরত ইসা আ. এর কাছ থেকে নিশ্চিতভাবে বুঝেছি যে, প্রকৃতিগতভাবে কোনোকিছুই নিজে থেকে নাপাক নয়; বরং যে তা নাপাক মনে করে, তার জন্য তা নাপাক। (১৫) তুমি যা খাচ্ছো তার জন্য যদি তোমার ভাই বা বোন মনে আঘাত বা কষ্ট পায়, তাহলে তো তুমি আর মহব্বতের পথে চলছো না। যার জন্য মসিহ জীবন দিয়েছেন, তোমার খাওয়া-দাওয়া জন্য তাকে ধ্বংস হতে দিও না।

(১৬) তোমার ভালো কাজ যেনো তোমার নিন্দার কারণ না হয়।

(১৭) কেননা আল্লাহর রাজ্য খাওয়াদাওয়া বা পান করার বিষয় নয় বরং আল্লাহর রুহে ধার্মিকতা, শান্তি ও আনন্দ।

(১৮) সুতরাং যে ব্যক্তি মসিহের খেদমত করে, তাকে আল্লাহর কবুল যোগ্য এবং সে মানুষের স্বীকৃতি লাভ করে।

(১৯) তাহলে এসো, আমরা এমন কিছু করতে চেষ্টা করি, যা শান্তি স্থাপন করে ও একে অন্যকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

(২০) খাবার-দাবারের বস্তু নিয়ে আল্লাহর কাজকে নষ্ট করো না। বস্তুত সবকিছুই পাক-পরিস্কার, কিন্তু তুমি যা খাচ্ছো তার দ্বারা যদি অন্যেরা বাধা হয় তাহলে তা তোমার জন্য তা অন্যায়।

(২১) এটাই ভালো; মাংস না খাওয়া কিংবা আঙ্গুররস পান না করা অথবা এমন কিছু না করা, যা করলে তোমার ভাই বা বোনের জন্য বিপদ ডেকে আনে।

(২২) যে ইমান তোমার আছে, তা আল্লাহর সামনে তোমার একান্ত নিজের দৃঢ় বিশ্বাস হিসেবে ধারণ করো। ভাগ্যবান তারা, যাদের কাজের জন্য তাদের নিজেদেরকে দোষী করার কোনো কারণ নেই।

(২৩) কিন্তু যাদের সন্দেহ আছে, তারা যদি খায়, তাহলে তারা দোষী সাব্যস্ত হবে, কারণ তারা তাদের ইমান অনুসারে কাজ করে না; আর ইমান থেকে যা না আসে, তা-ই গুনাহ।
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
রোমীয়: রুকু - ১

রোমীয়: রুকু – ১

১:১ আমি পৌল, হযরত ইসা মসিহের গোলাম, হাওয়ারি হওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আল্লাহর সুখবর প্রচারের জন্য আমাকে আলাদা করা ...
রোমীয়: রুকু - ২

রোমীয়: রুকু – ২

(২:১) অতএব, তুমি যে-ই হও না কেনো, তুমি যখন অন্যের বিচার করো, তখন তোমার কোনো অজুহাত নেই; কারণ অন্যের বিচারের ...
রোমীয়: রুকু - ৩

রোমীয়: রুকু – ৩

(৩:১) তাহলে একজন ইহুদির কি সুবিধা আছে? বা খত্‌না করানোর কি মূল্য আছে? (২) সবদিক দিয়েই অনেক লাভ আছে। প্রথমত ...
রোমীয়: রুকু - ৪

রোমীয়: রুকু – ৪

(৪:১) তাহলে দৈহিক সম্পর্কের দিক থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. সম্বন্ধে আমরা কী বলবো? তিনি কী পেয়েছিলেন? (২) হযরত ...
রোমীয়: রুকু - ৫

রোমীয়: রুকু – ৫

(১) অতএব, ইমানের দ্বারা ধার্মিক বলে গণ্য হওয়ায়, আমাদের নেতা হযরত ইসা মসিহের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আমাদের শান্তি আছে, (২) ...
রোমীয়: রুকু - ৬

রোমীয়: রুকু – ৬

(৬:১) তাহলে আমরা কী বলবো? অনুগ্রহ যাতে উপচে পড়ে সেজন্য আমরা কি গুনাহ করতেই থাকবো? (২) কখনোই না! আমরা যারা ...
রোমীয়: রুকু - ৭

রোমীয়: রুকু – ৭

(৭:১) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমরা কি জানো না, কারণ আমি তাদের সাথে কথা বলছি, যারা শরিয়ত জানে একজন মানুষ ...
রোমীয়: রুকু - ৮

রোমীয়: রুকু – ৮

(৮:১) অতএব, যারা মসিহ ইসাকে গ্রহণ করেছে, তাদের ওপর আর কোনো শাস্তি নেই। (২) কারণ হযরত ইসা মসিহের জীবন দায়ী ...
রোমীয়: রুকু - ৯

রোমীয়: রুকু – ৯

(১) মসিহের সাথে যুক্ত থেকে আমি সত্য বলছি- আমি মিথ্যা বলছি না; আল্লাহর রুহের দ্বারা আমার বিবেক নিশ্চিত করছে যে- ...
রোমীয়: রুকু - ১০

রোমীয়: রুকু – ১০

(১) ভাই ও বোনেরা, তাদের জন্য আমার অন্তরের আকাঙ্ক্ষা ও আল্লাহর কাছে মোনাজাত এই যে, তারা যেনো নাজাত পায়।২) তাদের ...
রোমীয়: রুকু - ১১

রোমীয়: রুকু – ১১

(১) তাহলে আমার প্রশ্ন, আল্লাহ কি তাঁর লোকদেরকে পরিত্যাগ করেছেন? কখনোই না! আমি নিজে একজন ইস্রাইলীয়, হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর, ...
রোমীয়: রুকু - ১২

রোমীয়: রুকু – ১২

(১) সুতরাং, ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর অপার অনুগ্রহের জন্য, আমি তোমাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, তোমরা তোমাদের শরীরকে আল্লাহর কাছে কবুল ...
রোমীয়: রুকু - ১৩

রোমীয়: রুকু – ১৩

(১৩:১) প্রত্যেক ব্যাক্তি শাসনকর্তাদের অধীনতা মেনে চলুক; কারণ এমন কোনো কর্তৃত্ব নেই, যা আল্লাহর কাছ থেকে আসে না, এবং প্রচলিত ...
রোমীয়: রুকু - ১৪

রোমীয়: রুকু – ১৪

(১৪:১) যাদের ইমান দুর্বল, তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করো, কিন্তু অভিমত বা মতবাদ নিয়ে ঝগড়া করার জন্য নয়। (২) কেউ কেউ ...
রোমীয়: রুকু - ১৫

রোমীয়: রুকু – ১৫

(১) আমরা যারা সবল, আমাদের উচিত নিজেদের সন্তুষ্ট না করে বরং দুর্বলদের দুর্বলতাগুলো সহ্য করা। (২) আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদেও ...
রোমীয়: রুকু - ১৬

রোমীয়: রুকু – ১৬

(১) আমি তোমাদের কাছে আমাদের বোন ফৈবির প্রশংসা করছি, তিনি কিংক্রিয়ার ইমানদার দলের একজন খাদেম, (২) তাই আল্লাহর দরবেশদের যেভাবে ...