মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৫ ও ৬

75915
Total
Visitors
অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন

রুকু ৫

১জনতার ঢল দেখে হযরত ইসা আ. পাহাড়ের ওপর উঠলেন। তিনি বসার পর তাঁর হাওয়ারিরা তাঁর কাছে এলেন। ২অতঃপর তিনি তাদের এই বলে শিক্ষা দিতে লাগলেন-

৩“রহমতপ্রাপ্ত তারা, রুহে যারা গরিব; কারণ বেহেস্তি রাজ্য তাদেরই। ৪রহমতপ্রাপ্ত তারা, যারা দুঃখশোকে কাতর; কারণ তারা সান্ত¡না পাবে। ৫রহমতপ্রাপ্ত তারা, যারা নম্র ও ভদ্র; কারণ দুনিয়া তাদেরই হবে। ৬রহমতপ্রাপ্ত তারা, যারা আল্লাহর ইচ্ছা মতো চলার জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত; কারণ তারা তৃপ্ত হবে। ৭রহমতপ্রাপ্ত তারা, যারা দয়ালু; কারণ তারা দয়া পাবে। ৮রহমতপ্রাপ্ত তারা, যাদের অন্তর খাঁটি; কারণ তারা আল্লাহর দিদার পাবে।

৯রহমতপ্রাপ্ত তারা, যারা শান্তি স্থাপন করে; কারণ তাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত বলে ডাকা হবে।

১০রহমতপ্রাপ্ত তারা, যারা আল্লাহর পথে চলার জন্য অত্যাচারিত, নির্যাতিত; কারণ বেহেস্তি রাজ্য তাদেরই। ১১রহমতপ্রাপ্ত তোমরা, যখন লোকে আমার জন্য তোমাদেরকে অপমান ও অত্যাচার করে এবং তোমাদের নামে নানা রকম মিথ্যা অপবাদ দেয়। ১২তখন আনন্দ করো ও খুশি হয়ো; কারণ বেহেস্তে তোমাদের জন্য মহাপুরস্কার রয়েছে। তোমাদের আগে যে-নবিরা ছিলেন, তাদের ওপরও তারা একইভাবে অত্যাচার করেছে।

১৩তোমরা দুনিয়ার লবণ। কিন্তু যদি লবণের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তা কেমন করে আবার নোনতা করা যাবে? তা আর কোনো কাজে লাগে না; কেবল বাইরে ফেলে দেবার ও অবহেলায় পায়ের তলায় মাড়ানোর উপযুক্ত হয়। ১৪তোমরা দুনিয়ার আলো। পাহাড়ের ওপর বানানো কোনো শহর লুকানো থাকতে পারে না। ১৫কেউ বাতি জ্বালিয়ে লুকিয়ে রাখে না কিন্তু বাতিদানির ওপরেই রাখে। এবং তা ঘরের সকলকেই আলো দেয়। ১৬একইভাবে তোমাদের আলো অন্যদের সামনে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলুক, যেনো তারা তোমাদের ভালো কাজ দেখে তোমাদের প্রতিপালকের প্রশংসা করে।

১৭একথা মনে করো না যে, আমি শরিয়ত বা সহিফাগুলো বাতিল করতে এসেছি। আমি বাতিল করতে নয় বরং পূর্র্ণ করতে এসেছি। ১৮আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যতোক্ষণ পর্যন্ত আসমান ও জমিন বিলুপ্ত না হচ্ছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত শরিয়তের একটি নুক্তা বা একটি বিন্দুও বিলুপ্ত হবে না- সবই পূর্ণ হবে। ১৯সুতরাং এই হুকুমগুলোর মধ্যে ছোট্ট একটি হুকুমও যদি কেউ অমান্য করে এবং অন্যকে অমান্য করতে শেখায়, তাহলে সে বেহেস্তি রাজ্যে ছোটো বলে গণ্য হবে। কিন্তু যদি কেউ হুকুমগুলো পালন করে ও অন্যকে পালন করতে শেখায়, তাহলে সে বেহেস্তি রাজ্যে মহান বলে গণ্য হবে।

২০আমি তোমাদের বলছি, আলিম ও ফরিসিদের চেয়ে আল্লাহর হুকুমের প্রতি তোমাদের বাধ্যতা যদি বেশি না হয়, তাহলে তোমরা কখনোই বেহেস্তি রাজ্যে ঢুকতে পারবে না।

২১তোমরা শুনেছো, আগেকার লোকদের কাছে বলা হয়েছে, ‘খুন করো না’; এবং ‘যে খুন করে, তাকে বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে।’ ২২কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা যদি কোনো ভাই বা বোনের ওপর রাগ করো, তাহলে তোমাদেরকে বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে।

যদি তোমরা কোনো ভাই বা বোনকে অপমান করো, তাহলে তোমাদেরকে মহাসভার সামনে জবাবদিহি করতে হবে। এবং যদি তোমরা বলো, ‘তুমি অকাজের, একটি বোকা,’ তাহলে তোমরা জাহান্নামের আগুনে পড়ার যোগ্য বলে গণ্য হবে।

২৩সেজন্য যখন তোমরা এবাদতখানায় এবাদত বা দান করার জন্য দাঁড়াবে, তখন যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাই বা বোনের কিছু বলার আছে, ২৪তাহলে তোমার দান সেখানে রেখে ফিরে যাও। আগে তোমার ভাই বা বোনের সাথে বিবাদ মিটিয়ে ফেলো এবং পরে এসে এবাদত করো বা তোমার দান করো।

২৫কেউ যদি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করতে যায়, তাহলে তুমি আর দেরি না করে তোমাদের দু’জনের আদালতে পৌঁছার আগেই সমস্ত বিরোধ মিটিয়ে ফেলো। তা না হলে ফরিয়াদি তোমাকে বিচারকের হাতে তুলে দিতে পারে আর বিচারক তোমাকে পুলিশে দেবে আর পুলিশ তোমাকে জেলে দেবে। ২৬আমি তোমাকে সত্যি বলছি, শেষ পয়সাটা শোধ না করা পর্যন্ত তুমি সেখান থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারবে না।

২৭তোমরা শুনেছো, একথা বলা হয়েছে, ‘জিনা করো না।’ ২৮কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ কোনো মহিলার দিকে কামনার চোখে তাকায়, সে তখনই মনে মনে তার সাথে জিনা করে। ২৯তোমার ডান চোখ যদি তোমার গুনাহর কারণ হয়, তাহলে তা উপড়ে ফেলে দাও। তোমার গোটা শরীর নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং তার একটি অঙ্গ হারানো তোমার পক্ষে উত্তম। ৩০তোমার ডান হাত যদি তোমার গুনাহর কারণ হয়, তাহলে তা কেটে ফেলে দাও। তোমার গোটা শরীর নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং তার একটি অঙ্গ হারানো তোমার পক্ষে উত্তম।

৩১এটাও বলা হয়েছে, ‘যে কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, সে তাকে তালাকনামা দিক।’ ৩২কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ জিনা করার অপরাধ ছাড়া অন্য কোনো কারণে স্ত্রীকে তালাক দেয়, সে তাকে জিনাকারিনী করে তোলে। এবং তালাক পাওয়া স্ত্রীকে যে বিয়ে করে, সেও জিনা করে।

 

৩৩আবার তোমরা শুনেছো, আগেকার লোকদের কাছে বলা হয়েছে, ‘তোমরা মিথ্যা কসম খেয়ো না, বরং আল্লাহর উদ্দেশে তোমাদের সব কসম পালন করো।’ ৩৪কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, একেবারেই কসম খেয়ো না- এমনকি বেহেস্তের নামেও না, কারণ তা আল্লাহর সিংহাসন। ৩৫দুনিয়ার নামেও না, কারণ তা তাঁর পা রাখার জায়গা। কিংবা জেরুসালেমের নামেও না, কারণ তা মহান বাদশার শহর। ৩৬তোমাদের মাথার নামে কসম খেয়ো না, কারণ তোমরা তার একটি চুলও সাদা কিংবা কালো করতে পারো না। ৩৭তোমাদের কথার ‘হ্যাঁ’ যেনো ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ যেনো ‘না’ হয়; এর বেশি যা-কিছু তা শয়তানের কাছ থেকেই আসে।

৩৮তোমরা শুনেছো, বলা হয়েছে, ‘চোখের বদলে চোখ এবং দাঁতের বদলে দাঁত।’ ৩৯কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, অন্যায়কারীকে প্রতিরোধ কোরো না; বরং কেউ তোমার ডান গালে চড় মারলে তাকে অন্য গালটিও পেতে দিয়ো। ৪০কেউ যদি মামলা করে তোমার জামাটি নিতে চায়, তাহলে তাকে তোমার চাদরটিও নিতে দিয়ো। ৪১কেউ যদি তোমাকে এক মাইল যেতে বাধ্য করে, তাহলে তার সাথে দু’মাইল যেয়ো। ৪২যে তোমার কাছে কিছু চায় তাকে দিয়ো। আর যে তোমার কাছে ধার চায় তাকে তা দিতে অস্বীকার করো না।

৪৩তোমরা শুনেছো, বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রতিবেশীকে মহব্বত কোরো এবং শত্রুকে ঘৃণা করো।’ ৪৪কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের শত্রুদেরও মহব্বত করো ৪৫এবং যারা তোমাদের ওপর অত্যাচার করে, তাদের জন্য মোনাজাত করো, যেনো তোমরা আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত হতে পারো। তিনি তো ভালোমন্দ সকলের ওপর তাঁর সূর্য ওঠান এবং আল্লাহর হুকুমের বাধ্য ও অবাধ্য সকলের ওপর বৃষ্টি দান করেন।

৪৬যারা তোমাদের মহব্বত করে, তোমরা যদি কেবল তাদেরই মহব্বত করো, তাহলে তোমরা কী পুরস্কার পাবে? কর-আদায়কারীরাও কি তা-ই করে না? ৪৭আর তোমরা যদি কেবল তোমাদের ভাইবোনদেরই সালাম জানাও, তাহলে অন্যদের চেয়ে বেশি আর কী করছো? বিধর্মীরাও কি তাই করে না? ৪৮সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের মতো খাঁটি হও।

রুকু ৬

১সাবধান, লোক দেখানো ধর্মকর্ম করো না; যদি করো, তাহলে তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে কোনো পুরস্কারই পাবে না। ২এজন্য তোমরা যখন দান-খয়রাত করো, তখন ঢাকঢোল পিটিয়ে তা ঘোষণা করো না। কারণ অন্যদের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ার জন্য ভ-রা সিনাগোগে ও পথে পথে এমনটি করে থাকে। আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে। ৩কিন্তু তুমি যখন দান-খয়রাত করো, তখন তোমার ডান হাত যা করছে তা তোমার বাম হাতকে জানতে দিয়ো না, যেনো তোমার দান-খয়রাত গোপনে হয়। ৪তাহলে তোমার প্রতিপালক, যিনি গোপন সবকিছু দেখেন, তিনিই তোমাকে পুরস্কার দেবেন।

৫তোমরা যখন মোনাজাত করো, তখন ভ-দের মতো করো না; কারণ তারা সিনাগোগে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে লোক দেখানো মোনাজাত করতে ভালোবাসে। আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে। ৬কিন্তু তুমি যখন মোনাজাত করো, তখন তোমার ঘরের ভেতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করো এবং তোমার প্রতিপালক, যিনি গোপনে উপস্থিত, তাঁর কাছে মোনাজাত করো। তোমার প্রতিপালক, যিনি গোপন সবকিছু দেখেন, তিনিই তোমাকে পুরস্কার দেবেন।

৭মোনাজাতের সময় তোমরা বিধর্মীদের মতো অর্থহীন কথার পাহাড় গড়ো না; কারণ তারা মনে করে, বেশি কথা বললেই আল্লাহ তাদের মোনাজাত কবুল করবেন। ৮তাদের মতো হয়ো না; কারণ তোমাদের প্রতিপালকের কাছে চাওয়ার আগেই তিনি তোমাদের দরকারের বিষয় জানেন। ৯সুতরাং তোমরা এভাবে মোনাজাত করো-

‘হে আমাদের প্রতিপালক, সমস্ত প্রশংসা ও গুণগান তোমারই।

১০তোমার রাজ্য আসুক। বেহেস্তের মতো দুনিয়াতেও তোমার ইচ্ছা পূর্র্ণ হোক।

১১আজকের খাবার আজ আমাদের দাও।

১২আমরা যেভাবে আমাদের নিজ নিজ অপরাধীদের মাফ করেছি, তেমনি তুমিও আমাদের অপরাধ মাফ করো।

১৩আমাদেরকে পরীক্ষার সামনে এনো না, বরং শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করো।

১৪তোমরা যদি অন্যদের অপরাধ মাফ করো, তাহলে তোমাদের প্রতিপালকও তোমাদের অপরাধ মাফ করবেন।

১৫তোমরা যদি অন্যদের অপরাধ মাফ না করো, তাহলে তোমাদের প্রতিপালকও তোমাদের অপরাধ মাফ করবেন না।

১৬তোমরা যখন রোজা রাখো, তখন ভ-দের মতো মুখ কালো করে রেখো না। তারা যে রোজা রাখছে তা লোকদের দেখানোর জন্যই তারা মুখ শুকনো করে রাখে। আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে। ১৭কিন্তু তুমি যখন রোজা রাখো, তখন মাথায় তেল দিয়ো ও মুখ ধুয়ো, ১৮যেন অন্যেরা জানতে না পারে যে, তুমি রোজা রাখছো। তাহলে তোমার প্রতিপালক, যিনি গোপনে উপস্থিত আছেন, কেবল তিনিই তা দেখবেন এবং তোমার প্রতিপালক, যিনি গোপন সবকিছু দেখেন, তিনিই তোমাকে পুরস্কার দেবেন।

১৯তোমরা নিজেদের জন্য এই দুনিয়াতে ধন-সম্পদ জমা করো না; কারণ এখানে মরচে ধরে ও পোকায় সবকিছু নষ্ট করে এবং চোর সিঁধ কেটে চুরি করে। ২০তোমরা বরং বেহেস্তে নিজেদের জন্য ধন-সম্পদ জমা করো; কারণ সেখানে মরচে ধরে না বা পোকায় নষ্ট করে না এবং চোর সিঁধ কেটে চুরিও করে না। ২১যেখানে তোমার ধন-সম্পদ থাকবে, তোমার মন তো সেখানেই থাকবে।

২২চোখ শরীরের বাতি। সুতরাং তোমার চোখ যদি সুস্থ থাকে, তাহলে তোমার গোটা শরীরই আলোয় পূর্র্ণ হবে। ২৩কিন্তু তোমার চোখ যদি অসুস্থ হয়, তাহলে তো তোমার সম্পূর্ণ শরীরই অন্ধকারে পূর্র্ণ হবে। সুতরাং তোমার মাঝে যে-আলো আছে তা যদি অন্ধকার হয়, তাহলে সে-অন্ধকার কতোই-না ভয়াবহ!

২৪কেউই দুই মনিবের সেবা করতে পারে না; কারণ হয় সে একজনকে ঘৃণা করবে ও অন্যজনকে ভালোবাসবে, না হয় সে একজনের খুবই বাধ্য হবে ও অন্যজনকে অবহেলা করবে। তোমরা আল্লাহ ও ধন-স¤পত্তি, এই দু’য়ের সেবা করতে পারো না।

২৫এজন্য আমি তোমাদের বলছি, কী খাবে বা কী পান করবে বলে জীবনের বিষয়ে কিংবা কী পরবে বলে শরীরের বিষয়ে চিন্তা করো না। খাবারের চেয়ে জীবন এবং জামা-কাপড়ের চেয়ে শরীর কি বেশি মূল্যবান নয়।

২৬পাখিদের দিকে তাকিয়ে দেখো; তারা বীজ বোনে না, ফসল কাটে না, গোলায় জমাও করে না; তবুও তোমাদের প্রতিপালক তাদের খাইয়ে থাকেন। তোমরা কি তাদের থেকে মূল্যবান নও? ২৭তোমাদের মধ্যে কেউ কি চিন্তা-ভাবনা করে নিজের জীবন এক ঘন্টাও বাড়াতে পারে? ২৮কেনো তোমরা জামা-কাপড়ের বিষয়ে ভাবছো? মাঠের ফুলের কথা চিন্তা করে দেখো, তারা কেমন বেড়ে ওঠে! তারা তো পরিশ্রম করে না, সুতোও কাটে না। ২৯আমি তোমাদের বলছি, বাদশা সোলায়মান এতোটা জাঁকজমকের মধ্যে থেকেও এগুলোর একটির মতোও নিজেকে সাজাতে পারেননি। ৩০মাঠের যে-ঘাস আজ আছে আর আগামীকাল চুলোয় ফেলে দেয়া হবে তা যখন আল্লাহ এমনভাবে সাজান, তখন হে দুর্বল বিশ্বাসীর দল, তিনি কি তোমাদের আরো সুন্দর করে সাজাবেন না?

৩১অতএব, চিন্তা করো না। বলো না, ‘আমরা কী খাবো’ অথবা ‘আমরা কী পান করবো’ কিংবা ‘আমরা কী পরবো?’ ৩২বিধর্মীরাই তো এসবের পেছনে ছুটে মরে। তোমাদের প্রতিপালক তো জানেন যে, এসব জিনিস তোমাদের প্রয়োজন আছে। ৩৩কিন্তু তোমরা প্রথমে আল্লাহর রাজ্য ও তাঁর হুকুমের বাধ্য হয়ে চলো, তাহলে এসব জিনিসও তোমাদের দেয়া হবে। ৩৪সুতরাং আগামীকালের বিষয়ে চিন্তা করো না; আগামীকাল তার নিজের ভাবনা নিজেই ভাববে; আজকের কষ্ট আজকের জন্য যথেষ্ট।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১ ও ২
রুকু ১ ১হযরত ইসা মসিহের বংশতালিকা- হযরত ইসা মসিহ হযরত দাউদ আ.র বংশধর এবং হযরত দাউদ আ. হযরত ইব্রাহিম আ.র ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১ ও ২

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু - ৩ ও ৪
রুকু - ৩ ১ওই সময়ে হযরত ইয়াহিয়া আ. ইহুদিয়ার মরুপ্রান্তরে এসে একথা প্রচার করতে লাগলেন- ২“তওবা করো, কারণ বেহেস্তি রাজ্য ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৩ ও ৪

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু - ৫ ও ৬
রুকু ৫ ১জনতার ঢল দেখে হযরত ইসা আ. পাহাড়ের ওপর উঠলেন। তিনি বসার পর তাঁর হাওয়ারিরা তাঁর কাছে এলেন। ২অতঃপর ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৫ ও ৬

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৭ ও ৮
রুকু ৭ ১বিচার করো না, তাহলে তোমরাও বিচারের মুখোমুখি হবে না। কারণ যেভাবে তোমরা বিচার করো, সেভাবেই তোমাদের বিচার করা ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৭ ও ৮

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৯ ও ১০
রুকু ৯ ১অতঃপর তিনি নৌকায় উঠে লেক পাড়ি দিয়ে তাঁর নিজের শহরে এলেন। ২তখনই কিছু লোক বিছানায় শোয়ানো এক অবশরোগীকে ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৯ ও ১০

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু - ১১ ও ১২
রুকু ১১ ১অতঃপর হযরত ইসা আ. তাঁর বারোজন হাওয়ারিকে হুকুম দেয়া শেষ করে নিজে গ্রামে গ্রামে শিক্ষা দিতে ও প্রচার ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ১১ ও ১২

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৩ ও ১৪
রুকু ১৩ ১ওই দিন হযরত ইসা আ. ঘর থেকে বেরিয়ে লেকের পাড়ে গিয়ে বসলেন। ২তাঁর কাছে এতো লোক এসে জড়ো ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৩ ও ১৪

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৫ ও ১৬
রুকু ১৫ ১অতঃপর জেরুসালেম থেকে কয়েকজন ফরিসি ও আলিম হযরত ইসা আ.র কাছে এসে বললেন, ২“বুজুর্গদের দেয়া যে-নিয়ম চলে আসছে, ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৫ ও ১৬

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৭ ও ১৮
রুকু ১৭ ১ছ’দিন পর হযরত ইসা আ. হযরত পিতর রা., হযরত ইয়াকুব রা. ও তার ভাই হযরত ইউহোন্না রা.কে সাথে ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৭ ও ১৮

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৯ ও ২০
রুকু ১৯ ১এসব কথা বলা শেষ করে হযরত ইসা আ. গালিল ছেড়ে জর্দান নদীর ওপারে ইহুদিয়ায় গেলেন। ২হাজার হাজার মানুষ ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৯ ও ২০

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২১ ও ২২
রুকু ২১ ১তারা জেরুসালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ের বৈতফগি গ্রামে এলে হযরত ইসা আ. তাঁর দু’জন হাওয়ারিকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২১ ও ২২

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৩ ও ২৪
রুকু ২৩ ১অতঃপর হযরত ইসা আ. জনতা ও তাঁর সাহাবিদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ২“আলিম ও ফরিসিরা নিজেরাই হযরত মুসা আ.র ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৩ ও ২৪

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৫ ও ২৬
রুকু ২৫ ১তখন বেহেস্তি রাজ্য হবে এমন দশ কুমারীর মতো, যারা বরকে বরণ করার জন্য তাদের বাতি নিয়ে বাইরে গেলো। ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৫ ও ২৬

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৭ ও ২৮
রুকু ২৭ ১ফজরের পরেই প্রধান ইমামেরা ও বুজুর্গরা একত্রে বসে হযরত ইসা আ.কে মেরে ফেলার বিষয়ে আলোচনা করলেন। ২তারা হযরত ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৭ ও ২৮

/