অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন
রুকু ১৯
১এসব কথা বলা শেষ করে হযরত ইসা আ. গালিল ছেড়ে জর্দান নদীর ওপারে ইহুদিয়ায় গেলেন। ২হাজার হাজার মানুষ তাঁর পেছনে পেছনে চললো আর তিনি সেখানে তাদের সুস্থ করলেন। ৩কয়েকজন ফরিসি এসে তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য জিজ্ঞেস করলেন, “যে¬-কোনো কারণে স্ত্রীকে তালাক দেয়া কি শরিয়ত-সম্মত?” ৪উত্তরে তিনি বললেন, “আপনারা কি পড়েননি, প্রথমে যিনি তাদের সৃষ্টি করেছিলেন, তিনি ‘তাদের পুরুষ ও মহিলা করে সৃষ্টি করেছিলেন,’ এবং বলেছিলেন- ৫‘এজন্যই মানুষ তার বাবা-মাকে ছেড়ে নিজের স্ত্রীর সাথে যুক্ত হবে আর তারা দু’জন একদেহ হবে।’ ৬সুতরাং তারা আর দুই নয় কিন্তু একদেহ। এজন্য আল্লাহ যা যুক্ত করেছেন, মানুষ তা আলাদা না করুক।”
৭তারা তাঁকে বললেন, “তাহলে হযরত মুসা আ. কেনো আমাদেরকে তালাকনামা দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবার হুকুম দিয়েছেন?” ৮তিনি তাদের বললেন, “আপনাদের হৃদয় খুব কঠিন বলেই স্ত্রীকে তালাক দিতে হযরত মুসা আ. আপনাদের অনুমতি দিয়েছেন। ৯কিন্তু প্রথম থেকে এমনটি ছিলো না। আমি আপনাদের বলছি, যে কেউ জিনার অপরাধ ছাড়া অন্য কোনো কারণে স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং অন্যকে বিয়ে করে, সে জিনা করে।” ১০সাহাবিরা তাঁকে বললেন, “স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যদি এরকমই হয়, তাহলে তো বিয়ে না করাই ভালো।” ১১তিনি তাদের বললেন, “সকলে একথা মেনে নিতে পারে না; কেবল যাদের সে-ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তারাই পারে।
১২এমন খোজারা আছে, যারা জন্ম থেকেই এমন। আবার এমন খোজারা আছে, মানুষ যাদের খোজা করেছে। আবার এমন খোজারাও আছে, যারা বেহেস্তি রাজ্যের জন্য নিজেদের খোজা করে রেখেছে। একথা যে মানতে পারে, সে মানুক।”
১৩অতঃপর শিশুদেরকে তাঁর কাছে নিয়ে আসা হলো, যেনো তিনি তাদের মাথায় হাত রেখে দোয়া করেন। কিন্তু যারা তাদের নিয়ে এসেছিলো, হাওয়ারিরা তাদের তিরস্কার করতে লাগলেন। ১৪কিন্তু হযরত ইসা আ. বললেন, “শিশুদেরকে আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিয়ো না; কারণ বেহেস্তি রাজ্য এদের মতো লোকদেরই।” ১৫এবং তিনি তাদের মাথার ওপর হাত রেখে সেখান থেকে চলে গেলেন।
১৬অতঃপর কোনো এক লোক এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, বেহেস্তে যেতে হলে আমাকে কোন কোন ভালো কাজ করতে হবে?” ১৭তিনি তাকে বললেন, “আমাকে ভালোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করছো কেনো? ভালো মাত্র একজনই আছেন। যদি তুমি বেহেস্তে যেতে চাও, তাহলে হুকুমগুলো পালন করো।” ১৮তিনি তাঁকে বললেন, “কোন কোন হুকুম?” হযরত ইসা আ. বললেন, “খুন করো না, জিনা করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না, ১৯বাবা-মাকে সম্মান করো এবং তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতো মহব্বত কোরো।” ২০যুবকটি তাঁকে বললেন, “আমি এর সবই পালন করে আসছি; আমার আর কী বাকি আছে?” ২১হযরত ইসা আ. তাকে বললেন, “যদি তুমি খাঁটি হতে চাও, তাহলে যাও, তোমার সমস্ত স¤পত্তি বিক্রি করে গরিবদের দান করে দাও; তাতে তুমি বেহেস্তে ধন পাবে। তারপর এসে আমাকে অনুসরণ কোরো।” ২২একথা শুনে যুবকটি দুঃখিত হয়ে চলে গেলো, কারণ তার অনেক ধন-স¤পত্তি ছিলো।
২৩তখন হযরত ইসা আ. তাঁর সাহাবিদেরকে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, ধনীদের পক্ষে বেহেস্তি রাজ্যে ঢোকা কঠিন হবে। ২৪আমি তোমাদের আবারো বলছি, ধনীর পক্ষে বেহেস্তি রাজ্যে ঢোকার চেয়ে সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের চলে যাওয়া সহজ।” ২৫একথা শুনে সাহাবিরা আরো অবাক হয়ে বললেন, “তাহলে কে নাজাত পাবে!”
২৬হযরত ইসা আ. তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “মানুষের পক্ষে এটি অসম্ভব কিন্তু আল্লাহর পক্ষে সবই সম্ভব।”
২৭তখন হযরত সাফওয়ান রা.-পিতর তাঁকে বললেন, “দেখুন, আমরা তো সবকিছু ছেড়ে দিয়ে আপনার অনুসারী হয়েছি, তাহলে আমরা কী পাবো?” ২৮হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সবকিছুই যখন আবার নতুন করে সৃষ্টি করা হবে, ইবনুল-ইনসান যখন তাঁর মহিমার সিংহাসনে বসবেন, তখন তোমরা যারা আমার অনুসারী, তোমরাও বারোটি সিংহাসনে বসে ইস্রাইলের বারো বংশের বিচার করবে।
২৯আর যে কেউ আমার নামের জন্য বাড়িঘর, ভাইবোন, বাবামা, ছেলেমেয়ে ও জায়গাজমি ছেড়ে দিয়েছে, সে তার একশো গুণ বেশি পাবে এবং পরকালে জান্নাতবাসী হবে। ৩০কিন্তু যারা প্রথমে আছে, তাদের মধ্যে অনেকে শেষে পড়বে আর যারা শেষে আছে, তারা প্রথম হবে।
রুকু ২০
১বেহেস্তি রাজ্য এমন একজন জমির মালিকের মতো, যে তার আঙুরক্ষেতের কাজে মজুর ঠিক করার জন্য খুব সকালে বাইরে গেলো। ২সে মজুরদের সাথে দিন-প্রতি এক দিনার মজুরি ঠিক করে তাদেরকে তার আঙুরক্ষেতে পাঠিয়ে দিলো। ৩প্রায় ন’টায় সে আবার বাইরে গেলো এবং আরো কয়েকজন মজুরকে বাজারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। ৪সে তাদের বললো, ‘তোমরাও আঙুরক্ষেতে যাও, আমি তোমাদের উপযুক্ত মজুরি দেবো।’ ৫সুতরাং তারা গেলো। আবার সে প্রায় বারোটা ও তিনটায় বাইরে গিয়ে ওই একই কাজ করলো। ৬এবং প্রায় পাঁচটায় বাইরে গিয়ে সে অন্য কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। সে তাদের বললো, ‘তোমরা সারাদিন এখানে বেকার দাঁড়িয়ে আছো কেনো?’ ৭তারা তাকে বললো, ‘কেউ আমাদের কাজে লাগায়নি।’ সে তাদের বললো, ‘তোমরাও আঙুরক্ষেতে যাও।’
৮দিনের শেষে আঙুরক্ষেতের মালিক তার ম্যানেজারকে বললো, ‘মুজুরদের ডেকে শেষজন থেকে আরম্ভ করে প্রথমজন পর্যন্ত প্রত্যেককে মজুরি দাও।’ ৯যাদের প্রায় পাঁচটার সময় ঠিক করা হয়েছিলো, তারা এসে প্রত্যেকে এক দিনার করে পেলো।
১০প্রথমে যারা কাজে গিয়েছিলো, তারা ভাবলো যে, তারা বেশি পাবে; কিন্তু তারাও প্রত্যেকে এক দিনার করেই পেলো। ১১এতে তারা জমির মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলতে লাগলো, ১২‘যারা সব শেষে কাজে এসেছিলো, তারা মাত্র এক ঘন্টা কাজ করেছে, আর আমরা রোদে পুড়ে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করেছি, অথচ আপনি তাদেরকে আমাদের সমান করলেন।’
১৩সে তাদের মধ্যে একজনকে বললো, ‘বন্ধু, আমি তো তোমার প্রতি কোনো অন্যায় করিনি। তুমি কি আমার কাছে এক দিনারে কাজ করতে রাজি হওনি? ১৪তোমার পাওনা নিয়ে চলে যাও। আমি ঠিক করেছি যে, তোমাকে যা দিয়েছি, শেষের জনকেও তাই দেবো। ১৫যা আমার নিজের তা আমার খুশিমতো ব্যবহার করার অধিকার কি আমার নেই? নাকি আমি দয়ালু বলে তোমার হিংসা হচ্ছে?’ ১৬এভাবে যারা শেষের, তারা প্রথম হবে আর যারা প্রথম, তারা শেষে পড়বে।”
১৭পরে হযরত ইসা আ. যখন জেরুসালেমের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন, তখন পথ চলতে চলতে তিনি তাঁর বারোজন হাওয়ারিকে একপাশে ডেকে নিয়ে বললেন, ১৮“দেখো, আমরা জেরুসালেমে যাচ্ছি। সেখানে ইবনুল-ইনসানকে প্রধান ইমামদের ও আলিমদের হাতে তুলে দেয়া হবে। তারা তাঁকে মৃত্যুর উপযুক্ত বলে দোষী করবে। তারপর তারা তাঁকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করার, চাবুক মারার ১৯এবং সলিবে হত্যা করার জন্য অইহুদিদের হাতে দেবে। আর তিন দিনের দিন তিনি আবার জীবিত হয়ে উঠবেন।”
২০অতঃপর সিবদিয়ের ছেলেদের মা তার ছেলেদের নিয়ে হযরত ইসা আ.র কাছে এলেন এবং নতজানু হয়ে তাঁর কাছে দয়া চাইলেন। ২১তিনি তাকে বললেন, “তুমি কী চাও?” তিনি বললেন, “আপনি এই ঘোষণা দিন যে, আপনার রাজ্যে আমার দুই ছেলের একজন আপনার ডান পাশে আর অন্যজন বাঁ পাশে বসবে।” ২২কিন্তু হযরত ইসা আ. বললেন, “তোমরা যা চাচ্ছো তা তোমরা জানো না। যে-গ্লাসে আমি পান করতে যাচ্ছি তাতে কি তোমরা পান করতে পারো? তারা তাঁকে বললেন, “হ্যাঁ, আমরা পারি।”
২৩তখন হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “যে-গ্লাসে আমি পান করবো, তোমরা অবশ্যই তাতে পান করবে; কিন্তু আমার প্রতিপালক যাদের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তাদের ছাড়া অন্য কাউকেই আমার ডান কিংবা বাঁ পাশে বসতে দেবার অধিকার আমার নেই।”
২৪বাকি দশজন এসব কথা শুনে ওই দুই ভাইয়ের ওপর বিরক্ত হলেন। ২৫তখন ইসা তাদেরকে কাছে ডেকে বললেন, “তোমরা জানো যে, অইহুদিদের শাসনকর্তারা তাদের ওপর প্রভুত্ব করে এবং তাদের নেতারা তাদের ওপর নির্দয়ের মতো হুকুম চালায়। ২৬তোমাদের তা হওয়া উচিত নয়। তোমাদের মধ্যে যে বড়ো হতে চায়, তাকে অবশ্যই তোমাদের সেবাকারী হতে হবে। ২৭আর তোমাদের মধ্যে যে মহান হতে চায়, তাকে অবশ্যই তোমাদের গোলাম হতে হবে। ২৮একইভাবে ইবনুল-ইনসান সেবা পেতে আসেননি কিন্তু সেবা করতে এবং অনেক মানুষের মুক্তির মূল্য হিসেবে নিজের জীবন দিতে এসেছেন।”
২৯তারা জিরিহো ছেড়ে যাবার সময় অনেক মানুষ হযরত ইসা আ.র পেছনে পেছনে চললো। ৩০সেখানে পথের ধারে দু’জন অন্ধ বসে ছিলো। হযরত ইসা আ. সেই পথ দিয়ে যাচ্ছেন শুনে তারা চিৎকার করে বলতে লাগলো, “হুজুর, হযরত দাউদ আ.র বংশধর, আমাদের প্রতি রহম করুন!” ৩১এতে অনেকে তাদের ধমক দিলো, যেনো তারা চুপ করে। কিন্তু তারা আরো জোরে চিৎকার করে বললো, “হুজুর, দাউদের বংশধর, আমাদের প্রতি রহম করুন!” ৩২তখন হযরত ইসা আ.দাঁড়ালেন এবং তাদের ডেকে বললেন, “তোমারা কী চাও? আমি তোমাদের জন্য কী করবো?”
৩৩তারা তাঁকে বললো, “হুজুর, আমাদের চোখ যেনো খুলে যায়।” ৩৪তখন মমতায় পূর্র্ণ হয়ে হযরত ইসা আ. তাদের চোখ ছুঁলেন। আর তখনই আবার তারা তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলো এবং তাঁকে অনুসরণ করলো।
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
রুকু ১ ১হযরত ইসা মসিহের বংশতালিকা- হযরত ইসা মসিহ হযরত দাউদ আ.র বংশধর এবং হযরত দাউদ আ. হযরত ইব্রাহিম আ.র ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১ ও ২
রুকু - ৩ ১ওই সময়ে হযরত ইয়াহিয়া আ. ইহুদিয়ার মরুপ্রান্তরে এসে একথা প্রচার করতে লাগলেন- ২“তওবা করো, কারণ বেহেস্তি রাজ্য ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৩ ও ৪
রুকু ৫ ১জনতার ঢল দেখে হযরত ইসা আ. পাহাড়ের ওপর উঠলেন। তিনি বসার পর তাঁর হাওয়ারিরা তাঁর কাছে এলেন। ২অতঃপর ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৫ ও ৬
রুকু ৭ ১বিচার করো না, তাহলে তোমরাও বিচারের মুখোমুখি হবে না। কারণ যেভাবে তোমরা বিচার করো, সেভাবেই তোমাদের বিচার করা ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৭ ও ৮
রুকু ৯ ১অতঃপর তিনি নৌকায় উঠে লেক পাড়ি দিয়ে তাঁর নিজের শহরে এলেন। ২তখনই কিছু লোক বিছানায় শোয়ানো এক অবশরোগীকে ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৯ ও ১০
রুকু ১১ ১অতঃপর হযরত ইসা আ. তাঁর বারোজন হাওয়ারিকে হুকুম দেয়া শেষ করে নিজে গ্রামে গ্রামে শিক্ষা দিতে ও প্রচার ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ১১ ও ১২
রুকু ১৩ ১ওই দিন হযরত ইসা আ. ঘর থেকে বেরিয়ে লেকের পাড়ে গিয়ে বসলেন। ২তাঁর কাছে এতো লোক এসে জড়ো ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৩ ও ১৪
রুকু ১৫ ১অতঃপর জেরুসালেম থেকে কয়েকজন ফরিসি ও আলিম হযরত ইসা আ.র কাছে এসে বললেন, ২“বুজুর্গদের দেয়া যে-নিয়ম চলে আসছে, ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৫ ও ১৬
রুকু ১৭ ১ছ’দিন পর হযরত ইসা আ. হযরত পিতর রা., হযরত ইয়াকুব রা. ও তার ভাই হযরত ইউহোন্না রা.কে সাথে ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৭ ও ১৮
রুকু ১৯ ১এসব কথা বলা শেষ করে হযরত ইসা আ. গালিল ছেড়ে জর্দান নদীর ওপারে ইহুদিয়ায় গেলেন। ২হাজার হাজার মানুষ ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৯ ও ২০
রুকু ২১ ১তারা জেরুসালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ের বৈতফগি গ্রামে এলে হযরত ইসা আ. তাঁর দু’জন হাওয়ারিকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২১ ও ২২
রুকু ২৩ ১অতঃপর হযরত ইসা আ. জনতা ও তাঁর সাহাবিদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ২“আলিম ও ফরিসিরা নিজেরাই হযরত মুসা আ.র ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৩ ও ২৪
রুকু ২৫ ১তখন বেহেস্তি রাজ্য হবে এমন দশ কুমারীর মতো, যারা বরকে বরণ করার জন্য তাদের বাতি নিয়ে বাইরে গেলো। ...
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৫ ও ২৬
রুকু ২৭ ১ফজরের পরেই প্রধান ইমামেরা ও বুজুর্গরা একত্রে বসে হযরত ইসা আ.কে মেরে ফেলার বিষয়ে আলোচনা করলেন। ২তারা হযরত ...