ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২০

76388
Total
Visitors

১একদিন তিনি যখন বায়তুল-মোকাদ্দসে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং ইঞ্জিল প্রচার করছিলেন, তখন বুজুর্গদের সাথে প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা এলেন। ২তারা তাঁকে বললেন, “কোন অধিকারে তুমি এসব করছো, আর কে তোমাকে এ-অধিকার দিয়েছে তা আমাদের বলো?” ৩তিনি তাদের উত্তর দিলেন, “আমিও তোমাদের একটি প্রশ্ন করবো, ৪আমাকে বলো, হযরত ইয়াহিয়া আ.-র বায়াত আল্লাহর কাছ থেকে, নাকি মানুষের কাছ থেকে এসেছিলো?”

৫তারা নিজেদের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা করতে লাগলেন, “যদি আমরা বলি, ‘আল্লাহর কাছ থেকে,’ তাহলে সে বলবে, ‘আপনারা তার ওপর ইমান আনেননি কেনো?’ ৬কিন্তু যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে’, তাহলে লোকেরা আমাদের পাথর মারবে। কারণ তারা নিশ্চিত যে, হযরত ইয়াহিয়া আ. একজন নবি ছিলেন।” ৭এজন্য তারা উত্তর দিলেন যে, তারা জানেন না তা কোথা থেকে এসেছিলো। ৮তখন হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “তাহলে আমিও তোমাদের বলবো না, কোন অধিকারে আমি এসব করছি।”

৯তিনি লোকদের এই দৃষ্টান্ত দিতে শুরু করলেন, “এক লোক একটি আঙুরক্ষেত করলেন এবং চাষীদের কাছে সেটি ইজারা দিয়ে অনেক দিনের জন্য বিদেশে চলে গেলো। ১০পরে সময়মতো আঙুরের ভাগ নেবার জন্য তার এক গোলামকে চাষীদের কাছে পাঠিয়ে দিলো। কিন্তু চাষীরা তাকে মারধর করে, খালি হাতেই ফেরত পাঠালো। ১১তখন সে আরেকজন গোলামকে পাঠালো। চাষীরা তাকেও মারলো ও অপমান করলো এবং খালি হাতে ফেরত পাঠিয়ে দিলো। ১২সে তৃতীয় গোলামকে পাঠালো কিন্তু চাষীরা তাকেও ভীষণ মারধর করে বাইরে ফেলে দিলো। ১৩তখন আঙুরক্ষেতের মালিক বললো, ‘আমি কী করবো? আমি আমার প্রিয় ছেলেকে পাঠাবো, তাহলে হয়তো তারা তাকে সম্মান করবে।’ ১৪কিন্তু চাষীরা তাকে দেখে একে অন্যকে বললো, ‘এ-ই তো পরে সম্পত্তির মালিক হবে। এসো, আমরা ওকে মেরে ফেলি, তাহলে সম্পত্তিটি আমাদেরই হবে।’ ১৫তাই তারা তাকে ধরে ক্ষেতের বাইরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করলো। এখন আঙুরক্ষেতের মালিক তাদের কী করবে? ১৬সে এসে তাদের হত্যা করবে এবং আঙুরক্ষেতটি অন্যদের কাছে ইজারা দেবে।” এ-দৃষ্টান্তটি শুনে তারা বললেন, “আল্লাহ এমনটি না করুন।”

 

 

১৭কিন্তু তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “তাহলে একথার অর্থ কী- ‘রাজমিস্ত্রিরা যে-পাথরটি বাতিল করে দিয়েছিলো, সেটিই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠলো? ১৮সেই পাথরের ওপরে যে পড়বে, সে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে এবং যার ওপরে সেই পাথর পড়বে, তাকে চুরমার করে ফেলবে।”

১৯যখন আলিমরা ও প্রধান ইমামেরা বুঝলেন যে, তিনি এই দৃষ্টান্তটি তাদের বিরুদ্ধেই দিয়েছেন, তখনই তারা তাঁকে ধরতে চাইলেন কিন্তু তারা লোকদের ভয় পেলেন। ২০সুতরাং তারা তাঁর ওপর নজর রাখলেন এবং গোয়েন্দাদের পাঠালেন। তারা ভালো মানুষের ভান করতো, যেনো তাঁর কথার ফাঁদে ফেলে তারা তাঁকে গভর্নরের বিচার এবং ক্ষমতার অধীনে আনতে পারে।

২১সুতরাং তারা তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, “হুজুর, আমরা জানি যে, আপনি যা বলেন ও শিক্ষা দেন তা সঠিক। এবং আপনি কারো মুখ চেয়ে কথা বলেন না কিন্তু সত্যভাবেই আল্লাহর পথের বিষয়ে শিক্ষা দেন। ২২আচ্ছা, আমাদের বলুন, আমাদের পক্ষে কাইসারকে কর দেয়া বৈধ নাকি অবৈধ?” ২৩কিন্তু তিনি তাদের চালাকি বুঝতে পেরে তাদের বললেন, ২৪“আমাকে একটি দিনার দেখাও। এর ওপরে কার ছবি ও কার নাম আছে?” তারা বললো, “কাইসারের।” ২৫তিনি তাদের বললেন, “তাহলে যা কাইসারের তা কাইসারকে দাও এবং যা আল্লাহর তা আল্লাহকে দাও।” ২৬তারা লোকদের সামনে হযরত ইসা আ.কে তাঁর কথার ফাঁদে ফেলতে পারলো না। তাঁর উত্তরে তারা আশ্চর্য হলো এবং চুপ হয়ে রইলো।

২৭কয়েকজন সদ্দুকি- যারা বলেন, পুনরুত্থান বলে কিছু নেই- তাঁর কাছে এলেন। ২৮এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, হযরত মুসা আ. আমাদের জন্য লিখে গেছেন, সন্তানহীন অবস্থায় যদি কোনো লোক তার স্ত্রীকে রেখে মারা যায়, তাহলে তার ভাই সেই বিধবাকে বিয়ে করে ভাইয়ের হয়ে বংশ রক্ষা করবে। ২৯তারা ছিলো সাত ভাই। প্রথমজন বিয়ে করে সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেলো। ৩০পরে দ্বিতীয় ও তারপরে ৩১তৃতীয় ভাই সেই বিধবাকে বিয়ে করলো এবং একইভাবে সাতজনই ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেলো। ৩২শেষে সেই মহিলাও মারা গেলো। ৩৩তাহলে কেয়ামতের দিন সে কার স্ত্রী হবে? সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিলো।”

৩৪হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “এই দুনিয়াতে লোকেরা বিয়ে করে এবং তাদের বিয়ে দেয়া হয়। ৩৫কিন্তু মৃতদের মধ্য থেকে যারা জীবিত হওয়ার ও বেহেস্তে যাবার যোগ্য বলে বিবেচিত, তারা সেখানে বিয়ে করবে না এবং তাদের বিয়ে দেয়াও হবে না। ৩৬নিশ্চয়ই তারা আর মৃত্যুবরণ করতে পারে না। কারণ তারা ফেরেস্তাদের মতো, আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত ও পুনরুত্থানের অধিকারী। ৩৭মৃতেরা যে জীবিত হয়ে উঠবে, সেটি হযরত মুসা আ. নিজেই জ্বলন্ত ঝোপের ঘটনায় দেখিয়েছেন। সেখানে তিনি আল্লাহকে হযরত ইব্রাহিম আ.র আল্লাহ, হযরত ইসহাক আ.র আল্লাহ ও হযরত ইয়াকুব আ.র আল্লাহ বলে ডেকেছেন। ৩৮তিনি তো মৃতদের আল্লাহ নন কিন্তু জীবিতদেরই আল্লাহ। তাঁর কাছে তারা সবাই জীবিত।” ৩৯তখন কয়েকজন আলিম বললেন, “হুজুর, আপনি ঠিকই বলেছেন।” ৪০তারা আর কোনোকিছু তাঁকে জিজ্ঞেস করার সাহস পেলেন না।

৪১তিনি তাদের বললেন, “তারা কী করে বলে যে, মসিহ হযরত দাউদ আ.-র সন্তান? ৪২যবুরে হযরত দাউদ আ. নিজেই তো বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার মনিবকে বললেন- ৪৩‘যতোক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের তলায় রাখি, ততোক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বসো।’ ৪৪হযরত দাউদ আ.ই যখন তাঁকে মনিব বলেছেন, তখন কেমন করে তিনি তার সন্তান হতে পারেন?” ৪৫সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে তিনি তাঁর হাওয়ারিদের বললেন, “আলিমদের বিষয়ে সাবধান হও। ৪৬তারা লম্বা লম্বা জুব্বা পরে ঘুরে বেড়াতে এবং হাটেবাজারে সম্মান পেতে ভালোবাসে। তারা সিনাগোগে সব থেকে ভালো জায়গায় ও ভোজের সময় সম্মানের জায়গায় বসতে ভালোবাসে। ৪৭তারা বিধবাদের সম্পত্তি দখল করে এবং লোকদেরকে দেখাবার জন্য লম্বা লম্বা মোনাজাত করে। নিশ্চয়ই তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।”

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১

১,২মাননীয় থিয়ফিল, আমাদের মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা যারা প্রথম থেকে নিজের চোখে দেখেছেন ও আল্লাহর কালাম প্রচার করেছেন, তারা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২

১সেই সময় আগস্ত কাইসার তার গোটা সাম্রাজ্যে আদম-শুমারির হুকুম দিলেন। ২সিরিয়ার গভর্নর কুরিনিয়ের সময় এই প্রথমবারের মতো আদম-শুমারি হয়। ৩নাম ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৩

১সম্রাট টাইবেরিয়াসের রাজত্বের পনের বছরের সময় পন্তিয়াস পিলাত যখন ইহুদিয়া প্রদেশের গভর্নর, হেরোদ গালিল প্রদেশ এবং তার ভাই ফিলিপ ইতুরিয়া ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৪

১হযরত ইসা আ. আল্লাহর রুহে পূর্ণ হয়ে জর্দান থেকে ফিরে এলেন এবং সেই রুহের পরিচালনায় তাঁকে মরু প্রান্তরে যেতে হলো। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৫

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৫

১এক সময় হযরত ইসা আ. গিনেসরত লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং লোকেরা আল্লাহর কালাম শোনার জন্য তাঁর চারপাশে ভিড় করে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৬

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৬

১কোনো এক সাব্বাতে হযরত ইসা আ. ফসলের মাঠ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর হাওয়ারিরা শিষ ছিঁড়ে হাতে ঘষে ঘষে খেতে লাগলেন।২এতে কয়েকজন ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৭

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৭

১তিনি লোকদের কাছে তাঁর সব কথা শেষ করে কফরনাহুমে চলে গেলেন। ২সেখানে একজন শত-সৈন্যের সেনাপতির এক গোলাম ছিলো, যে তার ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৮

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৮

১এরপরই তিনি গ্রামে গ্রামে ও শহরে শহরে ঘুরে আল্লাহর রাজ্যের সুখবর প্রচার করতে লাগলেন। তাঁর সাথে সেই বারোজনও ছিলেন। ২কয়েকজন ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৯

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৯

১অতঃপর তিনি সেই বারোজনকে একত্রে ডাকলেন এবং তাদেরকে সমস্ত ভূতের ওপরে ক্ষমতা ও অধিকার এবং রোগ ভালো করার ক্ষমতাও দিলেন। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১০

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১০

১অতঃপর মসিহ আরো সত্তরজনকে মনোনীত করলেন। তিনি নিজে যে যে গ্রামে ও যে যে জায়গায় যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন, সেসব ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১১

১তিনি কোনো এক জায়গায় মোনাজাত করছিলেন। মোনাজাত শেষ হলে তাঁর কোনো এক হাওয়ারি তাঁকে বললেন, “হুজুর, হযরত ইয়াহিয়া আ. যেভাবে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১২

১এর মধ্যে হাজার হাজার লোক এমনভাবে জড়ো হলো যে, তারা ঠেলাঠেলি করে একে অন্যের ওপর পড়তে লাগলো। তিনি প্রথমে তাঁর ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৩

১ঠিক ওই সময় যারা উপস্থিত ছিলো, তারা হযরত ইসা আ.কে বললো, গালিলের কিছু লোক যখন কোরবানি করছিলো, তখন তাদেরকে হত্যা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৪

১এক সাব্বাতে হযরত ইসা আ. ফরিসিদের এক নেতার বাড়িতে খেতে গেলেন। তারা গভীরভাবে তাঁকে লক্ষ্য করছিলেন। ২ঠিক ওই সময় তাঁর ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু ১৫

ইবনুল-ইনসান: রুকু ১৫

১সমস্ত কর-আদায়কারী ও গুনাহগাররা যখন তাঁর কথা শোনার জন্য তাঁর কাছে আসছিলো, ২তখন ফরিসিরা ও আলিমরা বিরক্তি প্রকাশ করে বলতে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৬

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৬

১অতঃপর তিনি সাহাবিদেরকে বললেন, “কোনো এক ধনী লোকের ম্যানেজারকে এই বলে দোষ দেয়া হলো যে, সে তার মালিকের ধন-সম্পত্তি নষ্ট ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৭

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৭

১হযরত ইসা আ. তাঁর সাহাবিদের বললেন, “বাধা অবশ্যই আসবে কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই লোকের, যার মধ্য দিয়ে বাধা আসে! ২কেউ যদি ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৮

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৮

১মোনাজাতের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে হযরত ইসা আ. তাদেরকে একটি দৃষ্টান্ত দিলেন, যেনো তারা সব সময় মোনাজাত করেন এবং নিরাশ না হোন। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৯

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৯

১তিনি জিরিহোতে এসে শহরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ২সেখানে সক্কেয় নামে এক লোক ছিলেন। তিনি প্রধান কর-আদায়কারী এবং ধনী ছিলেন। ৩হযরত ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২০

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২০

১একদিন তিনি যখন বায়তুল-মোকাদ্দসে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং ইঞ্জিল প্রচার করছিলেন, তখন বুজুর্গদের সাথে প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা এলেন। ২তারা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২১

১পরে তিনি চেয়ে দেখলেন, ধনী লোকেরা বায়তুল-মোকাদ্দসের দানবাক্সে তাদের দান রাখছে। ২তিনি এও দেখলেন যে, এক গরিব বিধবা ছোট্ট দুটো ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২২

১সেই সময় ইদুল-মাত্ছ কাছে এসে গিয়েছিলো। এটিকে ইদুল-ফেসাখও বলা হয়। ২প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা তাঁকে হত্যা করার পথ খুঁজছিলেন, কারণ ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২৩

১তখন মহাসভার সবাই উঠে হযরত ইসা আ.কে পিলাতের কাছে নিয়ে গেলেন। ২তারা এই বলে তাঁর বিরুদ্ধে দোষ দিতে লাগলেন, “আমরা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২৪

১কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিন খুব সকালে সেই মহিলারা তাদের তৈরি করা সুগন্ধি মসলা নিয়ে কবরের কাছে গেলেন। ২তারা দেখলেন, কবরের ...