ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১১

75414
Total
Visitors

১তিনি কোনো এক জায়গায় মোনাজাত করছিলেন। মোনাজাত শেষ হলে তাঁর কোনো এক হাওয়ারি তাঁকে বললেন, “হুজুর, হযরত ইয়াহিয়া আ. যেভাবে তার সাহাবিদেরকে মোনাজাত করতে শিখিয়েছিলেন, সেভাবে আমাদেরও আপনি মোনাজাত করতে শেখান।”

২তিনি তাদের বললেন, “যখন তোমরা মোনাজাত করো, তখন বোলো- ‘হে আমাদের প্রতিপালক, সমস্ত প্রশংসা ও গুণগান তোমারই। তোমার রাজ্য আসুক। ৩আজকের খাবার আজ আমাদের দাও। ৪আমাদের গুনাখাতা মাফ করো, কারণ যারা আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করেছে, আমরাও তাদের মাফ করেছি এবং আমাদের পরীক্ষায় পড়তে দিয়ো না।”

৫অতঃপর তিনি তাদের বললেন, “মনে করো, তোমাদের মধ্যে একজন মাঝরাতে তার বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে বললো, ‘বন্ধু, আমাকে তিনটে রুটি ধার দাও। ৬কারণ আমার এক বন্ধু এসেছে, তাকে খেতে দেবার মতো আমার কিছুই নেই।’ ৭ঘরের ভেতর থেকে সে জবাব দিলো, ‘আমাকে বিরক্ত করো না। দরজা তালা দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে, আর আমার ছেলে-মেয়েরা বিছানায় আমার কাছে শুয়ে আছে। আমি উঠে তোমাকে কিছুই দিতে পারবো না।’ ৮আমি তোমাদের বলছি, সে যদি বন্ধু হিসেবে উঠে তাকে কিছু না-ও দেয়, তবুও তার নাছোড়বান্দা-স্বভাবের কারণে সে উঠবে এবং তার যা দরকার তা তাকে দেবে।

৯সুতরাং আমি তোমাদের বলছি, চাও, তোমাদের দেয়া হবে। খোঁজ করো, পাবে। কড়া নাড়ো, তোমাদের জন্য দরজা খোলা হবে। ১০কারণ যারা চায়, তারা প্রত্যেকে পায়। যে খোঁজ করে, সে পায়। আর যে দরজায় কড়া নাড়ে, তার জন্য দরজা খোলা হয়।

১১তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, তোমার সন্তান মাছ চাইলে যে তাকে মাছের বদলে সাপ দেবে? ১২অথবা ডিম চাইলে বিছা দেবে? ১৩তাহলে তোমরা খারাপ হয়েও যদি তোমাদের ছেলেমেয়েদের ভালো ভালো জিনিস দিতে জানো, তাহলে যারা প্রতিপালকের কাছে চায়, তিনি যে তাদের আল্লাহর রুহ দেবেন, এটি কতো না নিশ্চিত!”

১৪এ-সময় তিনি একটি বোবা ভূত ছাড়াচ্ছিলেন। ভূত চলে গেলে বোবা লোকটি কথা বলতে লাগলো এবং লোকেরা খুবই আশ্চর্য হলো। ১৫কিন্তু তাদের কয়েকজন বললো, “ভূতের রাজা বেলসবুলের সাহায্যেই সে ভূত ছাড়ায়।” ১৬অন্য লোকেরা তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য বেহেস্ত থেকে একটি মোজেজা দেখানোর দাবি জানাতে থাকলো। ১৭তাদের মনের কথা বুঝতে পেরে তিনি বললেন, “যে-রাজ্য নিজের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়, সে-রাজ্য ধ্বংস হয়। এবং পরিবার নিজের মধ্যে ভাগ হলে পরিবার ভেঙে যায়। ১৮শয়তানও যদি নিজের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে কেমন করে তার রাজ্য টিকবে? তোমরা বলছো, আমি বেলসবুলের সাহায্যে ভূত ছাড়াই। ১৯আমি যদি বেলসবুলের সাহায্যেই ভূত ছাড়াই, তাহলে তোমাদের লোকেরা কার সাহায্যে ভূত ছাড়ায়? সুতরাং তারাই তোমাদের বিচার করবে। ২০কিন্তু আমি যদি আল্লাহর ক্ষমতায় ভূত ছাড়াই, তাহলে আল্লাহর রাজ্য তোমাদের কাছে এসে গেছে।

২১একজন বলবান সবরকম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যখন নিজের ঘর পাহারা দেয়, তখন তার জিনিসপত্র নিরাপদে থাকে। ২২কিন্তু তার চেয়েও বলবান কেউ এসে যদি তাকে হামলা করে হারিয়ে দেয়, তাহলে যে-অস্ত্রশস্ত্রের ওপর সে ভরসা করেছিলো, অন্য লোকটি সেগুলো কেড়ে নেয় আর লুট করা জিনিসগুলো ভাগ করে নেয়। ২৩যে আমার পক্ষে নয়, সে আমার বিপক্ষে। যে আমার সাথে কুড়ায় না, সে ছড়ায়।

২৪কোনো ভূত যখন কোনো লোকের ভেতর থেকে বেরিয়ে যায়, তখন সে শুকনো জায়গার মধ্যে ঘোরাফেরা করে বিশ্রামের জন্য স্থান খুঁজতে থাকে। পরে তা না পেয়ে সে বলে, ‘আমি যে-ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছি, আবার সেই ঘরেই ফিরে যাবো।’ ২৫সে ফিরে এসে সেই ঘরটি খালি, পরিষ্কার এবং সাজানো দেখতে পায়। ২৬তখন সে গিয়ে নিজের চেয়েও খারাপ অন্য আরো সাতটি ভূত সাথে নিয়ে আসে এবং সেখানে ঢুকে বাস করতে থাকে। তার ফলে সেই লোকটির প্রথম অবস্থা থেকে পরের অবস্থা আরো খারাপ হয়।” ২৭তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন ভিড়ের মধ্য থেকে এক মহিলা চিৎকার করে বললো, “ভাগ্যবতী সেই মহিলা, যিনি আপনাকে গর্ভে ধরেছেন এবং বুকের দুধ খাইয়েছেন।” ২৮কিন্তু তিনি বললেন, “এর চেয়ে বরং ভাগ্যবান তারা, যারা আল্লাহর কালাম শোনে এবং সেই অনুসারে কাজ করে।”

২৯লোকের ভিড় বাড়তে থাকলে তিনি বলতে শুরু করলেন, “এ-কালের লোকেরা খারাপ। তারা চিহ্ন হিসেবে মোজেজার খোঁজ করে। কিন্তু হযরত ইউনুস আ.র চিহ্ন ছাড়া আর কোনো চিহ্নই তাদের দেখানো হবে না। ৩০নিনবি শহরের লোকদের জন্য হযরত ইউনুস আ. যেমন নিজেই চিহ্ন হয়েছিলেন, ঠিক তেমনি করে এ-কালের লোকদের জন্য ইবনুল-ইনসানই চিহ্ন হবেন।

৩১কেয়ামতের দিন দক্ষিণের রানী উঠে এ-কালের লোকদের দোষ দেখিয়ে দেবে। কারণ বাদশা সোলায়মানের মহাজ্ঞানের কথা শোনার জন্য সে দুনিয়ার শেষ সীমা থেকে এসেছিলো। আর দেখো, এখানে সোলায়মানের চেয়েও মহান একজন আছেন। ৩২কেয়ামতের দিন নিনবি শহরের লোকেরা উঠে এ-কালের লোকদের দোষী করবে। কারণ হযরত ইউনুস আ.র প্রচারের ফলে তারা তওবা করেছিলো। আর দেখো, এখানে হযরত ইউনুস আ.-র চেয়ে মহান একজন আছেন।

৩৩কেউ বাতি জ্বেলে কোনো গোপন জায়গায় বা ঝুড়ির নিচে রাখে না বরং বাতিদানির ওপরেই রাখে, যেনো যারা ভেতরে ঢোকে তারা আলো দেখতে পায়।

৩৪তোমার চোখ তোমার শরীরের বাতি। তোমার চোখ যদি ভালো হয়, তাহলে তোমার গোটা শরীরই আলোতে পূর্ণ হবে। কিন্তু তা যদি ভালো না থাকে, তাহলে তোমার শরীরও অন্ধকারে পূর্ণ হবে।

৩৫সুতরাং দেখো, যে-আলো তোমার ভেতরে আছে তা যেনো অন্ধকার না হয়। ৩৬তোমার গোটা শরীর যদি আলোয় পূর্ণ হয় এবং একটুও অন্ধকার না থাকে, তাহলে তা স¤পূর্ণ আলোকিত হবে, ঠিক যেমন বাতির আলো তোমার ওপরে পড়লে তোমার শরীর আলোকিত হয়।”

৩৭তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখন এক ফরিসি তাঁকে তার সাথে খাওয়ার দাওয়াত দিলেন। সুতরাং তিনি ভেতরে গিয়ে খেতে বসলেন। ৩৮খাওয়ার আগে তিনি হাত ধুলেন না দেখে সেই ফরিসি অবাক হলেন। ৩৯তখন হযরত ইসা আ. তাকে বললেন, “তাহলে শোনো, তোমরা ফরিসিরা থালাবাটির বাইরের দিক পরিষ্কার করে থাকো কিন্তু তোমাদের ভেতরটা লোভ ও স্বার্থপরতায় পূর্ণ। ৪০তোমরা মূর্খ! যিনি বাইরের দিক তৈরি করেছেন, তিনি কি ভেতরের দিকও তৈরি করেননি? ৪১ভেতরে যা আছে তা-ই বরং ভিক্ষার মতো দান করো; তোমাদের জন্য সবকিছুই পাকসাফ করা হবে।

৪২ফরিসিরা, লা’নত তোমাদের ওপর! কারণ তোমরা আল্লাহকে পুদিনা, তেজপাতা ও সবরকমের শাকের দশ ভাগের এক ভাগ দিয়ে থাকো কিন্তু ন্যায়বিচার ও আল্লাহর প্রতি মহব্বতের দিকে মনোযোগ দাও না। ন্যায়বিচার ও আল্লাহর প্রতি মহব্বতের দিকে মনোযোগী হওয়ার সাথে সাথে ওগুলোও তোমাদের পালন করা উচিত। ৪৩ফরিসিরা, লা’নত তোমাদের ওপর! কারণ তোমরা সিনাগোগের সম্মানের আসনে বসতে এবং হাটবাজারে সালাম পেতে ভালোবাসো। ৪৪ফরিসিরা, লানত তোমাদের ওপর! কারণ তোমরা তো চিহ্ন না দেয়া কবরের মতো; লোকে না জেনে তার ওপর দিয়ে হেঁটে যায়।”

৪৫তখন আলিমদের মধ্যে একজন তাঁকে বললেন, “হুজুর, এই কথাগুলো বলে আপনি আমাদেরও অপমান করছেন।” ৪৬তিনি বললেন, “আলিমরা, লা’নত তোমাদের ওপর! কারণ তোমরা লোকদের ওপর ভারি বোঝা চাপিয়ে দিয়ে থাকো কিন্তু তাদের সাহায্য করার জন্য নিজেরা একটি আঙুলও নাড়াও না। ৪৭লা’নত তোমাদের ওপর! কারণ তোমরা নবিদের কবর নতুন করে গেঁথে থাকো। তোমাদের পূর্বপুরুষেরাই তো তাদের হত্যা করেছিলো। ৪৮সুতরাং তোমরাই তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাজের সাক্ষী এবং তোমরাই তা অনুমোদন করছো। তারা হত্যা করেছে আর তোমরা কবর গাঁথছো।

৪৯এজন্য আল্লাহর মহাজ্ঞান বলছে, আমি তাদের কাছে নবি ও রাসুলদের পাঠিয়ে দেবো। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে তারা হত্যা করবে ও অন্যদের ওপর নির্যাতন চালাবে, ৫০যেনো পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে যতো নবিকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের রক্তের দায় তাদের ওপরে বর্তায়- ৫১হযরত হাবিল আ.-র রক্ত থেকে শুরু করে হযরত জাকারিয়া আ., যাকে কোরবানি দেবার স্থান ও পবিত্রস্থানের মাঝখানে হত্যা করা হয়েছিলো, তার রক্ত পর্যন্ত- হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, এ-কালের লোকেরাই এর জন্য দায়ী হবে। ৫২আলিমরা, লা’নত তোমাদের ওপর! কারণ তোমরা জ্ঞানের চাবি সরিয়ে নিয়েছো; তোমরা নিজেরাও ভেতরে ঢোকো না আর যারা ঢুকতে চায়, তাদেরকেও ঢুকতে দাও না।”

৫৩যখন তিনি বাইরে গেলেন, তখন আলিমরা ও ফরিসিরা তাঁর বিরুদ্ধে শত্রুতা করার জন্য উঠেপড়ে লাগলেন। তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য তারা নানা বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে থাকলেন আর অপেক্ষা করতে থাকলেন, ৫৪যেনো তাঁকে তাঁর কথার ফাঁদে ফেলতে পারেন।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১

১,২মাননীয় থিয়ফিল, আমাদের মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা যারা প্রথম থেকে নিজের চোখে দেখেছেন ও আল্লাহর কালাম প্রচার করেছেন, তারা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২

১সেই সময় আগস্ত কাইসার তার গোটা সাম্রাজ্যে আদম-শুমারির হুকুম দিলেন। ২সিরিয়ার গভর্নর কুরিনিয়ের সময় এই প্রথমবারের মতো আদম-শুমারি হয়। ৩নাম ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৩

১সম্রাট টাইবেরিয়াসের রাজত্বের পনের বছরের সময় পন্তিয়াস পিলাত যখন ইহুদিয়া প্রদেশের গভর্নর, হেরোদ গালিল প্রদেশ এবং তার ভাই ফিলিপ ইতুরিয়া ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৪

১হযরত ইসা আ. আল্লাহর রুহে পূর্ণ হয়ে জর্দান থেকে ফিরে এলেন এবং সেই রুহের পরিচালনায় তাঁকে মরু প্রান্তরে যেতে হলো। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৫

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৫

১এক সময় হযরত ইসা আ. গিনেসরত লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং লোকেরা আল্লাহর কালাম শোনার জন্য তাঁর চারপাশে ভিড় করে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৬

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৬

১কোনো এক সাব্বাতে হযরত ইসা আ. ফসলের মাঠ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর হাওয়ারিরা শিষ ছিঁড়ে হাতে ঘষে ঘষে খেতে লাগলেন।২এতে কয়েকজন ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৭

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৭

১তিনি লোকদের কাছে তাঁর সব কথা শেষ করে কফরনাহুমে চলে গেলেন। ২সেখানে একজন শত-সৈন্যের সেনাপতির এক গোলাম ছিলো, যে তার ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৮

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৮

১এরপরই তিনি গ্রামে গ্রামে ও শহরে শহরে ঘুরে আল্লাহর রাজ্যের সুখবর প্রচার করতে লাগলেন। তাঁর সাথে সেই বারোজনও ছিলেন। ২কয়েকজন ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৯

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৯

১অতঃপর তিনি সেই বারোজনকে একত্রে ডাকলেন এবং তাদেরকে সমস্ত ভূতের ওপরে ক্ষমতা ও অধিকার এবং রোগ ভালো করার ক্ষমতাও দিলেন। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১০

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১০

১অতঃপর মসিহ আরো সত্তরজনকে মনোনীত করলেন। তিনি নিজে যে যে গ্রামে ও যে যে জায়গায় যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন, সেসব ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১১

১তিনি কোনো এক জায়গায় মোনাজাত করছিলেন। মোনাজাত শেষ হলে তাঁর কোনো এক হাওয়ারি তাঁকে বললেন, “হুজুর, হযরত ইয়াহিয়া আ. যেভাবে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১২

১এর মধ্যে হাজার হাজার লোক এমনভাবে জড়ো হলো যে, তারা ঠেলাঠেলি করে একে অন্যের ওপর পড়তে লাগলো। তিনি প্রথমে তাঁর ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৩

১ঠিক ওই সময় যারা উপস্থিত ছিলো, তারা হযরত ইসা আ.কে বললো, গালিলের কিছু লোক যখন কোরবানি করছিলো, তখন তাদেরকে হত্যা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৪

১এক সাব্বাতে হযরত ইসা আ. ফরিসিদের এক নেতার বাড়িতে খেতে গেলেন। তারা গভীরভাবে তাঁকে লক্ষ্য করছিলেন। ২ঠিক ওই সময় তাঁর ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু ১৫

ইবনুল-ইনসান: রুকু ১৫

১সমস্ত কর-আদায়কারী ও গুনাহগাররা যখন তাঁর কথা শোনার জন্য তাঁর কাছে আসছিলো, ২তখন ফরিসিরা ও আলিমরা বিরক্তি প্রকাশ করে বলতে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৬

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৬

১অতঃপর তিনি সাহাবিদেরকে বললেন, “কোনো এক ধনী লোকের ম্যানেজারকে এই বলে দোষ দেয়া হলো যে, সে তার মালিকের ধন-সম্পত্তি নষ্ট ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৭

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৭

১হযরত ইসা আ. তাঁর সাহাবিদের বললেন, “বাধা অবশ্যই আসবে কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই লোকের, যার মধ্য দিয়ে বাধা আসে! ২কেউ যদি ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৮

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৮

১মোনাজাতের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে হযরত ইসা আ. তাদেরকে একটি দৃষ্টান্ত দিলেন, যেনো তারা সব সময় মোনাজাত করেন এবং নিরাশ না হোন। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৯

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৯

১তিনি জিরিহোতে এসে শহরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ২সেখানে সক্কেয় নামে এক লোক ছিলেন। তিনি প্রধান কর-আদায়কারী এবং ধনী ছিলেন। ৩হযরত ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২০

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২০

১একদিন তিনি যখন বায়তুল-মোকাদ্দসে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং ইঞ্জিল প্রচার করছিলেন, তখন বুজুর্গদের সাথে প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা এলেন। ২তারা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২১

১পরে তিনি চেয়ে দেখলেন, ধনী লোকেরা বায়তুল-মোকাদ্দসের দানবাক্সে তাদের দান রাখছে। ২তিনি এও দেখলেন যে, এক গরিব বিধবা ছোট্ট দুটো ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২২

১সেই সময় ইদুল-মাত্ছ কাছে এসে গিয়েছিলো। এটিকে ইদুল-ফেসাখও বলা হয়। ২প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা তাঁকে হত্যা করার পথ খুঁজছিলেন, কারণ ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২৩

১তখন মহাসভার সবাই উঠে হযরত ইসা আ.কে পিলাতের কাছে নিয়ে গেলেন। ২তারা এই বলে তাঁর বিরুদ্ধে দোষ দিতে লাগলেন, “আমরা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২৪

১কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিন খুব সকালে সেই মহিলারা তাদের তৈরি করা সুগন্ধি মসলা নিয়ে কবরের কাছে গেলেন। ২তারা দেখলেন, কবরের ...