অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন
১,২মাননীয় থিয়ফিল, আমাদের মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা যারা প্রথম থেকে নিজের চোখে দেখেছেন ও আল্লাহর কালাম প্রচার করেছেন, তারা আমাদের কাছে সমস্ত বিষয় জানিয়েছেন, আর তাদের কথামতোই অনেকে সেসব বিষয় পরপর সাজিয়ে লিখেছেন। ৩সেসব বিষয় সম্বন্ধে প্রথম থেকে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে আপনার জন্য তা একটি একটি করে লেখা আমিও ভালো মনে করলাম; ৪এর ফলে আপনি যা জেনেছেন তা সত্যি কিনা জানতে পারবেন।
৫ইহুদিয়া প্রদেশের বাদশা হেরোদের সময় ইমাম আবিযার বংশের যারা ইমাম ছিলেন, জাকারিয়া ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। তার স্ত্রী ছিলেন হারুনের বংশধর এবং তার নাম ছিলো ইলিছাবেত। ৬তারা দু’জনই আল্লাহর চোখে দীনদার ছিলেন এবং আল্লাহর বাধ্য থেকে তাঁর সমস্ত হুকুম নিখুঁতভাবে পালন করতেন। ৭তাদের কোনো ছেলেমেয়ে ছিলো না, কারণ ইলিছাবেত ছিলেন বন্ধ্যা এবং তাদের বয়সও খুব বেশি হয়ে গিয়েছিলো।
৮একবার নিজের দলের পালার সময় তিনি ইমাম হিসেবে আল্লাহর ইবাদত করছিলেন। ৯ইমাম নির্বাচনের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ভাগ্য পরীক্ষা দ্বারা তাকেই বেছে নেয়া হয়েছিলো, যেনো তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসের পবিত্র-স্থানে গিয়ে সুগন্ধি জ্বালাতে পারেন। ১০জাকারিয়া যখন সুগন্ধি জ্বালাচ্ছিলেন, তখন সমাজের সব লোক বাইরে মোনাজাত করছিলো।
১১এমন সময় সুগন্ধি জ্বালানোর স্থানের ডান দিকে আল্লাহর এক ফেরেস্তা হঠাৎ এসে তাকে দেখা দিলেন। ১২তাকে দেখে জাকারিয়া অস্থির হয়ে উঠলেন এবং ভয় তাঁকে ঘিরে ধরলো। ১৩ফেরেস্তা তাকে বললেন, “জাকারিয়া, ভয় করো না, কারণ তোমার মোনাজাত কবুল হয়েছে। তোমার স্ত্রী ইলিছাবেতের একটি ছেলে হবে এবং তুমি তার নাম রাখবে ইয়াহিয়া। ১৪সে তোমার খুশি ও আনন্দের কারণ হবে এবং তার জন্মে আরো অনেকে আনন্দিত হবে; ১৫কারণ আল্লাহর চোখে সে মহান হবে।
সে কখনো আঙুররস বা নেশাজাতীয় কোনোকিছু পান বা গ্রহণ করবে না। এমনকি মায়ের গর্ভে থাকতেই সে আল্লাহর রুহে পূর্ণ হবে।
১৬বনি-ইস্রাইলের অনেককেই সে তাদের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের কাছে ফিরিয়ে আনবে। ১৭সে হযরত ইলিয়াস আ.র রুহ ও ক্ষমতা নিয়ে তাঁর আগে আসবে, যেনো সে পিতার মন সন্তানের দিকে, অবাধ্যদের দীনদারীর জ্ঞানের দিকে ফেরাতে এবং আল্লাহর জন্য একদল লোককে প্রস্তুত করতে পারে।”
১৮হযরত জাকারিয়া আ. ফেরেস্তাকে বললেন, “এসব যে ঘটবে তা আমি কীভাবে বুঝবো? কারণ আমি তো বৃদ্ধ হয়েছি এবং আমার স্ত্রীও বৃদ্ধা।” ১৯ফেরেস্তা তাকে বললেন, “আমি হযরত জিব্রাইল আ., আমি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। তোমার সাথে কথা বলার ও তোমাকে এই সুখবর দেবার জন্য আমাকে পাঠানো হয়েছে। ২০আমার কথা সময়মতোই পূর্ণ হবে কিন্তু তুমি আমার কথায় বিশ্বাস করোনি বলে যতোদিন এসব না ঘটে, ততোদিন তুমি কথা বলতে পারবে না- বোবা হয়ে থাকবে।”
২১এদিকে লোকেরা হযরত জাকারিয়া আ.র জন্য অপেক্ষা করছিলো। বায়তুল-মোকাদ্দসের পবিত্র-স্থানে তার দেরি হচ্ছে দেখে তারা চিন্তা করতে লাগলো। ২২তিনি যখন বেরিয়ে এলেন, তখন তাদের সাথে কথা বলতে পারলেন না। এতে তারা বুঝতে পারলো যে, তিনি সেখানে কোনোকিছু দেখেছেন। তিনি তাদের কাছে ইশারা করতে থাকলেন কিন্তু কথা বলতে পারলেন না। ২৩ইমামতির কাজ শেষ হওয়ার পর তিনি বাড়ি ফিরে গেলেন।
২৪ওই দিনগুলোর পর তার স্ত্রী ইলিছাবেত গর্ভবতী হলেন এবং পাঁচ মাস পর্যন্ত বাড়ি ছেড়ে বাইরে গেলেন না। ২৫তিনি বললেন, “আল্লাহ আমার জন্য একাজ করেছেন। মানুষের কাছে আমার লজ্জা দূর করার জন্য তিনি আমার প্রতি নজর দিয়েছেন।”
২৬তার যখন ছ’মাসের গর্ভ, তখন আল্লাহ গালিলের নাসরত গ্রামের এক কুমারীর কাছে হযরত জিব্রাইল আ. ফেরেস্তাকে পাঠালেন। ২৭ হযরত দাউদ আ.র বংশের হযরত ইউসুফ র. নামে এক লোকের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো। সেই কুমারীর নাম ছিলো হযরত মরিয়ম রা.।
২৮তিনি তার কাছে এসে তাকে বললেন, “আস্সালামু আলাইকুম, তুমি আল্লাহর বিশেষ রহমত পেয়েছো; তিনি তোমার সাথে আছেন!” ২৯কিন্তু একথা শুনে মরিয়ম হতবাক হয়ে গেলেন এবং ভাবতে লাগলেন, এই সব কথার মানে কী!
৩০ফেরেস্তা তাকে বললেন, “মরিয়ম, ভয় করো না, কারণ তুমি আল্লাহর রহমত পেয়েছো। ৩১এখন তুমি গর্ভবতী হবে আর তোমার একটি ছেলে হবে। তুমি তাঁর নাম রাখবে ইসা। ৩২তিনি মহান হবেন; তাঁকে সর্বশক্তিমানের একান্ত প্রিয় মনোনীতজন বলা হবে এবং আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন তাঁর পূর্বপুরুষ হযরত দাউদ আ.র সিংহাসন তাঁকে দেবেন। ৩৩তিনি হযরত ইয়াকুব আ.র বংশের লোকদের ওপর চিরকাল রাজত্ব করবেন; তাঁর রাজত্ব কখনো শেষ হবে না।”
৩৪হযরত মরিয়ম রা. ফেরেস্তাকে বললেন, “এটি কীভাবে হবে, আমি তো এখনো কুমারী? ” ৩৫ফেরেস্তা তাকে বললেন, “আল্লাহর রুহ তোমার ওপর আসবেন এবং সর্বশক্তিমানের শক্তি তোমাকে ছায়া দেবে। এজন্য যে-সন্তানের জন্ম হবে, তিনি হবেন পবিত্র এবং তাঁকে আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন বলে ডাকা হবে। ৩৬দেখো, এই বৃদ্ধ বয়সে তোমার আত্মীয়া ইলিছাবেতও ছেলে গর্ভে ধারণ করেছে। লোকে তাকে বন্ধ্যা বলতো কিন্তু এখন তার ছ’মাসের গর্ভ চলছে। ৩৭আসলে, আল্লাহর পক্ষে কোনোকিছুই অসম্ভব নয়।”
৩৮হযরত মরিয়ম রা. বললেন, “আমি আল্লাহর দাসী; আপনার কথামতোই আমার প্রতি তা হোক।” এরপর ফেরেস্তা তার কাছ থেকে চলে গেলেন। ৩৯ওই দিনগুলোতে মরিয়ম ইহুদিয়া প্রদেশের পাহাড়ি এলাকার একটি গ্রামে গিয়ে থাকলেন। ৪০তিনি সেখানে হযরত জাকারিয়া আ.র বাড়িতে ঢুকে ইলিছাবেতকে সালাম জানালেন। ৪১হযরত ইলিছাবেত রা. যখন হযরত মরিয়ম রা.র সালাম শুনলেন, তখন তার গর্ভের শিশুটি নেচে উঠলেন এবং হযরত ইলিছাবেত রা. আল্লাহর রুহে পূর্ণ হলেন। ৪২তিনি জোরে চিৎকার করে বললেন, “মহিলাদের মধ্যে তুমি রহমতপ্রাপ্তা এবং তোমার গর্ভের ফলও রহমতপ্রাপ্ত। ৪৩আমার প্রতি কেনো এমন হলো যে, আমার মনিবের মা আমার কাছে এসেছে?
৪৪কারণ তোমার সালাম শোনার সাথে সাথে আমার গর্ভের শিশুটি আনন্দে নেচে উঠলো। ৪৫সে-ই ভাগ্যবতী, যে বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তার কাছে যা বলেছেন তা পূর্ণ হবে।”
৪৬হযরত মরিয়ম রা. বললেন, “আমার হৃদয় আল্লাহর প্রশংসা করছে। ৪৭আমার অন্তর আমার নাজাতদাতা আল্লাহর প্রশংসা করছে। ৪৮কারণ তিনি তাঁর এই সামান্য দাসীর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই এখন থেকে সর্বকালের লোকেরা আমাকে ভাগ্যবতী বলবে। ৪৯কারণ সর্বশক্তিমান আমার জন্য মহৎ কাজ করেছেন- সুবহান আল্লাহ! ৫০যারা তাঁকে ভয় করে, বংশের পর বংশ ধরেই, তিনি তাদের দয়া করেন। ৫১তিনি নিজ হাতে মহাশক্তির কাজ করেছেন। তিনি অহংকারীদের অহংকারী চিন্তা ধ্বংস করে দিয়েছেন। ৫২তিনি সিংহাসন থেকে ক্ষমতাশালীদের নামিয়ে দিয়েছেন এবং অবহেলিতদের উন্নত করেছেন। ৫৩ক্ষুধার্তদের তিনি ভালো ভালো জিনিস দিয়ে সন্তুষ্ট করেছেন এবং ধনীদের খালি হাতে বিদায় করেছেন। ৫৪তিনি তাঁর রহমতের কথা স্মরণ করে তাঁর বান্দা ইয়াকুবকে দয়া করেছেন। ৫৫আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. ও তাঁর বংশের প্রতি চিরকালের ওয়াদার কথা তিনি মনে রেখেছেন।” ৫৬হযরত মরিয়ম রা. প্রায় তিন মাস তার কাছে থাকার পর নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন।
৫৭সন্তান প্রসবের সময় হলে হযরত ইলিছাবেত রা. একটি ছেলের জন্ম দিলেন। ৫৮তার প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা শুনলো যে, আল্লাহ তার প্রতি অশেষ দয়া করেছেন এবং তারা তার সাথে আনন্দ করলো। ৫৯আট দিনের দিন তারা ছেলেটির খতনা করাতে এলো এবং ছেলেটির নাম তার পিতার নামানুসারে হযরত জাকারিয়া আ. রাখতে চাইলো। ৬০কিন্তু তার মা বললেন, “না, তাকে ইয়াহিয়া বলে ডাকা হবে।” ৬১তারা তাকে বললো, “ওই নাম তো আপনার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কারো নেই।” ৬২তখন তারা ইশারায় ছেলেটির পিতার কাছে জানতে চাইলো, তিনি কী নাম রাখতে চান। ৬৩তিনি লেখার জিনিস চেয়ে নিয়ে লিখলেন, “ওর নাম হবে ইয়াহিয়া।” এতে সবাই অবাক হলো।
৬৪তখনই তার মুখ খুলে গেলো ও তার জিভ মুক্ত হলো এবং তিনি কথা বলতে ও আল্লাহর প্রশংসা করতে লাগলেন। ৬৫এতে প্রতিবেশীরা সবাই ভয় পেলো।
আর ইহুদিয়ার সমস্ত পাহাড়ি এলাকার লোকেরা এসব বিষয়ে বলাবলি করতে লাগলো। ৬৬যারা এসব কথা শুনলো, তারা প্রত্যেকেই মনে মনে ভাবতে লাগলো আর বললো, “এই ছেলেটি তাহলে কী হবে?” নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে আছেন!”
৬৭তার পিতা হযরত জাকারিয়া আ. আল্লাহর রুহে পূর্ণ হয়ে এই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন- ৬৮“হযরত ইয়াকুব আ.র মালিক আল্লাহর প্রশংসা হোক। কারণ তিনি তাঁর নিজের লোকদের উদ্ধারের জন্য এসেছেন ও তাদের মুক্ত করেছেন। ৬৯,৭০অনেক আগেই পবিত্র নবিদের মাধ্যমে তিনি যেকথা বলেছিলেন, সেই কথা অনুসারে তাঁর বান্দা হযরত দাউদ আ.র বংশ থেকে আমাদের জন্য এক ক্ষমতাশালী নাজাতদাতাকে তুলেছেন, ৭১যেনো শত্রুদের এবং যারা আমাদের ঘৃণা করে, তাদের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাই।
৭২-৭৫তিনি আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ.র কাছে তাঁর করা ওয়াদা এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি তাঁর দয়া ও পবিত্র চুক্তির কথা স্মরণ করেছেন, যেনো তিনি শত্রুদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করেন এবং আমরা চিরদিন নির্ভয়ে, পবিত্রতার সাথে ও সৎভাবে তাঁর এবাদত করতে পারি।
৭৬হে আমার সন্তান, তোমাকে সর্বশক্তিমানের নবি বলা হবে; কারণ তুমি মনিবের পথ প্রস্তুত করার জন্য তাঁর আগে আগে যাবে। ৭৭তুমি তাঁর লোকদের গুনাহ মাফের মাধ্যমে কীভাবে নাজাত পাওয়া যায় তা জানাবে, কারণ ৭৮আল্লাহর মহাদয়ায় বেহেস্ত থেকে এক উঠন্ত সুর্যের আলো আমাদের ওপর প্রকাশিত হবে, ৭৯যেনো যারা অন্ধকারে ও মৃত্যুর ছায়ায় বসে আছে, তাদের আলো দিতে এবং আমাদেরকে শান্তির পথে চালাতে পারেন।” ৮০শিশুটি বেড়ে উঠলেন ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হলেন এবং হযরত ইয়াকুব আ.র সন্তানদের সামনে প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্জন এলাকায় থাকলেন।
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১
১,২মাননীয় থিয়ফিল, আমাদের মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা যারা প্রথম থেকে নিজের চোখে দেখেছেন ও আল্লাহর কালাম প্রচার করেছেন, তারা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২
১সেই সময় আগস্ত কাইসার তার গোটা সাম্রাজ্যে আদম-শুমারির হুকুম দিলেন। ২সিরিয়ার গভর্নর কুরিনিয়ের সময় এই প্রথমবারের মতো আদম-শুমারি হয়। ৩নাম ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৩
১সম্রাট টাইবেরিয়াসের রাজত্বের পনের বছরের সময় পন্তিয়াস পিলাত যখন ইহুদিয়া প্রদেশের গভর্নর, হেরোদ গালিল প্রদেশ এবং তার ভাই ফিলিপ ইতুরিয়া ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৪
১হযরত ইসা আ. আল্লাহর রুহে পূর্ণ হয়ে জর্দান থেকে ফিরে এলেন এবং সেই রুহের পরিচালনায় তাঁকে মরু প্রান্তরে যেতে হলো। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৫
১এক সময় হযরত ইসা আ. গিনেসরত লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং লোকেরা আল্লাহর কালাম শোনার জন্য তাঁর চারপাশে ভিড় করে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৬
১কোনো এক সাব্বাতে হযরত ইসা আ. ফসলের মাঠ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর হাওয়ারিরা শিষ ছিঁড়ে হাতে ঘষে ঘষে খেতে লাগলেন।২এতে কয়েকজন ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৭
১তিনি লোকদের কাছে তাঁর সব কথা শেষ করে কফরনাহুমে চলে গেলেন। ২সেখানে একজন শত-সৈন্যের সেনাপতির এক গোলাম ছিলো, যে তার ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৮
১এরপরই তিনি গ্রামে গ্রামে ও শহরে শহরে ঘুরে আল্লাহর রাজ্যের সুখবর প্রচার করতে লাগলেন। তাঁর সাথে সেই বারোজনও ছিলেন। ২কয়েকজন ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৯
১অতঃপর তিনি সেই বারোজনকে একত্রে ডাকলেন এবং তাদেরকে সমস্ত ভূতের ওপরে ক্ষমতা ও অধিকার এবং রোগ ভালো করার ক্ষমতাও দিলেন। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১০
১অতঃপর মসিহ আরো সত্তরজনকে মনোনীত করলেন। তিনি নিজে যে যে গ্রামে ও যে যে জায়গায় যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন, সেসব ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১১
১তিনি কোনো এক জায়গায় মোনাজাত করছিলেন। মোনাজাত শেষ হলে তাঁর কোনো এক হাওয়ারি তাঁকে বললেন, “হুজুর, হযরত ইয়াহিয়া আ. যেভাবে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১২
১এর মধ্যে হাজার হাজার লোক এমনভাবে জড়ো হলো যে, তারা ঠেলাঠেলি করে একে অন্যের ওপর পড়তে লাগলো। তিনি প্রথমে তাঁর ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৩
১ঠিক ওই সময় যারা উপস্থিত ছিলো, তারা হযরত ইসা আ.কে বললো, গালিলের কিছু লোক যখন কোরবানি করছিলো, তখন তাদেরকে হত্যা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৪
১এক সাব্বাতে হযরত ইসা আ. ফরিসিদের এক নেতার বাড়িতে খেতে গেলেন। তারা গভীরভাবে তাঁকে লক্ষ্য করছিলেন। ২ঠিক ওই সময় তাঁর ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু ১৫
১সমস্ত কর-আদায়কারী ও গুনাহগাররা যখন তাঁর কথা শোনার জন্য তাঁর কাছে আসছিলো, ২তখন ফরিসিরা ও আলিমরা বিরক্তি প্রকাশ করে বলতে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৬
১অতঃপর তিনি সাহাবিদেরকে বললেন, “কোনো এক ধনী লোকের ম্যানেজারকে এই বলে দোষ দেয়া হলো যে, সে তার মালিকের ধন-সম্পত্তি নষ্ট ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৭
১হযরত ইসা আ. তাঁর সাহাবিদের বললেন, “বাধা অবশ্যই আসবে কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই লোকের, যার মধ্য দিয়ে বাধা আসে! ২কেউ যদি ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৮
১মোনাজাতের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে হযরত ইসা আ. তাদেরকে একটি দৃষ্টান্ত দিলেন, যেনো তারা সব সময় মোনাজাত করেন এবং নিরাশ না হোন। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৯
১তিনি জিরিহোতে এসে শহরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ২সেখানে সক্কেয় নামে এক লোক ছিলেন। তিনি প্রধান কর-আদায়কারী এবং ধনী ছিলেন। ৩হযরত ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২০
১একদিন তিনি যখন বায়তুল-মোকাদ্দসে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং ইঞ্জিল প্রচার করছিলেন, তখন বুজুর্গদের সাথে প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা এলেন। ২তারা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২১
১পরে তিনি চেয়ে দেখলেন, ধনী লোকেরা বায়তুল-মোকাদ্দসের দানবাক্সে তাদের দান রাখছে। ২তিনি এও দেখলেন যে, এক গরিব বিধবা ছোট্ট দুটো ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২২
১সেই সময় ইদুল-মাত্ছ কাছে এসে গিয়েছিলো। এটিকে ইদুল-ফেসাখও বলা হয়। ২প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা তাঁকে হত্যা করার পথ খুঁজছিলেন, কারণ ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২৩
১তখন মহাসভার সবাই উঠে হযরত ইসা আ.কে পিলাতের কাছে নিয়ে গেলেন। ২তারা এই বলে তাঁর বিরুদ্ধে দোষ দিতে লাগলেন, “আমরা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২৪
১কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিন খুব সকালে সেই মহিলারা তাদের তৈরি করা সুগন্ধি মসলা নিয়ে কবরের কাছে গেলেন। ২তারা দেখলেন, কবরের ...