১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, সময় এসেছে, তোমার একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে মহিমান্বিত করো, যেনো তিনিও তোমাকে মহিমান্বিত করতে পারেন। ২কারণ সব মানুষের ওপরে তাঁকে ক্ষমতা দিয়েছো, যেনো তুমি যাদের তাঁকে দিয়েছো, তাদের সবাইকে তিনি তোমার সান্নিধ্য দিতে পারেন। ৩এবং তোমার সান্নিধ্য হচ্ছে, তোমাকে, একমাত্র সত্য আল্লাহকে এবং হযরত ইসা মসিহকে- যাঁকে তুমি পাঠিয়েছো- জানা।
৪আমাকে যে-কাজ তুমি করতে দিয়েছো তা পরিপূর্ণ করে এই দুনিয়াতে আমি তোমাকে মহিমান্বিত করেছি। ৫সুতরাং হে প্রতিপালক, আমাকে তোমার কাছে নিয়ে সেই মহিমায় মহিমান্বিত করো, যা দুনিয়া সৃষ্টির আগে তোমার সাথে আমার ছিলো। ৬এই দুনিয়ায় তুমি আমাকে যাদের দিয়েছো, তাদের কাছে আমি তোমার নাম প্রকাশ করেছি। তারা তোমার ছিলো এবং তুমি তাদের আমাকে দিয়েছিলে এবং তারা তোমার কালাম মেনে চলছে।
৭এখন তারা জানে যে, যা-কিছু তুমি আমাকে দিয়েছো, তার সবই তোমার কাছ থেকে পাওয়া। ৮কারণ যে-কালাম তুমি আমাকে দিয়েছো তা আমি তাদের দিয়েছি এবং তারা তা গ্রহণ করেছে। আর এই সত্য জেনেছে যে, আমি তোমার কাছ থেকে এসেছি এবং তারা এই ইমান এনেছে যে, তুমিই আমাকে পাঠিয়েছো। ৯আমি তাদের পক্ষে অনুরোধ করছি। আমি এই দুনিয়ার পক্ষে অনুরোধ করছি না কিন্তু তুমি যাদের আমাকে দিয়েছো, তাদের পক্ষে করছি, কারণ তারা তোমারই। ১০আমার সবই তোমার এবং তোমার সবই আমার এবং আমি তাদের মধ্যে মহিমান্বিত হয়েছি।
১১আমি এখন আর এই দুনিয়াতে নেই কিন্তু তারা এই দুনিয়াতে রয়েছে; আমি তোমার কাছে আসছি।
মহান প্রতিপালক, যে-নাম তুমি আমাকে দিয়েছো, সেই নামে তাদের নিরাপদে রেখো, যেনো তারা এক হয়, যেমন তুমি ও আমি এক। ১২আমি যখন তাদের সাথে ছিলাম, তখন আমি তাদেরকে তোমারই নামে রক্ষা করেছি- যে-নাম তুমি আমাকে দিয়েছো। আমি তাদের পাহারা দিয়েছি। কেবল সেই নির্ধারিত একজন ছাড়া কাউকেই হারাইনি, যেনো তোমার কালাম পূর্ণ হয়।
১৩কিন্তু এখন আমি তোমার কাছে আসছি এবং আমি দুনিয়াতে এসব বলছি, যেনো আমার আনন্দ তাদের মধ্যে পূর্ণ হয়। ১৪তোমার কালাম আমি তাদের দিয়েছি এবং দুনিয়া তাদের ঘৃণা করেছে, কারণ তারা দুনিয়ার নয়, ঠিক যেমন আমি দুনিয়ার নই। ১৫তাদেরকে দুনিয়ার বাইরে নিয়ে যেতে আমি তোমাকে অনুরোধ করছি না কিন্তু সেই শয়তানের হাত থেকে নিরাপদে রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
১৬তারা এই দুনিয়ার নয়, ঠিক যেমন আমি এই দুনিয়ার নই। ১৭সত্যে তাদের পাকসাফ করো। তোমার কালামই সত্য। ১৮তুমি যেভাবে আমাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছো, আমিও সেভাবে তাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছি। ১৯এবং তাদের উদ্দেশে আমি নিজেকে পাকসাফ রেখেছি, যেনো তারা সত্যে পাকসাফ হয়। ২০শুধু এদের জন্যই নয় বরং এদের কথায় যারা আমার ওপর ইমান আনবে, তাদের জন্যও আমি অনুরোধ করছি, যেনো তারা এক হতে পারে।
২১হে আমার প্রতিপালক, যেভাবে তুমি আমার মধ্যে এবং আমি তোমার মধ্যে, তেমনি তারাও যেনো আমাদের মধ্যে থাকে, যেনো দুনিয়া ইমান আনতে পারে যে, তুমি আমাকে পাঠিয়েছো। ২২যে গৌরব তুমি আমাকে দিয়েছো, আমি তাদেরকে তা দিয়েছি, যেনো তুমি ও আমি যেমন এক, তেমনি তারাও এক হয়। ২৩আমি তাদের মধ্যে এবং তারা আমার মধ্যে, যেনো তারা সম্পূর্ণভাবে এক হয়; যেনো দুনিয়া জানতে পারে যে, তুমি আমাকে পাঠিয়েছো এবং তাদের মহব্বত করেছো, যেভাবে আমাকে মহব্বত করেছো।
২৪হে আমার প্রতিপালক, আমি আরো চাই যে, তুমি যাদের আমাকে দিয়েছো, যে গৌরব তুমি আমাকে দিয়েছো তা দেখার জন্য আমি যেখানে থাকি, তারা যেনো আমার সাথে সেখানে থাকতে পারে। তুমি আমাকে এই গৌরব দিয়েছো কারণ দুনিয়া সৃষ্টির আগে তুমি আমাকে মহব্বত করেছো।
২৫ন্যায়বান প্রতিপালক, দুনিয়া তোমাকে জানে না কিন্তু আমি তোমাকে জানি; এবং এরা জানে যে, তুমি আমাকে পাঠিয়েছো। ২৬আমি তোমার নাম তাদের জানিয়েছি এবং আমি তা তাদের জানাবো, যেনো যে-মহব্বতে তুমি আমাকে মহব্বত করেছো তা তাদের মধ্যে থাকে এবং আমি তাদের মধ্যে থাকি।”
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১
১-৫শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২
১তৃতীয় দিনে গালিলের কান্না গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো এবং হযরত ইসা আ.র মা সেখানে ছিলেন। ২হযরত ইসা আ. এবং ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৩
১নিকদিম নামে একজন ফরিসি ছিলেন; তিনি ছিলেন ইহুদিদের একজন নেতা। ২তিনি রাতের বেলায় হযরত ইসা আ.র কাছে এলেন এবং বললেন, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৪
১যখন হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, ফরিসিরা শুনতে পেয়েছেন, “ হযরত ইসা আ. হযরত ইয়াহিয়া আ.র থেকে বেশি উম্মত ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৫
১এরপর ইহুদিদের আরেকটি ইদের সময় হলো এবং হযরত ইসা আ. জেরুসালেমে গেলেন। ২জেরুসালেমের মেষ-দরজার কাছে একটি পুকুর ছিলো। ৩হিব্রু ভাষায় ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৬
১অতঃপর হযরত ইসা আ. গালিল লেকের ওপারে গেলেন। একে তিবিরিয়া লেকও বলা হয়। ২বিশাল এক জনতা তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলো, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৭
১এরপর হযরত ইসা আ. গালিলে চলাফেরা করছিলেন। তিনি ইহুদিয়ায় যেতে চাইলেন না, কারণ ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজছিলো। ২এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৮
১অতঃপর তারা প্রত্যেকে বাড়ি চলে গেলেন। এদিকে হযরত ইসা আ.ও জৈতুন পাহাড়ে চলে গেলেন। ২এবং খুব ভোরে উঠে তিনি আবার ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৯
১যেতে যেতে তিনি এক জন্মান্ধকে দেখতে পেলেন। ২তাঁর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, কার গুনাহর কারণে এই লোকটি অন্ধ হয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১০
১আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে না ঢুকে অন্য উপায়ে ভেড়ার খোঁয়াড়ে ঢোকে, সে চোর ও ডাকাত। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১১
১বেথানিয়া গ্রামের লাসার নামে এক লোকের অসুখ হয়েছিলো। মরিয়ম ও তার বোন মার্থা সেই একই গ্রামে থাকতেন। ২ইনি সেই মরিয়ম, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১২
১ইদুল-ফেসাখের ছয়দিন আগে হযরত ইসা আ. বেথানিয়ায় লাসারের বাড়িতে এলেন। এই লাসারকেই তিনি মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। ২সেখানে তারা ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৩
১ইদুল-ফেসাখের আগে হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, তাঁর এই দুনিয়া ছেড়ে প্রতিপালকের কাছে চলে যাবার সময় হয়ে গেছে। এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৪
১তোমরা অন্তরে অস্থির হয়ো না। আল্লাহর ওপর ইমান রাখো, আমার ওপরও ইমান রাখো। ২আমার প্রতিপালকের কাছে থাকার অনেক জায়গা আছে। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৫
১আমি প্রকৃত আঙুরগাছ এবং আমার প্রতিপালক চাষী। ২আমার যেসব ডালে ফল ধরে না, সেগুলো তিনি কেটে ফেলেন আর যেসব ডালে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৬
১আমি এসব কথা তোমাদের জানাচ্ছি, যেনো তোমরা বাধা না পাও। ২তারা তোমাদেরকে সিনাগোগ থেকে বের করে দেবে। প্রকৃতপক্ষে এমন এক ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৭
১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, সময় এসেছে, তোমার একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৮
১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. তাঁর হাওয়ারিদের নিয়ে কিদরোন উপত্যকা পার হয়ে একটি জায়গায় গেলেন। সেখানে একটি বাগান ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৯
১অতঃপর পিলাত হযরত ইসা আ.কে চাবুক মারালেন। ২আর সৈন্যরা কাঁটালতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে তাঁর মাথায় পরালো এবং তাঁকে একটি বেগুনি ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২০
১সপ্তাহের প্রথম দিন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে মগ্দলিনি মরিয়ম কবরের কাছে এলেন এবং দেখলেন যে, কবরের মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২১
১এসবের পরে তিবিরিয়া লেকের পাড়ে হযরত ইসা আ. আবার তাঁর হাওয়ারিদের দেখা দিলেন। তিনি নিজেকে তাদের কাছে এভাবে দেখালেন: ২হযরত ...