কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১২

75929
Total
Visitors

১ইদুল-ফেসাখের ছয়দিন আগে হযরত ইসা আ. বেথানিয়ায় লাসারের বাড়িতে এলেন। এই লাসারকেই তিনি মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। ২সেখানে তারা তাঁর খাবারের আয়োজন করলেন। মার্থা মেহমানদারি করছিলেন এবং অন্যান্যদের সাথে লাসারও টেবিলে খেতে বসেছিলেন।

৩মরিয়ম আধা কেজি খুব দামি ও খাঁটি সুগন্ধি তেল নিয়ে হযরত ইসা আ.র পায়ে ঢেলে দিলেন এবং তাঁর চুল দিয়ে তা মুছে দিলেন। তেলেন সুগন্ধে সারা ঘর ভরে গেলো। ৪কিন্তু হাওয়ারিদের একজন- সেই ইহুদা ইস্কারিয়োত, যিনি তাঁর সাথে বেইমানি করেছিলেন- বললেন, ৫“কেনো এই তেল তিনশো দিনারে বিক্রি করে টাকাটা গরিবদের দেয়া হলো না?”

৬গরিবদের প্রতি তার মহব্বতের কারণে যে তিনি একথা বললেন তা নয়, বরং তিনি ছিলেন চোর। সাধারণ তহবিল তার কাছে থাকতো এবং তিনি সেখান থেকে চুরি করতেন। ৭হযরত ইসা আ. বললেন, “তাকে কষ্ট দিয়ো না, সে এটি কিনেছে, যেনো আমাকে দাফন করার দিনের জন্য তা রাখতে পারে। ৮তোমরা সব সময়ই গরিবদের পাবে কিন্তু আমাকে সব সময় পাবে না।”

৯যখন ইহুদিদের বিশাল এক জনতা জানতে পারলো যে, তিনি সেখানে আছেন, তখন তারা যে শুধু হযরত ইসা আ.কে দেখতে এলো তা নয় কিন্তু যে লাসারকে তিনি মৃত থেকে জীবিত করেছিলেন, তাকেও দেখতে এলো। ১০তাই প্রধান ইমামেরা লাসারকেও মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলেন; ১১কারণ তার জন্যই অনেক ইহুদি দল ছেড়ে চলে যাচ্ছিলো এবং ইসার ওপর ইমান আনছিলো।

১২পরদিন ইদে উপস্থিত বিশাল এক জনতা জানতে পারলো যে, হযরত ইসা আ. জেরুসালেমে আসছেন। ১৩তাই তারা খেঁজুর গাছের ডাল নিয়ে তাঁর সাথে দেখা করতে গেলো এবং চিৎকার করে বলতে লাগলো, “হোশান্না! তিনি রহমতপ্রাপ্ত, যিনি আল্লাহর নামে আসছেন- তিনি ইস্রাইলের বাদশা! ”

১৪হযরত ইসা আ. একটি বাচ্চা-গাধা পেয়ে তার ওপরে বসলেন। ১৫পূর্বের কিতাবে যেমন লেখা আছে- “হে সিয়োন-কন্যা, ভয় করো না। দেখো, বাচ্চা-গাধায় চড়ে তোমার বাদশা আসছেন!” ১৬প্রথমে তাঁর হাওয়ারিরা এর অর্থ বোঝেননি কিন্তু তিনি মহিমান্বিত হওয়ার পর তাদের স্মরণ হলো যে, এই সবই তাঁর বিষয়ে লেখা হয়েছিলো এবং তাঁর প্রতিই ঘটেছিলো।

১৭তিনি লাসারকে মৃত থেকে জীবিত করে যখন কবর থেকে ডেকে বের করেছিলেন, তখন যারা তাঁর সাথে ছিলো, তারা সাক্ষ্য দিতেই থাকলো। ১৮তিনি চিহ্ন হিসেবে এই মোজেজা দেখিয়েছেন শুনে অনেক লোক তাঁর সাথে দেখা করতে গেলো। ১৯ফরিসিরা একে অন্যকে বলতে লাগলেন, “আপনারা দেখছেন, আপনারা কিছুই করতে পারবেন না। দেখুন, সারা দুনিয়া তার পেছনে চলে গেছে!”

২০ইদের সময় যারা এবাদত করতে গিয়েছিলো, তাদের মধ্যে কয়েকজন গ্রিকও ছিলো।

২১তারা গালিলের বেতসাইদা গ্রামের ফিলিপের কাছে এসে বললো, “জনাব, আমরা হযরত ইসা আ.র সাথে দেখা করতে চাই।” ২২ হযরত ফিলিপ র. গিয়ে হযরত আন্দ্রিয়ান রা.কে বললেন, তারপর হযরত আন্দ্রিয়ান রা. ও ফিলিপ গিয়ে হযরত ইসা আ.কে বললেন।

২৩হযরত ইসা আ. তাদের উত্তর দিলেন, “ইবনুল-ইনসানের মহিমান্বিত হওয়ার সময় এসেছে। ২৪আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, একটি গমের দানা মাটিতে না পড়লে এবং না মরলে একটি দানাই থাকে কিন্তু যদি মরে, তাহলে অনেক ফল দেয়। ২৫যে নিজের জীবন ভালোবাসে, সে তা হারাবে; কিন্তু যে এই দুনিয়াতে নিজের জীবনকে ঘৃণা করে, সে চিরদিনের জন্য তা রক্ষা করবে। ২৬যে আমার খেদমত করে, সে অবশ্যই আমার পেছনে আসবে এবং আমি যেখানে থাকি, আমার খেদমতকারীও সেখানে থাকবে। যে আমার খেদমত করবে, প্রতিপালক তাকে সম্মানিত করবেন।

২৭এখন আমার প্রাণ অস্থির হচ্ছে। আমি কি বলবো- ‘হে প্রতিপালক, এই সময় থেকে আমাকে উদ্ধার করো’? না, এজন্যই তো আমি এই সময় পর্যন্ত এসেছি। ২৮হে প্রতিপালক, তোমার নাম মহিমান্বিত করো।” অতঃপর আসমান থেকে এই বাণী শোনা গেলো, “আমি তা মহিমান্বিত করেছি এবং আবার মহিমান্বিত করবো।” ২৯যে জনতা সেখানে দাঁড়িয়েছিলো, তারা তা শুনলো এবং বললো, “এটি মেঘের গর্জন ছিলো।” অন্যরা বললো, “একজন ফেরেস্তা তাঁর সাথে কথা বলেছেন।” ৩০হযরত ইসা আ. উত্তর দিলেন, “এই বাণী তোমাদের জন্য এসেছে, আমার জন্য নয়। ৩১এখন দুনিয়ার বিচার হবে। এই দুনিয়ার বাদশাকে বাইরে ফেলে দেয়া হবে।

৩২এবং আমাকে যখন মাটি থেকে ওপরে তোলা হবে, তখন আমি সব মানুষকে আমার কাছে আকর্ষণ করবো।” ৩৩তিনি যে কীভাবে ইন্তেকাল করবেন তা বোঝানোর জন্য একথা বললেন।

৩৪জনতা তাঁকে উত্তর দিলো, “আমরা পূর্বের কিতাবে শুনেছি যে, মসিহ চিরদিন থাকবেন। আপনি কীভাবে বলেন যে, ইবনুল-ইনসানকে উঁচুতে তোলা হবে? কে এই ইবনুল-ইনসান?” ৩৫হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “আরো কিছুদিন আলো তোমাদের সাথে থাকবে।

আলো তোমাদের কাছে থাকতে থাকতেই চলাফেরা করো, যেনো অন্ধকার তোমাদের জয় করতে না পারে। ৩৬যদি তোমরা অন্ধকারে চলো, তাহলে জানবে না যে, কোথায় যাচ্ছো। তোমাদের কাছে আলো থাকতে থাকতে আলোর ওপর ইমান আনো, যেনো তোমরা আলোর সন্তান হতে পারো।” হযরত ইসা আ. একথা বলার পর গোপনে তাদের কাছ থেকে চলে গেলেন।

৩৭যদিও তিনি তাদের সামনে চিহ্ন হিসেবে অনেক মোজেজা দেখালেন, তবুও তারা তাঁর ওপর ইমান আনলো না। ৩৮এটি হলো যেনো হযরত ইসাইয়া নবির কথা পূর্ণ হয়- “হে আল্লাহ, কে আমাদের কথায় ইমান এনেছে এবং আল্লাহর হাত কার কাছেই বা প্রকাশিত হয়েছে?” ৩৯তারা ইমান আনতে পারলো না, কারণ হযরত ইসাইয়া নবি আরো বলেছেন, ৪০“তিনি তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন এবং তাদের মন কঠিন করেছেন, যেনো তারা চোখে না দেখে এবং অন্তরে না বোঝে এবং না ফেরে, আর আমি তাদের সুস্থ করি।” ৪১হযরত ইসাইয়া নবি একথা বলেছেন, কারণ তিনি তাঁর মহিমা দেখেছেন এবং তাঁর বিষয়ে কথা বলেছেন।

৪২তবুও শাসনকর্তাদের মধ্যে অনেকে তাঁর ওপর ইমান আনলেন কিন্তু ফরিসিরা হয়তো তাদের সিনাগোগ থেকে বের করে দেবেন এই ভয়ে তারা তা স্বীকার করলেন না। ৪৩কারণ তারা আল্লাহর কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ার চেয়ে মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়াকে বেশি ভালোবাসতেন।

৪৪হযরত ইসা আ. জোরে জোরে বললেন, “যে আমার ওপর ইমান আনে, সে আমার ওপর নয় কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর ওপর ইমান আনে। ৪৫এবং যে আমাকে দেখে, যিনি আমাকে পাঠিছেন, সে তাঁকেই দেখে। ৪৬আমি আলো, এই দুনিয়াতে এসেছি, যেনো যে কেউ আমার ওপর ইমান আনে, সে অন্ধকারে না থাকে।

৪৭যে আমার কথা শোনে অথচ তা পালন করে না, আমি তার বিচার করি না, কারণ আমি দুনিয়ার বিচার করতে আসিনি বরং নাজাত করতে এসেছি। ৪৮যে আমাকে এবং আমার কালাম গ্রহণ করে না, তার একজন বিচারক আছে। যে কালাম আমি প্রচার করেছি, কেয়ামতের দিন সেই কালামই তার বিচার করবে।

৪৯কারণ আমি নিজ থেকে কথা বলিনি। যে প্রতিপালক আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনিই আমাকে হুকুম দিয়েছেন যে, কী বলতে হবে এবং কী প্রকাশ করতে হবে। ৫০আর আমি জানি যে, তাঁর হুকুমই হচ্ছে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করা। তাই আমি যা বলি, আমার প্রতিপালক আমাকে যেভাবে বলে দিয়েছেন, সেভাবেই বলি।”

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১

১-৫শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২

১তৃতীয় দিনে গালিলের কান্না গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো এবং হযরত ইসা আ.র মা সেখানে ছিলেন। ২হযরত ইসা আ. এবং ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৩

১নিকদিম নামে একজন ফরিসি ছিলেন; তিনি ছিলেন ইহুদিদের একজন নেতা। ২তিনি রাতের বেলায় হযরত ইসা আ.র কাছে এলেন এবং বললেন, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৪

১যখন হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, ফরিসিরা শুনতে পেয়েছেন, “ হযরত ইসা আ. হযরত ইয়াহিয়া আ.র থেকে বেশি উম্মত ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৫

১এরপর ইহুদিদের আরেকটি ইদের সময় হলো এবং হযরত ইসা আ. জেরুসালেমে গেলেন। ২জেরুসালেমের মেষ-দরজার কাছে একটি পুকুর ছিলো। ৩হিব্রু ভাষায় ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৬

১অতঃপর হযরত ইসা আ. গালিল লেকের ওপারে গেলেন। একে তিবিরিয়া লেকও বলা হয়। ২বিশাল এক জনতা তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলো, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৭

১এরপর হযরত ইসা আ. গালিলে চলাফেরা করছিলেন। তিনি ইহুদিয়ায় যেতে চাইলেন না, কারণ ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজছিলো। ২এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৮

১অতঃপর তারা প্রত্যেকে বাড়ি চলে গেলেন। এদিকে হযরত ইসা আ.ও জৈতুন পাহাড়ে চলে গেলেন। ২এবং খুব ভোরে উঠে তিনি আবার ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৯

১যেতে যেতে তিনি এক জন্মান্ধকে দেখতে পেলেন। ২তাঁর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, কার গুনাহর কারণে এই লোকটি অন্ধ হয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১০

১আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে না ঢুকে অন্য উপায়ে ভেড়ার খোঁয়াড়ে ঢোকে, সে চোর ও ডাকাত। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১১

১বেথানিয়া গ্রামের লাসার নামে এক লোকের অসুখ হয়েছিলো। মরিয়ম ও তার বোন মার্থা সেই একই গ্রামে থাকতেন। ২ইনি সেই মরিয়ম, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১২

১ইদুল-ফেসাখের ছয়দিন আগে হযরত ইসা আ. বেথানিয়ায় লাসারের বাড়িতে এলেন। এই লাসারকেই তিনি মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। ২সেখানে তারা ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৩

১ইদুল-ফেসাখের আগে হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, তাঁর এই দুনিয়া ছেড়ে প্রতিপালকের কাছে চলে যাবার সময় হয়ে গেছে। এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৪

১তোমরা অন্তরে অস্থির হয়ো না। আল্লাহর ওপর ইমান রাখো, আমার ওপরও ইমান রাখো। ২আমার প্রতিপালকের কাছে থাকার অনেক জায়গা আছে। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৫

১আমি প্রকৃত আঙুরগাছ এবং আমার প্রতিপালক চাষী। ২আমার যেসব ডালে ফল ধরে না, সেগুলো তিনি কেটে ফেলেন আর যেসব ডালে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৬

১আমি এসব কথা তোমাদের জানাচ্ছি, যেনো তোমরা বাধা না পাও। ২তারা তোমাদেরকে সিনাগোগ থেকে বের করে দেবে। প্রকৃতপক্ষে এমন এক ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৭

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, সময় এসেছে, তোমার একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৮

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. তাঁর হাওয়ারিদের নিয়ে কিদরোন উপত্যকা পার হয়ে একটি জায়গায় গেলেন। সেখানে একটি বাগান ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৯

১অতঃপর পিলাত হযরত ইসা আ.কে চাবুক মারালেন। ২আর সৈন্যরা কাঁটালতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে তাঁর মাথায় পরালো এবং তাঁকে একটি বেগুনি ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২০

১সপ্তাহের প্রথম দিন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে মগ্‌দলিনি মরিয়ম কবরের কাছে এলেন এবং দেখলেন যে, কবরের মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২১

১এসবের পরে তিবিরিয়া লেকের পাড়ে হযরত ইসা আ. আবার তাঁর হাওয়ারিদের দেখা দিলেন। তিনি নিজেকে তাদের কাছে এভাবে দেখালেন: ২হযরত ...