কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১

75909
Total
Visitors

১-৫শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তাঁর মুখের কথা ছাড়া কিছুই সৃষ্টি হয়নি। আল্লাহর কালাম জীবন্ত এবং তা মানুষের জন্য আলো। আর এই কালাম অন্ধকারে আলো দিচ্ছে আর অন্ধকার তা গ্রহন করেনি।

৬আল্লাহ একজন মানুষকে পাঠালেন, তাঁর নাম ছিলো হযরত ইয়াহিয়া আ.। ৭তিনি আলোর বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন, যেনো সকলে তার দ্বারা ইমান আনতে পারে। ৮তিনি নিজে সেই আলো ছিলেন না কিন্তু তিনি সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন। ৯প্রত্যেকের ওপর আলো দানকারী সেই সত্য কালাম দুনিয়াতে আসছিলো।

১০কালাম দুনিয়াতে ছিলো এবং দুনিয়া তাঁর দ্বারাই হয়েছিলো, তবুও দুনিয়া তাঁকে বুঝলো না। ১১যা-কিছু তার নিজের, তিনি তার মধ্যেই এলেন কিন্তু তারা তাঁকে গ্রহণ করলো না। ১২তবে যতোজন তাঁকে গ্রহণ করলো, যারা তাঁর নামের ওপরে ইমান আনলো, তিনি তাদের আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত হওয়ার অধিকার দিলেন। ১৩এই অধিকার রক্ত থেকে হয়নি, শারীরিক কামনা বা পুরুষের বাসনা থেকেও হয়নি কিন্তু আল্লাহ্ থেকেই হয়েছে।

১৪কালাম মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে আমাদের মধ্যে বাস করলেন এবং আমরা তাঁর মহিমা দেখেছি; কোনো পিতার একমাত্র ছেলের মহিমার মতো, যা রহমতে ও সত্যে পরিপূর্ণ।

১৫হযরত ইয়াহিয়া আ. তাঁর বিষয়ে জোর গলায় সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, “ইনিই তিনি, যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, ‘যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার আগে থেকেই ছিলেন।’”

১৬আমরা সবাই তাঁর পূর্ণতা থেকে রহমতের ওপরে রহমত পেয়েছি। ১৭নিশ্চয়ই হযরত মুসা আ.র মধ্য দিয়ে শরিয়ত দেয়া হয়েছিলো কিন্তু হযরত ইসা মসিহের মধ্য দিয়ে রহমত ও সত্য এসেছে।

১৮আল্লাহকে কেউ কখনো দেখেনি। তাঁর একমাত্র একান্ত প্রিয় মনোনীতজন, যিনি প্রতিপালকের বুকে ছিলেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।

১৯যখন জেরুসালেম থেকে ইহুদিরা তাদের ইমামদের ও লেবীয়দের হযরত ইয়াহিয়া আ.র কাছে জানতে পাঠালো, তখন হযরত ইয়াহিয়া আ. তাদের কাছে এই সাক্ষ্যই দিলেন। তারা জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কে?” ২০তিনি স্বীকার করলেন এবং অস্বীকার করলেন না; বরং স্বীকার করলেন যে, “আমি মসিহ নই।” ২১তারা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তবে কে? আপনি কি হযরত ইলিয়াস আ.?” তিনি বললেন, “না, আমি নই।” “আপনি কি সেই নবি?” জবাবে তিনি বললেন, “না।”

২২তখন তারা তাকে বললেন, “তাহলে আপনি কে? যারা আমাদের পাঠিয়েছে, ফিরে গিয়ে তাদের তো জবাব দিতে হবে। আপনার নিজের সম্বন্ধে আপনি কী বলেন?” ২৩তিনি বললেন, হযরত ইসাইয়া নবি যেমন বলেছেন, “আমি একজনের কণ্ঠস্বর, যিনি মরুপ্রান্তরে চিৎকার করে জানাচ্ছেন, “তোমরা মালিকের পথ সোজা করো।”

২৪যাদেরকে ফরিসিদের কাছ থেকে পাঠানো হয়েছিলো, ২৫তারা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “যদি আপনি মসিহও নন, ইলিয়াসও নন, কিংবা সেই নবিও নন, তাহলে কেনো বায়াত দিচ্ছেন?”

২৬হযরত ইয়াহিয়া আ. জবাবে তাদের বললেন, “আমি পানিতে বায়াত দিচ্ছি। আপনাদের মধ্যে একজন আছেন, যাঁকে আপনারা চেনেন না; ২৭উনিই তিনি, যিনি আমার পরে আসছেন। আমি তাঁর জুতোর ফিতা খোলার যোগ্যও নই।” ২৮জর্দান নদীর ওপারে, বেথানিয়ায়, যেখানে হযরত ইয়াহিয়া আ. তরিকা দিচ্ছিলেন, সেখানে এসব ঘটেছিলো।

২৯পরদিন তিনি হযরত ইসা আ.কে তার নিজের দিকে আসতে দেখে বলেন, “ওই দেখো, আল্লাহর মেষশিশু, যিনি দুনিয়ার গুনাহ দূর করেন। ৩০ইনিই তিনি, যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম- ‘আমার পরে একজন আসছেন, যিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার আগে থেকেই আছেন।’ ৩১আমি নিজে তাঁকে চিনতাম না কিন্তু তিনি যেনো বনি-ইস্রাইলের কাছে প্রকাশিত হন, সেজন্য আমি এসে পানিতে বায়াত দিচ্ছি।”

৩২হযরত ইয়াহিয়া আ. এই সাক্ষ্য দিলেন, “আমি আল্লাহর রুহকে কবুতরের মতো হয়ে আসমান থেকে নেমে আসতে এবং তাঁর ওপরে বসে থাকতে দেখেছি। ৩৩আমি নিজে তাঁকে চিনতাম না কিন্তু যিনি আমাকে পানিতে বায়াত দিতে পাঠিয়েছেন, তিনিই আমাকে বলে দিয়েছেন, ‘যাঁর ওপরে আমার রুহকে নেমে এসে থাকতে দেখবে, তিনিই সেই, যিনি আমার রুহে বায়াত দেবেন।’ ৩৪এবং আমি নিজে তা দেখেছি এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, ইনিই আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন।”

৩৫পরদিন হযরত ইয়াহিয়া আ. ও তার দু’জন সাহাবি আবার সেখানে ছিলেন। ৩৬হযরত ইসা আ.কে হেঁটে যেতে দেখে তিনি বললেন, “ওই দেখো, আল্লাহর মেষশিশু।” ৩৭সেই সাহাবি দু’জন তার একথা শুনলেন এবং ইসার পেছনে পেছনে যেতে লাগলেন। ৩৮হযরত ইসা আ. পেছন ফিরে তাদের আসতে দেখে বললেন, “তোমরা কীসের খোঁজ করছো?” তারা তাঁকে বললেন, “হুজুর, আপনি কোথায় থাকেন?” ৩৯তিনি তাদের বললেন, “এসো এবং দেখো।” তারা এলেন ও দেখলেন তিনি কোথায় থাকেন এবং সেই দিন তারা তাঁর সাথেই রইলেন। তখন বিকেল প্রায় চারটে।

৪০হযরত ইয়াহিয়া আ.র কথা শুনে যে-দু’জন তাঁর পেছনে পেছনে গিয়েছিলেন, তাদের একজন সাফওয়ান পিতরের ভাই আন্দ্রিয়ান। ৪১তিনি প্রথমে তার ভাই সাফওয়ানকে খুঁজে বের করলেন এবং বললেন, “আমরা মসিহের দেখা পেয়েছি।” ৪২তিনি সাফওয়ানকে হযরত ইসা আ.র কাছে আনলেন, আর তখন হযরত ইসা আ. তার দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি সাফওয়ান ইবনে ইউহোন্না কিন্তু তোমাকে কৈফা অর্থাৎ পিতর বলে ডাকা হবে।”

৪৩পরদিন হযরত ইসা আ. গালিলে যাবেন বলে ঠিক করলেন। তিনি ফিলিপকে পেয়ে বললেন, “এসো, আমার অনুসারী হও।” ৪৪ফিলিপ ছিলেন বেতসাইদার লোক। আন্দ্রিয়ান এবং পিতরও ওই একই গ্রামের লোক ছিলেন। ৪৫ফিলিপ নথনেলকে খুঁজে বের করে বললেন, তওরাতে হযরত মুসা আ. যাঁর কথা বলে গেছেন এবং যাঁর বিষয়ে নবিরাও লিখেছেন, আমরা তাঁর দেখা পেয়েছি; তিনি নাসরতের ইসা।”

৪৬নথলেন ফিলিপকে বললেন, “নাসরত থেকে কি ভালো কোনোকিছু আসতে পারে?” ফিলিপ তাকে বললেন, “এসে দেখো।”

৪৭হযরত ইসা আ. নথনেলকে নিজের দিকে আসতে দেখে তার বিষয়ে বললেন, “ওই দেখো, একজন সত্যিকারের ইস্রাইলীয়, যার মনে কোনো ছলনা নেই।” ৪৮নথলেন তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কেমন করে আমাকে চিনলেন?” ইসা উত্তরে বললেন, “ফিলিপ তোমাকে ডাকার আগে ডুমুরগাছের নিচে তোমাকে দেখেছিলাম।” ৪৯নথনেল বললেন, “হুজুর, আপনিই আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন! আপনিই বনি-ইস্রাইলের বাদশা!”

৫০উত্তরে হযরত ইসা আ. বললেন, “‘তোমাকে ডুমুরগাছের নিচে দেখেছিলাম’, বলায় কি তুমি ইমান আনলে? এর চেয়ে আরো মহৎ ব্যাপার তুমি দেখতে পাবে।” ৫১এবং তিনি তাকে বললেন, “আমি তোমাকে সত্যি সত্যিই বলছি, তুমি বেহেস্ত খোলা দেখবে এবং আল্লাহর ফেরেস্তাদের ইবনুল-ইনসানের ওপরে নামতে এবং উঠতে দেখবে।”

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১

১-৫শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২

১তৃতীয় দিনে গালিলের কান্না গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো এবং হযরত ইসা আ.র মা সেখানে ছিলেন। ২হযরত ইসা আ. এবং ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৩

১নিকদিম নামে একজন ফরিসি ছিলেন; তিনি ছিলেন ইহুদিদের একজন নেতা। ২তিনি রাতের বেলায় হযরত ইসা আ.র কাছে এলেন এবং বললেন, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৪

১যখন হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, ফরিসিরা শুনতে পেয়েছেন, “ হযরত ইসা আ. হযরত ইয়াহিয়া আ.র থেকে বেশি উম্মত ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৫

১এরপর ইহুদিদের আরেকটি ইদের সময় হলো এবং হযরত ইসা আ. জেরুসালেমে গেলেন। ২জেরুসালেমের মেষ-দরজার কাছে একটি পুকুর ছিলো। ৩হিব্রু ভাষায় ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৬

১অতঃপর হযরত ইসা আ. গালিল লেকের ওপারে গেলেন। একে তিবিরিয়া লেকও বলা হয়। ২বিশাল এক জনতা তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলো, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৭

১এরপর হযরত ইসা আ. গালিলে চলাফেরা করছিলেন। তিনি ইহুদিয়ায় যেতে চাইলেন না, কারণ ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজছিলো। ২এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৮

১অতঃপর তারা প্রত্যেকে বাড়ি চলে গেলেন। এদিকে হযরত ইসা আ.ও জৈতুন পাহাড়ে চলে গেলেন। ২এবং খুব ভোরে উঠে তিনি আবার ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৯

১যেতে যেতে তিনি এক জন্মান্ধকে দেখতে পেলেন। ২তাঁর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, কার গুনাহর কারণে এই লোকটি অন্ধ হয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১০

১আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে না ঢুকে অন্য উপায়ে ভেড়ার খোঁয়াড়ে ঢোকে, সে চোর ও ডাকাত। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১১

১বেথানিয়া গ্রামের লাসার নামে এক লোকের অসুখ হয়েছিলো। মরিয়ম ও তার বোন মার্থা সেই একই গ্রামে থাকতেন। ২ইনি সেই মরিয়ম, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১২

১ইদুল-ফেসাখের ছয়দিন আগে হযরত ইসা আ. বেথানিয়ায় লাসারের বাড়িতে এলেন। এই লাসারকেই তিনি মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। ২সেখানে তারা ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৩

১ইদুল-ফেসাখের আগে হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, তাঁর এই দুনিয়া ছেড়ে প্রতিপালকের কাছে চলে যাবার সময় হয়ে গেছে। এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৪

১তোমরা অন্তরে অস্থির হয়ো না। আল্লাহর ওপর ইমান রাখো, আমার ওপরও ইমান রাখো। ২আমার প্রতিপালকের কাছে থাকার অনেক জায়গা আছে। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৫

১আমি প্রকৃত আঙুরগাছ এবং আমার প্রতিপালক চাষী। ২আমার যেসব ডালে ফল ধরে না, সেগুলো তিনি কেটে ফেলেন আর যেসব ডালে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৬

১আমি এসব কথা তোমাদের জানাচ্ছি, যেনো তোমরা বাধা না পাও। ২তারা তোমাদেরকে সিনাগোগ থেকে বের করে দেবে। প্রকৃতপক্ষে এমন এক ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৭

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, সময় এসেছে, তোমার একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৮

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. তাঁর হাওয়ারিদের নিয়ে কিদরোন উপত্যকা পার হয়ে একটি জায়গায় গেলেন। সেখানে একটি বাগান ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৯

১অতঃপর পিলাত হযরত ইসা আ.কে চাবুক মারালেন। ২আর সৈন্যরা কাঁটালতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে তাঁর মাথায় পরালো এবং তাঁকে একটি বেগুনি ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২০

১সপ্তাহের প্রথম দিন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে মগ্‌দলিনি মরিয়ম কবরের কাছে এলেন এবং দেখলেন যে, কবরের মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২১

১এসবের পরে তিবিরিয়া লেকের পাড়ে হযরত ইসা আ. আবার তাঁর হাওয়ারিদের দেখা দিলেন। তিনি নিজেকে তাদের কাছে এভাবে দেখালেন: ২হযরত ...