ইঞ্জিল শরিফ
ইঞ্জিল শরিফের পাঁচটি সূরা
১। আল-মসিহ
২। মামলুকাতুল্লাহ
৩। ইবনুল-ইনসান
৪। হাওয়ারিনামা
৫। কালিমাতুল্লাহ
আল-মসিহ
হযরত ইসা মসিহের ইঞ্জিলের শুরু। ইনি আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন।
হযরত ইসাইয়া নবির কিতাবে লেখা আছে- “দেখো, তোমার আগে আমি আমার নবিকে পাঠাচ্ছি; সে তোমার পথ প্রস্তুত করবে। মরুপ্রান্তরে একজনের কণ্ঠস্বর ঘোষণা করছে, ‘তোমরা মালিকের পথ প্রস্তুত করো, তাঁর রাস্তা সোজা করো’।”
মামলুকাতুল্লাহ
হযরত ইসা মসিহের বংশতালিকা- হযরত ইসা মসিহ হযরত দাউদ আ.র বংশধর এবং হযরত দাউদ আ. হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর। ২হযরত ইব্রাহিম আ.র ছেলে হযরত ইসহাক আ.; হযরত ইসহাক আ.র ছেলে হযরত ইয়াকুব আ.; হযরত ইয়াকুব আ.র ছেলে হযরত ইহুদা আ. ও তার ভাইয়েরা; ……
ইবনুল-ইনসান
মাননীয় থিয়ফিল, আমাদের মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা যারা প্রথম থেকে নিজের চোখে দেখেছেন ও আল্লাহর কালাম প্রচার করেছেন, তারা আমাদের কাছে সমস্ত বিষয় জানিয়েছেন, আর তাদের কথামতোই অনেকে সেসব বিষয় পরপর সাজিয়ে লিখেছেন।
হাওয়ারিনামা
মাননীয় থিয়ফিল, হযরত ইসা আ.কে বেহেস্তে তুলে নেবার আগ পর্যন্ত তিনি যা করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার সমস্তই আমি আগের কিতাবে লিখেছি। যে হাওয়ারিদের তিনি বেছে নিয়েছিলেন, তাঁকে তুলে নেবার আগে তিনি তাদের আল্লাহর রুহের মধ্য দিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কালিমাতুল্লাহ
শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তাঁর মুখের কথা ছাড়া কিছুই সৃষ্টি হয়নি। আল্লাহর কালাম জীবন্ত এবং তা মানুষের জন্য আলো। আর এই কালাম অন্ধকারে আলো দিচ্ছে আর অন্ধকার তা গ্রহন করেনি।
রোমীয়
আমি পৌল, হযরত ইসা মসিহের গোলাম, হাওয়ারি হওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আল্লাহর সুখবর প্রচারের জন্য আমাকে আলাদা করা হয়েছে, যে বিষয়ে তিনি অনেক আগেই নবিদের মাধ্যমে তাঁর পাক-কিতাবে ওয়াদা করেছিলেন, এই সুখবর তাঁর একান্ত প্রিয় মনোনীতজনের বিষয়ে, যিনি শারীরিকভাবে হযরত দাউদ আ. এর বংশধর, এবং যিনি পবিত্রতার রুহের মতে, মৃত থেকে জীবিত করে উঠানোর মাধ্যমে, হযরত ইসা মসিহ আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন বলে ঘোষিত হয়েছেন, তিনি আমাদের মুনিব হযরত ইসা আ.।
