হাওয়ারিনামা: রুকু – ২

75754
Total
Visitors

১পঞ্চাশতম দিনের ইদে যখন তারা সবাই এক জায়গায় মিলিত হলেন, ২তখন হঠাৎ আসমান থেকে জোর বাতাসের শব্দের মতো একটি শব্দ এলো এবং যে-ঘরে তারা ছিলেন, সেই শব্দে সেই ঘরটা পূর্ণ হয়ে গেলো। ৩তারা দেখলেন, আগুনের জিভের মতো কি যেনো ছড়িয়ে গেলো এবং সেগুলো তাদের প্রত্যেকের ওপরে এসে বসলো। ৪তাতে তারা সবাই আল্লাহর রুহে পূর্ণ হলেন এবং সেই রুহ যাকে যেমন কথা বলার শক্তি দিলেন, সেই অনুসারে তারা ভিন্ন-ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে লাগলেন।

৫সেই সময় দুনিয়ার নানা দেশ থেকে এসে আল্লাহ্ভক্ত ইহুদিরা জেরুসালেমে বাস করছিলো। ৬সেই শব্দ শুনে বিশৃঙ্খল জনতা সেখানে জমায়েত হলো। তারা নিজের-নিজের ভাষায় তাদেরকে কথা বলতে শুনে সবাই বুদ্ধিহারা হয়ে গেলো।

৭তারা খুব আশ্চর্য হয়ে বললো, “এই যে লোকেরা কথা বলছে, এরা সবাই কি গালিলের লোক নয়? ৮তাহলে কীভাবে আমরা প্রত্যেকে নিজ-নিজ মাতৃভাষা ওদের মুখে শুনছি? ৯পার্থীয়, মাডীয়, এলমীয় এবং মেসোপটেমিয়া, ইহুদিয়া, কাব্বাদুকিয়া, পন্ত, এশিয়া, ১০ফরুগিয়া, পামফুলিয়া, মিসর, কুরিনির কাছাকাছি লিবিয়ার কয়েকটা জায়গায় বাসকারী লোকেরা, এবং রোম শহর থেকে আসা ইহুদিরা, ইহুদি ধর্মে ইমান আনা অইহুদিরা সবাই, ১১ক্রিট দ্বীপের লোকেরা ও আরবীয়রা-আমরা সকলেই তো আমাদের নিজ-নিজ ভাষায় আল্লাহর মহৎ কাজের কথা ওদের বলতে শুনছি।”

১২তারা আশ্চর্য ও বুদ্ধিহারা হয়ে একে অন্যকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো, “এর মানে কী?” ১৩কিন্তু অন্যরা ঠাট্টা করে বললো, “ওরা নতুন মদ খেয়ে মাতাল হয়েছে।”

১৪তখন হযরত পিতর রা. সেই এগারোজনের সংগে দাঁড়িয়ে জোরে ঐ সব লোকদের বললেন, “ইহুদি লোকেরা আর আপনারা যারা জেরুসালেমে বসবাস করছেন, আপনারা জেনে রাখুন এবং মন দিয়ে আমার কথা শুনুন। ১৫আপনারা মনে করছেন এরা মাতাল হয়েছে। কিন্তু তা নয়, কারণ এখন তো মাত্র সকাল ন’টা। ১৬না, এটা তো সেই কথা, যা নবি হযরত যোয়েল আ.-এর মাধ্যমে বলা হয়েছিলো- আল্লাহ পাক এ-কথা বলেন, ১৭‘শেষকালে আমি সব লোকের ওপরে আমার রুহ ঢেলে দেবো,এবং তোমাদের ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যদ্বাণী বলবে। তোমাদের যুবকরা দর্শন পাবে। তোমাদের মুরব্বিরা স্বপ্ন দেখবে।     

১৮এমনকি সেই সময় আমার গোলাম ও বাঁদীদের ওপরে আমি আমার রুহ ঢেলে দেবো আর তারা ভবিষ্যদ্বাণী বলবে। ১৯আমি ওপরে আসমানে আশ্চর্য-আশ্চর্য ঘটনা দেখাবো এবং নিচে জমিনে নানা রকম চিহ্ন দেখাবো। অর্থাৎ রক্ত, আগুন ও প্রচুর ধোঁয়া দেখাবো। ২০আল্লাহর সেই মহৎ ও মহিমাপূর্ণ দিন আসার আগে সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে ও চাঁদ রক্তের মতো হবে। ২১তখন যারা আল্লাহর নামে ডাকবে, তারা রক্ষা পাবে। ’

২২বনি ইস্রাইলরা, আমার কথা শুনুন। নাসরতের হযরত ইসা আ. একজন মানুষ, যাঁকে আল্লাহ্ তাঁর মহৎ ও আশ্চর্য কাজের ক্ষমতাসহ আপনাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন এবং অনেক আশ্চর্য কাজ তাঁর মাধ্যমে করেছিলেন, যা আপনারা জানেন। ২৩আল্লাহর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও আগে প্রকাশ করা কালাম অনুসারে তিনি তাঁকে আপনাদের হাতে দিয়েছিলেন। আপনারা শরিয়তের বাইরের লোকদের দ্বারা তাঁকে সলিবের ওপরে হত্যা করিয়ে ছিলেন। ২৪কিন্তু আল্লাহ্ তাঁকে মৃত্যুর ক্ষমতা থেকে মুক্ত করে জীবিত করে তুলেছেন। কারণ তার নিজের ক্ষমতায় তাঁকে ধরে রাখা অসম্ভব ছিলো।

২৫কারণ হযরত দাউদ আ. তাঁর বিষয়ে বলেছেন, ‘আমি আমার মনিবকে সব সময় আমার সামনে দেখছি। কারণ তিনি আমার ডানপাশে আছেন, যেনো আমি অস্থির না-হই। ২৬এ-জন্য আমার মন আনন্দে ভরা এবং আমার জিভ তাঁর প্রশংসা করছে। তাঁর ওপর আমার শরীরও আশা নিয়ে বাঁচবে। ২৭কারণ তুমি আমার রুহকে ধ্বংস হওয়ার জন্য আমাকে ত্যাগ করবে না, অথবা তোমার পবিত্রজনকে তুমি নষ্ট হতে দেবে না। ২৮জীবনের পথ তুমি আমাকে জানিয়েছো। তোমার উপস্থিতি দিয়ে তুমি আমার আনন্দ পূর্ণ করবে ।’

২৯আপনারা যারা শুনছেন, আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি যে, আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত দাউদ আ. ইন্তেকাল করেছেন। তাকে দাফন করা হয়েছে। তাঁর রওজা-মোবারক আজও আমাদের এখানে রয়েছে। ৩০তিনি একজন নবি ছিলেন এবং তিনি জানতেন যে, আল্লাহ্ কসম খেয়ে তাঁর কাছে ওয়াদা করেছেন যে, তাঁর সিংহাসনে তাঁরই একজন বংশধরকে বসাবেন ।

৩১পরে কী হবেতা দেখতে পেয়ে হযরত দাউদ আ. মসিহের পুনরুত্থানের বিষয়ে বলেছিলেন যে, তাঁকে কবরে পরিত্যাগ করা হয়নি এবং তাঁর শরীরও নষ্ট হয়নি। ৩২আল্লাহ্ সেই হযরত ইসা আ.কেই জীবিত করে তুলেছেন আর আমরা সবাই তার সাক্ষী। ৩৩আল্লাহর ডানদিকে বসার গৌরব তাঁকেই দান করা হয়েছে এবং ওয়াদা করা আল্লাহর রুহ, তিনিই প্রতিপালকের কাছ থেকে পেয়েছেন। আর এখন আপনারা যা দেখছেন ও শুনছেন, তা তিনিই দিয়েছেন।

৩৪-৩৫হযরত দাউদ আ. নিজে বেহেস্তে যাননি কিন্তু তিনি বলেছেন, “আল্লাহ্ আমার মনিবকে বললেন- ‘যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের তলায় রাখি, ততক্ষণ তুমি আমার ডানদিকে বসো ।’” ৩৬এ-জন্য ইস্রাইল জাতি এ-কথা নিশ্চিতভাবে জানুন যে, আল্লাহ যাঁকে মনিব ও মসিহ করে তুলেছেন, তিনি হলেন সেই ইসা, যাঁকে আপনারা সলিবের ওপরে হত্যা করেছিলেন।”

৩৭এ-কথা শুনে লোকেরা মনে আঘাত পেলো এবং হযরত পিতর রা. ও অন্য হাওয়ারিদের জিজ্ঞেস করলো, “ভাইয়েরা, আমরা এখন কী করবো?” ৩৮হযরত পিতর রা. তাদের বললেন, “আপনারা প্রত্যেকে তওবা করুন এবং হযরত ইসা মসিহের নামে বায়াত গ্রহণ করুন, যেনো গুনাহের ক্ষমা পেতে পারেন; এবং আপনারা আল্লাহর রুহকে দান হিসাবে পাবেন। ৩৯এই ওয়াদা আপনাদের, আপনাদের ছেলে-মেয়েদের, যারা দূরে আছে এবং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ যাদের তাঁর কাছে ডেকেছেন, তাদের সকলেরই জন্য।”

৪০আরো অনেক কথা বলে তিনি সাক্ষ্য দিতে লাগলেন। তিনি তাদের এই বলে বোঝাতে চেষ্টা করলেন, “এই যুগের বিবেকহীন লোকদের থেকে নিজেদের রক্ষা করুন।”৪১তাই সেদিন যারা তার কথায় ইমান আনলো, তারা বায়াত গ্রহণ করলো। সেইদিন কমবেশি তিন হাজার লোক তাদের সংগে যুক্ত হলো। ৪২তারা হাওয়ারিদের শিক্ষায়, সহভাগিতায়, মোনাজাতে এবং এক সংগে মসিহের মেজবানিতে নিজেদের নিয়োজিত রাখলেন।

৪৩তাদের ওপর ভয় হাজির হলো, কারণ হাওয়ারিরা অনেক অলৌকিক কাজও চিহ্ন-কাজ করতে লাগলেন। ৪৪যারা ইমান এনেছিলেন, তারা সবাই তাদের নিজেদের বিষয়-স¤পত্তি বিক্রি করে সবকিছু এক সংগে রাখতেন। ৪৫এবং যার যেমন দরকার, সেভাবে ভাগ করে নিতেন।

৪৬তারা প্রতিদিন বায়তুল-মোকাদ্দসে এক সংগে মিলিত হতেন। আর বাড়িতে আনন্দের সংগে ও সরল মনে হযরত ইসা আ. এর মেজবানি ও এক সংগে খাওয়া-দাওয়া করতেন। ৪৭তারা আল্লাহর প্রশংসায় ও মানুষের ভালোবাসায় থাকতেন। আল্লাহ্ প্রতিদিনই নাজাত পাওয়া লোকদের তাদের সংগে যুক্ত করতে থাকলেন।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১

১,২মাননীয় থিয়ফিল, হযরত ইসা আ.কে বেহেস্তে তুলে নেবার আগ পর্যন্ত তিনি যা করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার সমস্তই আমি আগের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২

১পঞ্চাশতম দিনের ইদে যখন তারা সবাই এক জায়গায় মিলিত হলেন, ২তখন হঠাৎ আসমান থেকে জোর বাতাসের শব্দের মতো একটি শব্দ ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৩

১এক দিন বিকেল তিনটার এবাদতের সময় হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. বায়তুল-মোকাদ্দসে যাচ্ছিলেন। এবং জন্ম থেকেই খোঁড়া এক ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৪

১হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. যখন লোকদের সংগে কথা বলছিলেন, তখন ইমামেরা, বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রধান কর্মচারী ও সদ্দুকিরা তাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৫

১আনানিয়াস নামে এক লোক ও তার স্ত্রী সাফিরা একটি সম্পত্তি বিক্রি করলো। ২তার স্ত্রীর জানা মতেই বিক্রির কিছু টাকা সে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৬

১ঐ দিনগুলোতে যখন উম্মতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো, তখন গ্রীকরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো যে, প্রতিদিন খাবার বিতরণের সময় তাদের বিধবাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৭

১তখন প্রধান ইমাম হযরত স্তিফান র.কে জিজ্ঞেস করলেন, “এসব কি সত্যি?”২হযরত স্তিফান র. উত্তর দিলেন, “হে আমার ভাইয়েরা ও আমার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৮

১ হযরত শৌল রা. তাকে হত্যার অনুমোদন দিচ্ছিলেন।সেদিন জেরুসালেমে হযরত ইসা আ. এর অনুসারীদের ওপরে ভীষণ জুলুম শুরু হলো। তাতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৯

১-২এদিকে হযরত শৌল রা. হযরত ইসা মসিহের উম্মতদের হত্যা করার ভয় দেখাচ্ছিলেন।তিনি মহা-ইমামের কাছে গিয়ে দামেস্ক শহরের সিনাগোগগুলোতে দেবার জন্য ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১০

১কৈসরিয়া শহরে কর্নেলিয়াস নামে একজন লোক ইতালিয় সৈন্যদলের লেফটেন্যান্ট ছিলেন। ২তিনি আল্লাহ্ভক্ত ছিলেন এবং তিনি ও তার পরিবারের সবাই আল্লাহর ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১১

১অইহুদিরাও যে আল্লাহর কালামের ওপর ইমান এনেছেন, সে-কথা হাওয়ারিরা এবং সমস্ত ইহুদিয়ার ইমানদার ভাইয়েরা শুনলেন। ২এ-জন্য হযরত সাফওয়ান রা. যখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১২

১সেই সময় বাদশাহ হেরোদ জুলুম করার জন্য কওমের কয়েকজনকে ধরে এনেছিলেন। ২তিনি হযরত ইউহোন্না রা.-র ভাই হযরত ইয়াকুব রা.-কে তরবারি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৩

১ আন্তিয়খিয়ার অনুসারীদের মধ্যে কয়েকজন ওলি ও শিক্ষক ছিলেন। তাদের নাম হযরত বার্নবাস র., হযরত নিগের র. নামে পরিচিত সিমোন, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৪

১ইকোনিয়ম শহরেও একই ঘটনা ঘটলো। সেখানে হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. ইহুদিদের সিনাগোগে গিয়ে এমনভাবে কথা বললেন যে, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৫

১সেই সময় ইহুদিয়া থেকে কয়েকজন লোক এলেন এবং ভাইদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন যে, “হযরত মুসা আ. এর শরিয়ত মতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৬

১পরে হযরত পৌল রা. দেব্রা ও লুস্ত্রা শহরে গেলেন। সেখানে হযরত তিমথীয় র. নামে একজন উম্মত থাকতেন। তাঁর মা ছিলেন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৭

১হযরত পৌল রা. ও হযরত সিল র. আমফিপলি ও আপল্লো নিয়া হয়ে থিসালোনিকিতে এসে পৌঁছলেন। সেখানে ইহুদিদের একটি সিনাগোগ ছিলো। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৮

১এরপর হযরত পৌল রা. এথেন্স ছেড়ে করিন্থ শহরে গেলেন। সেখানে আকুইলা নামে এক ইহুদির সংগে তার দেখা হলো, জন্মসূত্রে তিনি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৯

১আপল্লো যখন করিন্থে ছিলেন, সেই সময় হযরত পৌল রা. সে-সব এলাক ঘুরে ইফিসে এলেন। ২সেখানে তিনি কয়েকজন ইমানদারের দেখা পেলেন। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২০

১গোলমাল থামার পর হযরত পৌল রা. ইমানদারদের ডেকে পাঠালেন। তাঁদের উৎসাহ দেবার পর তাঁদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি মেসিডোনিয়ার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২১

১তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা সোজা কোস দ্বীপে গেলাম। পরদিন আমরা রোডস দ্বীপে এলাম। তারপর সেখান থেকে পাতারা গেলাম। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২২

১“ভাইয়েরা ও পিতারা, এখন নিজের পক্ষে আমার উত্তর শুনুন।” ২তারা তাঁকে ইব্রানী ভাষায় কথা বলতে শুনে একেবারে চুপ হয়ে গেলো।৩তখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৩

১হযরত পৌল রা. সোজা মহাসভার লোকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আমার ভাইয়েরা, আজ পর্যন্ত আমি আল্লাহর সামনে পরিষ্কার বিবেকে জীবন-যাপন করছি।” ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৪

১পাঁচদিন পরে মহাইমাম অননিয় কয়েকজন ইহুদি বুজুর্গকে ও তর্তুল্লস নামে একজন উকিলকে নিয়ে সেখানে এলেন এবং গভর্নরের কাছে হযরত পৌল ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৫

১ফাস্তুস সেই প্রদেশে আসার তিনদিন পর কৈসরিয়া থেকে জেরুসালেমে গেলেন। ২সেখানে প্রধান ইমামেরা ও নেতারা তার কাছে গিয়ে পৌলের বিরুদ্ধে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৬

১তখন আগ্রিপ্প হযরত পৌল রা.-কে বললেন, “তোমার নিজের পক্ষে কথা বলার জন্য তোমাকে অনুমতি দেয়া গেলো।” ২তখন তিনি হাত বাড়িয়ে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৭

১যখন জাহাজে করে আমাদের ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, তখন হযরত পৌল রা. এবং আরো কয়েকজন বন্দিকে জুলিয়াস নামে সম্রাটের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৮

১,২আমরা নিরাপদে কিনারে পৌঁছে জানতে পারলাম যে, দ্বীপটার নাম মাল্টা। এর অধিবাসীরা আমাদের সংগে খুব দয়া দেখালো। তখন বৃষ্টি আরম্ভ ...