হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৫

76192
Total
Visitors

১সেই সময় ইহুদিয়া থেকে কয়েকজন লোক এলেন এবং ভাইদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন যে, “হযরত মুসা আ. এর শরিয়ত মতে তোমাদের খতনা করানো না-হলে তোমরা কোনো মতেই নাজাত পাবে না।”২ তাতে হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. এর সংগে এই লোকদের ভীষণ কথা কাটাকাটি হলো। পরে ঠিক হলো যে, হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. এবং আরো কয়েকজন জেরুসালেমে যাবেন এবং হাওয়ারিদের ও বুজুর্গদের সংগে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন।

৩তাই কওমের লোকেরা তাঁদের যাবার ব্যবস্থা করে দিলেন। ফিনিসিয়া আর সামেরিয়া প্রদেশের মধ্য দিয়ে যাবার সময় তাঁরা অইহুদিদের ইমান আনার কথা জানালেন এবং সমস্ত ইমানদারদের আনন্দ বাড়িয়ে তুললেন। ৪যখন তাঁরা জেরুসালেমে পৌঁছলেন, তখন সেখানকার কওমের লোকেরা, বুজুর্গরা ও হাওয়ারিরা আগ্রহের সংগে তাঁদের গ্রহণ করলেন এবং আল্লাহ্ তাঁদের মধ্যদিয়ে যা করেছেন, তা তাঁদের জানালেন। ৫ফরিসী দলের কয়েকজন ইমানদার উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “তাঁদের খতনা করানো অবশ্যই দরকার এবং তাঁরা যেনো হযরত মুসা আ. এর শরিয়ত পালন করে, সে-জন্য তাদের হুকুম দেয়া দরকার।”

৬এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বুজুর্গরা ও হাওয়ারিরা একত্রে মিলিত হলেন। ৭অনেক আলোচনার পর হযরত সাফওয়ান রা. উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদের বললেন, “ভাইয়েরা, আপনারা তো জানেন যে, অনেকদিন আগে আপনাদের মধ্য থেকে আল্লাহ্ আমাকে বেছে নিয়েছিলেন, যাতে অইহুদিরা আমার মুখ থেকে সুখবর শুনে ইমান আনে। ৮সকলের অন্তর্যামী আল্লাহ্ আমাদের যেভাবে তাঁর রুহকে দিয়েছেন, সেই একইভাবে তাঁদেরও তা দান করে তাঁদের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৯এবং ইমানের দ্বারা তাঁদের অন্তরকে পরিষ্কার করে, তাঁদের ও আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখেননি। ১০তাহলে কেনো আপনারা এই ইমানদারদের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে আল্লাহকে পরীক্ষা করতে চাচ্ছেন, যা আমাদের পূর্বপুরুষেরা বা আমরা বহন করতে পারিনি? ১১অন্যদিকে আমরা বিশ্বাস করি যে, আমরাও তাঁদের মতো হযরত ইসা আ. এর দয়ায় নাজাত পাবো।”

১২সভার সবাই চুপ হয়ে গেলেন, এবং হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. মধ্য দিয়ে আল্লাহ্ অইহুদিদের মধ্যে যে-সব আশ্চর্য কাজ করেছিলেন, তা তাঁদের কাছ থেকে শুনলেন। ১৩তাঁদের কথা শেষ হলে পর হযরত ইয়াকুব রা. বললেন, “ভাইয়েরা, আমার কথা শুনুন।

১৪হযরত সাফওয়ান রা. দেখিয়েছেন, কীভাবে আল্লাহ্ প্রথমে অইহুদিদের প্রতি দয়া দেখিয়েছেন, যেনো তাদের মধ্য থেকে এক দল লোককে তাঁর নামের জন্য বেছে নেন। ১৫এ-কথার সংগে নবিদের কথারও মিল রয়েছে। কারণ লেখা আছে- ১৬‘এরপর আমি ফিরে আসবো এবং দাউদের ঘর আবার তৈরি করবো। যা ধ্বংস হয়ে গেছে, তার ধ্বংসস্তুপ থেকে আবার তা গাঁথবো এবং আমি আবার তা ঠিক করবো, ১৭যেনো অন্যসব লোকেরা আল্লাহর খোঁজ করে। এমনকি সমস্ত অইহুদিও, যাদেরকে আমার নামে ডাকা হয়েছে। ১৮এ-কথা বলছেন আল্লাহ্, যিনি প্রাচীন কাল থেকে এ-সব কিছু জানিয়ে আসছেন।’

১৯তাই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি, যে- অইহুদিরা আল্লাহর দিকে ফিরছে, তাদের কষ্ট দেয়া উচিত নয়। ২০কিন্তু আমাদের উচিত তাদের কাছে এ-কথা লিখে পাঠানো যে, তারা যেনো প্রতিমার সংগে যুক্ত সবকিছু থেকে এবং সব রকম জিনা থেকে দূরে থাকে; আর রক্ত এবং গলাটিপে মারা পশুর মাংস না-খায়। ২১কারণ হযরত মুসা আ. যা বলেছেন, তা প্রত্যেক শহরে, যুগ-যুগ ধরে, অনেক আগে থেকে প্রচার করা হচ্ছে। এবং তিনি যা লিখে গেছেন, তা প্রত্যেক সাব্বাতে সিনাগোগগুলোতে জোরে-জোরে তেলাওয়াত করা হচ্ছে।”

২২তখন হাওয়ারিরা ও বুজুর্গরা কওমের সকলের সাথে ঠিক করলেন যে, তাঁরা নিজেদের কয়েকজন লোককে বেছে নিয়ে হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. সংগে আন্তিয়খিয়াতে পাঠাবেন। ২৩তাঁরা হাওয়ারিদের ও বুজুর্গদের মধ্য থেকে যে-ইহুদাকে হযরত বারসাব্বা র. বলা হতো, তাকে ও হযরত সিল র.-কে বেছেনিলেন। তাঁদের সংগে এই চিঠি পাঠালেন- “আন্তিয়খিয়া, সিরিয়া ও কিলিকিয়ার অইহুদি ইমানদার ভাইদের কাছে আমরা, হাওয়ারিরা ও কওমের বুজুর্গরা, এই চিঠি লিখছি, আমাদের সালাম গ্রহণ করুন।

২৪আমরা শুনতে পেলাম যে, আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন গিয়ে অনেক কথা বলে আপনাদের মন অস্থির করে তুলে কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাঁদের এমন কাজ করতে বলিনি।

 ২৫এ-জন্য আমরা সবাই একমত হয়ে কয়েকজনকে বেছে নিয়ে, আমাদের প্রিয়বন্ধু হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. সংগে আপনাদের কাছে পাঠালাম।

২৬এই দু’জন আমাদের সাইয়্যিদিনা হযরত ইসা মসিহের জন্য মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২৭আমরা হযরত ইহুদা রা. ও হযরত সিল র.-কে পাঠালাম, যেনো আমরা যা লিখছি, তা তাঁরা আপনাদের কাছে মুখেও বলেন। ২৮আল্লাহর রুহ এবং আমরা এটাই ভালো মনে করলাম যে, এই দরকারি বিষয়গুলো ছাড়া আর কোনো কিছুর দ্বারা আপনাদের ওপর যেনো বোঝা চাপানো না-হয়।

২৯সেই দরকারি বিষয়গুলো হলো- আপনারা প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা খাবার খাবেন না। রক্ত খাবেন না। গলাটিপে মারা পশুর মাংস খাবেন না এবং কোনো রকম জিনা করবেন না। এসব থেকে দূরে থাকলে আপনারা ভালো করবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।”

৩০হযরত পৌল রা.ও হযরত বার্নবাস র. ও সেই লোকদের পাঠানো হলে পর তারা আন্তিয়খিয়াতে গেলেন। সেখানে তারা সব ইমানদার লোকদের একত্র করে তাদেরকে সেই চিঠিটা দিলেন। ৩১লোকেরা চিঠিটা পড়লো এবং তার মধ্যে যে-সান্ত্বনার কথা ছিলো, তাতে খুশি হলো। ৩২হযরত ইহুদা র. আর হযরত সিল র. নিজেরাও ভবিষ্যদ্বাণী বলতেন। সে-জন্য তারা অনেক কথা বলে সেখানকার ভাইদের উৎসাহ দিলেন এবং তাদের ইমান বাড়িয়ে শক্তিশালী করে তুললেন। ৩৩ আন্তিয়খিয়াতে তারা কিছুদিন কাটালেন।

৩৪জেরুসালেমের যারা হযরত ইহুদা র. ও হযরত সিল র.-কে আন্তিয়খিয়াতে পাঠিয়েছিলেন, আন্তিয়খিয়ার ভাইয়েরা তাদের সালাম জানিয়ে এই দু’জনকে আবার তাদের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন।

৩৫হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. আন্তিয়খিয়াতেই রইলেন। সেখানে তারা আরো অনেকের সংগে আল্লাহর কালাম শিক্ষা দিতে ও প্রচার করতে থাকলেন। ৩৬কিছুদিন পর হযরত পৌল রা. হযরত বার্নবাস র.-কে বললেন, “যে-সব জায়গায় আমরা আল্লাহর কালাম প্রচার করে এসেছি, চলো, এখন সে-সব জায়গায় ফিরে গিয়ে ইমানদার ভাইদের সংগে দেখা করি এবং তারা কেমনভাবে চলছে তা দেখি।”

৩৭তখন হযরত বার্নবাস র. হযরত ইউহোন্না র.-কে সংগে নিতে চাইলেন। এই হযরত ইউহোন্না র.-কে হযরত মার্ক র. বলেও ডাকা হতো। ৩৮কিন্তু হযরত পৌল রা. তাকে সংগে নেয়া ভালো মনে করলেন না। কারণ হযরত মার্ক র. পাম্ফুলিয়ায় তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তাদের সংগে আর কাজ করেননি। ৩৯তখন হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. মধ্যে এমন অমিল হলো যে, তারা একে অন্যের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেলেন। হযরত বার্নবাস র. হযরত মার্ক র.-কে নিয়ে জাহাজে করে সাইপ্রাসদ্বীপে গেলেন আর হযরত পৌল রা. হযরত সিল র.-কে বেছে নিলেন।

৪০তখন আন্তিয়খিয়ার ভাইয়েরা হযরত পৌল রা. হযরত সিল র.-কে আল্লাহর রহমতের হাতে তুলেদিলে পর তাঁরা রওনা হলেন। ৪১হযরত পৌল রা. সিরিয়া ও কিলিকিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে কওমের সমস্ত লোকদের ইমান বাড়িয়ে তাঁদের আরো শক্তিশালী করে তুললেন।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১

১,২মাননীয় থিয়ফিল, হযরত ইসা আ.কে বেহেস্তে তুলে নেবার আগ পর্যন্ত তিনি যা করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার সমস্তই আমি আগের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২

১পঞ্চাশতম দিনের ইদে যখন তারা সবাই এক জায়গায় মিলিত হলেন, ২তখন হঠাৎ আসমান থেকে জোর বাতাসের শব্দের মতো একটি শব্দ ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৩

১এক দিন বিকেল তিনটার এবাদতের সময় হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. বায়তুল-মোকাদ্দসে যাচ্ছিলেন। এবং জন্ম থেকেই খোঁড়া এক ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৪

১হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. যখন লোকদের সংগে কথা বলছিলেন, তখন ইমামেরা, বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রধান কর্মচারী ও সদ্দুকিরা তাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৫

১আনানিয়াস নামে এক লোক ও তার স্ত্রী সাফিরা একটি সম্পত্তি বিক্রি করলো। ২তার স্ত্রীর জানা মতেই বিক্রির কিছু টাকা সে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৬

১ঐ দিনগুলোতে যখন উম্মতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো, তখন গ্রীকরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো যে, প্রতিদিন খাবার বিতরণের সময় তাদের বিধবাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৭

১তখন প্রধান ইমাম হযরত স্তিফান র.কে জিজ্ঞেস করলেন, “এসব কি সত্যি?”২হযরত স্তিফান র. উত্তর দিলেন, “হে আমার ভাইয়েরা ও আমার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৮

১ হযরত শৌল রা. তাকে হত্যার অনুমোদন দিচ্ছিলেন।সেদিন জেরুসালেমে হযরত ইসা আ. এর অনুসারীদের ওপরে ভীষণ জুলুম শুরু হলো। তাতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৯

১-২এদিকে হযরত শৌল রা. হযরত ইসা মসিহের উম্মতদের হত্যা করার ভয় দেখাচ্ছিলেন।তিনি মহা-ইমামের কাছে গিয়ে দামেস্ক শহরের সিনাগোগগুলোতে দেবার জন্য ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১০

১কৈসরিয়া শহরে কর্নেলিয়াস নামে একজন লোক ইতালিয় সৈন্যদলের লেফটেন্যান্ট ছিলেন। ২তিনি আল্লাহ্ভক্ত ছিলেন এবং তিনি ও তার পরিবারের সবাই আল্লাহর ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১১

১অইহুদিরাও যে আল্লাহর কালামের ওপর ইমান এনেছেন, সে-কথা হাওয়ারিরা এবং সমস্ত ইহুদিয়ার ইমানদার ভাইয়েরা শুনলেন। ২এ-জন্য হযরত সাফওয়ান রা. যখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১২

১সেই সময় বাদশাহ হেরোদ জুলুম করার জন্য কওমের কয়েকজনকে ধরে এনেছিলেন। ২তিনি হযরত ইউহোন্না রা.-র ভাই হযরত ইয়াকুব রা.-কে তরবারি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৩

১ আন্তিয়খিয়ার অনুসারীদের মধ্যে কয়েকজন ওলি ও শিক্ষক ছিলেন। তাদের নাম হযরত বার্নবাস র., হযরত নিগের র. নামে পরিচিত সিমোন, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৪

১ইকোনিয়ম শহরেও একই ঘটনা ঘটলো। সেখানে হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. ইহুদিদের সিনাগোগে গিয়ে এমনভাবে কথা বললেন যে, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৫

১সেই সময় ইহুদিয়া থেকে কয়েকজন লোক এলেন এবং ভাইদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন যে, “হযরত মুসা আ. এর শরিয়ত মতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৬

১পরে হযরত পৌল রা. দেব্রা ও লুস্ত্রা শহরে গেলেন। সেখানে হযরত তিমথীয় র. নামে একজন উম্মত থাকতেন। তাঁর মা ছিলেন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৭

১হযরত পৌল রা. ও হযরত সিল র. আমফিপলি ও আপল্লো নিয়া হয়ে থিসালোনিকিতে এসে পৌঁছলেন। সেখানে ইহুদিদের একটি সিনাগোগ ছিলো। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৮

১এরপর হযরত পৌল রা. এথেন্স ছেড়ে করিন্থ শহরে গেলেন। সেখানে আকুইলা নামে এক ইহুদির সংগে তার দেখা হলো, জন্মসূত্রে তিনি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৯

১আপল্লো যখন করিন্থে ছিলেন, সেই সময় হযরত পৌল রা. সে-সব এলাক ঘুরে ইফিসে এলেন। ২সেখানে তিনি কয়েকজন ইমানদারের দেখা পেলেন। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২০

১গোলমাল থামার পর হযরত পৌল রা. ইমানদারদের ডেকে পাঠালেন। তাঁদের উৎসাহ দেবার পর তাঁদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি মেসিডোনিয়ার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২১

১তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা সোজা কোস দ্বীপে গেলাম। পরদিন আমরা রোডস দ্বীপে এলাম। তারপর সেখান থেকে পাতারা গেলাম। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২২

১“ভাইয়েরা ও পিতারা, এখন নিজের পক্ষে আমার উত্তর শুনুন।” ২তারা তাঁকে ইব্রানী ভাষায় কথা বলতে শুনে একেবারে চুপ হয়ে গেলো।৩তখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৩

১হযরত পৌল রা. সোজা মহাসভার লোকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আমার ভাইয়েরা, আজ পর্যন্ত আমি আল্লাহর সামনে পরিষ্কার বিবেকে জীবন-যাপন করছি।” ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৪

১পাঁচদিন পরে মহাইমাম অননিয় কয়েকজন ইহুদি বুজুর্গকে ও তর্তুল্লস নামে একজন উকিলকে নিয়ে সেখানে এলেন এবং গভর্নরের কাছে হযরত পৌল ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৫

১ফাস্তুস সেই প্রদেশে আসার তিনদিন পর কৈসরিয়া থেকে জেরুসালেমে গেলেন। ২সেখানে প্রধান ইমামেরা ও নেতারা তার কাছে গিয়ে পৌলের বিরুদ্ধে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৬

১তখন আগ্রিপ্প হযরত পৌল রা.-কে বললেন, “তোমার নিজের পক্ষে কথা বলার জন্য তোমাকে অনুমতি দেয়া গেলো।” ২তখন তিনি হাত বাড়িয়ে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৭

১যখন জাহাজে করে আমাদের ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, তখন হযরত পৌল রা. এবং আরো কয়েকজন বন্দিকে জুলিয়াস নামে সম্রাটের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৮

১,২আমরা নিরাপদে কিনারে পৌঁছে জানতে পারলাম যে, দ্বীপটার নাম মাল্টা। এর অধিবাসীরা আমাদের সংগে খুব দয়া দেখালো। তখন বৃষ্টি আরম্ভ ...