হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৩

76141
Total
Visitors

১ আন্তিয়খিয়ার অনুসারীদের মধ্যে কয়েকজন ওলি ও শিক্ষক ছিলেন। তাদের নাম হযরত বার্নবাস র., হযরত নিগের র. নামে পরিচিত সিমোন, সাইরিনীয় হযরত লুকিয়াস র., শাসনকর্তা হেরোদের রাজ সভার হযরত মানায়েন র. এবং হযরত শৌল রা.। ২তারা যখন রোজা রাখছিলেন এবং আল্লাহর এবাদত করছিলেন, তখন আল্লাহর রুহ তাদের বললেন, “বার্নবাস আর শৌলকে আমি যে-কাজের জন্য ডেকেছি, তার জন্য তাদের আলাদা করে দাও।”

৩তখন তাঁরা রোজা রেখে ও মোনাজাত করে সেই দু’জনের ওপর হাত রাখলেন এবং তাঁদের পাঠিয়ে দিলেন। ৪আল্লাহর রুহের দ্বারা প্রেরিত হয়ে হযরত বার্নবাস র. ও হযরত শৌল রা. সেলেউকিয়াতে গেলেন। ৫পরে সেখান থেকে জাহাজে করে সাইপ্রাসে গেলেন। সালামিতে পৌঁছে তাঁরা ইহুদিদের সিনাগোগে আল্লাহর কালাম প্রচার করলেন এবং হযরত ইউহোন্না র. ও সাহায্যকারী হিসাবে তাদের সংগে ছিলেন।

৬গোটাদ্বীপ ঘোরা শেষে তাঁরা পাফোতে এলেন এবং সেখানে বার-ইসা নামে একজন ইহুদি জাদুকর ও ভন্ড-নবির দেখা পেলেন। ৭,৮সেই ভন্ড-নবিকে ইলুমা, অর্থাৎ জাদুকর বলা হতো। সেই জাদুকর সের্গিয়-পৌলের একজন বন্ধু আর তিনি ছিলেন একজন বুদ্ধিমান লোক। সের্গিয়-পৌল আল্লাহর কালাম শোনার জন্য হযরত বার্নবাস র. ও হযরত শৌল রা.-কে ডেকে পাঠালেন। কিন্তু ইলুমা তাদের বাধা দিতে চেষ্টা করলো।

৯কিন্তু শৌল, যাকে হযরত পৌল রা. বলেও ডাকা হতো, তিনি আল্লাহর রুহে পূর্ণ হয়ে সোজা ইলুমার দিকে তাকালেন, এবং বললেন “তুমি ইবলিসের সন্তান ও দীনদারির শত্রু ১০সব রকম ছলনা ও ঠকামিতে পূর্ণ। তুমি কি আল্লাহর সোজা পথকে বাঁকা করার কাজ কখনো থামাবে না? এখন শোনো, আল্লাহর হাত তোমার বিরুদ্ধে উঠেছে। ১১তুমি অন্ধ হয়ে যাবে এবং কিছুদিন সূর্যের আলো দেখতে পাবে না।” তখনই কুয়াসা আর অন্ধকার তাকে ঢেকে ফেললো এবং কেউ যেনো তাকে হাত ধরে সাহায্য করতে পারে, এ-জন্য তখন সে হাতড়ে বেড়াতে লাগলো।

১২এসব দেখে সেই শাসনকর্তা ইমান আনলেন। কারণ আল্লাহর বিষয়ে যে-শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন, তাতে আশ্চর্য হয়েছিলেন। ১৩এরপর হযরত পৌল রা. ও তার সঙ্গীরা পাফো থেকে জাহাজে করে পাম্ফুলিয়ার পের্গায় এলেন। তবে১৪ হযরত ইউহোন্না র. তাদের ছেড়ে জেরুসালেমে ফিরে গেলেন। তারা পের্গা থেকে পিসিদিয়া প্রদেশের আন্তিয়খিয়া শহরে গেলেন এবং সাব্বাতে সিনাগোগে গিয়ে বসলেন।

১৫তওরাত ও সহিফাগুলো থেকে তেলাওয়াত করা শেষ হলে সিনাগোগের নেতারা তাঁদের বললেন, “ভাইয়েরা, লোকদের উৎসাহ দেবার জন্য যদি কোনো কথা আপনাদের থাকে, তবে বলুন।” ১৬তখন হযরত পৌল রা. উঠে দাঁড়ালেন এবং হাত তুলে বললেন, “হে বনি-ইস্রাইলেরা ও আল্লাহ্ভক্ত অইহুদিরা, শুনুন-

১৭-১৮এই ইস্্রাইল জাতির আল্লাহ্ আমাদের পূর্বপুরুষদের বেছে নিয়েছিলেন। যখন তাঁরা মিসরে ছিলেন, তখন তাঁদের অনেক বড়ো জাতিতে পরিনত করেছিলেন। তাঁর মহা-ক্ষমতায় সেই দেশ থেকে তাঁদের বের করে এনেছিলেন।

প্রায় চল্লিশ বছর ধরে মরু-প্রান্তরের মধ্যে তাঁদের অন্যায় ব্যবহার সহ্য করেছিলেন। ১৯তারপর তিনি কেনান দেশের সাতটি জাতিকে ধ্বংস করে সেই দেশের ওপর তাঁদের অধিকার দিয়েছিলেন ।

২০এসব ঘটনা ঘটতে প্রায় চারশ-পঞ্চাশ বছর লেগেছিলো। এরপর নবি হযরত সামুয়েল আ. এর সময় পর্যন্ত তাঁদের শাসন করার জন্য আল্লাহ তাঁদের কয়েকজন কাজি দিয়েছিলেন। ২১পরে তাঁরা একজন বাদশাহ চাইলো। তখন আল্লাহ্ তাঁদের বিন্ইয়ামিন বংশের কিস্-এর ছেলে তালুতকে দিয়েছিলেন।

২২তিনি চল্লিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন। তারপর তিনি তাঁকে সরিয়ে হযরত দাউদ আ.কে বাদশাহ করলেন। তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ইয়াচ্ছার ছেলে দাউদের মধ্যে আমার মনের মতো লোকের খোঁজ পেয়েছি। সে আমার সমস্ত ইচ্ছাপূর্ণ করবে।’ ২৩তিনি তাঁর ওয়াদা অনুসারে এই লোকের বংশধরদের মধ্য থেকে বনি-ইস্্রাইলের কাছে নাজাতদাতা হযরত ইসা আ.-কে পাঠিয়েছেন।

২৪তাঁর আসার আগে হযরত ইয়াহিয়া আ. বনি-ইস্রাইলের কাছে তওবার বায়াত প্রচার করেছেন। ২৫তিনি তাঁর কাজ শেষ করার সময় বলেছিলেন, ‘আমি কে, তোমরা কী মনে করো? আমি তিনি নই, কিন্তু যিনি আমার পরে আসছেন, আমি তাঁর জুতার ফিতা খোলারও যোগ্য নই।’

২৬ভাইয়েরা, হে হযরত ইব্রাহিম আ. এর বংশধরেরা ও আল্লাহ্ভক্ত অইহুদিরা, নাজাতের এই যে কালাম, তা আমাদের কাছেই পাঠানো হয়েছে। ২৭কারণ জেরুসালেমের লোকেরা ও তাঁদের নেতারা তাঁকে চেনেনি। এছাড়া নবিদের যে-কথা প্রত্যেক সাব্বাতে তেলাওয়াত করা হয়, তাও তাঁরা বুঝতে পারেনি। তাঁরা তাঁকে দোষী করে সেই কথাগুলো পূর্ণ করেছেন।

২৮যদিও মৃত্যুর শাস্তি দেবার মতো কোনো কারণ তারা পায়নি, তবুও পিলাতকে তারা বলেছেন, যেনো তাঁকে হত্যা করা হয়। ২৯তাঁর বিষয়ে লেখা সবকিছু পূর্ণ করার পর তারা তাঁকে গাছ থেকে নামিয়ে দাফন করেছিলো। ৩০কিন্তু আল্লাহ্ তাঁকে মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছেন। ৩১এবং গালিল থেকে যাঁরা তাঁর সংগে জেরুসালেমে এসেছিলেন, তিনি অনেকদিন পর্যন্ত তাঁদের দেখা দিয়েছিলেন। এখন তাঁরাই লোকদের কাছে তাঁর সাক্ষী।

৩২আমরা আপনাদের কাছে এই সুখবর দিচ্ছি যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে আল্লাহ্ যে-ওয়াদা করেছিলেন, ৩৩তিনি তাঁদের বংশধরদের জন্য হযরত ইসা আ.কে জীবিত করে তুলে তা পূর্ণ করেছেন। এই বিষয়ে জবুর শরীফের দ্বিতীয় রুকুতে এ-কথা লেখা আছে- ‘তুমিই আমার একান্ত প্রিয়মনোনীত জন, আজই আমি তোমার প্রতি পালক হয়েছি।’

৩৪তিনি যে তাঁকে মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছেন এবং তাঁর শরীর যে আর কখনো নষ্ট হবে না, ৩৫সে-বিষয়ে তিনি এই কথাগুলো বলেছেন, ‘দাউদের কাছে করা আমার পবিত্র ওয়াদা আমি তোমাকে দেবো।’ এ-বিষয়ে জবুর শরীফের আরেক জায়গায় তিনি বলেছেন- ‘তোমার পবিত্র ভক্তের শরীরকে তুমি নষ্ট হতে দেবে না।’

৩৬কারণ হযরত দাউদ আ.তাঁর সময়ের লোকদের মধ্যে আল্লাহর উদ্দেশ্য পূর্ণ করার পরে ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর পূর্বপুরুষদের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে এবং তাঁর শরীর মাটিতে মিশে গেছে। ৩৭কিন্তু আল্লাহ যাঁকে জীবিত করেছিলেন, তাঁর শরীর নষ্ট হয়নি।

৩৮এ-জন্য আমার ভাইয়েরা, আপনাদের জানা দরকার যে, তাঁর নামের মাধ্যমেই নাজাত পাবার কথা আপনাদের কাছে প্রচার করা হচ্ছে। ৩৯আপনারা হযরত মুসা আ. এর শরিয়তের দ্বারা নাজাত পাননি, কিন্তু যে-কেউ হযরত ইসা মসিহের ওপর ইমান আনে, সে তার সমস্ত গুনাহ্ থেকে নাজাত পায়।

৪০এ-জন্য আপনারা সাবধান হোন, যেনো নবিরা যা বলেছেন, তা আপনাদের ওপর না-ঘটে- ৪১‘হে তামাসাকারীরা, তোমরা শোনো, তোমরা হতভম্ব হও ও ধ্বংস হও। কারণ তোমাদের সময়কালেই আমি একটি কাজ করছি। এমন কাজ, যা তোমরা কখনো বিশ্বাস করবে না; এমনকি কেউ বললেও না।’” ৪২হযরত পৌল রা. আর হযরত বার্নবাস র. যখন বের হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন লোকেরা তাঁদের অনুরোধ করলো, যেনো তাঁরা পরের সাব্বাতে এ-বিষয়ে আরো কিছু বলেন।

৪৩সিনাগোগের সভা শেষ হলে পর অনেক ইহুদি ও ইহুদি ধর্ম গ্রহণকারী আল্লাহ্ ভক্ত অইহুদিরা হযরত পৌল রা. আর হযরত বার্নবাস র.-র সংগে গেলেন। তাঁরা এই লোকদের উৎসাহ দিলেন, যেনো তাঁরা আল্লাহর রহমতের মধ্যে স্থির থাকেন।

৪৪পরের সাব্বাতে শহরের প্রায় সব লোক আল্লাহর কালাম শোনার জন্য এক সংগে মিলিত হলো। ৪৫কিন্তু এতো লোকের ভিড় দেখে ইহুদিরা হিংসায় জ্বলে উঠলেন এবং হযরত পৌল রা.র সংগে তর্কাতর্কি ও তাঁর নিন্দা করতে লাগলেন। ৪৬তখন হযরত পৌল রা. আর হযরত বার্নবাসর. সাহসের সংগে তাদের বললেন, “আল্লাহর কালাম প্রথমে আপনাদের কাছে বলা দরকার ছিলো কিন্তু আপনারা যখন তা অগ্রাহ্য করছেন এবং আল্লাহর দীনে দাখিলের যোগ্য বলে নিজেদের মনে করছেন না, তখন আমরা অইহুদিদের কাছে যাচ্ছি।

৪৭কারণ হযরত ইসা মসিহ আমাদেরকে এই হুকুম দিয়েছেন, ‘আমি তোমাকে অন্য জাতির কাছে আলোর মতো করেছি, যেনো তুমি দুনিয়ার শেষ সীমা পর্যন্ত নাজাত পৌঁছাতে পারো।’ ৪৮অইহুদিরা এ-কথা শুনে খুশি হলো এবং আল্লাহর কালামের গৌরব করলো। আর দীনে দাখিল হওয়ার জন্য আল্লাহ্ যাদের ঠিক করে রেখেছিলেন, তারা ইমান আনলো।

৪৯,৫০আল্লাহর কালাম সেই এলাকার সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়লো। কিন্তু ইহুদিরা আল্লাহর এবাদতকারী ভদ্র মহিলাদের এবং শহরের প্রধান-প্রধান লোকদের উসকে দিলো। এভাবে তাঁরা হযরত পৌল রা. আর হযরত বার্নবাস র. ওপর জুলুম করে সেই এলাকা থেকে তাঁদের তাড়িয়ে দিলো।

৫১তখন হযরত পৌল রা. আর হযরত বার্নবাস র. সেই লোকদের বিরুদ্ধে তাঁদের পায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলে ইকোনিয়ম শহরে চলে গেলেন। ৫২এবং সেখানকার উম্মতেরা আনন্দে ও আল্লাহর রুহে পূর্ণ হলো।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১

১,২মাননীয় থিয়ফিল, হযরত ইসা আ.কে বেহেস্তে তুলে নেবার আগ পর্যন্ত তিনি যা করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার সমস্তই আমি আগের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২

১পঞ্চাশতম দিনের ইদে যখন তারা সবাই এক জায়গায় মিলিত হলেন, ২তখন হঠাৎ আসমান থেকে জোর বাতাসের শব্দের মতো একটি শব্দ ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৩

১এক দিন বিকেল তিনটার এবাদতের সময় হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. বায়তুল-মোকাদ্দসে যাচ্ছিলেন। এবং জন্ম থেকেই খোঁড়া এক ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৪

১হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. যখন লোকদের সংগে কথা বলছিলেন, তখন ইমামেরা, বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রধান কর্মচারী ও সদ্দুকিরা তাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৫

১আনানিয়াস নামে এক লোক ও তার স্ত্রী সাফিরা একটি সম্পত্তি বিক্রি করলো। ২তার স্ত্রীর জানা মতেই বিক্রির কিছু টাকা সে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৬

১ঐ দিনগুলোতে যখন উম্মতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো, তখন গ্রীকরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো যে, প্রতিদিন খাবার বিতরণের সময় তাদের বিধবাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৭

১তখন প্রধান ইমাম হযরত স্তিফান র.কে জিজ্ঞেস করলেন, “এসব কি সত্যি?”২হযরত স্তিফান র. উত্তর দিলেন, “হে আমার ভাইয়েরা ও আমার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৮

১ হযরত শৌল রা. তাকে হত্যার অনুমোদন দিচ্ছিলেন।সেদিন জেরুসালেমে হযরত ইসা আ. এর অনুসারীদের ওপরে ভীষণ জুলুম শুরু হলো। তাতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৯

১-২এদিকে হযরত শৌল রা. হযরত ইসা মসিহের উম্মতদের হত্যা করার ভয় দেখাচ্ছিলেন।তিনি মহা-ইমামের কাছে গিয়ে দামেস্ক শহরের সিনাগোগগুলোতে দেবার জন্য ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১০

১কৈসরিয়া শহরে কর্নেলিয়াস নামে একজন লোক ইতালিয় সৈন্যদলের লেফটেন্যান্ট ছিলেন। ২তিনি আল্লাহ্ভক্ত ছিলেন এবং তিনি ও তার পরিবারের সবাই আল্লাহর ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১১

১অইহুদিরাও যে আল্লাহর কালামের ওপর ইমান এনেছেন, সে-কথা হাওয়ারিরা এবং সমস্ত ইহুদিয়ার ইমানদার ভাইয়েরা শুনলেন। ২এ-জন্য হযরত সাফওয়ান রা. যখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১২

১সেই সময় বাদশাহ হেরোদ জুলুম করার জন্য কওমের কয়েকজনকে ধরে এনেছিলেন। ২তিনি হযরত ইউহোন্না রা.-র ভাই হযরত ইয়াকুব রা.-কে তরবারি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৩

১ আন্তিয়খিয়ার অনুসারীদের মধ্যে কয়েকজন ওলি ও শিক্ষক ছিলেন। তাদের নাম হযরত বার্নবাস র., হযরত নিগের র. নামে পরিচিত সিমোন, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৪

১ইকোনিয়ম শহরেও একই ঘটনা ঘটলো। সেখানে হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. ইহুদিদের সিনাগোগে গিয়ে এমনভাবে কথা বললেন যে, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৫

১সেই সময় ইহুদিয়া থেকে কয়েকজন লোক এলেন এবং ভাইদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন যে, “হযরত মুসা আ. এর শরিয়ত মতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৬

১পরে হযরত পৌল রা. দেব্রা ও লুস্ত্রা শহরে গেলেন। সেখানে হযরত তিমথীয় র. নামে একজন উম্মত থাকতেন। তাঁর মা ছিলেন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৭

১হযরত পৌল রা. ও হযরত সিল র. আমফিপলি ও আপল্লো নিয়া হয়ে থিসালোনিকিতে এসে পৌঁছলেন। সেখানে ইহুদিদের একটি সিনাগোগ ছিলো। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৮

১এরপর হযরত পৌল রা. এথেন্স ছেড়ে করিন্থ শহরে গেলেন। সেখানে আকুইলা নামে এক ইহুদির সংগে তার দেখা হলো, জন্মসূত্রে তিনি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৯

১আপল্লো যখন করিন্থে ছিলেন, সেই সময় হযরত পৌল রা. সে-সব এলাক ঘুরে ইফিসে এলেন। ২সেখানে তিনি কয়েকজন ইমানদারের দেখা পেলেন। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২০

১গোলমাল থামার পর হযরত পৌল রা. ইমানদারদের ডেকে পাঠালেন। তাঁদের উৎসাহ দেবার পর তাঁদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি মেসিডোনিয়ার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২১

১তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা সোজা কোস দ্বীপে গেলাম। পরদিন আমরা রোডস দ্বীপে এলাম। তারপর সেখান থেকে পাতারা গেলাম। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২২

১“ভাইয়েরা ও পিতারা, এখন নিজের পক্ষে আমার উত্তর শুনুন।” ২তারা তাঁকে ইব্রানী ভাষায় কথা বলতে শুনে একেবারে চুপ হয়ে গেলো।৩তখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৩

১হযরত পৌল রা. সোজা মহাসভার লোকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আমার ভাইয়েরা, আজ পর্যন্ত আমি আল্লাহর সামনে পরিষ্কার বিবেকে জীবন-যাপন করছি।” ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৪

১পাঁচদিন পরে মহাইমাম অননিয় কয়েকজন ইহুদি বুজুর্গকে ও তর্তুল্লস নামে একজন উকিলকে নিয়ে সেখানে এলেন এবং গভর্নরের কাছে হযরত পৌল ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৫

১ফাস্তুস সেই প্রদেশে আসার তিনদিন পর কৈসরিয়া থেকে জেরুসালেমে গেলেন। ২সেখানে প্রধান ইমামেরা ও নেতারা তার কাছে গিয়ে পৌলের বিরুদ্ধে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৬

১তখন আগ্রিপ্প হযরত পৌল রা.-কে বললেন, “তোমার নিজের পক্ষে কথা বলার জন্য তোমাকে অনুমতি দেয়া গেলো।” ২তখন তিনি হাত বাড়িয়ে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৭

১যখন জাহাজে করে আমাদের ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, তখন হযরত পৌল রা. এবং আরো কয়েকজন বন্দিকে জুলিয়াস নামে সম্রাটের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৮

১,২আমরা নিরাপদে কিনারে পৌঁছে জানতে পারলাম যে, দ্বীপটার নাম মাল্টা। এর অধিবাসীরা আমাদের সংগে খুব দয়া দেখালো। তখন বৃষ্টি আরম্ভ ...