আল-মসিহঃ রুকু ১১ ও ১২

75558
Total
Visitors
অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন

রুকু - ১১

১ তারা জেরুসালেম যাবার পথে জৈতুন পাহাড়ের গায়ের বৈতফগি ও বেথানিয়া গ্রামের কাছে এলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি তাঁর দু’জন হাওয়ারিকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, “তোমরা সামনের গ্রামে যাও। ২ সেখানে ঢোকার সাথে সাথে তোমরা একটি বাচ্চা-গাধা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাবে। তার ওপর কোনো মানুষ কখনো বসেনি। ওটা খুলে নিয়ে এসো। ৩ যদি কেউ তোমাদের বলে, ‘কেনো তোমরা এটি খুলছো?’ তবে শুধু বলো, ‘হুজুরের এটি দরকার আছে এবং তিনি তাড়াতাড়ি এটি ফিরিয়ে দেবেন’।”


৪ তারা গিয়ে দেখলেন, বাচ্চা-গাধাটি দরজার কাছে রাস্তার পাশে বাঁধা আছে। ৫ তারা যখন ওটার বাঁধন খুলছিলেন, তখন যারা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের বললো, তোমরা কী করছো? ওটাকে খুলছো কেনো?” ৬ হযরত ইসা আ. তাদের যা বলতে বলেছিলেন, তারা তাদের তাই বললেন। তাতে তারা গাধাটি নিয়ে যেতে দিলো।


৭ তারা সেটিকে হযরত ইসা আ. এর কাছে আনলেন এবং তাদের গায়ের চাদর তার ওপর পেতে দিলেন। অতঃপর তিনি তার ওপর বসলেন। ৮ অনেকে তাদের গায়ের চাদর রাস্তার ওপর বিছিয়ে দিলো; অন্যেরা মাঠের গাছপালা থেকে পাতাসহ ডাল কেটে এনে পথের ওপর বিছিয়ে দিলো।


৯ যারা সামনে ও পেছনে যাচ্ছিলো, তারা চিৎকার করে বলতে লাগলো- “হোশান্না ! আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নামে যিনি আসছেন, তাঁর প্রশংসা হোক ! ১০ আমাদের পিতা হযরত দাউদ আ. এর যে-রাজ্য আসছে, তার প্রশংসা হোক! বেহেস্তেও হোশান্না!”


১১ অতঃপর তিনি জেরুসালেমে গিয়ে বায়তুল-মোকাদ্দসে ঢুকলেন এবং চারদিকের সবকিছু লক্ষ্য করলেন কিন্তু বেলা পড়ে যাওয়ায় সেই বারোজনকে নিয়ে বেথানিয়াতে চলে গেলেন।


১২ পরদিন তারা যখন বেথানিয়া ছেড়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর খিদে পেলো। ১৩ তিনি দূর থেকে পাতায় ঢাকা একটি ডুমুরগাছ দেখতে পেলেন এবং তাতে কোনোকিছু পাওয়া যায় কিনা তা দেখার জন্য কাছে গেলেন। কিন্তু কাছে গিয়ে তাতে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না; কারণ তখন ডুমুরের মৌসুম ছিলো না। ১৪ তিনি গাছটিকে বললেন, “আর কখনো কেউ যেনো তোমার ফল না খায়।” হাওয়ারিরা একথা শুনতে পেলেন।


১৫ অতঃপর তারা জেরুসালেমে পৌঁছলে তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসে ঢুকলেন এবং সেখানে যারা কেনাবেচা করছিলো, তাদের তাড়িয়ে দিলেন। তিনি টাকা বদল করে দেবার লোকদের টেবিল ও যারা কবুতর বিক্রি করছিলো, তাদের টেবিল উল্টে ফেললেন। ১৬ বায়তুল-মোকাদ্দসের ভেতর দিয়ে তিনি কাউকে কিছুই নিয়ে যেতে দিলেন না।


১৭ শিক্ষা দেবার সময় তিনি বললেন, “একথা কি লেখা নেই যে, ‘আমার ঘরকে দুনিয়ার সব জাতির এবাদতখানা বলা হবে’? কিন্তু তোমরা এটিকে ডাকাতের আড্ডাখানা করে তুলেছো !”


১৮ প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা একথা শুনে তাঁকে মেরে ফেলার উপায় খুঁজতে লাগলেন; কেননা তারা তাঁকে ভয় করতেন, কারণ লোকেরা তাঁর শিক্ষায় আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলো। ১৯ সন্ধ্যার পর হযরত ইসা আ. এবং তাঁর হাওয়ারিরা শহরের বাইরে চলে গেলেন।


২০ সকালে সে-পথ দিয়ে যাবার সময় তারা দেখলেন, ডুমুরগাছটি শেকড়সহ শুকিয়ে গেছে। ২১ তখন ওই কথা স্মরণ করে পিতর তাঁকে বললেন, “হুজুর, দেখুন, যে-ডুমুরগাছটিকে আপনি অভিশাপ দিয়েছিলেন তা শুকিয়ে গেছে!” ২২ উত্তরে ইসা তাদের বললেন, “আল্লাহর ওপর ইমান রাখো। ২৩ আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যদি কেউ অন্তরে কোনো সন্দেহ না রেখে এই পাহাড়টিকে বলে, ‘উঠে সাগরে গিয়ে পড়ো’ আর বিশ্বাস করে যে, সে যা বললো তাই হবে, তাহলে তার জন্য তা-ই করা হবে।


২৪ সেজন্য আমি তোমাদের বলছি, মোনাজাতে তোমরা যা-কিছু চাও, বিশ্বাস করো যে, তোমরা তা পেয়েছো, তাহলে তোমাদের জন্য তা-ই করা হবে। ২৫,২৬ তোমরা যখন এবাদত করো, তখন কারো বিরুদ্ধে যদি তোমাদের কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তাকে ক্ষমা করো, যেনো তোমাদের প্রতিপালক- যিনি বেহেস্তে থাকেন- তোমাদের গুনা মাফ করেন।”


২৭ অতঃপর তারা জেরুসালেমে পৌঁছলেন। তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসে হেঁটে বেড়াচ্ছেন, এমন সময় প্রধান ইমামেরা, আলিমরা ও বুজুর্গরা তাঁর কাছে এসে ২৮ জিজ্ঞেস করলেন, “কোন অধিকারে তুমি এসব করছো? কে তোমাকে এ-অধিকার দিয়েছে?”


২৯ উত্তরে হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “আমি তোমাদের একটি প্রশ্ন করবো। আমাকে উত্তর দাও, তাহলে আমিও তোমাদের বলবো, আমি কোন অধিকারে এসব করছি। ৩০ বলোতো , হযরত ইয়াহিয়া আ. তরিকা দেবার অধিকার পেয়েছিলেন আল্লাহ নাকি মানুষের কাছ থেকে?” ৩১ তারা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করলেন, “যদি আমরা বলি, ‘আল্লাহর কাছ থেকে,’ তাহলে সে বলবে, ‘তবে আপনারা তার ওপর ইমান আনেননি কেনো?’ ৩২ আবার যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে’, তাহলে?” তারা লোকদের ভয় করতেন, কারণ সকলেই হযরত ইয়াহিয়া আ.-কে একজন সত্যিকারের নবি বলেই মানতো। ৩৩ সুতরাং তারা তাঁকে উত্তর দিলেন, “আমরা জানি না।” তখন তিনি তাদের বললেন, “তাহলে আমিও তোমাদের বলবো না, কোন অধিকারে আমি এসব করছি।”

রুকু - ১২

১ অতঃপর তিনি দৃষ্টান্তের মধ্য দিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে লাগলেন- “এক লোক একটি আঙুরক্ষেত করে তার চারদিকে বেড়া দিলো। আঙুর থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য একটি গর্ত খুঁড়লো এবং একটি উঁচু পাহারাঘর তৈরি করলো। তারপর চাষীদের কাছে ক্ষেতটি বর্গা দিয়ে বিদেশে চলে গেলো ।


২ ফসল তোলার মৌসুমে সে আঙুরের ভাগ নিয়ে আসার জন্য তার একজন গোলামকে সেই চাষীদের কাছে পাঠিয়ে দিলো; ৩ কিন্তু তারা তাকে ধরে মারলো এবং খালি হাতে ফেরত পাঠালো। ৪ তারপর সে আরেকজন গোলামকে পাঠালো; কিন্তু তারা তার মাথায় আঘাত করলো এবং তাকে অপমান করলো। ৫ তারপর সে আরেকজনকে পাঠালো। তারা তাকে হত্যা করলো। পরে সে আরো অনেককে পাঠালো কিন্তু তারা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মারধর করলো আর অন্যদের হত্যা করলো।


৬ সেখানে পাঠাতে তার আর মাত্র একজন বাকি ছিলো- সে ছিলো তার প্রিয় পুত্র। শেষে সে তাকেই তাদের কাছে পাঠিয়ে দিলো। ভাবলো, ‘তারা অন্তত আমার ছেলেকে সম্মান করবে।’ ৭ কিন্তু সেই চাষীরা এই বলে পরামর্শ করতে লাগলো, ‘এ-ই তো উত্তরাধিকারী। চলো, আমরা ওকে হত্যা করি, তাহলে আমরাই স¤পত্তির মালিক হবো।’ ৮ সুতরাং তারা তাকে ধরে হত্যা করলো এবং আঙুরক্ষেতের বাইরে ফেলে দিলো। সুতরাং তারা তাকে ধরে হত্যা করার জন্য আঙুরক্ষেতের বাইরে ফেলে দিলো।


৯ তাহলে আঙুরক্ষেতের মালিক কী করবে? সে আসবে ও বর্গা চাষীদের ধ্বংস করবে এবং আঙুরক্ষেতটি অন্যদের হাতে দেবে। ১০ তোমরা কি পাককিতাবে পড়োনি: ‘রাজমিস্ত্রিরা যে-পাথরটি বাতিল করে দিয়েছিলো, সেটিই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠলো; ১১ এটি ছিলো আল্লাহর কাজ আর তা আমাদের চোখে খুব আশ্চর্য লাগে ?”


১২ যখন তারা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাদেরই বিরুদ্ধে এই দৃষ্টান্তটি দিয়েছেন, তখন তারা তাঁকে ধরতে চাইলেন; কিন্তু তারা জনতার ভয়ে ভীত ছিলেন। সুতরাং তারা তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেন।


১৩ পরে তারা তাঁকে তাঁর কথার ফাঁদে ফেলার জন্য কয়েকজন ফরিসি ও হেরোদীয়কে পাঠিয়ে দিলেন। ১৪ তারা তাঁর কাছে এসে বললেন, “হুজুর, আমরা জানি, আপনি একজন সৎলোক। লোকে কি মনে করবে বা না করবে, তাতে আপনার কিছু যায় আসে না; কারণ আপনি কারো মুখ চেয়ে কিছু করেন না। আপনি সত্যভাবে আল্লাহর পথের বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আমাদের বলুন, কাইসারকে কর দেয়া কি ঠিক? ১৫ আমরা তাকে কর দেবো নাকি দেবো না?” কিন্তু তিনি তাদের ভন্ডামি বুঝতে পেরে বললেন, “তোমরা কেনো আমাকে পরীক্ষা করছো? আমাকে একটি দিনার এনে দেখাও।” ১৬ তারা একটি দিনার আনলে পর তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, “এর ওপর এই ছবি ও নাম কার?” তারা বললেন, “কাইসারের।” ১৭ হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “যা কাইসারের তা কাইসারকে দাও আর যা আল্লাহর তা আল্লাহকে দাও।” এতে তারা তাঁর বিষয়ে খুবই আশ্চর্য হলেন।


১৮ সদ্দুকিরা- যারা বলেন, পুনরুত্থান বলে কিছু নেই- তাঁর কাছে এলেন ১৯ এবং তাঁকে প্রশ্ন করে বললেন, “হুজুর, হযরত মুসা আ. আমাদের জন্য একথা লিখে গেছেন, ‘যদি কারো ভাই সন্তানহীন অবস্থায় স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাহলে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করবে এবং সে ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা করবে ।’ ২০ তারা ছিলো সাত ভাই। প্রথমজন বিয়ে করে সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেলো। ২১ দ্বিতীয়জন তাকে বিয়ে করলো কিন্তু সেও সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেলো। ২২ তৃতীয়জনের অবস্থাও তা-ই হলো। এভাবে সাতজনের কারোই ছেলেমেয়ে হলো না। শেষে সেই মহিলাও মারা গেলো। ২৩ কেয়ামতের দিন যখন তারা জীবিত হয়ে উঠবে, তখন সে কার স্ত্রী হবে? কারণ সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিলো।”


২৪ হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “একারণেই কি তোমরা ভুল করছো না? কারণ তোমরা পাককিতাবও জানো না এবং আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কেও জানো না। ২৫ মৃতেরা যখন জীবিত হয়ে উঠবে, তখন তারা বিয়েও করবে না এবং তাদের বিয়ে দেয়াও হবে না; তখন তারা হবে বেহেস্তের ফেরেশতাদের মতো।


২৬ মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠার বিষয়ে হযরত মুসা আ. এর কিতাবে লেখা জ্বলন্ত ঝোপের কথা কি তোমরা পড়োনি? আল্লাহ কীভাবে তাকে বলেছিলেন, ‘আমি ইবরাহিমের আল্লাহ, ইসহাকের আল্লাহ ও ইয়াকুবের আল্লাহ ?’ ২৭ তিনি তো মৃতদের আল্লাহ নন, তিনি জীবিতদেরই আল্লাহ। তোমরা ভীষণ ভুল করছো।”


২৮ একজন আলিম কাছে এসে তাদের তর্কাতর্কি শুনলেন। তিনি যে তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তা লক্ষ্য করে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুকুমগুলোর মধ্যে কোনটি প্রথম?”


২৯ হযরত ইসা আ. উত্তর দিলেন, “প্রথমটি এই- ‘হে ইসরাইল, শোনো, যিনি আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, তিনি একজনই; ৩০ আর তুমি তোমার সম্পূর্ণ হৃদয়, মন, প্রাণ এবং সামর্থ্য দিয়ে তোমার প্রতিপালক আল্লাহকে মহব্বত করবে’ । ৩১ এবং দ্বিতীয়টি এই- ‘তুমি তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতো মহব্বত করবে’। এই দুটোর চেয়ে উত্তম আর কোনো হুকুম নেই ।”


৩২ তখন সেই আলিম তাঁকে বললেন, “হুজুর, খুব ভালো কথা। আপনি সত্য কথাই বলেছেন যে, তিনি এক এবং অদ্বিতীয়, তাঁর শরিক নেই । ৩৩ আর সম্পূর্ণ হৃদয়, বুদ্ধি ও সামর্থ্য দিয়ে তাঁকে মহব্বত করা এবং প্রতিবেশীকে নিজের মতো মহব্বত করা সবরকমের দান ও কোরবানির চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”


৩৪ হযরত ইসা আ. যখন দেখলেন যে, তিনি বুদ্ধিমানের মতো উত্তর দিয়েছেন, তখন তাকে বললেন, “আল্লাহর রাজ্য থেকে তুমি বেশি দূরে নও।” এরপর থেকে তাঁকে আর কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে কারো সাহস হলো না।


৩৫ বায়তুল-মোকাদ্দসে শিক্ষা দেবার সময় হযরত ইসা আ. জিজ্ঞেস করলেন, “আলিমরা কেমন করে বলেন যে, মসিহ হযরত দাউদ আ. এর সন্তান? ৩৬ হযরত দাউদ আ. নিজেই তো আল্লাহর রুহের পরিচালনায় বলেছেন- ‘আল্লাহ আমার মনিবকে বললেন, যতোক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের তলায় রাখি, ততোক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বসো ।’ ৩৭ তিনি নিজেই যখন তাঁকে মনিব বলেছেন, তখন কেমন করে মসিহ তার সন্তান হতে পারেন?” অনেক লোক আনন্দের সাথে তাঁর কথা শুনছিলো।


৩৮ তাঁর শিক্ষার ভেতর তিনি বললেন, “আলিমদের সম্বন্ধে সাবধান হও। তারা লম্বা লম্বা জুব্বা পরে বেড়াতে, হাটবাজারে সালাম পেতে ৩৯ এবং সিনাগোগের প্রধান আসনে ও ভোজসভায় সম্মানের জায়গায় বসতে চায়। ৪০ একদিকে তারা বিধবাদের ঘরবাড়ি দখল করে, অন্যদিকে দেখাবার জন্য লম্বা লম্বা মোনাজাত করে। নিশ্চয়ই এরা কঠিন শাস্তির অন্তর্ভুক্ত।”


৪১ তিনি দানবাক্সের কাছে বসে লোকদের টাকাপয়সা দান করা লক্ষ্য করছিলেন। ৪২ অনেক ধনীলোক প্রচুর টাকা দান করলো। এক গরিব বিধবা এসে মাত্র দুটো তামার মুদ্রা রাখলো- যার মূল্য দু’আনার মতো। ৪৩ তখন তিনি তাঁর হাওয়ারিদেরকে ডেকে বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, এই গরিব বিধবা অন্য সকলের চেয়ে অনেক বেশি দান করেছে। ৪৪ কেননা খরচ করার পরে যা বাকি ছিলো লোকেরা তা থেকে দান করেছে; কিন্তু এই মহিলার অভাব থাকা সত্ত্বেও বেঁচে থাকার জন্য তার যা ছিলো, সবই দান করেছে।”

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
আল-মসিহঃ রুকু -১ ও ২

আল-মসিহঃ রুকু -১ ও ২

রুকু: ১ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ১ হযরত ইসা মসিহ আ. এর ইঞ্জিলের শুরু; ইনি আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন । ২ ...
আল-মসিহঃ রুকু -৩ ও ৪

আল-মসিহঃ রুকু -৩ ও ৪

রুকু ৩ ১ হযরত ইসা আ. আবার সিনাগোগে গেলেন। সেখানে এক লোক ছিলো, যার একটি হাত শুকিয়ে গিয়েছিলো। ২ সাব্বাতে ...
আল মসিহঃ রুকু - ৫ ও ৬

আল মসিহঃ রুকু – ৫ ও ৬

রুকু ৫ ১ তারা লেক পার হয়ে গেরাসেনিদের এলাকায় গেলেন। ২ তিনি নৌকা থেকে নামার সাথে সাথেই ভূতে পাওয়া এক ...
আল-মসিহঃ রুকু ৭ ও ৮

আল-মসিহঃ রুকু ৭ ও ৮

রুকু - ৭ ১ কয়েকজন ফরিসি ও আলিম জেরুসালেম থেকে এসে তাঁর চারপাশে জড়ো হলেন। ২ তারা দেখলেন, কয়েকজন উম্মত ...
আল-মসিহঃ রুকু ৯ ও ১০

আল-মসিহঃ রুকু ৯ ও ১০

রুকু - ৯ ১ তিনি তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, এখানে এমন কয়েকজন আছে, যাদের কাছে আল্লাহর রাজ্য মহাশক্তিতে ...
আল-মসিহঃ রুকু ১১ ও ১২

আল-মসিহঃ রুকু ১১ ও ১২

রুকু - ১১ ১ তারা জেরুসালেম যাবার পথে জৈতুন পাহাড়ের গায়ের বৈতফগি ও বেথানিয়া গ্রামের কাছে এলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি ...
আল-মসিহ, রুকুঃ ১৩ ও ১৪

আল-মসিহ, রুকুঃ ১৩ ও ১৪

রুকু ১৩ ১ বায়তুল-মোকাদ্দস থেকে বেরিয়ে যাবার সময় হাওয়ারিদের মধ্যে একজন তাঁকে বললেন, “হুজুর, দেখুন, কেমন বাছাই করা পাথর আর ...
আল-মসিহঃ রুকু- ১৫ ও ১৬

আল-মসিহঃ রুকু- ১৫ ও ১৬

রুকু ১৫ ১ফজরের পরেই প্রধান ইমামেরা বুজুর্গ, আলেম ও মহাসভার সমস্ত লোকের সাথে পরামর্শ করলেন। তারা হযরত ইসা আ.কে বেঁধে ...