(১) আমরা যারা সবল, আমাদের উচিত নিজেদের সন্তুষ্ট না করে বরং দুর্বলদের দুর্বলতাগুলো সহ্য করা। (২) আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদেও নিজ নিজ প্রতিবেশীকে সন্তুষ্ট করা, যেনো তাকে গড়ে তোলা যায়। (৩) কেননা মসিহ নিজেকে সন্তুষ্ট করেননি; কিন্তু যেমনটি লেখা আছে, “যারা তোমাকে অপমান করে, তাদের সেই অপমান আমার ওপরে পড়েছে।”
(৪) আগেকার দিনে যা কিছু লেখা হয়েছিলো, তা আমাদের শিক্ষার জন্যই লেখা হয়েছিলো, যেনো ধৈর্য এবং পাক-কিতাবের উৎসাহের মাধ্যমে আমরা আশা পাই। (৫) দৈর্য ও উৎসাহদাতা আল্লাহ্ তোমাদেরকে, মসিহ হযরত ইসা আ. এর অনুসারী হয়ে একে অপরের সাথে একতাবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করার তৌফিক দান করো,
(৬) যাতে তোমরা সবাই একসাথে এক স্বরে আমাদের হযরত ইসা মসিহের প্রতিপালক আল্লাহর প্রশংসা করতে পারো।
(৭) সুতরাং আল্লাহর মহিমার জন্য হযরত ইসা মসিহ যেভাবে তোমাদেরকে গ্রহণ করেছেন, সেভাবে তোমরাও একজন অন্যজনকে গ্রহণ করো।
(৮) আমি তোমাদের বলছি, মসিহ আল্লাহর সত্যের পক্ষে খতনাকারীদের খেদমতকারী হয়েছিলেন, যেনো তিনি পূর্বপুরুষদের কাছে দেয়া আল্লাহর ওয়াদাগুলো নিশ্চিত করতে পারেন, (৯) এবং যেনো অইহুদিরা আল্লাহর দয়ার জন্য তাঁর প্রশংসা করে। যেমনটি যবুর শরিফে লেখা আছে, “অতএব আমি অইহুদিদের মধ্যে তোমার প্রশংসা করবো, এবং তোমার নামের প্রশংসা করবো”; (১০) তিনি আবার বলেছেন, “হে অইহুদিরা, তোমরা তাঁর লোকদের সাথে আনন্দ করো”; (১১) তিনি আবার বলেন, “হে অইহুদিরা, তোমরা সবাই রাব্বুল আ’লামিনের গুণগান করো, এবং সমস্ত জাতি তাঁর প্রশংসা করুক”; (১২) আবার হযরত ইসাইয়া আ. বলেন, “ইয়াচ্ছার মূল আসবেন, তিনি অইহুদিদের উপরে কর্তৃত্ব করবেন; আর অইহুদিরা তাঁর উপরে আশা রাখবে।”
(১৩) প্রত্যাশার আল্লাহ তোমাদেরকে, ইমানের মধ্য দিয়ে, সমস্ত আনন্দ ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যাতে আল্লাহ্র রুহের ক্ষমতায় তোমরা প্রত্যাশায় উপচে পড়তে পারো।
(১৪) আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের ব্যাপারে আমি নিজে নিশ্চিতভাবে মনে করি যে, তোমরা নিজেরাই সদ্গুণের ভাণ্ডার, সমস্ত রকম জ্ঞানে পরিপূর্ণ, এবং একজন অন্যজনকে শিক্ষা দিতে সক্ষম।
(১৫-১৬) তবুও আল্লাহর দেয়া অনুগ্রহের জন্য আমি তোমাদের কিছু বিষয় স্মরণ করিয়েদেবার জন্য আমি সাহস করে তোমাদের কাছে লিখছি, কারণ আল্লাহ আমাকে তাঁর সুখবরের খাদেমের কাজে অইহুদিদের কাছে মসিহ হযরত ইসা আ. এর খাদেম হিসাবে নিযুক্ত করেছেন, যাতে অইহুদিদের উপহার বা কোরবানী আল্লাহর রুহের দ্বারা পাক-সাফ হয়ে গ্রহনযোগ্য হয়।
(১৭) অতএব, হযরত ইসা মসিহের কারণে আল্লাহর কাজের বিষয়ে আমার গর্ব করার কারণ আছে।
(১৮) অইহুদিদের বাধ্যতা লাভ করার জন্য হযরত ইসা মসিহ আমার মাধ্যমে যে-কাজ করেছেন, তার বাইরে কোনো কিছু বলার সাহস আমি দেখাবো না। তাঁর কথায় ও কাজে, (১৯) নানা নিদর্শন ও মুজিযার শক্তিতে, আল্লাহর রুহের ক্ষমতায়, যাতে আমি জেরুসালেম থেকে শুরু করে ইল্লিরিকাম পর্যন্ত মসিহের সুখবর পূর্ণরূপে প্রচার করতে পারি।
(২০) তাই আমি স্থির করেছি যে, যেসব জায়গায় মসিহের নাম প্রচারিত হয়নি, সেসব জায়গায় সুখবর প্রচার করাকে আমি আমার লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছি, যাতে অন্য কারো ভিত্তির ওপর গেঁথে তুলতে না হয়; (২১) কিন্তু কিতাবে যেমন লেখা আছে, “যাদের কাছে তাঁর কথা কখনো বলা হয়নি তারা দেখতে পাবে, এবং যারা তাঁর কথা কখনো শোনেনি তারা বুঝতে পারবে।”
(২২) এজন্যই তোমাদের কাছে আসতে আমি বারবার বাধা পেয়েছি। (২৩) কিন্তু এখন, এই অঞ্চলে আমার আর কোনো জায়গা নেই; আমি অনেক বছর যাবত যেমন আশা ও ইচ্ছা করে আসছি, তেমনি তোমাদের কাছে আসতে চাইছি।
(২৪) যখন আমি স্পেন যাবো, আমার যাত্রা পথে আমি তোমাদেরকে দেখতে পাবো বলে আশা করছি; তখন তোমাদের সাথে কিছুদিন আনন্দে কাটাবার পর তোমরাই আমাকে স্পেন পাঠাবে।
(২৫) এই সময়ে আমি মুমিনদের খেদমত করার উদ্দেশ্যে জেরুশালেম যাচ্ছি; (২৬) কারণ মাকিদনিয়া ও আখায়ার ভাই-বোনেরা জেরুশালেমে মুমিনদের মধ্যে যারা গরিব, তাদের সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত হয়েছেন।
(২৭) তাঁরা আনন্দের সাথেই তা করেছেন, আর আসলেই তাঁরা জেরুশালেমের মুমিনদের কাছে ঋণী; কারণ যদি এই অইহুদিরা মুমিনদের রুহানি রহমতের ভাগ পান, তাহলে নিশ্চয়ই মুমিনরা তাদের পার্থিব বিষয়ের ভাগ পাবার অধিকারী।
(২৮) তাই আমার কাজ শেষ হলে, এবং এই সংগৃহীত দান তাঁদের হাতে তুলে দেবার পর, আমি তোমাদের ওখান হয়ে স্পেনের উদ্দেশে রওনা হবো; (২৯) এবং আমি জানি যে, আমি যখন তোমাদের কাছে আসবো, তখন মসিহের পরিপূর্ণ রহমত ও বরকত নিয়েই আসবো।
(৩০) ভাই ও বোনেরা, হযরত ইসা মসিহের নামে ও আল্লাহর রুহের মহব্বতের খাতিরে, আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা আমার জন্য আল্লাহর কাছে আন্তরিক মোনাজাতে আমার সাথে যুক্ত হও, (৩১) যেনো আমি ইহুদিয়ার অবিশ্বাসীদের হাত থেকে রক্ষা পাই, এবং জেরুসালেমের ওলিদের ও মুমিনদের কাছে আমার খেদমতের কাজ যেনো গ্রহসযোগ্য হয়; (৩২) যাতে আল্লাহর ইচ্ছায় আমি আনন্দের সাথে তোমাদের কাছে আসতে পারি এবং তোমাদের সান্নিধ্যে সতেজ হতে পারি।
(৩৩) শান্তিদাতা আল্লাহ তোমাদের সবার সাথে থাকুন। আমিন।
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
রোমীয়: রুকু – ১
১:১ আমি পৌল, হযরত ইসা মসিহের গোলাম, হাওয়ারি হওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আল্লাহর সুখবর প্রচারের জন্য আমাকে আলাদা করা ...
রোমীয়: রুকু – ২
(২:১) অতএব, তুমি যে-ই হও না কেনো, তুমি যখন অন্যের বিচার করো, তখন তোমার কোনো অজুহাত নেই; কারণ অন্যের বিচারের ...
রোমীয়: রুকু – ৩
(৩:১) তাহলে একজন ইহুদির কি সুবিধা আছে? বা খত্না করানোর কি মূল্য আছে? (২) সবদিক দিয়েই অনেক লাভ আছে। প্রথমত ...
রোমীয়: রুকু – ৪
(৪:১) তাহলে দৈহিক সম্পর্কের দিক থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. সম্বন্ধে আমরা কী বলবো? তিনি কী পেয়েছিলেন? (২) হযরত ...
রোমীয়: রুকু – ৫
(১) অতএব, ইমানের দ্বারা ধার্মিক বলে গণ্য হওয়ায়, আমাদের নেতা হযরত ইসা মসিহের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আমাদের শান্তি আছে, (২) ...
রোমীয়: রুকু – ৬
(৬:১) তাহলে আমরা কী বলবো? অনুগ্রহ যাতে উপচে পড়ে সেজন্য আমরা কি গুনাহ করতেই থাকবো? (২) কখনোই না! আমরা যারা ...
রোমীয়: রুকু – ৭
(৭:১) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমরা কি জানো না, কারণ আমি তাদের সাথে কথা বলছি, যারা শরিয়ত জানে একজন মানুষ ...
রোমীয়: রুকু – ৮
(৮:১) অতএব, যারা মসিহ ইসাকে গ্রহণ করেছে, তাদের ওপর আর কোনো শাস্তি নেই। (২) কারণ হযরত ইসা মসিহের জীবন দায়ী ...
রোমীয়: রুকু – ৯
(১) মসিহের সাথে যুক্ত থেকে আমি সত্য বলছি- আমি মিথ্যা বলছি না; আল্লাহর রুহের দ্বারা আমার বিবেক নিশ্চিত করছে যে- ...
রোমীয়: রুকু – ১০
(১) ভাই ও বোনেরা, তাদের জন্য আমার অন্তরের আকাঙ্ক্ষা ও আল্লাহর কাছে মোনাজাত এই যে, তারা যেনো নাজাত পায়।২) তাদের ...
রোমীয়: রুকু – ১১
(১) তাহলে আমার প্রশ্ন, আল্লাহ কি তাঁর লোকদেরকে পরিত্যাগ করেছেন? কখনোই না! আমি নিজে একজন ইস্রাইলীয়, হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর, ...
রোমীয়: রুকু – ১২
(১) সুতরাং, ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর অপার অনুগ্রহের জন্য, আমি তোমাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, তোমরা তোমাদের শরীরকে আল্লাহর কাছে কবুল ...
রোমীয়: রুকু – ১৩
(১৩:১) প্রত্যেক ব্যাক্তি শাসনকর্তাদের অধীনতা মেনে চলুক; কারণ এমন কোনো কর্তৃত্ব নেই, যা আল্লাহর কাছ থেকে আসে না, এবং প্রচলিত ...
রোমীয়: রুকু – ১৪
(১৪:১) যাদের ইমান দুর্বল, তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করো, কিন্তু অভিমত বা মতবাদ নিয়ে ঝগড়া করার জন্য নয়। (২) কেউ কেউ ...
রোমীয়: রুকু – ১৫
(১) আমরা যারা সবল, আমাদের উচিত নিজেদের সন্তুষ্ট না করে বরং দুর্বলদের দুর্বলতাগুলো সহ্য করা। (২) আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদেও ...
রোমীয়: রুকু – ১৬
(১) আমি তোমাদের কাছে আমাদের বোন ফৈবির প্রশংসা করছি, তিনি কিংক্রিয়ার ইমানদার দলের একজন খাদেম, (২) তাই আল্লাহর দরবেশদের যেভাবে ...
















