(১) ভাই ও বোনেরা, তাদের জন্য আমার অন্তরের আকাঙ্ক্ষা ও আল্লাহর কাছে মোনাজাত এই যে, তারা যেনো নাজাত পায়।
২) তাদের পক্ষে আমি এই সাক্ষ্য দিতে পারি যে, আল্লাহর প্রতি তাদের গভীর উৎসাহ আছে, কিন্তু তা আলোকিত নয়।
৩) কারণ যে-ধার্মিকতা আল্লাহর কাছ থেকে আসে, সে-সম্বন্ধে তারা অজ্ঞ ছিলো, এবং তারা তাদের নিজস্ব ধার্মিকতা প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করছিলো; তাই তারা আল্লাহর ধার্মিকতার কাছে নিজেদেরকে সম্পর্পণ করেনি।
(৪) কারণ মসিহ হলেন শরিয়তের শেষ, যাতে যারা ইমান আনে তারা প্রত্যেক ধার্মিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
(৫) শরিয়তের ভেতর দিয়ে যে ধার্মিকতা আসে, সে-সম্বন্ধে হযরত মুসা আ. লিখেছেন, “যে-লোক এসব বিষয় পালন করে, সে এগুলোর মাধ্যমেই জীবন পাবে।”
(৬) কিন্তু ইমান আনার মাধ্যমে যে-ধার্মিকতা লাভ করা যায়, তা একথা বলে- “তোমরা মনে মনে বলো না যে, ‘কে বেহেস্তে উঠবে? ’” অর্থাৎ মসিহকে আনার জন্য কে বেহেস্তে উঠবে? (৭) “অথবা ‘কে পাতালে নামবে’”? অর্থাৎ মৃতদের মধ্য থেকে মসিহকে উঠিয়ে আনার জন্য কে পাতালে নামবে?
(৮) তাহলে একথার অর্থ কী? “কালাম তোমার কাছে, তোমার মুখে ও তোমার অন্তরে আছে” (অর্থাৎ ইমানের কালাম যা আমরা ঘোষনা করি); (৯) কারণ, তুমি যদি মুখে হযরত ইসা আ. কে মুনিব বলে স্বীকার করো এবং অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করো যে, আল্লাহ তাঁকে মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছেন, তাহলে তুমি নাজাত পাবে।
(১০) কেননা, কেউ অন্তরে ইমান আনলে ধার্মিক বলে গণ্য হয়, এবং যে কেউ মুখে স্বীকার করে সে নাজাত পায়।
(১১) হযরত ইশাইয়া আ. এর কিতাবে লেখা আছে, “যে কেউ বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হবে না।” (১২) কারণ, ইহুদি ও অইহুদির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই; সকলের আল্লাহ সেই একই আল্লাহ, এবং যারা তাঁকে ডাকে, তাদের সবার প্রতি তিনি দয়ালু।
(১৩) কারণ, “যে কেউ রাব্বুল আ’লামিনের নামে ডাকে, সে নাজাত পাবে।” (১৪) কিন্তু যাঁর ওপরে তারা ইমান আনেনি, তাঁকে তারা ডাকবে কীভাবে? এবং যাঁর বিষয়ে তারা কখনো শোনেনি, তাঁর ওপরে তারা কীভাবে ইমান আনবে? এবং কেউ যদি তাঁর কথা তাদের না বলে তাহলে তারা কীভাবে শুনবে? (১৫) আর তাদেরকে পাঠানো না হলে তারা কীভাবে তাঁর কথা প্রচার করবে? যেমন হযরত ইশাইয়া আ. ও হযরত নহিমিয়া আ. এর কিতাবে লেখা আছে, “যারা সুখবর প্রচার করে তাদের পা কতোই না সুন্দর!” (১৬) কিন্তু সবাই সুখবরের বাধ্য হয়নি; একারণে হযরত ইসাইয়া আ. বলেন, “ইয়া রাব্বুল আ’লামি, আমাদের কথায় কে ইমান এনেছে?”
(১৭) সুতরাং ইমান আসে শোনার মধ্য দিয়ে, আর যা শোনা যায় তা আসে মসিহের প্রচারিত বাণীর মধ্য দিয়ে। (১৮) কিন্তু আমি জিজ্ঞেস করি, তারা কি শুনতে পায়নি? নিশ্চয়ই তারা শুনতে পেয়েছে; কারণ “তাদের আওয়াজ সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, এবং তাদের বাণী দুনিয়ার শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ।”
(১৯) আমি আবার জিজ্ঞেস করি, বনি-ইস্রাইল কি বুঝতে পারেনি? প্রথমে হযরত মুসা আ. বলেন, “যারা কোনো জাতিই নয়, তাদের মাধ্যমে আমি তোমাদের হিংসা জাগিয়ে তুলবো; একটি বোকা জাতিকে দিয়ে আমি তোমাদেরকে রাগিয়ে তুলবো।”
(২০) পরে হযরত ইসাইয়া আ. আরো সাহসের সাথে বলেছেন, “যারা আমার খোঁজ করেনি, তারা আমাকে পেয়েছে; যারা আমাকে ডাকেনি, তাদের কাছে আমি নিজেকে প্রকাশ করেছি।”
(২১) কিন্তু বনি-ইস্রাইলের বিষয়ে তিনি বলেছেন, “আমি সারাদিন ধরে এক অবাধ্য ও একগুঁয়ে জাতির দিকে আমার হাত বাড়িয়ে রয়েছি।”
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
রোমীয়: রুকু – ১
১:১ আমি পৌল, হযরত ইসা মসিহের গোলাম, হাওয়ারি হওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আল্লাহর সুখবর প্রচারের জন্য আমাকে আলাদা করা ...
রোমীয়: রুকু – ২
(২:১) অতএব, তুমি যে-ই হও না কেনো, তুমি যখন অন্যের বিচার করো, তখন তোমার কোনো অজুহাত নেই; কারণ অন্যের বিচারের ...
রোমীয়: রুকু – ৩
(৩:১) তাহলে একজন ইহুদির কি সুবিধা আছে? বা খত্না করানোর কি মূল্য আছে? (২) সবদিক দিয়েই অনেক লাভ আছে। প্রথমত ...
রোমীয়: রুকু – ৪
(৪:১) তাহলে দৈহিক সম্পর্কের দিক থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. সম্বন্ধে আমরা কী বলবো? তিনি কী পেয়েছিলেন? (২) হযরত ...
রোমীয়: রুকু – ৫
(১) অতএব, ইমানের দ্বারা ধার্মিক বলে গণ্য হওয়ায়, আমাদের নেতা হযরত ইসা মসিহের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আমাদের শান্তি আছে, (২) ...
রোমীয়: রুকু – ৬
(৬:১) তাহলে আমরা কী বলবো? অনুগ্রহ যাতে উপচে পড়ে সেজন্য আমরা কি গুনাহ করতেই থাকবো? (২) কখনোই না! আমরা যারা ...
রোমীয়: রুকু – ৭
(৭:১) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমরা কি জানো না, কারণ আমি তাদের সাথে কথা বলছি, যারা শরিয়ত জানে একজন মানুষ ...
রোমীয়: রুকু – ৮
(৮:১) অতএব, যারা মসিহ ইসাকে গ্রহণ করেছে, তাদের ওপর আর কোনো শাস্তি নেই। (২) কারণ হযরত ইসা মসিহের জীবন দায়ী ...
রোমীয়: রুকু – ৯
(১) মসিহের সাথে যুক্ত থেকে আমি সত্য বলছি- আমি মিথ্যা বলছি না; আল্লাহর রুহের দ্বারা আমার বিবেক নিশ্চিত করছে যে- ...
রোমীয়: রুকু – ১০
(১) ভাই ও বোনেরা, তাদের জন্য আমার অন্তরের আকাঙ্ক্ষা ও আল্লাহর কাছে মোনাজাত এই যে, তারা যেনো নাজাত পায়।২) তাদের ...
রোমীয়: রুকু – ১১
(১) তাহলে আমার প্রশ্ন, আল্লাহ কি তাঁর লোকদেরকে পরিত্যাগ করেছেন? কখনোই না! আমি নিজে একজন ইস্রাইলীয়, হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর, ...
রোমীয়: রুকু – ১২
(১) সুতরাং, ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর অপার অনুগ্রহের জন্য, আমি তোমাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, তোমরা তোমাদের শরীরকে আল্লাহর কাছে কবুল ...
রোমীয়: রুকু – ১৩
(১৩:১) প্রত্যেক ব্যাক্তি শাসনকর্তাদের অধীনতা মেনে চলুক; কারণ এমন কোনো কর্তৃত্ব নেই, যা আল্লাহর কাছ থেকে আসে না, এবং প্রচলিত ...
রোমীয়: রুকু – ১৪
(১৪:১) যাদের ইমান দুর্বল, তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করো, কিন্তু অভিমত বা মতবাদ নিয়ে ঝগড়া করার জন্য নয়। (২) কেউ কেউ ...
রোমীয়: রুকু – ১৫
(১) আমরা যারা সবল, আমাদের উচিত নিজেদের সন্তুষ্ট না করে বরং দুর্বলদের দুর্বলতাগুলো সহ্য করা। (২) আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদেও ...
রোমীয়: রুকু – ১৬
(১) আমি তোমাদের কাছে আমাদের বোন ফৈবির প্রশংসা করছি, তিনি কিংক্রিয়ার ইমানদার দলের একজন খাদেম, (২) তাই আল্লাহর দরবেশদের যেভাবে ...
















