রোমীয়: রুকু – ৬

214463
Total
Visitors
(৬:১) তাহলে আমরা কী বলবো? অনুগ্রহ যাতে উপচে পড়ে সেজন্য আমরা কি গুনাহ করতেই থাকবো? (২) কখনোই না! আমরা যারা গুনাহের কাছে মরেছি, আমরা কীভাবে আবার গুনাহের মধ্যে জীবন-যাপন করতে পারি? (৩) তোমরা কি জানো না যে, আমরা যারা মসিহ হযরত ইসা আ. এর উদ্দেশে বায়াত গ্রহণ করেছি, তারা সবাই তাঁর মৃত্যুর মধ্যে বায়াত গ্রহণ করেছি?

(৪) কাজেই মৃত্যুর মধ্যে বায়াত গ্রহণের দ্বারা আমরা তাঁর সাথে কবরস্ত বা সমাহিত হয়েছি, যাতে প্রতিপালকের মহিমার গুণে হযরত ইসা মসিহ যেভাবে মৃত থেকে জীবিত হয়ে উঠেছিলেন, ঠিক সেভাবে আমরাও জীবনের নতুনতায় চলতে পারি।

(৫) কারণ আমরা যদি তাঁর মৃত্যুর মতো মৃত্যুতে তাঁর সাথে একীভূত হয়ে থাকি, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা তাঁর পুনরুত্থানের মতো পুনরুত্থানেও তাঁর সাথে একীভূত হবো।

(৬) আমরা জানি যে, আমাদের পুরোনো আমিকে বা সত্ত্বাকে তাঁর সাথে সলিবে হত্যা করা হয়েছিলো, যেনো আমাদের গুনাহের শরীর ধ্বংস হয় এবং আমরা আর গুনাহের গোলামীতে না থাকি। (৭) কারণ, যে মারা গেছে, সে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়েছে।

(৮) কিন্তু আমরা যদি মসিহের সাথে ইন্তেকাল করে থাকি, তাহলে আমরা বিশ্বাস করি যে, তাঁর সাথে আমরা জীবিতও থাকবো। (৯) আমরা জানি যে, মসিহ মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন বলে তিনি আর মৃত্যুবরণ করবেন না; তাঁর উপরে মৃত্যুর আর কোনো কর্তৃত্ব নেই।

(১০) যে মৃত্যুতে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন, গুনাহের জন্য একবারই তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন; কিন্তু যে জীবন তিনি যাপন করেন, তা আল্লাহর জন্যই যাপন করেন। (১১) ঠিক সেইভাবে তোমরাও নিজেদেরকে গুনাহের কাছে মৃত বলে মনে করো এবং মসিহ হযরত ইসাতে আল্লাহর কাছে জীবিত বলে মনে করো।

(১২) সুতরাং গুনাহকে তোমাদের মরণশীল শরীরের উপর রাজত্ব করতে দিও না, যাতে তোমরা তার সমস্ত কামন-বাসনার অধীন না হও।

(১৩) আর তোমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো গুনাহের হাতে তুলে দিও না, বরং মৃত থেকে জীবিত হয়ে আল্লাহর কাছে নিজেদের তুলে দাও, আর ধার্মিকতার হাতিযার হিসাবে আল্লাহর কাছে তোমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো তুলে দাও। (১৪) কারণ গুনাহ তোমাদরে উপর র্কতৃত্ব করবে না, কারণ তোমরা শরয়িতরে অধীন নও, বরং অনুগ্রহরে অধীনে রয়ছেো।

(১৫) তাহলে কী দাঁড়ালো? আমরা শরিয়তের অধীনে নই কিন্তু অনুগ্রহরে অধীনে আছি বলে কি গুনাহ করবো? কখনোই না!

(১৬) তোমরা কি জানো না যে, তোমরা যদি নিজেদেরকে কারো কাছে বাধ্য গোলাম হিসাবে সমর্পণ করো, তাহলে তোমরা যার হুকুম পালন করো, তোমরা তো তাঁরই গোলাম? হয় তোমরা গুনাহের গোলাম, যা মৃত্যু ডেকে আনে, অথবা হুকুম পালনের গোলাম, যা ধার্মিকতার দিকে নিয়ে যায়।

(১৭) কিন্তু আল্লাহর ধন্যবাদ হোক যে, তোমরা একসময় গুনাহের গোলাম ছিলে, কিন্তু তোমাদেরকে যে শিক্ষা দেয়া হয়েছিলো, তা তোমরা মনে-প্রাণে মেনে চলছো, (১৮) এবং এখন তোমরা গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে ধার্মিকতার গোলাম হয়েছো।

(১৯) তোমাদের স্বাভাবিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমি মানুষের ভাষায় কথা বলছি। কারণ একসময় তোমরা যেভাবে তোমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে গোলাম হিসাবে অপবিত্রতা ও জঘন্য জঘন্য পাপাচারের হাতে সমর্পণ করেছিলে, ঠিক সেভাবে এখন তোমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে পবিত্রতার উদ্দেশে ধার্মিকতার গোলামীর কাছে সমর্পণ করো।

(২০) তোমরা যখন গুনাহের গোলাম ছিলে, তখন ধার্মিকতার ব্যাপারে তোমরা স্বাধীন ছিলে। (২১) কাজেই এখন যে-সব বিষয়ে তোমরা লজ্জিত হচ্ছো, সে-সব থেকে তোমাদের কি লাভ হয়েছিলো? ওই-সব কাজের পরিনাত হচ্ছে মৃত্যু।

(২২) কিন্তু এখন তোমরা গুনাহের অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর গোলাম হয়েছো, তাই তোমাদের যে উপকার হবে তা হলো পবিত্রতা, আর এর পরিণাম হলো আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ বা অনন্ত জীবন। (২৩) কারণ গুনাহের মজুরি হলো মৃত্যু, কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহের দান হচ্ছে আমাদের মনিব হযরত ইসা মসিহে অনন্ত-জীবন বা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ।
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
রোমীয়: রুকু - ১

রোমীয়: রুকু – ১

১:১ আমি পৌল, হযরত ইসা মসিহের গোলাম, হাওয়ারি হওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। আল্লাহর সুখবর প্রচারের জন্য আমাকে আলাদা করা ...
রোমীয়: রুকু - ২

রোমীয়: রুকু – ২

(২:১) অতএব, তুমি যে-ই হও না কেনো, তুমি যখন অন্যের বিচার করো, তখন তোমার কোনো অজুহাত নেই; কারণ অন্যের বিচারের ...
রোমীয়: রুকু - ৩

রোমীয়: রুকু – ৩

(৩:১) তাহলে একজন ইহুদির কি সুবিধা আছে? বা খত্‌না করানোর কি মূল্য আছে? (২) সবদিক দিয়েই অনেক লাভ আছে। প্রথমত ...
রোমীয়: রুকু - ৪

রোমীয়: রুকু – ৪

(৪:১) তাহলে দৈহিক সম্পর্কের দিক থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. সম্বন্ধে আমরা কী বলবো? তিনি কী পেয়েছিলেন? (২) হযরত ...
রোমীয়: রুকু - ৫

রোমীয়: রুকু – ৫

(১) অতএব, ইমানের দ্বারা ধার্মিক বলে গণ্য হওয়ায়, আমাদের নেতা হযরত ইসা মসিহের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আমাদের শান্তি আছে, (২) ...
রোমীয়: রুকু - ৬

রোমীয়: রুকু – ৬

(৬:১) তাহলে আমরা কী বলবো? অনুগ্রহ যাতে উপচে পড়ে সেজন্য আমরা কি গুনাহ করতেই থাকবো? (২) কখনোই না! আমরা যারা ...
রোমীয়: রুকু - ৭

রোমীয়: রুকু – ৭

(৭:১) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমরা কি জানো না, কারণ আমি তাদের সাথে কথা বলছি, যারা শরিয়ত জানে একজন মানুষ ...
রোমীয়: রুকু - ৮

রোমীয়: রুকু – ৮

(৮:১) অতএব, যারা মসিহ ইসাকে গ্রহণ করেছে, তাদের ওপর আর কোনো শাস্তি নেই। (২) কারণ হযরত ইসা মসিহের জীবন দায়ী ...
রোমীয়: রুকু - ৯

রোমীয়: রুকু – ৯

(১) মসিহের সাথে যুক্ত থেকে আমি সত্য বলছি- আমি মিথ্যা বলছি না; আল্লাহর রুহের দ্বারা আমার বিবেক নিশ্চিত করছে যে- ...
রোমীয়: রুকু - ১০

রোমীয়: রুকু – ১০

(১) ভাই ও বোনেরা, তাদের জন্য আমার অন্তরের আকাঙ্ক্ষা ও আল্লাহর কাছে মোনাজাত এই যে, তারা যেনো নাজাত পায়।২) তাদের ...
রোমীয়: রুকু - ১১

রোমীয়: রুকু – ১১

(১) তাহলে আমার প্রশ্ন, আল্লাহ কি তাঁর লোকদেরকে পরিত্যাগ করেছেন? কখনোই না! আমি নিজে একজন ইস্রাইলীয়, হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর, ...
রোমীয়: রুকু - ১২

রোমীয়: রুকু – ১২

(১) সুতরাং, ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর অপার অনুগ্রহের জন্য, আমি তোমাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, তোমরা তোমাদের শরীরকে আল্লাহর কাছে কবুল ...
রোমীয়: রুকু - ১৩

রোমীয়: রুকু – ১৩

(১৩:১) প্রত্যেক ব্যাক্তি শাসনকর্তাদের অধীনতা মেনে চলুক; কারণ এমন কোনো কর্তৃত্ব নেই, যা আল্লাহর কাছ থেকে আসে না, এবং প্রচলিত ...
রোমীয়: রুকু - ১৪

রোমীয়: রুকু – ১৪

(১৪:১) যাদের ইমান দুর্বল, তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করো, কিন্তু অভিমত বা মতবাদ নিয়ে ঝগড়া করার জন্য নয়। (২) কেউ কেউ ...
রোমীয়: রুকু - ১৫

রোমীয়: রুকু – ১৫

(১) আমরা যারা সবল, আমাদের উচিত নিজেদের সন্তুষ্ট না করে বরং দুর্বলদের দুর্বলতাগুলো সহ্য করা। (২) আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদেও ...
রোমীয়: রুকু - ১৬

রোমীয়: রুকু – ১৬

(১) আমি তোমাদের কাছে আমাদের বোন ফৈবির প্রশংসা করছি, তিনি কিংক্রিয়ার ইমানদার দলের একজন খাদেম, (২) তাই আল্লাহর দরবেশদের যেভাবে ...