কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৯

75942
Total
Visitors

১অতঃপর পিলাত হযরত ইসা আ.কে চাবুক মারালেন। ২আর সৈন্যরা কাঁটালতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে তাঁর মাথায় পরালো এবং তাঁকে একটি বেগুনি রঙের জুব্বা পরালো। ৩তারা বারবার তাঁর কাছে এসে বলতে লাগলো, “খোশ আমদেদ, ইহুদিরাজ!” এবং তাঁর মুখে আঘাত করতে থাকলো।

৪পিলাত আবার বাইরে গিয়ে তাদের বললেন, “দেখো, আমি আবার তাকে বাইরে তোমাদের কাছে আনছি, যেনো তোমরা বুঝতে পারো যে, আমি তার কোনো দোষ পাইনি।” ৫মাথায় কাঁটার মুকুট ও বেগুনি রঙের জুব্বা পরানো হযরত ইসা আ. বাইরে এলেন। পিলাত তাদের বললেন, “এই সেই লোক!”

৬প্রধান ইমামেরা ও পুলিশরা তাঁকে দেখে চিৎকার করে বলে উঠলেন, “ওকে সলিবে দিন! ওকে সলিবে দিন!” পিলাত তাদের বললেন, “তোমরাই একে নিয়ে গিয়ে সলিবে দাও। আমি এর কোনো দোষ পাইনি।” ৭ইহুদিরা তাকে উত্তর দিলো, “আমাদের একটি শরিয়ত আছে, আর সে-শরিয়ত অনুসারে তাকে মরতে হবে, কারণ সে নিজেকে আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন বলে দাবি করেছে।” ৮একথা শুনে পিলাত এতো ভয় পেলেন, যা তিনি আগে কখনো পাননি।

৯তিনি আবার তার অফিসে গেলেন এবং হযরত ইসা আ.কে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কোথা থেকে এসেছো?” কিন্তু হযরত ইসা আ. তাকে কোনো উত্তর দিলেন না।

১০অতঃপর পিলাত তাঁকে বললেন, “তুমি কি আমার সাথে কথা বলতে অস্বীকার করছো? তুমি কি জানো না যে, তোমাকে ছেড়ে দেবার কিংবা সলিবে দেবার ক্ষমতা আমার আছে?” ১১হযরত ইসা আ. তাকে উত্তর দিলেন, “ওপর থেকে আপনাকে ক্ষমতা দেয়া না হলে আমার ওপর আপনার কোনো ক্ষমতা থাকতো না। অতএব, যে আমাকে আপনার হাতে তুলে দিয়েছে, সে এক মহাপাপী।” ১২ওই সময় থেকে পিলাত তাঁকে ছেড়ে দেবার চেষ্টা করতে লাগলেন কিন্তু ইহুদিরা চিৎকার করে বলতে থাকলো, “যদি আপনি এই লোককে ছেড়ে দেন, তাহলে আপনি সিজারের বন্ধু নন। যে কেউ নিজেকে বাদশা বলে দাবি করে, সে সিজারের বিরুদ্ধে।”

১৩পিলাত একথা শুনে হযরত ইসা আ.কে বাইরে আনলেন এবং বিচারকের আসনে গিয়ে বসলেন। এটি ছিলো পাথরের তৈরি একটি উচু জায়গা, হিব্রু ভাষায় একে গাব্বাথা বলা হয়। ১৪সেই দিনটি ছিলো ইদুল-ফেসাখের প্রস্তুতির দিন। তখন বেলা দুপুর। তিনি ইহুদিদের বললেন, “এই তোমাদের বাদশা!” ১৫তারা চিৎকার করে বললো, “ওকে দূর করুন! ওকে দূর করুন! ওকে সলিবে দিন!” পিলাত তাদের জিজ্ঞেস করলেন, “আমি কি তোমাদের বাদশাকে সলিবে দেবো?” প্রধান ইমামেরা উত্তর দিলেন, “সিজার ছাড়া আমাদের কোনো বাদশা নেই।”

১৬এরপর তিনি তাঁকে সলিবে দেবার জন্য তাদের হাতে দিয়ে দিলেন। ১৭তারা হযরত ইসা আ.কে নিয়ে গেলো। তিনি নিজেই নিজের সলিব বয়ে নিয়ে মাথারখুলি নামক জায়গায় গেলেন। হিব্রু ভাষায় এই জায়গাকে গলগথা বলা হয়। ১৮সেখানে তারা তাঁকে অন্য দু’জনের সাথে সলিবে দিলো- দু’জন তাঁর দু’পাশে এবং তিনি দু’জনের মাঝখানে।

১৯পিলাত একটি নোটিশ লিখে সলিবের ওপরে টাঙিয়ে দিলেন। তিনি লিখলেন, “নাসরতের হযরত ইসা আ., ইহুদিদের বাদশা।” ২০ইহুদিদের অনেকে এই নোটিশ পড়লো, কারণ যে-জায়গায় হযরত ইসা আ.কে সলিবে দেয়া হয়েছিলো সেটি ছিলো শহরের পাশে এবং নোটিশটি লেখা ছিলো হিব্রু, ল্যাটিন ও গ্রিক ভাষায়।

২১ইহুদিদের প্রধান ইমামেরা পিলাতকে বললেন, “‘ইহুদিদের বাদশা’- একথা লিখবেন না, বরং লিখুন, ‘এই লোকটি বলতো, আমি ইহুদিদের বাদশা।”’ ২২পিলাত উত্তরে বললেন, “আমি যা লিখেছি তা লিখেছি।”

২৩সৈন্যরা হযরত ইসা আ.কে সলিবে দেবার পর তাঁর কাপড় নিয়ে চার ভাগে ভাগ করলো- একেকজনের জন্য একেক ভাগ। তারা তাঁর জুব্বাও নিলো; এতে কোনো সেলাই ছিলো না, ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত বোনা ছিলো। ২৪তাই তারা একে অন্যকে বললো, “এটি আমরা ছিঁড়বো না কিন্তু এসো, ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখি এটি কে পায়।” এতে যবুরের একথা পূর্ণ হলো, “তারা নিজেদের মধ্যে আমার কাপড় ভাগ করে নিলো এবং আমার কাপড়ের জন্য নিজেদের মধ্যে ভাগ্য পরীক্ষা করলো।” এবং সৈন্যরা তা-ই করলো।

২৫এদিকে হযরত ইসা আ.র সলিবের কাছে তাঁর মা এবং তাঁর খালা, ক্লপাসের স্ত্রী মরিয়ম এবং মºলিনি মরিয়ম দাঁড়িয়ে ছিলেন। ২৬যখন হযরত ইসা আ. তাঁর মাকে দেখলেন এবং যে-হাওয়ারিকে তিনি মহব্বত করতেন, তাঁকে তাঁর মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন, তখন তিনি তাঁর মাকে বললেন, “মা, এই তোমার ছেলে।” ২৭তারপর তিনি সেই হাওয়ারিকে বললেন, “এই তোমার মা।” সেই সময় থেকে সেই হাওয়ারি তাকে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন।

২৮অতঃপর হযরত ইসা আ. যখন জানলেন যে, সবই শেষ হয়েছে, তখন পূর্বের কিতাবের একথা পূর্ণ হওয়ার জন্য বললেন, “আমার পিপাসা পেয়েছে।” ২৯সেখানে তেতো আঙুররসে ভরা একটি কলস ছিলো। তারা একটি স্পঞ্জের টুকরো তাতে ডুবিয়ে গাছের ডালের মাথায় করে তাঁর মুখে দিলো। ৩০হযরত ইসা আ. তা গ্রহণ করার পর বললেন, “শেষ হয়েছে।” তারপর তিনি মাথা নত করে প্রাণ ত্যাগ করলেন।

৩১যেহেতু দিনটি ছিলো প্রস্তুতির দিন, সেহেতু ইহুদিরা চাইলো না যে, দেহগুলো সাব্বাতে সলিবের ওপরে থাকুক। বিশেষ করে সেই সাব্বাতটি ছিলো একটি মহান সাব্বাত। তাই তারা পিলাতকে বললো, যেনো সলিবে দেয়া লোকদের পা ভেঙে দেয়া হয় এবং দেহগুলো সলিব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

 

৩২পরে সৈন্যরা এসে প্রথমজন ও অন্যজনের পা ভাঙলো; এদেরকে তাঁর সাথে সলিবে দেয়া হয়েছিলো। ৩৩হযরত ইসা আ.র কাছে এসে তারা দেখলো তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তাই তারা তাঁর পা ভাঙলো না। ৩৪কিন্তু একজন সৈন্য বল্লম নিয়ে তাঁর পাঁজরে ঢুকিয়ে দিলো আর সাথে সাথে রক্ত ও পানি বেরিয়ে এলো।

৩৫যিনি নিজে দেখেছিলেন, তিনি এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন, যেনো তোমরাও বিশ্বাস করতে পারো। তাঁর সাক্ষ্য সত্য এবং তিনি জানেন যে, তিনি সত্য বলছেন।

৩৬এসব ঘটলো যেনো পূর্বের কিতাবের একথা পূর্ণ হয়, “তাঁর দেহের কোনো হাড় ভাঙা হবে না।” ৩৭এবং পূর্বের কিতাবের অন্য এক জায়গায় আছে, “যাঁকে তারা বিদ্ধ করেছে, তাঁরই দিকে তারা তাকিয়ে থাকবে।” ৩৮এরপর অরিমাথিয়ার হযরত ইউসুফ র.- যিনি ইহুদিদের ভয়ে গোপনে ইসার সাহাবি হয়েছিলেন- পিলাতের কাছে গিয়ে হযরত ইসা আ.র দেহমোবারক চাইলেন। পিলাত তাঁকে অনুমতি দিলেন, আর তিনি হযরত ইসা আ.র দেহমোবারক সলিব থেকে নামিয়ে আনলেন। ৩৯নিকদিম- যিনি আগে একবার রাতের বেলা হযরত ইসা আ.র কাছে এসেছিলেন- প্রায় পঞ্চাশ কেজি গন্ধরস ও অগুরু মিশিয়ে নিয়ে এলেন। ৪০তারা হযরত ইসা আ.র দেহ মোবারক নিয়ে ইহুদিদের দাফন করার নিয়ম অনুসারে সুগন্ধি মসলা মাখিয়ে এক টুকরো লিনেন কাপড় দিয়ে পেঁচালেন।

৪১তাঁকে যেখানে সলিবে দেয়া হয়েছিলো, সেখানে একটি বাগান ছিলো এবং সেই বাগানে একটি নতুন কবর ছিলো, যেখানে এর আগে কাউকে দাফন করা হয়নি। ৪২যেহেতু দিনটি ছিলো ইহুদিদের প্রস্তুতির দিন এবং কবরটাও কাছে ছিলো, তাই তারা হযরত ইসা আ.কে সেখানে দাফন করলেন।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১

১-৫শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২

১তৃতীয় দিনে গালিলের কান্না গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো এবং হযরত ইসা আ.র মা সেখানে ছিলেন। ২হযরত ইসা আ. এবং ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৩

১নিকদিম নামে একজন ফরিসি ছিলেন; তিনি ছিলেন ইহুদিদের একজন নেতা। ২তিনি রাতের বেলায় হযরত ইসা আ.র কাছে এলেন এবং বললেন, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৪

১যখন হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, ফরিসিরা শুনতে পেয়েছেন, “ হযরত ইসা আ. হযরত ইয়াহিয়া আ.র থেকে বেশি উম্মত ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৫

১এরপর ইহুদিদের আরেকটি ইদের সময় হলো এবং হযরত ইসা আ. জেরুসালেমে গেলেন। ২জেরুসালেমের মেষ-দরজার কাছে একটি পুকুর ছিলো। ৩হিব্রু ভাষায় ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৬

১অতঃপর হযরত ইসা আ. গালিল লেকের ওপারে গেলেন। একে তিবিরিয়া লেকও বলা হয়। ২বিশাল এক জনতা তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলো, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৭

১এরপর হযরত ইসা আ. গালিলে চলাফেরা করছিলেন। তিনি ইহুদিয়ায় যেতে চাইলেন না, কারণ ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজছিলো। ২এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৮

১অতঃপর তারা প্রত্যেকে বাড়ি চলে গেলেন। এদিকে হযরত ইসা আ.ও জৈতুন পাহাড়ে চলে গেলেন। ২এবং খুব ভোরে উঠে তিনি আবার ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৯

১যেতে যেতে তিনি এক জন্মান্ধকে দেখতে পেলেন। ২তাঁর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, কার গুনাহর কারণে এই লোকটি অন্ধ হয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১০

১আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে না ঢুকে অন্য উপায়ে ভেড়ার খোঁয়াড়ে ঢোকে, সে চোর ও ডাকাত। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১১

১বেথানিয়া গ্রামের লাসার নামে এক লোকের অসুখ হয়েছিলো। মরিয়ম ও তার বোন মার্থা সেই একই গ্রামে থাকতেন। ২ইনি সেই মরিয়ম, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১২

১ইদুল-ফেসাখের ছয়দিন আগে হযরত ইসা আ. বেথানিয়ায় লাসারের বাড়িতে এলেন। এই লাসারকেই তিনি মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। ২সেখানে তারা ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৩

১ইদুল-ফেসাখের আগে হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, তাঁর এই দুনিয়া ছেড়ে প্রতিপালকের কাছে চলে যাবার সময় হয়ে গেছে। এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৪

১তোমরা অন্তরে অস্থির হয়ো না। আল্লাহর ওপর ইমান রাখো, আমার ওপরও ইমান রাখো। ২আমার প্রতিপালকের কাছে থাকার অনেক জায়গা আছে। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৫

১আমি প্রকৃত আঙুরগাছ এবং আমার প্রতিপালক চাষী। ২আমার যেসব ডালে ফল ধরে না, সেগুলো তিনি কেটে ফেলেন আর যেসব ডালে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৬

১আমি এসব কথা তোমাদের জানাচ্ছি, যেনো তোমরা বাধা না পাও। ২তারা তোমাদেরকে সিনাগোগ থেকে বের করে দেবে। প্রকৃতপক্ষে এমন এক ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৭

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, সময় এসেছে, তোমার একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৮

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. তাঁর হাওয়ারিদের নিয়ে কিদরোন উপত্যকা পার হয়ে একটি জায়গায় গেলেন। সেখানে একটি বাগান ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৯

১অতঃপর পিলাত হযরত ইসা আ.কে চাবুক মারালেন। ২আর সৈন্যরা কাঁটালতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে তাঁর মাথায় পরালো এবং তাঁকে একটি বেগুনি ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২০

১সপ্তাহের প্রথম দিন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে মগ্‌দলিনি মরিয়ম কবরের কাছে এলেন এবং দেখলেন যে, কবরের মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২১

১এসবের পরে তিবিরিয়া লেকের পাড়ে হযরত ইসা আ. আবার তাঁর হাওয়ারিদের দেখা দিলেন। তিনি নিজেকে তাদের কাছে এভাবে দেখালেন: ২হযরত ...