১আমি প্রকৃত আঙুরগাছ এবং আমার প্রতিপালক চাষী। ২আমার যেসব ডালে ফল ধরে না, সেগুলো তিনি কেটে ফেলেন আর যেসব ডালে ফল ধরে, তিনি সেগুলো ছেঁটে পরিষ্কার করেন, যেনো আরো বেশি ফল ধরে। ৩আমি যে-কালাম তোমাদের বলেছি, তার দ্বারা তোমরা এখন পরিষ্কৃত হয়েছো।
৪আমার সাথে যুক্ত থাকো, যেভাবে আমি তোমাদের সাথে যুক্ত আছি। যেভাবে ডাল মূল গাছের সাথে যুক্ত না থাকলে ফল ধরাতে পারে না, সেভাবে তোমরাও আমার সাথে যুক্ত না থাকলে ফল ধরাতে পারো না। ৫আমিই আঙুরলতা, তোমরা তার ডালপালা। যারা আমার সাথে যুক্ত থাকে এবং আমি তাদের মধ্যে থাকি, তারা অনেক ফল দেয়, কারণ আমার থেকে আলাদা হয়ে তোমরা কিছুই করতে পারো না।
৬যে আমার সাথে যুক্ত থাকে না, সে ফেলে দেয়া ডালের মতো এবং তা শুকিয়ে যায়। আর পরে সেগুলো একসাথে জমা করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
৭তোমরা যদি আমার সাথে যুক্ত থাকো এবং আমার কালাম তোমাদের মধ্যে থাকে, তাহলে তোমাদের যা ইচ্ছা চেয়ো, তোমাদের জন্য তা করা হবে। ৮তোমরা অনেক ফল দিলে এবং আমার উম্মত হলে, আমার প্রতিপালক মহিমান্বিত হন। ৯প্রতিপালক যেমন আমাকে মহব্বত করেন, আমিও তেমনি তোমাদের মহব্বত করি; আমার মহব্বতের মধ্যে থাকো।
১০তোমরা যদি আমার হুকুম পালন করো, তাহলে আমার মহব্বতের মধ্যে থাকবে, যেভাবে আমি আমার প্রতিপালকের হুকুম পালন করে তাঁর মহব্বতের মধ্যে আছি। ১১আমি তোমাদের এসব কথা বলছি, যেনো আমার আনন্দ তোমাদের মধ্যে থাকে এবং তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হয়।
১২আমার হুকুম এই, আমি যেভাবে তোমাদের মহব্বত করেছি, সেভাবে তোমরা একজন অন্যজনকে মহব্বত কোরো। ১৩বন্ধুর জন্য জীবন দেয়ার চেয়ে বড়ো মহব্বত আর হতে পারে না। ১৪যদি তোমরা আমার হুকুম পালন করো, তাহলে তোমরা আমার বন্ধু। ১৫আমি তোমাদের আর গোলাম বলি না, কারণ গোলাম জানে না তার মনিব কী করে। কিন্তু আমি তোমাদের বন্ধু বলছি, কারণ আমি আমার প্রতিপালকের কাছে যা যা শুনেছি, তার সবই তোমাদের জানিয়েছি।
১৬তোমরা আমাকে বেছে নাওনি কিন্তু আমি তোমাদের বেছে নিয়েছি। আমি তোমাদের নিয়োগ করেছি, যেনো যে ফল স্থায়ী হয়, তোমরা সেই ফল দাও। তাহলে তোমরা আমার নামে যা চাবে, প্রতিপালক তোমাদের তাই দেবেন।
১৭আমি তোমাদের এই হুকুম দিচ্ছি, যেনো তোমরা একে অন্যকে মহব্বত করো। ১৮যদি দুনিয়া তোমাদের ঘৃণা করে, তাহলে মনে রেখো, সে তোমাদের ঘৃণা করার আগে আমাকে ঘৃণা করেছে। ১৯তোমরা যদি দুনিয়ার হতে, তাহলে দুনিয়া তার নিজের মতো তোমাদের মহব্বত করতো। আমি তোমাদের বেছে নিয়েছি বলে তোমরা দুনিয়ার নও; এজন্য দুনিয়া তোমাদের ঘৃণা করে।
২০আমি তোমাদের যা বলেছি তা স্মরণ রেখো, ‘গোলাম তার মনিবের চেয়ে বড়ো নয়।’ যদি তারা আমাকে অত্যাচার করতে পারে, তাহলে তোমাদেরও অত্যাচার করবে।
যদি তারা আমার কথা মানতো, তাহলে তোমাদের কথাও মানতো। ২১আমার নামের কারণে তারা এই সবই করবে, কারণ যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তারা তাঁকে জানে না। ২২যদি আমি না আসতাম ও তাদের কাছে কথা না বলতাম, তাহলে তাদের কোনো গুনাহ হতো না কিন্তু এখন তাদের গুনাহর কোনো অজুহাত নেই।
২৩যে কেউ আমাকে ঘৃণা করে, সে আমার প্রতিপালককেও ঘৃণা করে। ২৪যদি আমি তাদের মধ্যে এমন কাজ না করতাম, যা অন্য কেউ করেনি, তাহলে তাদের গুনাহ থাকতো না। কিন্তু এখন তারা দেখেছে এবং আমাকে ও আমার প্রতিপালকে- উভয়কে ঘৃণা করেছে। ২৫‘কোনো কারণ ছাড়াই তারা আমাকে ঘৃণা করেছে’- যবুরের একথা পূর্ণ হওয়া প্রয়োজন ছিলো।
২৬যখন সাহায্যকারী আসবেন, যাকে আমি প্রতিপালকের কাছ থেকে পাঠিয়ে দেবো- সেই সত্যের রুহ, যিনি প্রতিপালকের কাছ থেকে আসবেন- তিনি তখন আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেবেন। ২৭তোমরাও সাক্ষ্য দেবে, কারণ তোমরা প্রথম থেকেই আমার সাথে সাথে আছো।
Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১
১-৫শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২
১তৃতীয় দিনে গালিলের কান্না গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো এবং হযরত ইসা আ.র মা সেখানে ছিলেন। ২হযরত ইসা আ. এবং ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৩
১নিকদিম নামে একজন ফরিসি ছিলেন; তিনি ছিলেন ইহুদিদের একজন নেতা। ২তিনি রাতের বেলায় হযরত ইসা আ.র কাছে এলেন এবং বললেন, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৪
১যখন হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, ফরিসিরা শুনতে পেয়েছেন, “ হযরত ইসা আ. হযরত ইয়াহিয়া আ.র থেকে বেশি উম্মত ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৫
১এরপর ইহুদিদের আরেকটি ইদের সময় হলো এবং হযরত ইসা আ. জেরুসালেমে গেলেন। ২জেরুসালেমের মেষ-দরজার কাছে একটি পুকুর ছিলো। ৩হিব্রু ভাষায় ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৬
১অতঃপর হযরত ইসা আ. গালিল লেকের ওপারে গেলেন। একে তিবিরিয়া লেকও বলা হয়। ২বিশাল এক জনতা তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলো, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৭
১এরপর হযরত ইসা আ. গালিলে চলাফেরা করছিলেন। তিনি ইহুদিয়ায় যেতে চাইলেন না, কারণ ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজছিলো। ২এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৮
১অতঃপর তারা প্রত্যেকে বাড়ি চলে গেলেন। এদিকে হযরত ইসা আ.ও জৈতুন পাহাড়ে চলে গেলেন। ২এবং খুব ভোরে উঠে তিনি আবার ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৯
১যেতে যেতে তিনি এক জন্মান্ধকে দেখতে পেলেন। ২তাঁর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, কার গুনাহর কারণে এই লোকটি অন্ধ হয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১০
১আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে না ঢুকে অন্য উপায়ে ভেড়ার খোঁয়াড়ে ঢোকে, সে চোর ও ডাকাত। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১১
১বেথানিয়া গ্রামের লাসার নামে এক লোকের অসুখ হয়েছিলো। মরিয়ম ও তার বোন মার্থা সেই একই গ্রামে থাকতেন। ২ইনি সেই মরিয়ম, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১২
১ইদুল-ফেসাখের ছয়দিন আগে হযরত ইসা আ. বেথানিয়ায় লাসারের বাড়িতে এলেন। এই লাসারকেই তিনি মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। ২সেখানে তারা ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৩
১ইদুল-ফেসাখের আগে হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, তাঁর এই দুনিয়া ছেড়ে প্রতিপালকের কাছে চলে যাবার সময় হয়ে গেছে। এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৪
১তোমরা অন্তরে অস্থির হয়ো না। আল্লাহর ওপর ইমান রাখো, আমার ওপরও ইমান রাখো। ২আমার প্রতিপালকের কাছে থাকার অনেক জায়গা আছে। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৫
১আমি প্রকৃত আঙুরগাছ এবং আমার প্রতিপালক চাষী। ২আমার যেসব ডালে ফল ধরে না, সেগুলো তিনি কেটে ফেলেন আর যেসব ডালে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৬
১আমি এসব কথা তোমাদের জানাচ্ছি, যেনো তোমরা বাধা না পাও। ২তারা তোমাদেরকে সিনাগোগ থেকে বের করে দেবে। প্রকৃতপক্ষে এমন এক ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৭
১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, সময় এসেছে, তোমার একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৮
১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. তাঁর হাওয়ারিদের নিয়ে কিদরোন উপত্যকা পার হয়ে একটি জায়গায় গেলেন। সেখানে একটি বাগান ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৯
১অতঃপর পিলাত হযরত ইসা আ.কে চাবুক মারালেন। ২আর সৈন্যরা কাঁটালতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে তাঁর মাথায় পরালো এবং তাঁকে একটি বেগুনি ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২০
১সপ্তাহের প্রথম দিন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে মগ্দলিনি মরিয়ম কবরের কাছে এলেন এবং দেখলেন যে, কবরের মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২১
১এসবের পরে তিবিরিয়া লেকের পাড়ে হযরত ইসা আ. আবার তাঁর হাওয়ারিদের দেখা দিলেন। তিনি নিজেকে তাদের কাছে এভাবে দেখালেন: ২হযরত ...