কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৮

76015
Total
Visitors

১অতঃপর তারা প্রত্যেকে বাড়ি চলে গেলেন। এদিকে হযরত ইসা আ.ও জৈতুন পাহাড়ে চলে গেলেন। ২এবং খুব ভোরে উঠে তিনি আবার বায়তুল-মোকাদ্দসে এলেন। সমস্ত লোক তাঁর কাছে এলো এবং তিনি বসলেন ৩ও তাদের শিক্ষা দিতে লাগলেন। ৪ফরিসিরা ও আলিমরা এক মহিলাকে ধরে আনলেন, যাকে তারা জিনা করার সময় হাতেনাতে ধরেছিলেন এবং তাকে সবার সামনে দাঁড় করালেন। তারা তাঁকে বললেন, “হুজুর, এই মহিলাকে আমরা জিনা করার সময় হাতেনাতে ধরেছি। ৫হযরত মুসা আ.র শরিয়ত এমন মহিলাদের পাথর মারার হুকুম দেয়। এখন আপনি কী বলেন?”

৬তারা তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য একথা বললেন, যেনো তাঁকে দোষ দিতে পারেন। হযরত ইসা আ. নিচু হয়ে তাঁর আঙুল দিয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন। ৭যখন তারা তাঁকে প্রশ্ন করতেই থাকলেন, তখন তিনি উঠে দাঁড়িয়ে তাদের বললেন, “তোমাদের মধ্যে যার কোনো গুনাহ নেই, সে-ই প্রথমে তাকে পাথর মারো।” ৮অতঃপর আবার তিনি নিচু হয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন।

৯একথা শুনে একেকজন করে সবাই সেখান থেকে চলে গেলেন। প্রথমেই বুজুর্গরা গেলেন। এবং হযরত ইসা আ.র সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলার সাথে তিনি একা রইলেন। ১০হযরত ইসা আ. উঠে দাঁড়ালেন এবং তাকে বললেন, “হে মহিলা, ওরা সবাই কোথায়? কেউ কি তোমাকে দোষী করেনি?” ১১সে বললো, “কেউ না, হুজুর।” হযরত ইসা আ. তাকে বললেন, “আমিও করি না। চলে যাও এবং এখন থেকে আর গুনাহ করো না।”

১২আবার হযরত ইসা আ. তাদের কাছে কথা বললেন, “আমিই দুনিয়ার আলো। যে আমার পেছনে আসবে, সে কখনো অন্ধকারে হাঁটবে না কিন্তু জীবনের আলো পাবে।” ১৩অতঃপর ফরিসিরা তাঁকে বললেন, “তুমি তোমার নিজের বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছো, তোমার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়।”

১৪হযরত ইসা আ. বললেন, “যদিও আমি নিজের বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি, তবুও আমার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। কারণ আমি জানি আমি কোথা থেকে এসেছি এবং কোথায় যাচ্ছি কিন্তু তোমরা জানো না আমি কোথা থেকে এসেছি এবং কোথায় যাচ্ছি।

১৫তোমরা মানুষের মতো বিচার করে থাকো। কিন্তু আমি কারো বিচার করি না। ১৬আর আমি যদি বিচার করি, তাহলে আমার বিচার সত্য। কারণ আমি একা বিচার করি না কিন্তু আমি এবং আমার প্রতিপালক, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, আমরাই বিচার করি। ১৭তোমাদের শরিয়তে লেখা আছে যে, দু’জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। ১৮আমি আমার নিজের বিষয়ে সাক্ষ্য দেই এবং আমার প্রতিপালক, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনিও আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেন।”

১৯অতঃপর তারা তাঁকে বললেন, “কোথায় তোমার প্রতিপালক?” হযরত ইসা আ. উত্তর দিলেন, “তোমরা আমাকে জানো না এবং আমার প্রতিপালককেও জানো না। যদি তোমরা আমাকে জানতে, তাহলে আমার প্রতিপালককেও জানতে।” ২০বায়তুল-মোকাদ্দসের কোষাগারের সামনে শিক্ষা দেবার সময় তিনি এসব কথা বললেন কিন্তু কেউ তাঁকে ধরলো না, কারণ তাঁর সময় তখনো আসেনি।

২১আবার তিনি তাদের বললেন, “আমি চলে যাচ্ছি আর তোমরা আমার খোঁজ করবে এবং তোমরা তোমাদের গুনাহতেই মরবে। আমি যেখানে যাচ্ছি, তোমরা সেখানে আসতে পারো না।” ২২তখন ইহুদিরা বললো, “‘আমি যেখানে যাচ্ছি, তোমরা সেখানে আসতে পারো না’ বলে কি সে একথাই বোঝাতে চাচ্ছে যে, সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে?”

২৩তিনি তাদের বললেন, “তোমরা নিচ থেকে এসেছো, আমি ওপর থেকে এসেছি। তোমরা এই দুনিয়ার, আমি এই দুনিয়ার নই। ২৪আমি তোমাদের বলেছি যে, ‘তোমরা তোমাদের গুনাহতেই মরবে’- কারণ আমিই তিনি, একথার ওপর ইমান না আনলে তোমরা তোমাদের গুনাহতেই মরবে।” ২৫তারা তাঁকে বললো, “তুমি কে?” হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সাথে কেনোই-বা এসব কথা বলছি?

২৬তোমাদের দোষ দেবার ও তোমাদের বিষয়ে বলার আমার অনেককিছু আছে; কিন্তু আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তিনি সত্য এবং আমি তাঁর কাছে যা শুনেছি তা দুনিয়ার কাছে প্রকাশ করছি।”

২৭তারা বুঝলো না যে, তিনি প্রতিপালকের বিষয়ে তাদের কাছে কথা বলছেন। ২৮তাই হযরত ইসা আ. বললেন, “তোমরা যখন ইবনুল-ইনসানকে ওপরে তুলবে, তখন বুঝবে যে, আমিই তিনি; এবং আমি নিজ থেকে কিছুই করি না কিন্তু প্রতিপালক যেভাবে আমাকে হুকুম দিয়েছেন, আমি সেভাবেই কথা বলি। ২৯যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি আমার সাথে আছেন। তিনি আমাকে একা রেখে চলে যাননি, কারণ যা তাঁকে সন্তুষ্ট করে, আমি সব সময় তাই করি।”

৩০তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন অনেকেই তাঁর ওপর ইমান আনলো। ৩১অতঃপর যে ইহুদিরা তাঁর ওপর ইমান এনেছিলো, তিনি তাদের বললেন, “যদি তোমরা আমার কথামতো চলো, তাহলে সত্যিই তোমরা আমার সাহাবি। ৩২তোমরা সত্য জানবে এবং সেই সত্য তোমাদের মুক্ত করবে।” ৩৩তারা তাঁকে উত্তর দিলো, “আমরা হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর এবং কখনো কারো গোলাম ছিলাম না। ‘তোমাদের মুক্ত করা হবে’ বলে তুমি কী বোঝাতে চাও?”

৩৪হযরত ইসা আ. তাদের উত্তর দিলেন, “আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যে গুনাহ করে সে গুনাহর গোলাম। ৩৫পরিবারের মধ্যে গোলামের স্থান স্থায়ী নয় কিন্তু সন্তানের স্থান চিরদিনের। ৩৬তাই একান্ত প্রিয় মনোনীতজন যদি তোমাদের মুক্ত করেন, তাহলে তোমরা নিশ্চয়ই মুক্ত হবে। ৩৭আমি জানি তোমরা হযরত ইব্রাহিম আ.র বংশধর, তবুও তোমরা আমাকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজে থাকো; কারণ তোমাদের হৃদয়ে আমার কথার কোনো স্থান নেই। ৩৮আমি আমার প্রতিপালকের কাছে যা দেখেছি, আমি তাই বলি; কিন্তু তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে যা শোনো তাই করো।”

৩৯তারা তাঁকে উত্তর দিলো, “হযরত ইব্রাহিম আ. আমাদের পিতা।” হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “যদি তোমরা হযরত ইব্রাহিমের সন্তান হতে, তাহলে হযরত ইব্রাহিম আ. যা করেছিলেন, তোমরাও তা করতে।

৪০কিন্তু এখন তোমরা আমাকেই হত্যা করতে চেষ্টা করছো, যে-আমি আল্লাহর কাছ থেকে যে-সত্য শুনেছি তা-ই তোমাদের বলেছি। হযরত ইব্রাহিম আ. তোমাদের মতো এরকম করতেন না।

৪১তোমাদের পিতা যা করে, তোমরা তা-ই করছো।” তারা তাঁকে বললো, “আমরা জারজ নই। আমাদের একজন প্রতিপালক আছেন, তিনি আল্লাহ।” ৪২হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “যদি আল্লাহ তোমাদের প্রতিপালক হতেন, তাহলে তোমরা আমাকে মহব্বত করতে। কারণ আমি আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি এবং এখন এখানে আছি। আমি নিজ থেকে আসিনি কিন্তু তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন। ৪৩আমি যা বলি তা তোমরা কেনো বোঝো না? কারণ তোমরা আমার কথা গ্রহণ করতে পারো না।

৪৪ইবলিসই তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমরা তারই; তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ইচ্ছা পালন করতে চাও। সে প্রথম থেকেই খুনি। সে সত্যে থাকে না এবং সত্য তার মধ্যে নেই। সে তার চরিত্র অনুসারেই মিথ্যা বলে। কারণ সে মিথ্যাবাদী এবং মিথ্যার জন্মদাতা। ৪৫আমি সত্য বলি বলেই তোমরা আমার ওপর ইমান আনো না। ৪৬তোমাদের মধ্যে কে আমাকে গুনাহগার বলে দোষ দিতে পারে? যদি আমি সত্য বলি, তাহলে আমার ওপর ইমান আনো না কেনো? ৪৭যারা আল্লাহর তারা আল্লাহর কালাম শোনে। তোমরা তা শোনো না, কারণ তোমরা আল্লাহর নও।”

৪৮ইহুদিরা তাঁকে উত্তর দিলো, “আমাদের একথা কি ঠিক নয় যে, তুমি একজন সামেরীয় এবং তোমাকে ভূতে ধরেছে?” ৪৯ হযরত ইসা উত্তর দিলেন, “আমাকে ভূতে ধরেনি। আমি আমার প্রতিপালককে সম্মান করি কিন্তু তোমরা আমাকে অসম্মান করো। ৫০তবুও আমি আমার নিজের প্রশংসা চাই না। একজন আছেন, তিনি তা চান এবং তিনিই বিচারক। ৫১আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যে আমার কথা মানে, সে কখনো মরবে না।”

৫২ইহুদিরা তাঁকে বললো, “এখন আমরা বুঝতে পারছি যে, তোমাকে ভূতে ধরেছে। হযরত ইব্রাহিম আ. ইন্তেকাল করেছেন এবং নবিরাও; আর তুমি বলছো, ‘যে আমার কথা মানে, সে কখনো মরবে না।’ ৫৩আমাদের পিতা হযরত ইব্রাহিম আ., যিনি ইন্তেকাল করেছেন, তুমি কি তাঁর থেকেও মহান? নবিরাও ইন্তেকাল করেছেন। তুমি নিজেকে কী দাবি করছো?”

৫৪হযরত ইসা আ. উত্তর দিলেন, “যদি আমি নিজেই নিজের প্রশংসা করি, তাহলে সে-প্রশংসার কোনো দাম নেই। আমার প্রতিপালক আমাকে প্রশংসিত করেছেন। তাঁর বিষয়ে তোমরা বলে থাকো, ‘তিনি আমাদের আল্লাহ,’ ৫৫যদিও তোমরা তাঁকে জানো না কিন্তু আমি তাঁকে জানি। যদি আমি বলি যে, আমি তাঁকে জানি না, তাহলে আমি তোমাদের মতো মিথ্যাবাদী হবো। কিন্তু আমি তাঁকে জানি ও তাঁর কালাম মানি। ৫৬তোমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. আমার দিন দেখার আশায় আনন্দ করেছিলেন এবং তিনি তা দেখেছিলেন ও আনন্দিত হয়েছিলেন।”

৫৭অতঃপর ইহুদিরা তাঁকে বললো, “তোমার বয়স পঞ্চাশ বছরও হয়নি আর তুমি ইব্রাহিমকে দেখেছো?” ৫৮হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, ইব্রাহিমের আগে থেকেই আমি আছি।” ৫৯তাই তারা তাঁকে পাথর মারতে চাইলো কিন্তু হযরত ইসা আ. লুকিয়ে বায়তুল-মোকাদ্দস থেকে বেরিয়ে গেলেন।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১

১-৫শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২

১তৃতীয় দিনে গালিলের কান্না গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো এবং হযরত ইসা আ.র মা সেখানে ছিলেন। ২হযরত ইসা আ. এবং ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৩

১নিকদিম নামে একজন ফরিসি ছিলেন; তিনি ছিলেন ইহুদিদের একজন নেতা। ২তিনি রাতের বেলায় হযরত ইসা আ.র কাছে এলেন এবং বললেন, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৪

১যখন হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, ফরিসিরা শুনতে পেয়েছেন, “ হযরত ইসা আ. হযরত ইয়াহিয়া আ.র থেকে বেশি উম্মত ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৫

১এরপর ইহুদিদের আরেকটি ইদের সময় হলো এবং হযরত ইসা আ. জেরুসালেমে গেলেন। ২জেরুসালেমের মেষ-দরজার কাছে একটি পুকুর ছিলো। ৩হিব্রু ভাষায় ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৬

১অতঃপর হযরত ইসা আ. গালিল লেকের ওপারে গেলেন। একে তিবিরিয়া লেকও বলা হয়। ২বিশাল এক জনতা তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলো, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৭

১এরপর হযরত ইসা আ. গালিলে চলাফেরা করছিলেন। তিনি ইহুদিয়ায় যেতে চাইলেন না, কারণ ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজছিলো। ২এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৮

১অতঃপর তারা প্রত্যেকে বাড়ি চলে গেলেন। এদিকে হযরত ইসা আ.ও জৈতুন পাহাড়ে চলে গেলেন। ২এবং খুব ভোরে উঠে তিনি আবার ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৯

১যেতে যেতে তিনি এক জন্মান্ধকে দেখতে পেলেন। ২তাঁর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, কার গুনাহর কারণে এই লোকটি অন্ধ হয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১০

১আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে না ঢুকে অন্য উপায়ে ভেড়ার খোঁয়াড়ে ঢোকে, সে চোর ও ডাকাত। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১১

১বেথানিয়া গ্রামের লাসার নামে এক লোকের অসুখ হয়েছিলো। মরিয়ম ও তার বোন মার্থা সেই একই গ্রামে থাকতেন। ২ইনি সেই মরিয়ম, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১২

১ইদুল-ফেসাখের ছয়দিন আগে হযরত ইসা আ. বেথানিয়ায় লাসারের বাড়িতে এলেন। এই লাসারকেই তিনি মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। ২সেখানে তারা ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৩

১ইদুল-ফেসাখের আগে হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, তাঁর এই দুনিয়া ছেড়ে প্রতিপালকের কাছে চলে যাবার সময় হয়ে গেছে। এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৪

১তোমরা অন্তরে অস্থির হয়ো না। আল্লাহর ওপর ইমান রাখো, আমার ওপরও ইমান রাখো। ২আমার প্রতিপালকের কাছে থাকার অনেক জায়গা আছে। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৫

১আমি প্রকৃত আঙুরগাছ এবং আমার প্রতিপালক চাষী। ২আমার যেসব ডালে ফল ধরে না, সেগুলো তিনি কেটে ফেলেন আর যেসব ডালে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৬

১আমি এসব কথা তোমাদের জানাচ্ছি, যেনো তোমরা বাধা না পাও। ২তারা তোমাদেরকে সিনাগোগ থেকে বের করে দেবে। প্রকৃতপক্ষে এমন এক ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৭

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, সময় এসেছে, তোমার একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৮

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. তাঁর হাওয়ারিদের নিয়ে কিদরোন উপত্যকা পার হয়ে একটি জায়গায় গেলেন। সেখানে একটি বাগান ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৯

১অতঃপর পিলাত হযরত ইসা আ.কে চাবুক মারালেন। ২আর সৈন্যরা কাঁটালতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে তাঁর মাথায় পরালো এবং তাঁকে একটি বেগুনি ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২০

১সপ্তাহের প্রথম দিন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে মগ্‌দলিনি মরিয়ম কবরের কাছে এলেন এবং দেখলেন যে, কবরের মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২১

১এসবের পরে তিবিরিয়া লেকের পাড়ে হযরত ইসা আ. আবার তাঁর হাওয়ারিদের দেখা দিলেন। তিনি নিজেকে তাদের কাছে এভাবে দেখালেন: ২হযরত ...