কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৬

75986
Total
Visitors

১অতঃপর হযরত ইসা আ. গালিল লেকের ওপারে গেলেন। একে তিবিরিয়া লেকও বলা হয়। ২বিশাল এক জনতা তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলো, কারণ রোগীদের ওপর তিনি যে-মোজেজা দেখাচ্ছিলেন তা তারা দেখেছিলো। ৩হযরত ইসা আ. পাহাড়ের ওপরে উঠে তাঁর সাহাবিদের সাথে বসলেন। ৪তখন ইহুদিদের ইদুল-ফেসাখ কাছে এসে পড়েছিলো। ৫ হযরত ইসা আ. বিশাল এক জনতাকে তাঁর দিকে আসতে দেখে ফিলিপকে বললেন, “এই লোকদের খাওয়ানোর জন্য আমরা কোথা থেকে রুটি কিনবো?” ৬তাকে পরীক্ষা করার জন্য তিনি একথা বললেন, কারণ তিনি যা করবেন তা তিনি জানতেন।

৭ফিলিপ উত্তর দিলেন, “এদের প্রত্যেককে সামান্য কিছু করে দিলেও একজনের ছয় মাসের আয়েও কুলাবে না।” ৮তাঁর এক সাহাবি, হযরত সাফওয়ান পিতরের ভাই হযরত অন্দ্রিয়ান রা., ৯তাঁকে বললেন, “এখানে একটি ছেলে আছে, যার কাছে পাঁচটি রুটি ও দুটো মাছ আছে। কিন্তু এতো মানুষের মধ্যে এতে কী হবে?” ১০হযরত ইসা আ. বললেন, “লোকদের বসিয়ে দাও।” সেখানে অনেক ঘাস ছিলো, তাই তারা বসে পড়লো; সব মিলে প্রায় পাঁচ হাজার লোক ছিলো।

১১তখন হযরত ইসা আ. রুটি নিয়ে আল্লাহকে শুকরিয়া জানালেন এবং যারা বসে ছিলো, তাদেরকে তা দিলেন। একইভাবে মাছও দিলেন। তারা যতো চাইলো ততোই দিলেন। ১২তারা সন্তুষ্ট হলে পর তিনি তাঁর হাওয়ারিদেরকে বললেন, “অবশিষ্ট টুকরোগুলো জমা করো, যেনো কিছুই নষ্ট না হয়।” তাই তারা সবকিছু জমা করলেন। ১৩এবং পাঁচটি রুটি থেকে সব লোকদের খাবার পর যা অবশিষ্ট রইলো তা দিয়ে তারা বারোটি ঝুড়ি ভর্তি করলেন। 

১৪লোকেরা তাঁর এই মোজেজা দেখে বলতে লাগলো, “যে-নবির দুনিয়াতে আসার কথা ছিলো, ইনি নিশ্চয়ই তিনি।” ১৫হযরত ইসা আ. যখন বুঝতে পারলেন যে, লোকেরা জোর করে তাঁকে বাদশা বানানোর জন্য আসছে, তখন তিনি সেই জায়গা ছেড়ে আবার পাহাড়ে চলে গেলেন। ১৬সন্ধ্যায় তাঁর হাওয়ারিরা লেকের পাড়ে গিয়ে নৌকায় উঠলেন এবং লেকের ওপারের কফরনাহুমের দিকে চললেন। ১৭তখন অন্ধকার হয়ে গেছে এবং হযরত ইসা আ. তখনো তাদের কাছে আসেননি। ১৮ঝড়ো-হাওয়ার কারণে লেকে বড়ো বড়ো ঢেউ উঠলো।

১৯তিন-চার মাইল যাবার পর তারা দেখলেন যে, হযরত ইসা আ. পানির ওপর দিয়ে হেঁটে তাদের দিকে আসছেন এবং তারা খুব ভয় পেলেন। ২০কিন্তু তিনি তাদের বললেন, “ভয় করো না, এ তো আমি।” ২১তখন তারা তাঁকে নৌকায় তুলে নিতে চাইলেন আর তারা যেখানে যাচ্ছিলেন, নৌকা তখনই সেখানে পৌঁছে গেলো।

২২পরদিন সকাল পর্যন্ত যে-লোকেরা লেকের পাড়ে রয়ে গিয়েছিলো, তারা দেখেছিলো যে, আগের দিন সেখানে মাত্র একটি নৌকা ছিলো। তারা এও দেখেছিলো যে, হযরত ইসা আ. তাঁর হাওয়ারিদের সাথে নৌকায় ওঠেননি কিন্তু তারা তাঁকে ছাড়াই চলে গেছেন।

২৩তখন হযরত ইসা আ. যেখানে শুকরিয়া জানিয়ে রুটি খাইয়েছিলেন, সেখানে তিবিরিয়া থেকে কয়েকটি নৌকা এলো। ২৪যখন তারা দেখলো যে, হযরত ইসা আ. বা তাঁর হাওয়ারিরা কেউই সেই নৌকাগুলোতে আসেননি,

২৫তখন তারা নিজেরাই নৌকাগুলোতে উঠে তাঁকে খুঁজতে কফরনাহুমের দিকে চলে গেলো। লেকের ওপারে তাঁকে পেয়ে তারা বললো, “হুজুর, আপনি কখন এখানে এসেছেন?”

২৬হযরত ইসা আ. তাদের উত্তর দিলেন, “আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, তোমরা মোজেজা দেখেছো বলে নয়, বরং তোমরা পেট ভরে রুটি খেয়েছো বলে আমার খোঁজ করছো। ২৭যে-খাবার নষ্ট হয়ে যায় তার জন্য নয় বরং ইবনুল-ইনসান যে-খাবার দেন, যা আল্লাহর সান্নিধ্য পাইয়ে দেয়, তার জন্য কাজ করো। এজন্যই প্রতিপালক আল্লাহ তাঁকে নিযুক্ত ও মূদ্রাঙ্কিত করেছেন।”

২৮তখন তারা বললো, “আল্লাহর কাজ করার জন্য আমাদের অবশ্যই কী করতে হবে?” ২৯হযরত ইসা আ. তাদের উত্তর দিলেন, “আল্লাহ যাঁকে পাঠিয়েছেন, তাঁর ওপর ইমান আনাই হচ্ছে তাঁর কাজ।” ৩০তাই তারা তাঁকে বললো, “কী মোজেজা আপনি আমাদের দেখাতে যাচ্ছেন, যা দেখে আমরা আপনার ওপর ইমান আনতে পারি? কী কাজ আপনি করছেন? ৩১আমাদের পূর্ব-পুরুষেরা মরু ভূমিতে মান্না খেয়েছিলেন। যেমন লেখা আছে, ‘তিনি আসমান থেকে তাদের রুটি খেতে দিয়েছিলেন।’” ৩২অতঃপর হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, হযরত মুসা আ. তোমাদের রুটি দেননি ৩৩কিন্তু আমার প্রতিপালকই বেহেস্ত থেকে তোমাদের আসল রুটি দেন। কারণ আল্লাহর রুটি হলো তাই, যা বেহেস্ত থেকে নেমে আসে এবং দুনিয়াকে জীবন দেয়।”

৩৪তারা তাঁকে বললো, “হুজুর, এই রুটি আমাদের সব সময় দিন।” ৩৫হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “আমিই জীবন-রুটি। যে কেউ আমার কাছে আসে, তার কখনো খিদে পাবে না এবং যে আমার ওপর ইমান আনে, তার কখনো পিপাসা পাবে না। ৩৬আমি তোমাদের বলছি, আর তোমরা আমাকে দেখছো, তবুও বিশ্বাস করছো না।

৩৭প্রতিপালক আমাকে যা-কিছু দেন তা আমার কাছে আসবে ৩৮এবং যে কেউ আমার কাছে আসবে, আমি তাকে ফেলে দেবো না। কারণ আমার নিজের ইচ্ছা পালন করার জন্য নয়, বরং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা পালনের জন্যই আমি বেহেস্ত থেকে নেমে এসেছি।

৩৯এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা হলো এই- তিনি আমাকে যা দিয়েছেন, তার কিছুই যেনো না হারাই কিন্তু কেয়ামতের দিন ওঠাই। ৪০নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালকের ইচ্ছা এই যে, যতোজন আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে দেখে এবং ইমান আনে, তারা আল্লাহর সান্নিধ্য পাবে এবং কেয়ামতের দিন আমি তাদের ওঠাবো।”

৪১তখন ইহুদিরা অভিযোগ করতে লাগলো। কারণ তিনি বলেছিলেন, “আমিই বেহেস্ত থেকে নেমে আসা রুটি।” ৪২তারা বলছিলো, “এই হযরত ইসা আ. কি হযরত ইউসুফের ছেলে নয়, যার বাবামাকে আমরা চিনি? এখন সে কীভাবে বলছে যে, ‘আমি বেহেস্ত থেকে নেমে এসেছি’?”

৪৩হযরত ইসা আ. তাদের উত্তর দিলেন, “নিজেদের মধ্যে বিবাদ করো না। ৪৪যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, সেই প্রতিপালক কাউকে না ডাকলে কেউ আমার কাছে আসে না; এবং কেয়ামতের দিন আমিই সেই লোককে ওঠাবো।

৪৫নবিরা লিখে গেছেন, ‘আল্লাহ তাদের সবাইকে শেখাবেন।’ যতোজন প্রতিপালকের কাছ থেকে শুনেছে ও শিখেছে, তারা আমার কাছে আসবে। আল্লাহর কাছ থেকে যিনি এসেছেন, ৪৬তিনি ছাড়া প্রতিপালককে কেউ দেখেনি; তিনিই তাঁকে দেখেছেন। ৪৭আমি সত্যিই বলছি, যে ইমান আনে সে আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত।

৪৮আমিই জীবনের খাবার। ৪৯তোমাদের পূর্বপুরুষরা মরুভূমিতে মান্না খেয়েছিলেন এবং তারা মারা গেছেন। ৫০এই সেই খাবার যা বেহেস্ত থেকে নেমে এসেছে, যেনো যে এ-খাবার থেকে খায় সে না মরে। ৫১আমিই বেহেস্ত থেকে নেমে আসা জীবন-খাবার। যে কেউ এই খাবার থেকে খায়, সে চিরদিন বেঁচে থাকবে এবং দুনিয়ার জীবনের জন্য আমি যে-খাবার দেবো তা হচ্ছে আমার শরীর।”

৫২তখন ইহুদিরা নিজেদের মধ্যে এই বলে তর্কাতর্কি করতে লাগলো, “এই লোক কীভাবে আমাদেরকে তার শরীর খেতে দেবে?” ৫৩হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যদি তোমরা ইবনুল-ইনসানের শরীর না খাও ও তাঁর রক্ত পান না করো, তাহলে তোমাদের জীবন নেই।

৫৪যারা আমার শরীর খাবে ও আমার রক্ত পান করবে, তারা আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত এবং কেয়ামতের দিন আমি তাদের ওঠাবো। ৫৫কারণ আমার শরীরই আসল খাবার এবং আমার রক্ত আসল পানীয়। ৫৬যারা আমার শরীর খায় ও আমার রক্ত পান করে, তারা আমার সাথে যুক্ত হয় এবং আমি তাদের সাথে যুক্ত হই। ৫৭যেভাবে প্রতিপালক আমাকে পাঠিয়েছেন এবং আমি তাঁর কারণে বেঁচে থাকি, তেমনিভাবে যারা আমাকে খায়, তারা আমার কারণে বেঁচে থাকে। ৫৮এই খাবারই বেহেস্ত থেকে এসেছে। তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যা খেয়েছেন ও মারা গেছেন, এটি তার মতো নয়। কিন্তু এই খাবার যে খায়, সে চিরদিন বেঁচে থাকবে।”

৫৯কফরনাহুমের সিনাগোগে শিক্ষা দেবার সময় তিনি এসব বলছিলেন। ৬০তাঁর অনেক সাহাবি এসব শুনে বললেন, “এ-শিক্ষা খুবই কঠিন, কে তা গ্রহণ করতে পারে?” ৬১কিন্তু হযরত ইসা আ. যখন বুঝলেন যে, তাঁর সাহাবিরা এ-বিষয়ে অভিযোগ করছেন, তখন তিনি তাদের বললেন, “এই শিক্ষা কি তোমাদের কষ্ট দিচ্ছে? ৬২তাহলে ইবনুল-ইনসান আগে যেখানে ছিলেন, তাঁকে সেখানে যেতে দেখলে কী বলবে? রুহই জীবন দেয়, শরীর কিছু নয়। ৬৩যে-কালাম তোমাদের কাছে বলা হয়েছে তা-ই রুহ ও জীবন। ৬৪কিন্তু তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে, যারা ইমান আনবে না।” কারণ হযরত ইসা আ. প্রথম থেকেই জানতেন যে, কে তাঁর ওপর ইমান আনবে না এবং কে তাঁর সাথে বেইমানি করবে। ৬৫তিনি বললেন, “এজন্য আমি তোমাদের বলছি যে, আল্লাহ না চাইলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না।” ৬৬এর ফলে তাঁর অনেক উম্মত তাঁকে ছেড়ে চলে গেলো এবং তাঁর পেছনে আর এলো না।

৬৭তাই হযরত ইসা আ. বারোজনকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরাও কি চলে যেতে চাও?” ৬৮হযরত সাফওয়ান পিতর রা. উত্তর দিলেন, “হুজুর, আমরা কার কাছে যাবো? আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার কালাম তো আপনার কাছেই আছে। ৬৯আমরা জেনেছি এবং ইমান এনেছি যে, আপনিই আল্লাহর পবিত্রজন।” ৭১হযরত ইসা আ. তাদের উত্তর দিলেন, “আমি কি তোমাদের বারোজনকে বেছে নেইনি? তবুও তোমাদের মধ্যে একজন ইবলিস আছে।” ৭২ইহুদা ইবনে সিমোন ইস্কারিয়োতের বিষয়ে তিনি একথা বলছিলেন। যদিও তিনি বারোজনের একজন ছিলেন, তবুও তিনি তাঁর সাথে বেইমানি করেছিলেন।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১

১-৫শুরু থেকেই আল্লাহ আছেন। আল্লাহর কালাম তাঁর নিজের মধ্যেই ছিলো, এই কালামই হলো আল্লাহর কথা। আল্লাহ্ তাঁর কথা দ্বারাই সব ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২

১তৃতীয় দিনে গালিলের কান্না গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো এবং হযরত ইসা আ.র মা সেখানে ছিলেন। ২হযরত ইসা আ. এবং ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৩

১নিকদিম নামে একজন ফরিসি ছিলেন; তিনি ছিলেন ইহুদিদের একজন নেতা। ২তিনি রাতের বেলায় হযরত ইসা আ.র কাছে এলেন এবং বললেন, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৪

১যখন হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, ফরিসিরা শুনতে পেয়েছেন, “ হযরত ইসা আ. হযরত ইয়াহিয়া আ.র থেকে বেশি উম্মত ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৫

১এরপর ইহুদিদের আরেকটি ইদের সময় হলো এবং হযরত ইসা আ. জেরুসালেমে গেলেন। ২জেরুসালেমের মেষ-দরজার কাছে একটি পুকুর ছিলো। ৩হিব্রু ভাষায় ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৬

১অতঃপর হযরত ইসা আ. গালিল লেকের ওপারে গেলেন। একে তিবিরিয়া লেকও বলা হয়। ২বিশাল এক জনতা তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলো, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৭

১এরপর হযরত ইসা আ. গালিলে চলাফেরা করছিলেন। তিনি ইহুদিয়ায় যেতে চাইলেন না, কারণ ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজছিলো। ২এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৮

১অতঃপর তারা প্রত্যেকে বাড়ি চলে গেলেন। এদিকে হযরত ইসা আ.ও জৈতুন পাহাড়ে চলে গেলেন। ২এবং খুব ভোরে উঠে তিনি আবার ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ৯

১যেতে যেতে তিনি এক জন্মান্ধকে দেখতে পেলেন। ২তাঁর সাহাবিরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর, কার গুনাহর কারণে এই লোকটি অন্ধ হয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১০

১আমি তোমাদের সত্যি সত্যিই বলছি, যে কেউ দরজা দিয়ে না ঢুকে অন্য উপায়ে ভেড়ার খোঁয়াড়ে ঢোকে, সে চোর ও ডাকাত। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১১

১বেথানিয়া গ্রামের লাসার নামে এক লোকের অসুখ হয়েছিলো। মরিয়ম ও তার বোন মার্থা সেই একই গ্রামে থাকতেন। ২ইনি সেই মরিয়ম, ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১২

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১২

১ইদুল-ফেসাখের ছয়দিন আগে হযরত ইসা আ. বেথানিয়ায় লাসারের বাড়িতে এলেন। এই লাসারকেই তিনি মৃত থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। ২সেখানে তারা ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৩

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৩

১ইদুল-ফেসাখের আগে হযরত ইসা আ. বুঝতে পারলেন যে, তাঁর এই দুনিয়া ছেড়ে প্রতিপালকের কাছে চলে যাবার সময় হয়ে গেছে। এই ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৪

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৪

১তোমরা অন্তরে অস্থির হয়ো না। আল্লাহর ওপর ইমান রাখো, আমার ওপরও ইমান রাখো। ২আমার প্রতিপালকের কাছে থাকার অনেক জায়গা আছে। ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৫

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৫

১আমি প্রকৃত আঙুরগাছ এবং আমার প্রতিপালক চাষী। ২আমার যেসব ডালে ফল ধরে না, সেগুলো তিনি কেটে ফেলেন আর যেসব ডালে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৬

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৬

১আমি এসব কথা তোমাদের জানাচ্ছি, যেনো তোমরা বাধা না পাও। ২তারা তোমাদেরকে সিনাগোগ থেকে বের করে দেবে। প্রকৃতপক্ষে এমন এক ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৭

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৭

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আমার প্রতিপালক, সময় এসেছে, তোমার একান্ত প্রিয় মনোনীতজনকে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৮

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৮

১এসব কথা বলার পর হযরত ইসা আ. তাঁর হাওয়ারিদের নিয়ে কিদরোন উপত্যকা পার হয়ে একটি জায়গায় গেলেন। সেখানে একটি বাগান ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ১৯

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ১৯

১অতঃপর পিলাত হযরত ইসা আ.কে চাবুক মারালেন। ২আর সৈন্যরা কাঁটালতা দিয়ে মুকুট বানিয়ে তাঁর মাথায় পরালো এবং তাঁকে একটি বেগুনি ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২০

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২০

১সপ্তাহের প্রথম দিন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে মগ্‌দলিনি মরিয়ম কবরের কাছে এলেন এবং দেখলেন যে, কবরের মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে ...
কালিমাতুল্লাহ: রুকু - ২১

কালিমাতুল্লাহ: রুকু – ২১

১এসবের পরে তিবিরিয়া লেকের পাড়ে হযরত ইসা আ. আবার তাঁর হাওয়ারিদের দেখা দিলেন। তিনি নিজেকে তাদের কাছে এভাবে দেখালেন: ২হযরত ...