হাওয়ারিনামা: রুকু – ১০

76315
Total
Visitors

১কৈসরিয়া শহরে কর্নেলিয়াস নামে একজন লোক ইতালিয় সৈন্যদলের লেফটেন্যান্ট ছিলেন। ২তিনি আল্লাহ্ভক্ত ছিলেন এবং তিনি ও তার পরিবারের সবাই আল্লাহর এবাদত করতেন। তিনি খুশি মনে গরিবদের দান করতেন এবং সব সময় আল্লাহর কাছে মোনাজাত করতেন।

৩এক দিন বেলা তিনটার সময় তিনি একটি দর্শন পেলেন। তিনি ¯পষ্ট দেখতে পেলেন যে, আল্লাহর এক ফেরেস্তা এসে তাকে ডাকছেন, “কর্নেলিয়াস।” ৪তিনি ভয়ে ভয়ে তার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ইয়া আল্লাহ, এ কী?” তিনি উত্তর দিলেন, “তোমার মোনাজাত ও তোমার দানের কথা বেহেস্তে পৌঁছেছে এবং আল্লাহ তা মনে রেখেছেন। ৫এখন জাফাতে লোক পাঠাও আর সাফওয়ান, যাকে পিতর নামে ডাকা হয়, তাকে ডেকে আনো। ৬সমুদ্রের ধারে চামড়া-ব্যবসায়ী সিমোনের বাড়িতে সে আছে।” ৭যে-ফেরেস্তা তার সংগে কথা বলছিলেন, তিনি চলে গেলে পর কর্নেলিয়াস তার দু’জন গোলাম ও একজন সাহায্যকারী সৈন্যকে ডাকলেন। ৮এবং সমস্ত কথা বুঝিয়ে বলার পর তিনি তাঁদের জাফাতে পাঠালেন।

৯পরদিন যখন সেই লোকেরা জাফা শহরের দিকে আসছিলো, তখন বেলা প্রায় দুপুর। হযরত পিতর রা. মোনাজাত করার জন্য সেই সময় ছাদে উঠলেন। ১০তখন তাঁর খুব ক্ষুধা পেলো এবং তিনি কিছু খেতে চাইলেন। যখন খাবার তৈরি হচ্ছিলো, তখন তিনি প্রায় ঘুমিয়ে পড়লেন।

১১সেই অবস্থায় তিনি দেখলেন, আসমান খুলে গেছে এবং বড়ো চাদরের মতো কোনো একটি জিনিসকে চার কোণা ধরে দুনিয়াতে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ১২এর মধ্যে সব রকমের চার পা ওয়ালা পশু, বুকে হাঁটা প্রাণী এবং বিভিন্ন পাখি রয়েছে। ১৩তারপর তিনি একটি কণ্ঠস্বর শুনলেন, তাঁকে বলছেন, “হে পিতর, ওঠো, মেরে খাও।”

১৪কিন্তু হযরত পিতর রা.বললেন, “না, না, মালিক, কিছুতেই না। আমি কখনো হারাম কোনো কিছু খাইনি। ১৫কণ্ঠস্বর তাঁকে আবার বললেন, “আল্লাহ যা হালাল করেছেন, তাকে তুমি হারাম বলো না।” ১৬তিনবার এরকম হলো এবং হঠাৎ করে সেগুলো আসমানে তুলে নেয়া হলো।

১৭হযরত পিতর রা.যখন তার দেখা দর্শনের অর্থ কী হতে পারে, তা নিয়ে মনে-মনে ভাবছিলেন, তখনই কর্নেলিয়াসের পাঠানো লোকেরা এসে দরজায় উপস্থিত হলো। ১৮তারা সিমোনের বাড়ির খোঁজ করছিলো। তারা ডেকে জিজ্ঞেস করলো, “সিমোন, যাকে পিতরও বলা হয়, তিনি কি এখানে আছেন?”

১৯হযরত পিতর রা. তখনো দর্শনের কথা ভাবছিলেন, এ-সময় আল্লাহর রুহ তাঁকে বললেন, “দেখো, তিনজন লোক তোমার খোঁজ করছে। ২০ওঠো, নিচে যাও। কোনো সন্দেহ না-করে তাদের সংগে যাও, কারণ আমিই তাদের পাঠিয়েছি।”

২১তখন তিনি নিচে নেমে এসে সেই লোকদের বললেন, “তোমরা যার খোঁজ করছো, আমিই সেই লোক। তোমরা কেনো এসেছো?” ২২তারা উত্তর দিলো, “লেফটেন্যান্ট কর্নেলিয়াস আমাদের পাঠিয়েছেন। তিনি একজন দীনদার লোক এবং আল্লাহকে ভয় করেন। গোটা ইহুদি জাতি তার সুনাম করে। একজন পবিত্র ফেরেস্তা তাকে হুকুম দিয়েছেন, ২৩যেনো তিনি আপনাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে আপনার কথা শোনেন।” তখন হযরত পিতর রা. তাদের ভেতরে নিয়ে এলেন এবং তাদের থাকার ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। পরদিন তিনি উঠে তাদের সংগে রওনা হলেন এবং জাফা শহরের কয়েকজন ইমানদার ভাইও তাদের সংগে গেলেন।

২৪এর পরদিন তারা কৈসরিয়াতে পৌঁছলেন। কর্নেলিয়াস তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

তিনি তার আত্মীয়-স্বজন ও বিশেষ বন্ধুদেরও ডেকেছিলেন। ২৫হযরত পিতর রা. যখন ঘরে ঢুকলেন, তখন কর্নেলিয়াস তাঁর কাছে গিয়ে তাঁর পায়ের ওপর উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে সেজদা করলেন। ২৬কিন্তু হযরত পিতর রা. তাকে উঠিয়ে বললেন, “উঠুন, আমি নিজেও তো একজন মানুষ মাত্র।”

২৭তিনি তার সংগে কথা বলতে-বলতে ভেতরে গিয়ে দেখলেন, সেখানে অনেক লোক জমায়েত হয়েছেন। ২৮তিনি তাদের বললেন, “আপনারা তো জানেন যে, একজন ইহুদির পক্ষে একজন অইহুদির সংগে মেলামেশা করা বা তার সংগে দেখা করা শরিয়ত-বিরুদ্ধ কাজ। কিন্তু আল্লাহ্ আমাকে দেখিয়েছেন যে, আমি যেনো কাউকে অপবিত্র বা নাপাক না-বলি। ২৯তাই যখন আপনারা আমাকে ডেকে পাঠালেন, তখন কোনো আপত্তি না-করেই আমি এসেছি। এখন আমি কি জিজ্ঞেস করতে পারি, কেনো আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন?”

৩০কর্নেলিয়াস বললেন, “চারদিন আগে ঠিক এই সময়, বেলা তিনটায়, আমি আমার ঘরে মোনাজাত করছিলাম, তখন হঠাৎ উজ্জ্বল কাপড় পরা এক লোক আমার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ৩১‘কর্নেলিয়াস, আল্লাহ্ তোমার মোনাজাত শুনেছেন এবং তোমার দানের কথা তিনি মনে রেখেছেন। ৩২জাফাতে লোক পাঠাও আর সাফওয়ান, যাকে পিতরও বলা হয়, তাকে ডেকে আনো। সে সমুদ্রের ধারের চামড়া-ব্যবসায়ী সিমোনের বাড়িতে আছে।’

৩৩এ-জন্য আমি তখনই আপনাকে ডেকে আনার জন্য লোক পাঠিয়ে দিলাম এবং আপনি দয়া করে এসেছেন। এখানে আমরা সবাই এখন আল্লাহর সামনে আছি। তিনি আপনাকে আমাদের কাছে যা বলতে হুকুম দিয়েছেন, আমরা তার সবই শুনবো।”

৩৪তখন হযরত সাফওয়ান রা. বলতে আরম্ভ করলেন, “আমি এখন সত্যিই বুঝতে পারলাম, আল্লাহ্ পক্ষপাতিত্ব করেন না। ৩৫প্রত্যেক জাতির মধ্যে যারা তাঁকে ভয় করে এবং তাঁর চোখে যা ঠিক তা-ই করে, তিনি তাদের গ্রহণ করেন।

৩৬আপনারা জানেন যে, বনি-ইস্রাইলের কাছে তিনি এই কালাম পাঠিয়ে ছিলেন, হযরত ইসা মসিহের মাধ্যমেই শান্তি প্রচারিত হচ্ছে। তিনি সব মানুষের বাদশাহ।

৩৭হযরত ইয়াহিয়া আ. তাঁর বায়াতের কথা ঘোষণা করার পর গালিল থেকে আরম্ভ করে ইহুদিয়ার সব জায়গায় এই সংবাদ প্রচারিত হয়েছে- ৩৮কীভাবে আল্লাহ্ নাসরতের হযরত ইসা আ.কে আল্লাহর রুহ্ ও শক্তি দিয়ে অভিষেক করেছিলেন, কীভাবে তিনি ভালো কাজ করে বেড়াতেন এবং ইবলিসের হাতে যারা কষ্ট পেতো তাদের সবাইকে সুস্থ করতেন, কারণ আল্লাহ্ তাঁর সংগে ছিলেন।

৩৯ইহুদিয়ায় এবং জেরুসালেমে তিনি যা-যা করেছিলেন, আমরা সে-সবের সাক্ষী। তারা তাঁকে সলিবে টাঙিয়ে হত্যা করেছিলো। ৪০কিন্তু আল্লাহ্ তৃতীয় দিনে তাঁকে জীবিত করে তুললেন, এবং মানুষকে দেখা দিতে দিলেন- ৪১সবাইকে নয়, কিন্তু আল্লাহ্ যাদের সাক্ষী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন এবং মৃত থেকে জীবিত হয়ে ওঠার পরে আমরা যারা তাঁর সংগে খাওয়া-দাওয়া করেছি, সেই আমাদেরকেই। ৪২তিনি আমাদের হুকুম দিয়েছেন, যেনো আমরা লোকদের কাছে প্রচার করি এবং সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ্ তাঁকেই জীবিত ও মৃতদের বিচারকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছেন। ৪৩সব নবিই তাঁর বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, যারা তাঁর ওপর ইমান আনে, তারা প্রত্যেকে তাঁর নামে গুনাহের ক্ষমা পায়।”

৪৪হযরত সাফওয়ান রা. তখনো কথা বলছেন, এমন সময় যারা সে-কথা শুনছিলো, তাদের সকলের ওপর আল্লাহর রুহ নেমে এলেন। ৪৫যে খতনা করা ইমানদারেরা হযরত সাফওয়ান রা. সংগে এসেছিলেন, তারা এটা দেখে আশ্চর্য হলেন যে, অইহুদিদের ওপরেও আল্লাহর রুহের দান ঢেলে দেয়া হলো। ৪৬কারণ তাঁরা তাদের ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে ও আল্লাহর প্রশংসা করতে শুনলেন।

৪৭তখন হযরত সাফওয়ান রা. বললেন, “পানিতে বায়াত নিতে কি এই লোকদের কেউ বাধা দিতে পারে? তারা তো আমাদের মতোই আল্লাহর রুহকে পেয়েছেন।” ৪৮তখন তিনি তাদের সবাইকে হযরত ইসা মসিহের নামে বায়াত নেবার হুকুম দিলেন। পরে তারা তাঁকে তাদের কাছে কয়েকদিন থাকতে অনুরোধ করলেন।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১

১,২মাননীয় থিয়ফিল, হযরত ইসা আ.কে বেহেস্তে তুলে নেবার আগ পর্যন্ত তিনি যা করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার সমস্তই আমি আগের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২

১পঞ্চাশতম দিনের ইদে যখন তারা সবাই এক জায়গায় মিলিত হলেন, ২তখন হঠাৎ আসমান থেকে জোর বাতাসের শব্দের মতো একটি শব্দ ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৩

১এক দিন বিকেল তিনটার এবাদতের সময় হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. বায়তুল-মোকাদ্দসে যাচ্ছিলেন। এবং জন্ম থেকেই খোঁড়া এক ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৪

১হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. যখন লোকদের সংগে কথা বলছিলেন, তখন ইমামেরা, বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রধান কর্মচারী ও সদ্দুকিরা তাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৫

১আনানিয়াস নামে এক লোক ও তার স্ত্রী সাফিরা একটি সম্পত্তি বিক্রি করলো। ২তার স্ত্রীর জানা মতেই বিক্রির কিছু টাকা সে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৬

১ঐ দিনগুলোতে যখন উম্মতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো, তখন গ্রীকরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো যে, প্রতিদিন খাবার বিতরণের সময় তাদের বিধবাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৭

১তখন প্রধান ইমাম হযরত স্তিফান র.কে জিজ্ঞেস করলেন, “এসব কি সত্যি?”২হযরত স্তিফান র. উত্তর দিলেন, “হে আমার ভাইয়েরা ও আমার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৮

১ হযরত শৌল রা. তাকে হত্যার অনুমোদন দিচ্ছিলেন।সেদিন জেরুসালেমে হযরত ইসা আ. এর অনুসারীদের ওপরে ভীষণ জুলুম শুরু হলো। তাতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৯

১-২এদিকে হযরত শৌল রা. হযরত ইসা মসিহের উম্মতদের হত্যা করার ভয় দেখাচ্ছিলেন।তিনি মহা-ইমামের কাছে গিয়ে দামেস্ক শহরের সিনাগোগগুলোতে দেবার জন্য ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১০

১কৈসরিয়া শহরে কর্নেলিয়াস নামে একজন লোক ইতালিয় সৈন্যদলের লেফটেন্যান্ট ছিলেন। ২তিনি আল্লাহ্ভক্ত ছিলেন এবং তিনি ও তার পরিবারের সবাই আল্লাহর ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১১

১অইহুদিরাও যে আল্লাহর কালামের ওপর ইমান এনেছেন, সে-কথা হাওয়ারিরা এবং সমস্ত ইহুদিয়ার ইমানদার ভাইয়েরা শুনলেন। ২এ-জন্য হযরত সাফওয়ান রা. যখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১২

১সেই সময় বাদশাহ হেরোদ জুলুম করার জন্য কওমের কয়েকজনকে ধরে এনেছিলেন। ২তিনি হযরত ইউহোন্না রা.-র ভাই হযরত ইয়াকুব রা.-কে তরবারি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৩

১ আন্তিয়খিয়ার অনুসারীদের মধ্যে কয়েকজন ওলি ও শিক্ষক ছিলেন। তাদের নাম হযরত বার্নবাস র., হযরত নিগের র. নামে পরিচিত সিমোন, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৪

১ইকোনিয়ম শহরেও একই ঘটনা ঘটলো। সেখানে হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. ইহুদিদের সিনাগোগে গিয়ে এমনভাবে কথা বললেন যে, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৫

১সেই সময় ইহুদিয়া থেকে কয়েকজন লোক এলেন এবং ভাইদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন যে, “হযরত মুসা আ. এর শরিয়ত মতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৬

১পরে হযরত পৌল রা. দেব্রা ও লুস্ত্রা শহরে গেলেন। সেখানে হযরত তিমথীয় র. নামে একজন উম্মত থাকতেন। তাঁর মা ছিলেন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৭

১হযরত পৌল রা. ও হযরত সিল র. আমফিপলি ও আপল্লো নিয়া হয়ে থিসালোনিকিতে এসে পৌঁছলেন। সেখানে ইহুদিদের একটি সিনাগোগ ছিলো। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৮

১এরপর হযরত পৌল রা. এথেন্স ছেড়ে করিন্থ শহরে গেলেন। সেখানে আকুইলা নামে এক ইহুদির সংগে তার দেখা হলো, জন্মসূত্রে তিনি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৯

১আপল্লো যখন করিন্থে ছিলেন, সেই সময় হযরত পৌল রা. সে-সব এলাক ঘুরে ইফিসে এলেন। ২সেখানে তিনি কয়েকজন ইমানদারের দেখা পেলেন। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২০

১গোলমাল থামার পর হযরত পৌল রা. ইমানদারদের ডেকে পাঠালেন। তাঁদের উৎসাহ দেবার পর তাঁদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি মেসিডোনিয়ার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২১

১তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা সোজা কোস দ্বীপে গেলাম। পরদিন আমরা রোডস দ্বীপে এলাম। তারপর সেখান থেকে পাতারা গেলাম। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২২

১“ভাইয়েরা ও পিতারা, এখন নিজের পক্ষে আমার উত্তর শুনুন।” ২তারা তাঁকে ইব্রানী ভাষায় কথা বলতে শুনে একেবারে চুপ হয়ে গেলো।৩তখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৩

১হযরত পৌল রা. সোজা মহাসভার লোকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আমার ভাইয়েরা, আজ পর্যন্ত আমি আল্লাহর সামনে পরিষ্কার বিবেকে জীবন-যাপন করছি।” ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৪

১পাঁচদিন পরে মহাইমাম অননিয় কয়েকজন ইহুদি বুজুর্গকে ও তর্তুল্লস নামে একজন উকিলকে নিয়ে সেখানে এলেন এবং গভর্নরের কাছে হযরত পৌল ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৫

১ফাস্তুস সেই প্রদেশে আসার তিনদিন পর কৈসরিয়া থেকে জেরুসালেমে গেলেন। ২সেখানে প্রধান ইমামেরা ও নেতারা তার কাছে গিয়ে পৌলের বিরুদ্ধে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৬

১তখন আগ্রিপ্প হযরত পৌল রা.-কে বললেন, “তোমার নিজের পক্ষে কথা বলার জন্য তোমাকে অনুমতি দেয়া গেলো।” ২তখন তিনি হাত বাড়িয়ে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৭

১যখন জাহাজে করে আমাদের ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, তখন হযরত পৌল রা. এবং আরো কয়েকজন বন্দিকে জুলিয়াস নামে সম্রাটের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৮

১,২আমরা নিরাপদে কিনারে পৌঁছে জানতে পারলাম যে, দ্বীপটার নাম মাল্টা। এর অধিবাসীরা আমাদের সংগে খুব দয়া দেখালো। তখন বৃষ্টি আরম্ভ ...