হাওয়ারিনামা: রুকু – ৭

75902
Total
Visitors

১তখন প্রধান ইমাম হযরত স্তিফান র.কে জিজ্ঞেস করলেন, “এসব কি সত্যি?”

২হযরত স্তিফান র. উত্তর দিলেন, “হে আমার ভাইয়েরা ও আমার মুরব্বিরা, আমার কথা শুনুন।

আমাদের পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম আ. হারনে বসবাস করার আগে যখন মেসোপটেমিয়ায় ছিলেন, তখন গৌরবময় আল্লাহ্ তাকে দেখা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ৩‘তুমি তোমার দেশ ও আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে সেই দেশে যাও, যে-দেশ আমি তোমাকে দেখাবো’।

৪তখন তিনি কলদীয়দের দেশ ছেড়ে হারন শহরে বাস করতে লাগলেন। তার বাবার ইন্তেকালের পর আল্লাহ্ তাকে এই দেশে নিয়ে এলেন, যেখানে এখন আপনারা বাস করছেন। ৫নিজের অধিকারের জন্য তিনি তাকে কিছুই দিলেন না, একটি পা রাখার মতো জমিও না। কিন্তু তিনি তার কাছে ওয়াদা করলেন যে, তাকে ও তারপরে তার বংশধরদের অধিকার হিসাবে তিনি এই দেশ দেবেন, যদিও তার কোনো সন্তান ছিলো না ।

৬আল্লাহ্ তাকে বললেন, ‘তোমার বংশধরেরা বিদেশে বসবাস করবে। মানুষ তাদের গোলাম করে রাখবে এবং চারশ বছর ধরে তাদের ওপর জুলুম করবে।’ ৭আল্লাহ্ আরও বললেন, ‘কিন্তু যে-জাতি তাদের গোলাম করবে, সেই জাতিকে আমি শাস্তি দেবো, এবং এরপর তারা বের হয়ে এসে এই জায়গায় আমার এবাদত করবে ।’

৮তারপর তিনি তাঁর ওয়াদার চিহ্ন হিসাবে খতনা করার নিয়ম দিলেন। পরে হযরত ইব্রাহিম আ. এর ছেলে ইসহাকের জন্ম হলো এবং আট দিনের দিন তিনি তার খত্না করালেন। হযরত ইসহাক আ. হলেন হযরত ইয়াকুব আ. এর পিতা এবং হযরত ইয়াকুব আ. সেই বারো গোষ্ঠীর পিতা হলেন।

৯সেই গোষ্ঠী-পিতারা হিংসা করে হযরত ইউসুফ আ.-কে গোলাম হিসাবে মিসর দেশে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহ্ তার সংগে থেকে সমস্ত রকম কষ্ট ও বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করলেন। ১০তিনি তাকে মিসরের বাদশাহ ফেরাউনের সুনজরে আনলেন এবং জ্ঞান দান করলেন। তিনি তাকে মিসরের শাসনকর্তা ও নিজের বাড়ির সকলের কর্তা করলেন।

১১পরে সারা মিসর ও কেনান দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো। তাতে খুব কষ্ট উপস্থিত হলো এবং আমাদের পূর্বপুরুষরা খাবার পেলেন না। ১২কিন্তু মিসরে খাবার আছে শুনে হযরত ইয়াকুব আ. আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথমবার সেখানে পাঠালেন।

১৩দ্বিতীয়বারে হযরত ইউসুফ তার ভাইদের কাছে নিজের পরিচয় দিলেন এবং ফেরাউন হযরত ইউসুফ আ. এর পরিবারের বিষয়ে জানতে পারলেন। ১৪এরপর হযরত ইউসুফ আ. তার পিতা হযরত ইয়াকুব আ. ও পরিবারের অন্য সবাইকে ডেকে পাঠালেন। তাদের সংখ্যা ছিলো মোট পঁচাত্তরজন।

১৫সুতরাং, হযরত ইয়াকুব আ. মিসরে গেলেন আর সেখানে তিনি ও আমাদের পূর্বপুরুষরা ইন্তেকাল করলেন । ১৬তাদের মৃতদেহ শিখিমে এনে দাফন করা হলো। এই জমিটা হযরত ইব্রাহিম আ. শিখিম শহরের হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে রুপা দিয়ে কিনেছিলেন ।

১৭হযরত ইব্রাহিম আ. এর কাছে আল্লাহ্ যে-ওয়াদা করেছিলেন, তা পূর্ণ হওয়ার সময় এলো। মিসরে আমাদের লোকসংখ্যা খুব বেড়ে গেলো। ১৮পরে মিসরে আরেকজন বাদশাহ হলেন, যিনি হযরত ইউসুফ আ. সম্পর্কে জানতেন না। ১৯তিনি আমাদের লোকদের ঠকাতেন ও জুলুম করতেন এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের বাধ্য করতেন, যেনো তারা তাদের শিশুদের ফেলে দেয়, যাতে তারা মারা যায়।

২০সেই সময় হযরত মুসা আ. এর জন্ম হলো। তিনি আল্লাহর কাছে সুন্দর ছিলেন। তিনমাস পর্যন্ত তিনি তার বাবার বাড়িতেই লালিত-পালিত হলেন। ২১আর যখন তাকে ফেলে দেয়া হলো, তখন ফেরাউনের মেয়ে তাকে নিয়ে গিয়ে নিজের ছেলের মতোই মানুষ করে তুললেন। ২২সুতরাং, হযরত মুসা আ. মিসরীয়দের সমস্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠলেন। তিনি কথায় ও কাজে শক্তিশালী হয়ে উঠলেন।

২৩তার বয়স যখন চল্লিশ বছর, তখন তিনি তার ইস্রাইলীয় আত্মীয়-স্বজনদের সংগে দেখা করতে চাইলেন। ২৪একজন মিসরীয়কে একজন ইস্রাইলীয়ের প্রতি খারাপ ব্যবহার করতে দেখে, তিনি সেই ইস্রাইলীয়কে সাহায্য করতে গেলেন এবং মিসরীয়কে হত্যা করে তার শোধ নিলেন। ২৫তিনি মনে করেছিলেন, তার নিজের লোকেরা বুঝতে পারবে, আল্লাহ্ তার দ্বারাই তাদের উদ্ধার করবেন, কিন্তু তারা তা বুঝতে পারলো না।

২৬পরদিন তিনি দু’জন ইস্রাইলীয়কে মারামারি করতে দেখে তাদের মিলিয়ে দেবার জন্য বললেন, ‘তোমরা তো ভাই ভাই, তাহলে একে অন্যের সংগে কেনো ঝগড়া করছো?’

২৭কিন্তু যে-লোকটি তার প্রতিবেশীর সংগে ঝগড়া করছিলো, সে হযরত মুসা আ.কে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বললো, ‘আমাদের ওপর কে তোমাকে শাসনকর্তা ও বিচারক নিয়োগ করেছে? ২৮গতকাল তুমি যেভাবে এক মিসরীয়কে হত্যা করেছো, সেভাবে কি আমাকেও হত্যা করতে চাও?’

২৯এ-কথা শুনে হযরত মুসা আ. পালিয়ে গিয়ে মাদিয়ানদের দেশে বাস করতে লাগলেন। সেখানেই তার দুইটি ছেলের জন্ম হলো। ৩০অতঃপর চল্লিশ বছর পরে তুর পাহাড়ে এক জ্বলন্ত ঝোপের মধ্যে এক ফেরেস্তা তাকে দেখা দিলেন। ৩১এটা দেখে হযরত মুসা আ. আশ্চর্য হয়ে গেলেন। ভালো করে দেখার জন্য কাছে গেলে তিনি আল্লাহর রব শুনতে পেলেন, আল্লাহ্ বললেন-

৩২‘আমি তোমার পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্, ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের আল্লাহ্।’ এই কথাগুলো শুনে হযরত মুসা আ. ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। তার তাকিয়ে দেখার সাহস হলো না। ৩৩তখন আল্লাহ্ তাকে বললেন, ‘তোমার পায়ের জুতা খুলে ফেলো, কারণ যে-জায়গায় তুমি দাঁড়িয়ে আছো, সেটা পবিত্র জমি। ৩৪মিসরে আমার বান্দাদের ওপর যে জুলুম হচ্ছে, তা আমি অবশ্যই দেখেছি। আমি তাদের কান্না শুনেছি এবং তাদের উদ্ধার করার জন্য নেমে এসেছি। এখন এসো, আমি তোমাকে মিসরে পাঠাবো।’

৩৫ইনি সেই হযরত মুসা আ., যাকে তারা এই বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলো, ‘কে তোমাকে আমাদের ওপরে শাসনকর্তা ও বিচারক নিয়োগ করেছে?’ যে-ফেরেস্তা ঝোপের মধ্যে তাঁকে দেখা দিয়েছিলেন, তার মাধ্যমেই আল্লাহ্ তাঁকে শাসনকর্তা ও উদ্ধারকর্তা হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। ৩৬তিনিই মিসরে অনেক আশ্চর্য কাজ করে ও মোজেজা দেখিয়ে তাদের বের করে এনেছিলেন এবং লোহিত সাগর পর্যন্ত ও মরু-প্রান্তরে চল্লিশ বছর ধরে তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

৩৭ইনি সেই হযরত মুসা আ., যিনি বনি-ইস্রাইলদের বলেছিলেন, ‘আল্লাহ্ তোমাদের নিজের লোকদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য একজন নবি উঠাবেন, যেভাবে তিনি আমাকে তুলেছেন।’ ৩৮এই হযরত মুসা আ.-ই মরু-প্রান্তরে বনি-ইস্রাইলদের সেই দলের মধ্যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের সংগে ছিলেন। তার সংগেই ‘তুর’ পাহাড়ে ফেরেস্তা কথা বলেছিলেন। তিনিই আমাদের জন্য জীবন্ত কালাম গ্রহণ করেছিলেন।

৩৯আমাদের পূর্বপুরুষরা তার বাধ্য হতে চাইলেন না। তার বদলে তারা তাকে ৪০অগ্রাহ্য করে মিসরের দিকে মন ফিরিয়ে হারুনকে বললেন, ‘আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবার জন্য দেবদেবী তৈরি করুন, কারণ যে- হযরত মুসা আ. মিসর থেকে আমাদের বের করে এনেছেন, তার কী হয়েছে আমরা জানি না।’

৪১সেই সময়েই তারা বাছুরের মূর্তি তৈরি করেছিলেন। সেই মূর্তির কাছে কোরবানি করেছিলেন এবং নিজেদের হাতের কাজে আনন্দ-উৎসব করেছিলেন। ৪২কিন্তু আল্লাহ্ তাদের দিক থেকে মুখ ফেরালেন এবং আসমানের চাঁদ, সূর্য, তারার পূজাতেই তাদের ফেলে রাখলেন।

৪২যেভাবে নবিদের কিতাবে লেখা আছে- ‘হে ইস্রাইলের লোকেরা, মরু-প্রান্তরে সেই চল্লিশ বছর তোমরা কি আমার উদ্দেশে কোনো পশু বা অন্য জিনিস কোরবানি দিয়েছিলে? ৪৩না, বরং পূজা করার জন্য যে-মূর্র্তি তোমরা তৈরি করেছিলে, সেই মোলকের তাঁবু আর তোমাদের রিফন দেবতার তারা তোমরা বয়ে নিয়ে গিয়েছিলে। কাজেই আমি ব্যাবিলন দেশের ওপাশে তোমাদের পাঠিয়ে দেবো।’

৪৪মরু-প্রান্তরে আমাদের পূর্বপুরুষদের সংগে শাহাদাত-তাম্বুটি ছিলো। আল্লাহ্ হযরত মুসা আ.কে যেভাবে হুকুম দিয়েছিলেন এবং তিনি যে-নমুনা দেখেছিলেন, সেভাবেই এই তাঁবু তৈরি হয়েছিলো। ৪৫আমাদের পূর্বপুরুষরা সেই তাঁবু পেয়ে তাঁদের নেতা হযরত ইউসা আ. এর অধীনে তা নিজেদের সংগে আমাদের এই দেশে এনেছিলেন। আল্লাহ্ সেই সময় তাঁদের সামনে থেকে অন্য জাতিদের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁরা এই দেশ অধিকার করেছিলেন।

৪৬হযরত দাউদ আ. এর সময় পর্যন্ত সেই তাঁবু এই দেশেই ছিলো। হযরত দাউদ আ. আল্লাহর রহমত পেয়ে হযরত ইয়াকুব আ. এর আল্লাহর থাকার ঘর তৈরি করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। ৪৭কিন্তু হযরত সোলায়মান আ.-ই তার জন্য ঘর তৈরি করেছিলেন ।

৪৮আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামিন মানুষের তৈরি ঘরে থাকেন না। যেমন নবি বলেছেন যে, আল্লাহ্ বলেন, ৪৯‘বেহেস্ত আমার সিংহাসন।

দুনিয়া আমার পা রাখার জায়গা। আমার জন্য তুমি কেমন ঘর তৈরি করবে? আমার বিশ্রামের স্থান কোথায় হবে? ৫০এসব জিনিস কি আমার হাত তৈরি করেনি?

৫১হে একগুঁয়ে জাতি! খতনা-বিহীনদের মতোই আপনাদের কান ও অন্তর। আপনারা ঠিক আপনাদের পূর্বপুরুষদের মতোই আল্লাহর রুহকে বাধা দিয়ে থাকেন। ৫২এমন কোনো নবি কি আছেন, যাঁর ওপর আপনাদের পূর্বপুরুষরা জুলুম করেননি? এমনকি সেই দীনদার ব্যক্তির আসার কথা যারা বলেছেন, তাঁদেরও তারা হত্যা করেছেন। আর এখন আপনারা তাঁকেই শত্রুদের হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে হত্যা করিয়ে নিজেরা খুনি হয়েছেন। ৫৩ফেরেস্তাদের মধ্য দিয়ে আপনারাই শরিয়ত গ্রহণ করেছিলেন এবং আপনারাই তা পালন করেননি।”

৫৪এসব কথা শুনে তারা রেগে আগুন হয়ে গেলেন এবং হযরত স্তিফান র. বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত ঘষতে লাগলেন। ৫৫কিন্তু তিনি আল্লাহর রুহে পূর্ণ হয়ে বেহেস্তের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর মহিমা দেখতে পেলেন এবং হযরত ইসা আ.কে আল্লাহর ডানপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। তিনি বললেন- ৫৬“দেখুন, আমি দেখতে পাচ্ছি, বেহেস্ত খোলা আছে এবং ইবনুল-ইনসান আল্লাহর ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন।”

৫৭কিন্তু তারা কানে আঙুল দিলেন এবং খুব জোরে চিৎকার করে এক সংগে দৌড়ে হযরত স্তিফান র. ওপর ঝাপিয়ে পড়লেন। ৫৮পরে তারা তাকে টেনে-হেঁচড়ে শহরের বাইরে নিয়ে গেলেন এবং তাকে পাথর মারতে লাগলেন। ৫৯আর সাক্ষীরা তাদের কোট খুলে শৌল নামে এক যুবকের পায়ের কাছে রাখলো। যখন তারা স্তিফানকে পাথর মারছিলেন, তখন তিনি মোনাজাত করে বললেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত ইসা আ. আমার রুহকে গ্রহণ করো।” ৬০পরে তিনি হাঁটু পেতে চেঁচিয়ে বললেন, “হে আল্লাহ, এই গুনাহ্ এদের বিরুদ্ধে ধরো না।” এ-কথা বলে তিনি ইন্তেকাল করলেন।

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১

১,২মাননীয় থিয়ফিল, হযরত ইসা আ.কে বেহেস্তে তুলে নেবার আগ পর্যন্ত তিনি যা করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার সমস্তই আমি আগের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২

১পঞ্চাশতম দিনের ইদে যখন তারা সবাই এক জায়গায় মিলিত হলেন, ২তখন হঠাৎ আসমান থেকে জোর বাতাসের শব্দের মতো একটি শব্দ ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৩

১এক দিন বিকেল তিনটার এবাদতের সময় হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. বায়তুল-মোকাদ্দসে যাচ্ছিলেন। এবং জন্ম থেকেই খোঁড়া এক ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৪

১হযরত সাফওয়ান রা. ও হযরত ইউহোন্না রা. যখন লোকদের সংগে কথা বলছিলেন, তখন ইমামেরা, বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রধান কর্মচারী ও সদ্দুকিরা তাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৫

১আনানিয়াস নামে এক লোক ও তার স্ত্রী সাফিরা একটি সম্পত্তি বিক্রি করলো। ২তার স্ত্রীর জানা মতেই বিক্রির কিছু টাকা সে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৬

১ঐ দিনগুলোতে যখন উম্মতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো, তখন গ্রীকরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো যে, প্রতিদিন খাবার বিতরণের সময় তাদের বিধবাদের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৭

১তখন প্রধান ইমাম হযরত স্তিফান র.কে জিজ্ঞেস করলেন, “এসব কি সত্যি?”২হযরত স্তিফান র. উত্তর দিলেন, “হে আমার ভাইয়েরা ও আমার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৮

১ হযরত শৌল রা. তাকে হত্যার অনুমোদন দিচ্ছিলেন।সেদিন জেরুসালেমে হযরত ইসা আ. এর অনুসারীদের ওপরে ভীষণ জুলুম শুরু হলো। তাতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ৯

১-২এদিকে হযরত শৌল রা. হযরত ইসা মসিহের উম্মতদের হত্যা করার ভয় দেখাচ্ছিলেন।তিনি মহা-ইমামের কাছে গিয়ে দামেস্ক শহরের সিনাগোগগুলোতে দেবার জন্য ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১০

১কৈসরিয়া শহরে কর্নেলিয়াস নামে একজন লোক ইতালিয় সৈন্যদলের লেফটেন্যান্ট ছিলেন। ২তিনি আল্লাহ্ভক্ত ছিলেন এবং তিনি ও তার পরিবারের সবাই আল্লাহর ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১১

১অইহুদিরাও যে আল্লাহর কালামের ওপর ইমান এনেছেন, সে-কথা হাওয়ারিরা এবং সমস্ত ইহুদিয়ার ইমানদার ভাইয়েরা শুনলেন। ২এ-জন্য হযরত সাফওয়ান রা. যখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১২

১সেই সময় বাদশাহ হেরোদ জুলুম করার জন্য কওমের কয়েকজনকে ধরে এনেছিলেন। ২তিনি হযরত ইউহোন্না রা.-র ভাই হযরত ইয়াকুব রা.-কে তরবারি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৩

১ আন্তিয়খিয়ার অনুসারীদের মধ্যে কয়েকজন ওলি ও শিক্ষক ছিলেন। তাদের নাম হযরত বার্নবাস র., হযরত নিগের র. নামে পরিচিত সিমোন, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৪

১ইকোনিয়ম শহরেও একই ঘটনা ঘটলো। সেখানে হযরত পৌল রা. ও হযরত বার্নবাস র. ইহুদিদের সিনাগোগে গিয়ে এমনভাবে কথা বললেন যে, ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৫

১সেই সময় ইহুদিয়া থেকে কয়েকজন লোক এলেন এবং ভাইদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন যে, “হযরত মুসা আ. এর শরিয়ত মতে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৬

১পরে হযরত পৌল রা. দেব্রা ও লুস্ত্রা শহরে গেলেন। সেখানে হযরত তিমথীয় র. নামে একজন উম্মত থাকতেন। তাঁর মা ছিলেন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৭

১হযরত পৌল রা. ও হযরত সিল র. আমফিপলি ও আপল্লো নিয়া হয়ে থিসালোনিকিতে এসে পৌঁছলেন। সেখানে ইহুদিদের একটি সিনাগোগ ছিলো। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৮

১এরপর হযরত পৌল রা. এথেন্স ছেড়ে করিন্থ শহরে গেলেন। সেখানে আকুইলা নামে এক ইহুদির সংগে তার দেখা হলো, জন্মসূত্রে তিনি ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ১৯

হাওয়ারিনামা: রুকু – ১৯

১আপল্লো যখন করিন্থে ছিলেন, সেই সময় হযরত পৌল রা. সে-সব এলাক ঘুরে ইফিসে এলেন। ২সেখানে তিনি কয়েকজন ইমানদারের দেখা পেলেন। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২০

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২০

১গোলমাল থামার পর হযরত পৌল রা. ইমানদারদের ডেকে পাঠালেন। তাঁদের উৎসাহ দেবার পর তাঁদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি মেসিডোনিয়ার ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২১

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২১

১তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা সোজা কোস দ্বীপে গেলাম। পরদিন আমরা রোডস দ্বীপে এলাম। তারপর সেখান থেকে পাতারা গেলাম। ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২২

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২২

১“ভাইয়েরা ও পিতারা, এখন নিজের পক্ষে আমার উত্তর শুনুন।” ২তারা তাঁকে ইব্রানী ভাষায় কথা বলতে শুনে একেবারে চুপ হয়ে গেলো।৩তখন ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৩

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৩

১হযরত পৌল রা. সোজা মহাসভার লোকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আমার ভাইয়েরা, আজ পর্যন্ত আমি আল্লাহর সামনে পরিষ্কার বিবেকে জীবন-যাপন করছি।” ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৪

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৪

১পাঁচদিন পরে মহাইমাম অননিয় কয়েকজন ইহুদি বুজুর্গকে ও তর্তুল্লস নামে একজন উকিলকে নিয়ে সেখানে এলেন এবং গভর্নরের কাছে হযরত পৌল ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৫

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৫

১ফাস্তুস সেই প্রদেশে আসার তিনদিন পর কৈসরিয়া থেকে জেরুসালেমে গেলেন। ২সেখানে প্রধান ইমামেরা ও নেতারা তার কাছে গিয়ে পৌলের বিরুদ্ধে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৬

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৬

১তখন আগ্রিপ্প হযরত পৌল রা.-কে বললেন, “তোমার নিজের পক্ষে কথা বলার জন্য তোমাকে অনুমতি দেয়া গেলো।” ২তখন তিনি হাত বাড়িয়ে ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৭

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৭

১যখন জাহাজে করে আমাদের ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, তখন হযরত পৌল রা. এবং আরো কয়েকজন বন্দিকে জুলিয়াস নামে সম্রাটের ...
হাওয়ারিনামা: রুকু - ২৮

হাওয়ারিনামা: রুকু – ২৮

১,২আমরা নিরাপদে কিনারে পৌঁছে জানতে পারলাম যে, দ্বীপটার নাম মাল্টা। এর অধিবাসীরা আমাদের সংগে খুব দয়া দেখালো। তখন বৃষ্টি আরম্ভ ...