ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১২

76154
Total
Visitors

১এর মধ্যে হাজার হাজার লোক এমনভাবে জড়ো হলো যে, তারা ঠেলাঠেলি করে একে অন্যের ওপর পড়তে লাগলো। তিনি প্রথমে তাঁর হাওয়ারিদেরকে বললেন, “ফরিসিদের খামি থেকে সাবধান হও; এটি হলো তাদের ভন্ডামি। ২লুকোনো কিছুই নেই, যা প্রকাশ পাবে না এবং গোপন কিছুই নেই, যা জানানো হবে না। ৩সুতরাং তোমরা অন্ধকারে যা বলেছো তা আলোতে শোনা যাবে এবং ভেতরের ঘরে যা কানে কানে বলেছো তা ছাদের ওপর থেকে প্রচার করা হবে।

৪বন্ধুরা আমার, আমি তোমাদের বলছি, যারা শরীর ধ্বংস করার পরে আর কিছুই করতে পারে না, তাদের ভয় কোরো না। ৫কিন্তু কাকে ভয় করবে, সে-বিষয়ে আমি তোমাদের সাবধান করে দিচ্ছি- তোমাদের হত্যা করার পরে জাহান্নামে ফেলে দেবার ক্ষমতা যাঁর আছে, তাঁকেই ভয় করো। হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, তাঁকেই ভয় করো। ৬পাঁচটি চড়ুই কি দু’পয়সায় বিক্রি হয় না? তবুও আল্লাহ সেগুলোর একটিকেও ভুলে যান না।

৭এমনকি তোমাদের মাথার চুলগুলোও তাঁর গোনা আছে। ভয় করো না, অনেক অনেক চড়ুইয়ের চেয়েও তোমাদের মূল্য অনেক বেশি।

৮আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ লোকদের সামনে আমাকে স্বীকার করে, ইবনুল-ইনসানও তাকে আল্লাহর ফেরেস্তাদের সামনে স্বীকার করবেন। ৯কিন্তু যে কেউ আমাকে লোকদের সামনে অস্বীকার করে, তাকে আল্লাহর ফেরেস্তাদের সামনে অস্বীকার করা হবে।

১০ইবনুল-ইনসানের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বললে তাকে ক্ষমা করা হবে কিন্তু কেউ যদি আল্লাহর রুহের বিরুদ্ধে কুফরি করে, তাকে ক্ষমা করা হবে না।

১১তারা যখন তোমাদের সিনাগোগে এবং শাসনকর্তাদের ও ক্ষমতাশালী লোকদের সামনে নিয়ে যাবে, তখন কীভাবে নিজেদের পক্ষে কথা বলবে বা কী জবাব দেবে, সে-বিষয়ে চিন্তিত হয়ো না। ১২কারণ কী বলতে হবে তা আল্লাহর রুহই সেই মুহূর্তে তোমাদের শিখিয়ে দেবেন।”

১৩ভিড়ের মধ্য থেকে কেউ একজন তাঁকে বললো, “হুজুর, আমার ভাইকে বলুন, যেনো আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি আমাকে ভাগ করে দেয়। ১৪কিন্তু তিনি তাকে বললেন, “বন্ধু, তোমাদের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে বা বিচার করতে কে আমাকে তোমাদের ওপরে নিয়োগ করেছে?” ১৫তিনি তাদের বললেন, “সাবধান! সবরকম লোভের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করো, কারণ অনেক ধন-সম্পত্তি থাকার মধ্যেই মানুষের জীবন নয়।”

১৬এরপর তিনি তাদের একটি দৃষ্টান্ত দিলেন- “কোনো এক ধনী লোকের জমিতে অনেক ফসল হয়েছিলো। ১৭সে মনে মনে চিন্তা করতে লাগলো, ‘এতো ফসল রাখার জায়গা তো আমার নেই; আমি এখন কী করবো?’ ১৮অতঃপর সে বললো, ‘আমি একটি কাজ করবো; আমার গোলাঘরগুলো ভেঙে ফেলে বড়ো বড়ো গোলাঘর তৈরি করবো এবং আমার সমস্ত ফসল ও জিনিসপত্র সেখানে রাখবো। ১৯পরে আমি নিজেকে বলবো, অনেক বছরের জন্য অনেক ভালো জিনিস জমা আছে। আরাম করো, খাওয়া-দাওয়া করো, আনন্দ-ফুর্তিতে দিন কাটাও।’ ২০কিন্তু আল্লাহ তাকে বললেন, ‘আরে বোকা! আজ রাতেই তোমাকে মরতে হবে। তাহলে যেসব জিনিস তুমি জমা করেছো, সেগুলো কার হবে?’ ২১সুতরাং যে নিজের জন্য ধন-স¤পত্তি জমা করে অথচ আল্লাহর চোখে ধনী নয়, তার অবস্থা ওরকমই হবে।”

২২তিনি তাঁর হাওয়ারিদেরকে বললেন, “এজন্যই আমি তোমাদের বলছি, কী খাবে বলে জীবনের বিষয়ে কিংবা কী পরবে বলে শরীরের বিষয়ে চিন্তা করো না। ২৩কারণ জীবনটা খাওয়া-দাওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর শরীরটা জামা-কাপড়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ২৪কাকগুলোর দিকে চেয়ে দেখো; তারা বীজও বোনে না, ফসলও কাটে না। তাদের গুদাম বা গোলাঘরও নেই। তবুও আল্লাহ তাদের খাইয়ে থাকেন। তোমরা তো পাখিদের চেয়ে আরো কতো-না বেশি মূল্যবান!

২৫তোমাদের মধ্যে কেউ কি চিন্তা-ভাবনা করে নিজের আয়ু এক ঘন্টা বাড়াতে পারে? ২৬এই সামান্য কাজটিও যদি তোমরা করতে না পারো, তাহলে অন্যান্য বিষয়ের জন্য কেনো দুশ্চিন্তা করো? ২৭ভেবে দেখো, ফুল কেমন করে বেড়ে ওঠে- তারা পরিশ্রম করে না, সুতোও কাটে না। তবুও আমি তোমাদের বলছি, বাদশা সোলায়মান এতো জাঁকজমকের মধ্যে থেকেও এগুলোর একটির মতোও নিজেকে সাজাতে পারেননি। ২৮মাঠে যে-ফুল আজ আছে আর কাল চুলোয় ফেলে দেয়া হবে, আল্লাহ তা যখন এভাবে সাজান, ২৯তখন হে অল্প বিশ্বাসীরা, তিনি যে তোমাদের সাজাবেন তা কতো না নিশ্চিত! সুতরাং কী খাওয়া-দাওয়া করবে, সে-বিষয়ে চিন্তা করে করে অস্থির হয়ো না। ৩০এই দুনিয়ার জাতিগুলো ওসবের পেছনে দৌড়ায় কিন্তু তোমাদের প্রতিপালক তো জানেন যে, তোমাদের এগুলোর দরকার আছে। ৩১তার চেয়ে তোমরা বরং তাঁর রাজ্যের পেছনে দৌড়াও, তাহলে এগুলোও তোমাদের দেয়া হবে।

৩২হে আমার ছোটো দল, ভয় কোরো না, কারণ তোমাদের প্রতিপালকের ইচ্ছা এই যে, এই রাজ্য তিনি তোমাদের দেবেন। ৩৩তোমাদের বিষয়-স¤পত্তি বিক্রি ও দান খয়রাত করো। যে-টাকার থলি কখনো পুরোনো হয় না তা-ই নিজেদের জন্য তৈরি করো। অর্থাৎ যে-ধন চিরদিন টিকে থাকে তা-ই বেহেস্তে জমা করো। সেখানে চোরও আসে না এবং পোকায়ও নষ্ট করে না। ৩৪কারণ তোমাদের ধন যেখানে থাকে, তোমাদের মন সেখানেই থাকবে।

৩৫কোমর বেঁধে এবং তোমাদের বাতি জ্বালিয়ে নিয়ে প্রস্তুত থাকো।

৩৬এমন লোকদের মতো হও, যারা বিয়েভোজ থেকে তাদের মালিকের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকে, যেনো সে ফিরে এসে দরজায় কড়া নাড়লেই তারা দরজা খুলে দিতে পারে। ৩৭মালিক যে-গোলামদের জেগে থাকতে দেখবে, তারাই ভাগ্যবান। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, সে এসে কোমরে গামছা বেঁধে নিয়ে তাদের খেতে বসাবে এবং খাবার দেবে। ৩৮ভাগ্যবান সেসব গোলাম, মালিক এসে যাদের জেগে থাকতে দেখবে- তা মাঝরাতে হোক বা শেষরাতে হোক।

৩৯কিন্তু একথা জেনে রেখো- চোর কোন সময়ে আসবে তা যদি বাড়ির মালিক জানতো, তাহলে জেগে থাকতো; সেই চোরকে তার ঘরের বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকতে দিতো না। ৪০তোমরাও প্রস্তুত থাকো। কারণ যে-সময়ের কথা তোমরা চিন্তাও করবে না, সেই সময়েই ইবনুল-ইনসান আসবেন।”

৪১হযরত পিতর আ. বললেন, “হুজুর, আপনি কি আমাদের উদ্দেশে এ-দৃষ্টান্তটি দিচ্ছেন, নাকি সকলের উদ্দেশে?” ৪২হযরত ইসা আ. বললেন, “সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান ম্যানেজার কে, যাকে মালিক তার গোলামদের ঠিক সময়ে খাবার ভাগ করে দেবার ভার দেবে? ৪৩ভাগ্যবান সেই গোলাম, যাকে তার মালিক এসে কাজের মধ্যে পাবে। ৪৪আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সে তাকে তার সমস্ত বিষয়-স¤পত্তির ভার দেবে। ৪৫কিন্তু সেই গোলাম যদি মনে মনে বলে, ‘আমার মালিক আসতে দেরি করছেন,’ এবং সে অন্য গোলাম ও দাসীদের মারধর শুরু করে এবং খাওয়া-দাওয়া করার পরে মদ খেয়ে মাতাল হয়, ৪৬তাহলে যেদিন তার আসার সময়ের কথা সে চিন্তাও করবে না এবং যে-সময়ের কথা সে জানেও না, সেদিন ও সেই সময়েই তার মালিক এসে হাজির হবে এবং সে তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে অবিশ্বাসীদের মধ্যে ফেলে দেবে। ৪৭যে-গোলাম তার মালিকের ইচ্ছা জেনেও প্রস্তুত থাকেনি কিংবা মালিক যা চায় তা করেনি, তাকে ভীষণভাবে মার খেতে হবে। ৪৮কিন্তু না জেনে যে শাস্তি পাবার কাজ করেছে, তার অল্পই শাস্তি হবে। যাকে বেশি দেয়া হয়েছে, তার কাছে বেশি দাবি করা হবে এবং যার কাছে বেশি রাখা হয়েছে, তার কাছে বেশিই চাওয়া হবে।

৪৯আমি পৃথিবীতে আগুন জ্বালাতে এসেছি। যদি তা আগেই জ্বলে উঠতো, তাহলে কতোই না ভালো হতো!

৫০আমার একটি বায়াত আছে, যে-বায়াত আমাকে নিতে হবে; আর যতোদিন তা পূর্ণ না হচ্ছে, ততোদিন আমি কি কষ্টের মধ্যেই না আছি! ৫১তোমাদের কি মনে হয় যে, আমি দুনিয়াতে শান্তি দিতে এসেছি? না, আমি তোমাদের বলছি, তা নয় বরং বিভেদ! ৫২এখন থেকে এক বাড়ির পাঁচজন ভাগ হয়ে যাবে- তিনজন দু’জনের বিরুদ্ধে আর দু’জন তিনজনের বিরুদ্ধে। ৫৩তারা ভাগ হয়ে যাবে- বাবা ছেলের বিরুদ্ধে ও ছেলে বাবার বিরুদ্ধে; মা মেয়ের বিরুদ্ধে ও মেয়ে মায়ের বিরুদ্ধে; শাশুড়ি পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ও পুত্রবধূ শাশুড়ির বিরুদ্ধে।”

৫৪তিনি লোকদের এও বললেন, “তোমরা পশ্চিম দিকে মেঘ জমতে দেখলে তখনই বলে থাকো, ‘বৃষ্টি হবে’ আর তা-ই হয়। ৫৫আবার দখিনা বাতাস বইতে দেখলে বলো, ‘গরম পড়বে’, আর তা-ই হয়। ৫৬তোমরা ভন্ড! তোমরা দুনিয়া ও আকাশের চেহারার অর্থ বুঝতে পারো কিন্তু কেনো এখনকার সময়ের অর্থ করতে পারো না?

৭কোনটি ন্যায়, সে-বিষয়ে কেনো নিজেই বিচার করো না? ৫৮তোমার বিপক্ষের সাথে বিচারকের কাছে যাওয়ার সময় পথেই তার সাথে একটি মীমাংসা করে নাও। তা না হলে সে তোমাকে বিচারকের কাছে টেনে নিয়ে যাবে আর বিচারক তোমাকে পুলিশে দেবে এবং পুলিশ তোমাকে জেলে দেবে। ৫৯আমি তোমাকে বলছি, শেষ পয়সাটা না দেয়া পর্যন্ত তুমি কিছুতেই ছাড়া পাবে না।”

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১

১,২মাননীয় থিয়ফিল, আমাদের মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা যারা প্রথম থেকে নিজের চোখে দেখেছেন ও আল্লাহর কালাম প্রচার করেছেন, তারা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২

১সেই সময় আগস্ত কাইসার তার গোটা সাম্রাজ্যে আদম-শুমারির হুকুম দিলেন। ২সিরিয়ার গভর্নর কুরিনিয়ের সময় এই প্রথমবারের মতো আদম-শুমারি হয়। ৩নাম ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৩

১সম্রাট টাইবেরিয়াসের রাজত্বের পনের বছরের সময় পন্তিয়াস পিলাত যখন ইহুদিয়া প্রদেশের গভর্নর, হেরোদ গালিল প্রদেশ এবং তার ভাই ফিলিপ ইতুরিয়া ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৪

১হযরত ইসা আ. আল্লাহর রুহে পূর্ণ হয়ে জর্দান থেকে ফিরে এলেন এবং সেই রুহের পরিচালনায় তাঁকে মরু প্রান্তরে যেতে হলো। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৫

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৫

১এক সময় হযরত ইসা আ. গিনেসরত লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং লোকেরা আল্লাহর কালাম শোনার জন্য তাঁর চারপাশে ভিড় করে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৬

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৬

১কোনো এক সাব্বাতে হযরত ইসা আ. ফসলের মাঠ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর হাওয়ারিরা শিষ ছিঁড়ে হাতে ঘষে ঘষে খেতে লাগলেন।২এতে কয়েকজন ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৭

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৭

১তিনি লোকদের কাছে তাঁর সব কথা শেষ করে কফরনাহুমে চলে গেলেন। ২সেখানে একজন শত-সৈন্যের সেনাপতির এক গোলাম ছিলো, যে তার ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৮

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৮

১এরপরই তিনি গ্রামে গ্রামে ও শহরে শহরে ঘুরে আল্লাহর রাজ্যের সুখবর প্রচার করতে লাগলেন। তাঁর সাথে সেই বারোজনও ছিলেন। ২কয়েকজন ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ৯

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ৯

১অতঃপর তিনি সেই বারোজনকে একত্রে ডাকলেন এবং তাদেরকে সমস্ত ভূতের ওপরে ক্ষমতা ও অধিকার এবং রোগ ভালো করার ক্ষমতাও দিলেন। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১০

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১০

১অতঃপর মসিহ আরো সত্তরজনকে মনোনীত করলেন। তিনি নিজে যে যে গ্রামে ও যে যে জায়গায় যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন, সেসব ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১১

১তিনি কোনো এক জায়গায় মোনাজাত করছিলেন। মোনাজাত শেষ হলে তাঁর কোনো এক হাওয়ারি তাঁকে বললেন, “হুজুর, হযরত ইয়াহিয়া আ. যেভাবে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১২

১এর মধ্যে হাজার হাজার লোক এমনভাবে জড়ো হলো যে, তারা ঠেলাঠেলি করে একে অন্যের ওপর পড়তে লাগলো। তিনি প্রথমে তাঁর ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৩

১ঠিক ওই সময় যারা উপস্থিত ছিলো, তারা হযরত ইসা আ.কে বললো, গালিলের কিছু লোক যখন কোরবানি করছিলো, তখন তাদেরকে হত্যা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৪

১এক সাব্বাতে হযরত ইসা আ. ফরিসিদের এক নেতার বাড়িতে খেতে গেলেন। তারা গভীরভাবে তাঁকে লক্ষ্য করছিলেন। ২ঠিক ওই সময় তাঁর ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু ১৫

ইবনুল-ইনসান: রুকু ১৫

১সমস্ত কর-আদায়কারী ও গুনাহগাররা যখন তাঁর কথা শোনার জন্য তাঁর কাছে আসছিলো, ২তখন ফরিসিরা ও আলিমরা বিরক্তি প্রকাশ করে বলতে ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৬

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৬

১অতঃপর তিনি সাহাবিদেরকে বললেন, “কোনো এক ধনী লোকের ম্যানেজারকে এই বলে দোষ দেয়া হলো যে, সে তার মালিকের ধন-সম্পত্তি নষ্ট ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৭

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৭

১হযরত ইসা আ. তাঁর সাহাবিদের বললেন, “বাধা অবশ্যই আসবে কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই লোকের, যার মধ্য দিয়ে বাধা আসে! ২কেউ যদি ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৮

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৮

১মোনাজাতের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে হযরত ইসা আ. তাদেরকে একটি দৃষ্টান্ত দিলেন, যেনো তারা সব সময় মোনাজাত করেন এবং নিরাশ না হোন। ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ১৯

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ১৯

১তিনি জিরিহোতে এসে শহরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ২সেখানে সক্কেয় নামে এক লোক ছিলেন। তিনি প্রধান কর-আদায়কারী এবং ধনী ছিলেন। ৩হযরত ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২০

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২০

১একদিন তিনি যখন বায়তুল-মোকাদ্দসে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং ইঞ্জিল প্রচার করছিলেন, তখন বুজুর্গদের সাথে প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা এলেন। ২তারা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২১

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২১

১পরে তিনি চেয়ে দেখলেন, ধনী লোকেরা বায়তুল-মোকাদ্দসের দানবাক্সে তাদের দান রাখছে। ২তিনি এও দেখলেন যে, এক গরিব বিধবা ছোট্ট দুটো ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২২

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২২

১সেই সময় ইদুল-মাত্ছ কাছে এসে গিয়েছিলো। এটিকে ইদুল-ফেসাখও বলা হয়। ২প্রধান ইমামেরা ও আলিমরা তাঁকে হত্যা করার পথ খুঁজছিলেন, কারণ ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২৩

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২৩

১তখন মহাসভার সবাই উঠে হযরত ইসা আ.কে পিলাতের কাছে নিয়ে গেলেন। ২তারা এই বলে তাঁর বিরুদ্ধে দোষ দিতে লাগলেন, “আমরা ...
ইবনুল-ইনসান: রুকু - ২৪

ইবনুল-ইনসান: রুকু – ২৪

১কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিন খুব সকালে সেই মহিলারা তাদের তৈরি করা সুগন্ধি মসলা নিয়ে কবরের কাছে গেলেন। ২তারা দেখলেন, কবরের ...