মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৭ ও ২৮

75432
Total
Visitors
অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন

রুকু ২৭

১ফজরের পরেই প্রধান ইমামেরা ও বুজুর্গরা একত্রে বসে হযরত ইসা আ.কে মেরে ফেলার বিষয়ে আলোচনা করলেন। ২তারা হযরত ইসা আ.কে বেঁধে নিয়ে গিয়ে প্রাদেশিক শাসনকর্তা পিলাতের হাতে তুলে দিলেন।

৩যখন ইহুদা, যিনি তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন, দেখলেন যে, হযরত ইসা  আ. দোষী বলে সাব্যস্ত হয়েছেন, ৪তখন তিনি অনুতপ্ত হলেন এবং প্রধান ইমামদের ও বুজুর্গদের কাছে গিয়ে সেই তিরিশ টুকরো রুপা ফেরত দিয়ে বললেন, “নিষ্পাপ-রক্তপাত ঘটিয়ে আমি গুনাহ করেছি।” কিন্তু তারা বললেন, “তাতে আমাদের কী? এ তো তোমার ব্যাপার।” ৫তখন তিনি ওই রুপার টুকরোগুলো নিয়ে বায়তুল-মোকাদ্দসের ভেতরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেলেন এবং গলায় দড়ি দিয়ে মরলেন।

৬কিন্তু প্রধান ইমামেরা ওই রুপার টুকরোগুলো কুড়িয়ে নিয়ে বললেন, “এগুলো কোষাগারে রাখা ঠিক নয়, কারণ এ তো রক্তের মূল্য।” ৭তাই তারা পরামর্শ করার পর ওগুলো দিয়ে বিদেশিদের কবর দেবার জন্য এক কুমোরের জমি কিনলেন। ৮সেজন্য আজো ওই জমিকে বলা হয় “রক্তের জমি”।

৯হযরত ইয়ারমিয়া নবির মধ্য দিয়ে বলা একথা এভাবেই পূর্ণ হলো- -“তারা তিরিশ টুকরো রুপা নিলো। যাঁর মূল্য নির্ধারিতই ছিলো, এটি তাঁরই মূল্য। ১০বনি-ইসরাইলের কিছু লোক তাঁর জন্য এই মূল্য নির্ধারণ করেছিলো। আল্লাহ আমাকে যেভাবে হুকুম দিয়েছিলেন, সেভাবেই তারা ওগুলো কুমারের জমির জন্য দিলো।”

১১হযরত ইসা আ.কে গভর্নরের সামনে দাঁড় করানো হলো। গভর্নর তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি ইহুদিদের বাদশা?” হযরত ইসা আ. বললেন, “আপনিই তা বলছেন।” ১২কিন্তু প্রধান ইমামেরা ও বুজুর্গরা যখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, তখন তিনি কোনো উত্তর দিলেন না। ১৩তখন পিলাত তাঁকে বললেন, “তুমি কি শুনতে পাচ্ছো না যে, ওরা তোমার বিরুদ্ধে কতো কি অভিযোগ করছেন?” ১৪কিন্তু তিনি তাকে কোনো উত্তর দিলেন না, এমনকি একটি অভিযোগেরও না। এতে গভর্নর খুবই আশ্চর্য হলেন।

১৫ইদের সময় লোকেরা যে-কয়েদিকে চাইতো, রীতি অনুসারে গভর্নর তাকে ছেড়ে দিতেন।

১৬সেই সময় বারাব্বা নামে একজন কুখ্যাত কয়েদি ছিলো। ১৭সুতরাং লোকেরা সমবেত হলে পিলাত তাদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কী চাও? তোমাদের জন্য আমি কাকে মুক্তি দেবো, বারাব্বাকে, নাকি এই হযরত ইসা আ.কে, যাকে মসিহ বলা হয়?” ১৮কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, হিংসা করেই তারা তাঁকে তার হাতে দিয়েছেন। ১৯তিনি যখন বিচারের আসনে বসে ছিলেন, তখন তার স্ত্রী তাকে বলে পাঠালেন, “তুমি ওই দীনদার মানুষটির বিরুদ্ধে কিছুই করো না, কারণ আমি আজ তাঁকে নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছি।”

২০এদিকে প্রধান ইমামেরা ও বুজুর্গরা লোকদের উসকে দিলেন, যেনো তারা বারাব্বাকে চেয়ে নেয় এবং হযরত ইসা আ.কে হত্যার দাবি জানায়। ২১গভর্নর আবার তাদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কী চাও? তোমাদের জন্য এই দু’জনের মধ্যে আমি কাকে মুক্তি দেবো?” তারা বললো, ‘বারাব্বাকে’। ২২পিলাত তাদের বললেন, “তাহলে এই যে হযরত ইসা আ., যাকে মসিহ বলা হয়, তাকে নিয়ে আমি কী করবো?” তারা সকলে বললো, “ওকে সলিবে দিন!”

২৩তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “কেনো, সে কী দোষ করেছে?” কিন্তু তারা আরো জোরে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো, “ওকে সলিবে দিন!”

২৪সুতরাং পিলাত যখন দেখলেন যে, তিনি কিছুই করতে পারছেন না, বরং একটি দাঙ্গা শুরু হতে চলেছে, তখন তিনি কিছু পানি নিয়ে লোকদের সামনে হাত ধুয়ে বললেন, “এই মানুষটির রক্তপাতের ব্যাপারে আমি নির্দোষ; তোমরাই তা বুঝবে।” ২৫তখন সমস্ত লোক একসাথে বলে উঠলো, “ওর রক্তপাতের ব্যাপারে আমরা ও আমাদের সন্তানরাই দায়ী রইলাম।”

২৬তখন পিলাত বারাব্বাকে তাদের কাছে ছেড়ে দিলেন, আর হযরত ইসা আ.কে চাবুক মেরে সলিবে দেবার জন্য দিয়ে দিলেন।

২৭অতঃপর গভর্নরের সৈন্যরা হযরত ইসা আ.কে গভর্নরের প্রধান কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে গেলো এবং তারা গোটা সেনাদলকে তাঁর চারদিকে জড়ো করলো। ২৮তারা তাঁর জামা-কাপড় খুলে নিয়ে তাঁকে টকটকে লাল গাউন পরিয়ে দিলো।

২৯এরপর তারা কাঁটার মুকুট গেঁথে তাঁর মাথায় পরিয়ে দিলো। তাঁর ডান হাতে দিলো একটি নলখাগড়া। এবং তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে তাঁকে উপহাস করে বলতে লাগলো, “খোশ আমদেদ, ইহুদিরাজ!” ৩০তারা তাঁর গায়ে থুথু দিলো, নলখাগড়াটি নিয়ে নিলো এবং তাঁর মাথায় আঘাত করলো। ৩১এভাবে তাঁকে ঠাট্টাতামাসা করার পর তারা ওই গাউনটি খুলে তাঁকে তাঁর নিজের জামা-কাপড় পরিয়ে দিলো এবং সলিবে দিয়ে হত্যা করার জন্য নিয়ে চললো।

৩২বাইরে যাবার সময় তারা সিমোন নামে কুরিনীয় এক লোকের দেখা পেলো। তাকেই তারা তাঁর সলিব বইতে বাধ্য করলো। ৩৩অতঃপর তারা যখন ‘গল্গথা’ অর্থাৎ ‘মাথার খুলির স্থান’, নামে একটি জায়গায় এসে পৌঁছালো, ৩৪তখন তারা তাঁকে তেতো মেশানো আঙুররস খেতে দিলো কিন্তু স্বাদ নিয়েই তিনি তা আর খেলেন না।

৩৫অতঃপর তারা তাঁকে সলিবে দিলো। ভাগ্য পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর জামা-কাপড় নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিলো। ৩৬এবং সেখানে বসে তাঁকে পাহারা দিতে লাগলো। ৩৭তারা তাঁর মাথার ওপরে তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগনামা লিখে লাগিয়ে দিলো, “এ হলো হযরত ইসা আ., ইহুদিদের বাদশা।” ৩৮তারা দু’জন ডাকাতকেও তাঁর সাথে সলিবে দিলো- একজনকে ডান দিকে ও অন্যজনকে বাম দিকে।

৩৯যারা সেপথ দিয়ে যাচ্ছিলো, তারা মাথা নেড়ে তাঁকে ঠাট্টা করে বললো, ৪০“তুমি নাকি বায়তুল-মোকাদ্দস ভেঙে আবার তিন দিনের ভেতর তা তৈরি করতে পারো! তুমি যদি আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন হয়ে থাকো, তাহলে এখন সলিব থেকে নেমে এসে নিজেকে রক্ষা করো।”

৪১একইভাবে প্রধান ইমামেরা আলিম ও বুজুর্গদের সাথে তাঁকে উপহাস করে বললেন, ৪২“সে অন্যদের রক্ষা করতো কিন্তু নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। সে তো ইস্রাইলের বাদশা! এখন সলিব থেকে নেমে আসুক, তাহলে আমরাও তার ওপর ইমান আনবো। ৪৩সে তো আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে। আল্লাহ যদি চান, তাহলে এখন একমাত্র তিনিই তাকে উদ্ধার করুন। কারণ সে তো বলতো, ‘আমি আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন।’” ৪৪যে-ডাকাতদের তাঁর সাথে সলিবে দেয়া হয়েছিলো, তারাও তাঁকে একইভাবে টিটকারি করলো।

৪৫দুপুর বারোটা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত সারাদেশ অন্ধকার হয়ে রইলো। ৪৬বেলা তিনটের সময় হযরত ইসা আ. চিৎকার করে বললেন, “এলোই, এলোই, লামা সাবাক্তানি?” অর্থাৎ “আল্লাহ আমার, আল্লাহ আমার, কেনো তুমি আমাকে ত্যাগ করেছো?” ৪৭যারা কাছে দাঁড়িয়ে ছিলো, তাদের কয়েকজন একথা শুনে বললো, “সে হযরত ইলিয়াস আ.কে ডাকছে।” ৪৮এক লোক দৌড়ে গিয়ে একটি স্পঞ্জ সিরকায় ভেজালো এবং তা একটি লাঠির মাথায় লাগিয়ে তাঁকে পান করতে দিলো। ৪৯কিন্তু অন্যরা বললো, “থাক, দেখি, হযরত ইলিয়াস আ. তাকে নামিয়ে নিতে আসেন কিনা।”

৫০অতঃপর হযরত ইসা আ. আবার জোরে চিৎকার করে ইন্তেকাল করলেন। ৫১তখনই বায়তুল-মোকাদ্দসের পর্দাটি ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত চিরে দু’ভাগ হয়ে গেলো। ভূমিক¤প হলো এবং পাথরগুলো ফেটে গেলো। ৫২কবরগুলোও খুলে গেলো এবং চিরনিদ্রায় শায়িত অনেক কামিলের দেহ জেগে উঠলো। ৫৩তাঁর পুনরুত্থানের পর তারা কবর থেকে বেরিয়ে এসে পবিত্র শহরের মধ্যে গেলেন এবং অনেককে দেখা দিলেন।

৫৪রোমীয় সেনা অফিসার ও তার সাথে যারা ইসাকে পাহারা দিচ্ছিলেন, তারা ভূমিক¤প ও অন্য সব ঘটনা দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে বললেন, “নিশ্চয়ই ইনি আল্লাহর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন ছিলেন।”

৫৫সেখানে কয়েকজন মহিলা দূরে দাঁড়িয়ে এসব দেখছিলেন। তারা গালিল থেকে ইসাকে অনুসরণ করে তাঁর সেবা করতে করতে এসেছিলেন। ৫৬তাদের মধ্যে ছিলেন মºলিনি মরিয়ম, ইয়াকুব ও ইউসুফের মা মরিয়ম এবং জাবিদির ছেলেদের মা।

৫৭সন্ধ্যার দিকে অরিমাথিয়া গ্রামের হযরত ইউসুফ নামে এক ধনী লোক সেখানে এলেন। তিনিও হযরত ইসা আ.র একজন সাহাবি ছিলেন। ৫৮তিনি পিলাতের কাছে গিয়ে হযরত ইসা আ.র দেহমোবারক চাইলেন। তখন পিলাত তাকে তা দিয়ে দিতে আদেশ দিলেন।

৫৯সুতরাং হযরত ইউসুফ র. দেহ মোবারকটি নিয়ে একটি পরিষ্কার লিনেন কাপড়ের কাফন পরালেন; ৬০এবং নিজের জন্য পাহাড় কেটে তৈরি করা একটি নতুন কবরে তাঁকে দাফন করলেন। অতঃপর কবরের মুখে একটি বড়ো পাথর গড়িয়ে দিয়ে তিনি ফিরে গেলেন। ৬১মºলিনি মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম সেখানে কবরের সামনে বসে রইলেন।

৬২পরদিন অর্থাৎ প্রস্তুতি দিনের পরদিন, প্রধান ইমামেরা ও ফরিসিরা একসাথে পিলাতের কাছে গিয়ে বললেন, ৬৩“জনাব, আমাদের মনে পড়ছে, জীবিত থাকতে এই ভন্ডটা বলেছিলো, ‘তিন দিন পর আমি আবার জীবিত হয়ে উঠবো।’ ৬৪অতএব, তিন দিন পর্যন্ত কবরটি পাহারা দিতে আদেশ দিন। তা না হলে হয়তো তার সাহাবিরা তার দেহ চুরি করে নিয়ে যাবে এবং মানুষকে বলবে, ‘তিনি মৃত থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন।’ তাতে প্রথম প্রতারণার চেয়ে শেষ প্রতারণা আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে।”

৬৫পিলাত তাদের বললেন, “আপনারা পাহারাদারদের নিয়ে গিয়ে যেভাবে পারেন, ওটা রক্ষা করুন।” ৬৬সুতরাং তারা পাহারাদারদের সাথে গিয়ে পাথরটি সিলমোহর করে কবরটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেন।

রুকু ২৮

১সাব্বাতের পরে সপ্তাহের প্রথম দিন ভোরবেলায় মগ্‌দলিনি মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম কবরটি দেখতে গেলেন। ২আর তখন সেখানে প্রবল ভূমিকম্প হলো; কারণ বেহেস্ত থেকে আল্লাহর একজন ফেরেস্তা নেমে এসে পাথরটি সরিয়ে দিয়ে তার ওপর বসলেন। ৩তার চেহারা ছিলো বিদ্যুতের মতো এবং জামা-কাপড় ছিলো ধবধবে সাদা। ৪তার ভয়ে পাহারাদাররা কাঁপতে কাঁপতে মরার মতো হয়ে পড়লো।

৫কিন্তু ফেরেস্তা মহিলাদের বললেন, “ভয় পেয়ো না। আমি জানি, তোমরা তো সেই হযরত ইসা আ.কে খুঁজছো, যাঁকে সলিববিদ্ধ করা হয়েছে। ৬তিনি এখানে নেই। তিনি যেভাবে বলেছিলেন, সেভাবেই উঠেছেন। এসো, তিনি যেখানে শুয়ে ছিলেন, সেই জায়গাটি দেখো। ৭আর তাড়াতাড়ি গিয়ে তার হাওয়ারিদেরকে বলো, ‘তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন এবং তোমাদের আগেই গালিলে যাচ্ছেন। সেখানেই তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে।’ এটাই তোমাদের কাছে আমার সংবাদ।” ৮সুতরাং তারা ভয়ে ও মহানন্দে তাড়াতাড়ি কবর ছেড়ে এলেন এবং তাঁর হাওয়ারিদেরকে বলার জন্য দৌড়ে গেলেন।

৯হঠাৎ করে হযরত ইসা আ. তাদের সামনে এসে বললেন, “আসসালামু আলাইকুম!” তখন তারা তাঁর কাছে এসে নতজানু হয়ে তাঁর পা ধরলেন এবং তাঁকে সম্মান জানালেন। ১০অতঃপর হযরত ইসা আ. তাদের বললেন, “ভয় করো না। যাও এবং গিয়ে ভাইদের গালিলে যেতে বলো; সেখানেই তারা আমাকে দেখতে পাবে।”

১১তারা যাচ্ছেন, এমন সময় পাহারাদারদের মধ্যে কয়েকজন শহরে গিয়ে যা-কিছু ঘটেছে, তার সমস্তই প্রধান ইমামদের জানালো। ১২তারা বুজুর্গদের সাথে একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র করলেন এবং সৈন্যদের প্রচুর টাকা দিয়ে বললেন, ১৩“তোমরা বলো, ‘রাতের বেলা আমরা যখন ঘুমিয়ে ছিলাম, তখন তার সাহাবিরা এসে তাকে চুরি করে নিয়ে গেছে।’

১৪গভর্নরের কানে যদি একথা পৌঁছায়, তাহলে আমরা তাকে বুঝিয়ে তোমাদেরকে সমস্যামুক্ত করবো।” ১৫সুতরাং তারা সেই টাকা নিলো এবং তাদের নির্দেশমতো কাজ করলো। আর একথা ইহুদিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লো এবং আজো তা প্রচলিত আছে।

১৬এদিকে এগারোজন হাওয়ারি গালিলে এসে সেই পাহাড়ে গেলেন, যেখানে হযরত ইসা আ. তাদের যেতে বলেছিলেন। ১৭তাঁকে দেখে তারা নতজানু হয়ে তাঁকে সম্মান জানালেন। কয়েকজন সন্দেহ করলেন।

১৮হযরত ইসা আ. কাছে এসে তাদের সাথে কথা বললেন। তিনি বললেন, “বেহেস্ত ও দুনিয়ার সমস্ত ক্ষমতা ও অধিকার আমাকে দেয়া হয়েছে। ১৯অতএব, তোমরা যাও এবং সমস্ত জাতিকে আমার উম্মত করো। আল্লাহ, তাঁর একান্ত প্রিয় মনোনীতজন ও আল্লাহর রুহের নামে তাদের বায়াত দাও। ২০এবং আমি তোমাদের যেসব হুকুম দিয়েছি তা তাদের আমল করতে শেখাও। আর মনে রেখো, কেয়ামত পর্যন্ত সব সময় আমি তোমাদের সাথে সাথে আছি।”

Facebook
WhatsApp
Telegram
Email
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১ ও ২
রুকু ১ ১হযরত ইসা মসিহের বংশতালিকা- হযরত ইসা মসিহ হযরত দাউদ আ.র বংশধর এবং হযরত দাউদ আ. হযরত ইব্রাহিম আ.র ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১ ও ২

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু - ৩ ও ৪
রুকু - ৩ ১ওই সময়ে হযরত ইয়াহিয়া আ. ইহুদিয়ার মরুপ্রান্তরে এসে একথা প্রচার করতে লাগলেন- ২“তওবা করো, কারণ বেহেস্তি রাজ্য ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৩ ও ৪

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু - ৫ ও ৬
রুকু ৫ ১জনতার ঢল দেখে হযরত ইসা আ. পাহাড়ের ওপর উঠলেন। তিনি বসার পর তাঁর হাওয়ারিরা তাঁর কাছে এলেন। ২অতঃপর ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৫ ও ৬

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৭ ও ৮
রুকু ৭ ১বিচার করো না, তাহলে তোমরাও বিচারের মুখোমুখি হবে না। কারণ যেভাবে তোমরা বিচার করো, সেভাবেই তোমাদের বিচার করা ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৭ ও ৮

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৯ ও ১০
রুকু ৯ ১অতঃপর তিনি নৌকায় উঠে লেক পাড়ি দিয়ে তাঁর নিজের শহরে এলেন। ২তখনই কিছু লোক বিছানায় শোয়ানো এক অবশরোগীকে ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ৯ ও ১০

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু - ১১ ও ১২
রুকু ১১ ১অতঃপর হযরত ইসা আ. তাঁর বারোজন হাওয়ারিকে হুকুম দেয়া শেষ করে নিজে গ্রামে গ্রামে শিক্ষা দিতে ও প্রচার ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু – ১১ ও ১২

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৩ ও ১৪
রুকু ১৩ ১ওই দিন হযরত ইসা আ. ঘর থেকে বেরিয়ে লেকের পাড়ে গিয়ে বসলেন। ২তাঁর কাছে এতো লোক এসে জড়ো ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৩ ও ১৪

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৫ ও ১৬
রুকু ১৫ ১অতঃপর জেরুসালেম থেকে কয়েকজন ফরিসি ও আলিম হযরত ইসা আ.র কাছে এসে বললেন, ২“বুজুর্গদের দেয়া যে-নিয়ম চলে আসছে, ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৫ ও ১৬

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৭ ও ১৮
রুকু ১৭ ১ছ’দিন পর হযরত ইসা আ. হযরত পিতর রা., হযরত ইয়াকুব রা. ও তার ভাই হযরত ইউহোন্না রা.কে সাথে ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৭ ও ১৮

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৯ ও ২০
রুকু ১৯ ১এসব কথা বলা শেষ করে হযরত ইসা আ. গালিল ছেড়ে জর্দান নদীর ওপারে ইহুদিয়ায় গেলেন। ২হাজার হাজার মানুষ ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ১৯ ও ২০

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২১ ও ২২
রুকু ২১ ১তারা জেরুসালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ের বৈতফগি গ্রামে এলে হযরত ইসা আ. তাঁর দু’জন হাওয়ারিকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২১ ও ২২

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৩ ও ২৪
রুকু ২৩ ১অতঃপর হযরত ইসা আ. জনতা ও তাঁর সাহাবিদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ২“আলিম ও ফরিসিরা নিজেরাই হযরত মুসা আ.র ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৩ ও ২৪

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৫ ও ২৬
রুকু ২৫ ১তখন বেহেস্তি রাজ্য হবে এমন দশ কুমারীর মতো, যারা বরকে বরণ করার জন্য তাদের বাতি নিয়ে বাইরে গেলো। ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৫ ও ২৬

/
মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৭ ও ২৮
রুকু ২৭ ১ফজরের পরেই প্রধান ইমামেরা ও বুজুর্গরা একত্রে বসে হযরত ইসা আ.কে মেরে ফেলার বিষয়ে আলোচনা করলেন। ২তারা হযরত ...

মামলুকাতুল্লাহ: রুকু ২৭ ও ২৮

/